বায়ুর মানদণ্ডে বিশ্বের মধ্যে রাজধানী ঢাকার অবস্থান দীর্ঘদিন ধরেই সুখকর নয়। অতীতে বিশ্বের দূষিত শহরগুলোর তালিকার শীর্ষে ঢাকার নাম স্থান পেয়েছে। শুধু ঢাকাই নয়, সেই তালিকায় মানিকগঞ্জ ও গাজীপুরের নামও উঠেছিল।
বায়ু মানের সূচক (একিউআই) অনুযায়ী সর্বশেষ যে তালিকা করা হয়েছে, তাতে ঢাকা রয়েছে চতুর্থ অবস্থানে। গত শনিবার সকাল ৯টায় ঢাকায় বাতাসের মান ছিল ১৬০ একিউআই । তালিকা অনুযায়ী, পাকিস্তানের লাহোরে সেদিন সবচেয়ে বেশি বায়ুদূষণ হয়। শহরটির একিউআই স্কোর ১৮০।
দূষণ নিয়ে দেশে বা বিদেশে যখনই কোন গবেষণা হয়, তখনই রাজধানী ঢাকা ওপরের দিকে স্থান পায়। রাজধানীতে দূষণের বড় একটি কারণ হচ্ছে চলমান একাধিক উন্নয়ন প্রকল্প। অবশ্য উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের জন্য পৃথিবীর সব স্থানেই কমবেশি দূষণ ঘটে। তবে এখানে দূষণ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হয় না, পরিবেশের কথা ভাবা হয় না।
প্রশ্ন হচ্ছে বায়ুদূষণ থেকে ঢাকাকে রক্ষা করা সম্ভব কি না। আমরা মনে করি, পরিকল্পিতভাবে পরিবেশবান্ধব উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চালালে দূষণ নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন কোন কাজ নয়। দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে উন্নয়ন জরুরি। পাশাপাশি মানুষের জীবন ও প্রকৃতিকে রক্ষা করাও জরুরি। এ জন্য দূষণ রোধে দেশে যেসব আইন বা নীতি রয়েছে তার কঠোর বাস্তবায়ন করতে হবে।
বায়ুদূষণ সমস্যা শুধু রাজধানীর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। দেশের অন্যান্য এলাকাতেও এই সমস্যা বিস্তৃত হয়েছে। দূষণ মানুষের শরীর ও মনের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। বায়ুদূষণে দেশে বছরে ২ লাখ ৪০ হাজার জন মানুষ মারা যায় বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য থেকে জানা গেছে।
বায়ুদূষণ জনজীবনে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে। এ থেকে রাতারাতি মুক্তি পাওয়া সম্ভব নয়। তাই বলে হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকলে চলবে না। বায়ুদূষণকে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ সংকট হিসেবে দেখতে হবে। সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এটি সমাধানে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। দূষণ রোধে সমন্বিত পরিকল্পনা থাকা ও তা বাস্তবায়ন করা জরুরি। ‘সবুজ’ ছাড়া বায়ুদূষণ কার্যেকরভাবে মোকাবিলা করা অসম্ভব। দেশে বিশেষ করে রাজধানীসহ বড় বড় শহরে সবুজ বেষ্টনী গড়ে তোলা দরকার।
পাশাপাশি জনসাধারণকেও সচেতন হতে হবে। কোন একক কর্তৃপক্ষের পক্ষে দূষণ প্রতিরোধ করা বা এর ভয়াবহতা মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। দূষণ প্রতিরোধে সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালাতে হবে। আমরা একটি দূষণমুক্ত দেশ চাই। নির্মল বায়ু চাই।
সোমবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২
বায়ুর মানদণ্ডে বিশ্বের মধ্যে রাজধানী ঢাকার অবস্থান দীর্ঘদিন ধরেই সুখকর নয়। অতীতে বিশ্বের দূষিত শহরগুলোর তালিকার শীর্ষে ঢাকার নাম স্থান পেয়েছে। শুধু ঢাকাই নয়, সেই তালিকায় মানিকগঞ্জ ও গাজীপুরের নামও উঠেছিল।
বায়ু মানের সূচক (একিউআই) অনুযায়ী সর্বশেষ যে তালিকা করা হয়েছে, তাতে ঢাকা রয়েছে চতুর্থ অবস্থানে। গত শনিবার সকাল ৯টায় ঢাকায় বাতাসের মান ছিল ১৬০ একিউআই । তালিকা অনুযায়ী, পাকিস্তানের লাহোরে সেদিন সবচেয়ে বেশি বায়ুদূষণ হয়। শহরটির একিউআই স্কোর ১৮০।
দূষণ নিয়ে দেশে বা বিদেশে যখনই কোন গবেষণা হয়, তখনই রাজধানী ঢাকা ওপরের দিকে স্থান পায়। রাজধানীতে দূষণের বড় একটি কারণ হচ্ছে চলমান একাধিক উন্নয়ন প্রকল্প। অবশ্য উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের জন্য পৃথিবীর সব স্থানেই কমবেশি দূষণ ঘটে। তবে এখানে দূষণ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হয় না, পরিবেশের কথা ভাবা হয় না।
প্রশ্ন হচ্ছে বায়ুদূষণ থেকে ঢাকাকে রক্ষা করা সম্ভব কি না। আমরা মনে করি, পরিকল্পিতভাবে পরিবেশবান্ধব উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চালালে দূষণ নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন কোন কাজ নয়। দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে উন্নয়ন জরুরি। পাশাপাশি মানুষের জীবন ও প্রকৃতিকে রক্ষা করাও জরুরি। এ জন্য দূষণ রোধে দেশে যেসব আইন বা নীতি রয়েছে তার কঠোর বাস্তবায়ন করতে হবে।
বায়ুদূষণ সমস্যা শুধু রাজধানীর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। দেশের অন্যান্য এলাকাতেও এই সমস্যা বিস্তৃত হয়েছে। দূষণ মানুষের শরীর ও মনের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। বায়ুদূষণে দেশে বছরে ২ লাখ ৪০ হাজার জন মানুষ মারা যায় বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য থেকে জানা গেছে।
বায়ুদূষণ জনজীবনে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে। এ থেকে রাতারাতি মুক্তি পাওয়া সম্ভব নয়। তাই বলে হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকলে চলবে না। বায়ুদূষণকে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ সংকট হিসেবে দেখতে হবে। সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এটি সমাধানে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। দূষণ রোধে সমন্বিত পরিকল্পনা থাকা ও তা বাস্তবায়ন করা জরুরি। ‘সবুজ’ ছাড়া বায়ুদূষণ কার্যেকরভাবে মোকাবিলা করা অসম্ভব। দেশে বিশেষ করে রাজধানীসহ বড় বড় শহরে সবুজ বেষ্টনী গড়ে তোলা দরকার।
পাশাপাশি জনসাধারণকেও সচেতন হতে হবে। কোন একক কর্তৃপক্ষের পক্ষে দূষণ প্রতিরোধ করা বা এর ভয়াবহতা মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। দূষণ প্রতিরোধে সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালাতে হবে। আমরা একটি দূষণমুক্ত দেশ চাই। নির্মল বায়ু চাই।