alt

সম্পাদকীয়

নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হবে

: রোববার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২

বছরের পর বছর ধরে ঝুলে আছে নারী ও শিশু নির্যাতনের হাজারো মামলা। মামলার তদন্ত থেকে শুরু করে বিচার পর্যন্ত প্রতিটি স্তরে বিচারপ্রার্থীকে পোহাতে হয় ভোগান্তি। এ নিয়ে প্রায়ই গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

ধর্ষণ, যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন ও হত্যা, যৌন নিপীড়নের মতো বিভিন্ন অপরাধের মামলার বিচার করা হয় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে। উচ্চ আদালতের তথ্য অনুযায়ী, গত ৩০ জুন পর্যন্ত দেশের ৯৯টি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন মামলা রয়েছে ১ লাখ ৭৮ হাজার ২৩১টি। এর মধ্যে পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে বিচারাধীন মামলা রয়েছে ৪৩ হাজার ১১৪টি।

এক হিসাব অনুযায়ী, উচ্চ আদালত ও অধস্তন আদালতে জুন পর্যন্ত বিচারাধীন মামলা রয়েছে প্রায় ৪২ লাখ। আদালত পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা জোরদার করায় বছরের প্রথম ভাগের তুলনায় জুনে মামলা কমেছে ৩২ শতাংশ। এর বিপরীতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে করা মামলার ক্ষেত্রে অগ্রগতি কম বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে।

নারী নির্যাতনের মামলা বছরের পর বছর ঝুলে থাকার খবর উদ্বেগজনক। বিচারপ্রার্থীদের হয়রানি ও ভোগান্তির কথা সর্বজনবিদিত। প্রসঙ্গক্রমে বলা যায়, ধর্ষণ মামলার বিচারপ্রার্থীদের থানা থেকে আদালত পর্যন্ত অশেষ হয়রানি পোহাতে হয়। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণ মামলা নির্ধারিত ১৮০ দিনের মধ্যে শেষ করার কথা বলা হয়। তবে এই সময়সীমা প্রায় ক্ষেত্রেই মানা হয় না। ধর্ষণের অসংখ্য মামলা বছরের পর বছর ঝুলে থাকার নজির রয়েছে। তদন্ত আর অভিযোগ গঠনে অনেক সময় চলে যায়। রহস্যজনক কারণে পুলিশ মামলার আসামিদের খুঁজে পায় না। অথবা দেখা যায়, আসামিদের খুঁজে পেলেও তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ পায় না।

নারী নির্যাতনের মামলার নিষ্পত্তির পথে যেসব অসংগতি আছে তার অবসান ঘটাতে হবে। তদন্ত ও আইনি বিধানসমূহ সঠিকভাবে প্রতিপালিত হচ্ছে কি না, সে বিষয়ে শক্তিশালী মনিটরিং ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে হবে। নির্ধারিত সময়ে তদন্ত ও বিচার শেষ করতে হবে। পুলিশ, আইনজীবীসহ মামলার বিচারসংশ্লিষ্ট সবাই দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করলে পরিস্থিতির পরিবর্তন হতে পারে।

দেবিদ্বারে মহাসড়কের মরা গাছ অপসারণে বিলম্ব কেন

এইচপিভি টিকা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে হবে

লোকালয়ে বন্যহাতি

নদী দখল-দূষণমুক্ত করতে আইনি পদক্ষেপ নিন

বরিশাল সিটি করপোরেশনের জন্ম নিবন্ধন কার্যক্রম চালু করুন

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নিন

পূর্বধলায় সড়ক নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

নাব্য সংকট দূর করুন

সমুদ্রস্নানে পর্যটকের মৃত্যু

হারভেস্টারে ধান কাটায় বেশি টাকা নেয়ার কারণ কী

দরিদ্রদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত করুন

নির্ধারিত মেয়াদে প্রকল্পের কাজ শেষ করা জরুরি

বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ উদ্ধার করুন

নারী ও কন্যাশিশুকে সাইবার সহিংসতা থেকে রক্ষা করতে হবে

দূষণ রোধে সমন্বিত পরিকল্পনা থাকতে হবে

ভূমিকম্প : ভবিষ্যতের বিপদ মোকাবিলায় টেকসই পরিকল্পনা জরুরি

এইডস প্রতিরোধে সমন্বিত প্রয়াস চালাতে হবে

টেকসই শান্তির জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন জরুরি

দেওয়ানগঞ্জে যমুনার বালু তোলা বন্ধ হোক

নামমাত্র মূল্যে গাছ বিক্রির অভিযোগ আমলে নিন

শরণখোলা হাসপাতালে লোকবল নিয়োগে ব্যবস্থা নিন

নিষিদ্ধ জাল দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কৃষিঋণ বিতরণে অনিয়ম বন্ধে ব্যবস্থা নিন

গোয়ালন্দে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন বন্ধ করার অভিযোগ আমলে নিন

বনভূমি দখল বন্ধে ব্যবস্থা নিন

নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে

উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের অভিনন্দন

ছবি

মার্কেজের নিঃসঙ্গতা ও সংহতি

ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে ট্রমা সেন্টার দ্রুত চালু করুন

বিষ দিয়ে মাছ ধরা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

আর্সেনিক দূষণ মোকাবিলায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

তাজরীন ট্র্যাজেডি : বিচার পেতে আর কত অপেক্ষা

সওজের জমি দখল করে মসজিদ নির্মাণের অভিযোগ আমলে নিন

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

কুতুবপুর উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র চালু করুন

পাহাড় কাটা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

tab

সম্পাদকীয়

নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হবে

রোববার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২

বছরের পর বছর ধরে ঝুলে আছে নারী ও শিশু নির্যাতনের হাজারো মামলা। মামলার তদন্ত থেকে শুরু করে বিচার পর্যন্ত প্রতিটি স্তরে বিচারপ্রার্থীকে পোহাতে হয় ভোগান্তি। এ নিয়ে প্রায়ই গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

ধর্ষণ, যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন ও হত্যা, যৌন নিপীড়নের মতো বিভিন্ন অপরাধের মামলার বিচার করা হয় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে। উচ্চ আদালতের তথ্য অনুযায়ী, গত ৩০ জুন পর্যন্ত দেশের ৯৯টি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন মামলা রয়েছে ১ লাখ ৭৮ হাজার ২৩১টি। এর মধ্যে পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে বিচারাধীন মামলা রয়েছে ৪৩ হাজার ১১৪টি।

এক হিসাব অনুযায়ী, উচ্চ আদালত ও অধস্তন আদালতে জুন পর্যন্ত বিচারাধীন মামলা রয়েছে প্রায় ৪২ লাখ। আদালত পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা জোরদার করায় বছরের প্রথম ভাগের তুলনায় জুনে মামলা কমেছে ৩২ শতাংশ। এর বিপরীতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে করা মামলার ক্ষেত্রে অগ্রগতি কম বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে।

নারী নির্যাতনের মামলা বছরের পর বছর ঝুলে থাকার খবর উদ্বেগজনক। বিচারপ্রার্থীদের হয়রানি ও ভোগান্তির কথা সর্বজনবিদিত। প্রসঙ্গক্রমে বলা যায়, ধর্ষণ মামলার বিচারপ্রার্থীদের থানা থেকে আদালত পর্যন্ত অশেষ হয়রানি পোহাতে হয়। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণ মামলা নির্ধারিত ১৮০ দিনের মধ্যে শেষ করার কথা বলা হয়। তবে এই সময়সীমা প্রায় ক্ষেত্রেই মানা হয় না। ধর্ষণের অসংখ্য মামলা বছরের পর বছর ঝুলে থাকার নজির রয়েছে। তদন্ত আর অভিযোগ গঠনে অনেক সময় চলে যায়। রহস্যজনক কারণে পুলিশ মামলার আসামিদের খুঁজে পায় না। অথবা দেখা যায়, আসামিদের খুঁজে পেলেও তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ পায় না।

নারী নির্যাতনের মামলার নিষ্পত্তির পথে যেসব অসংগতি আছে তার অবসান ঘটাতে হবে। তদন্ত ও আইনি বিধানসমূহ সঠিকভাবে প্রতিপালিত হচ্ছে কি না, সে বিষয়ে শক্তিশালী মনিটরিং ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে হবে। নির্ধারিত সময়ে তদন্ত ও বিচার শেষ করতে হবে। পুলিশ, আইনজীবীসহ মামলার বিচারসংশ্লিষ্ট সবাই দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করলে পরিস্থিতির পরিবর্তন হতে পারে।

back to top