alt

সম্পাদকীয়

নির্মল বায়ু চাই

: সোমবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২

বায়ুর মানদণ্ডে বিশ্বের মধ্যে রাজধানী ঢাকার অবস্থান দীর্ঘদিন ধরেই সুখকর নয়। অতীতে বিশ্বের দূষিত শহরগুলোর তালিকার শীর্ষে ঢাকার নাম স্থান পেয়েছে। শুধু ঢাকাই নয়, সেই তালিকায় মানিকগঞ্জ ও গাজীপুরের নামও উঠেছিল।

বায়ু মানের সূচক (একিউআই) অনুযায়ী সর্বশেষ যে তালিকা করা হয়েছে, তাতে ঢাকা রয়েছে চতুর্থ অবস্থানে। গত শনিবার সকাল ৯টায় ঢাকায় বাতাসের মান ছিল ১৬০ একিউআই । তালিকা অনুযায়ী, পাকিস্তানের লাহোরে সেদিন সবচেয়ে বেশি বায়ুদূষণ হয়। শহরটির একিউআই স্কোর ১৮০।

দূষণ নিয়ে দেশে বা বিদেশে যখনই কোন গবেষণা হয়, তখনই রাজধানী ঢাকা ওপরের দিকে স্থান পায়। রাজধানীতে দূষণের বড় একটি কারণ হচ্ছে চলমান একাধিক উন্নয়ন প্রকল্প। অবশ্য উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের জন্য পৃথিবীর সব স্থানেই কমবেশি দূষণ ঘটে। তবে এখানে দূষণ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হয় না, পরিবেশের কথা ভাবা হয় না।

প্রশ্ন হচ্ছে বায়ুদূষণ থেকে ঢাকাকে রক্ষা করা সম্ভব কি না। আমরা মনে করি, পরিকল্পিতভাবে পরিবেশবান্ধব উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চালালে দূষণ নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন কোন কাজ নয়। দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে উন্নয়ন জরুরি। পাশাপাশি মানুষের জীবন ও প্রকৃতিকে রক্ষা করাও জরুরি। এ জন্য দূষণ রোধে দেশে যেসব আইন বা নীতি রয়েছে তার কঠোর বাস্তবায়ন করতে হবে।

বায়ুদূষণ সমস্যা শুধু রাজধানীর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। দেশের অন্যান্য এলাকাতেও এই সমস্যা বিস্তৃত হয়েছে। দূষণ মানুষের শরীর ও মনের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। বায়ুদূষণে দেশে বছরে ২ লাখ ৪০ হাজার জন মানুষ মারা যায় বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য থেকে জানা গেছে।

বায়ুদূষণ জনজীবনে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে। এ থেকে রাতারাতি মুক্তি পাওয়া সম্ভব নয়। তাই বলে হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকলে চলবে না। বায়ুদূষণকে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ সংকট হিসেবে দেখতে হবে। সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এটি সমাধানে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। দূষণ রোধে সমন্বিত পরিকল্পনা থাকা ও তা বাস্তবায়ন করা জরুরি। ‘সবুজ’ ছাড়া বায়ুদূষণ কার্যেকরভাবে মোকাবিলা করা অসম্ভব। দেশে বিশেষ করে রাজধানীসহ বড় বড় শহরে সবুজ বেষ্টনী গড়ে তোলা দরকার।

পাশাপাশি জনসাধারণকেও সচেতন হতে হবে। কোন একক কর্তৃপক্ষের পক্ষে দূষণ প্রতিরোধ করা বা এর ভয়াবহতা মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। দূষণ প্রতিরোধে সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালাতে হবে। আমরা একটি দূষণমুক্ত দেশ চাই। নির্মল বায়ু চাই।

টিসিবির পণ্য : ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ আমলে নিন

ভৈরব নদে সেতু নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

ডায়রিয়া প্রতিরোধে চাই জনসচেতনতা

ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন সড়কে চলছে কীভাবে

গোবিন্দগঞ্জে নিয়মনীতি উপেক্ষা করে গাছ কাটার অভিযোগ আমলে নিন

নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা জরুরি

অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম ব্যবহারে চাই সচেতনতা

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

ভোলাডুবা হাওরের বোরো খেতের পানি নিষ্কাশনে ব্যবস্থা নিন

কিশোর গ্যাংয়ের প্রশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে

আদমজী ইপিজেড সড়ক মেরামতে আর কত কালক্ষেপণ

নদ-নদীর নাব্য রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কার করুন

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

স্লুইসগেটের ফাটল মেরামতে উদ্যোগ নিন

পরিবেশ দূষণ বন্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

tab

সম্পাদকীয়

নির্মল বায়ু চাই

সোমবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২

বায়ুর মানদণ্ডে বিশ্বের মধ্যে রাজধানী ঢাকার অবস্থান দীর্ঘদিন ধরেই সুখকর নয়। অতীতে বিশ্বের দূষিত শহরগুলোর তালিকার শীর্ষে ঢাকার নাম স্থান পেয়েছে। শুধু ঢাকাই নয়, সেই তালিকায় মানিকগঞ্জ ও গাজীপুরের নামও উঠেছিল।

বায়ু মানের সূচক (একিউআই) অনুযায়ী সর্বশেষ যে তালিকা করা হয়েছে, তাতে ঢাকা রয়েছে চতুর্থ অবস্থানে। গত শনিবার সকাল ৯টায় ঢাকায় বাতাসের মান ছিল ১৬০ একিউআই । তালিকা অনুযায়ী, পাকিস্তানের লাহোরে সেদিন সবচেয়ে বেশি বায়ুদূষণ হয়। শহরটির একিউআই স্কোর ১৮০।

দূষণ নিয়ে দেশে বা বিদেশে যখনই কোন গবেষণা হয়, তখনই রাজধানী ঢাকা ওপরের দিকে স্থান পায়। রাজধানীতে দূষণের বড় একটি কারণ হচ্ছে চলমান একাধিক উন্নয়ন প্রকল্প। অবশ্য উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের জন্য পৃথিবীর সব স্থানেই কমবেশি দূষণ ঘটে। তবে এখানে দূষণ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হয় না, পরিবেশের কথা ভাবা হয় না।

প্রশ্ন হচ্ছে বায়ুদূষণ থেকে ঢাকাকে রক্ষা করা সম্ভব কি না। আমরা মনে করি, পরিকল্পিতভাবে পরিবেশবান্ধব উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চালালে দূষণ নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন কোন কাজ নয়। দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে উন্নয়ন জরুরি। পাশাপাশি মানুষের জীবন ও প্রকৃতিকে রক্ষা করাও জরুরি। এ জন্য দূষণ রোধে দেশে যেসব আইন বা নীতি রয়েছে তার কঠোর বাস্তবায়ন করতে হবে।

বায়ুদূষণ সমস্যা শুধু রাজধানীর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। দেশের অন্যান্য এলাকাতেও এই সমস্যা বিস্তৃত হয়েছে। দূষণ মানুষের শরীর ও মনের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। বায়ুদূষণে দেশে বছরে ২ লাখ ৪০ হাজার জন মানুষ মারা যায় বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য থেকে জানা গেছে।

বায়ুদূষণ জনজীবনে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে। এ থেকে রাতারাতি মুক্তি পাওয়া সম্ভব নয়। তাই বলে হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকলে চলবে না। বায়ুদূষণকে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ সংকট হিসেবে দেখতে হবে। সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এটি সমাধানে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। দূষণ রোধে সমন্বিত পরিকল্পনা থাকা ও তা বাস্তবায়ন করা জরুরি। ‘সবুজ’ ছাড়া বায়ুদূষণ কার্যেকরভাবে মোকাবিলা করা অসম্ভব। দেশে বিশেষ করে রাজধানীসহ বড় বড় শহরে সবুজ বেষ্টনী গড়ে তোলা দরকার।

পাশাপাশি জনসাধারণকেও সচেতন হতে হবে। কোন একক কর্তৃপক্ষের পক্ষে দূষণ প্রতিরোধ করা বা এর ভয়াবহতা মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। দূষণ প্রতিরোধে সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালাতে হবে। আমরা একটি দূষণমুক্ত দেশ চাই। নির্মল বায়ু চাই।

back to top