তেল পরিশোধনের সক্ষমতার সঙ্গে একটি দেশের জ্বালানি নিরাপত্তার নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। বিশেষ করে আমদানিনির্ভর কোনো দেশের যদি তেল পরিশোধনের যথেষ্ট সামর্থ্য থাকে তাহলে তারা নানানভাবে এর সুফল পেতে পারে। প্রথমত তুলনামূলক কম দামে ক্রুড অয়েল (অপরিশোধিত তেল) আমদানি করা যায়। পাশাপাশি তেল পরিশোধনের সময় সৃষ্ট নানান উপজাতকেও কাজে লাগানো যায়। এমনকি সেসব উপজাত বা পরিশোধিত তেল রপ্তানিও করা যায়।
দেশে তেল পরিশোধন করে একমাত্র সরকারি জ্বালানি তেল পরিশোধনাগার ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড (ইআরএল)। জ্বালানির অভ্যন্তরীণ বার্ষিক চাহিদা ৬০ থেকে ৬৫ লাখ মেট্রিক টন। এই চাহিদা ঊর্ধ্বমুখী। ইআরএলের পরিশোধন ক্ষমতা বছরে ১৫ লাখ টন। কাজেই প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ পরিশোধিত তেল আমদানি করতে হচ্ছে। এতে ব্যয় বাড়ছে।
একমাত্র তেল পরিশোধনাগারটি তৈরি করা হয়েছিল ১৯৬৮ সালে। স্বাধীন বাংলাদেশে আর কোনো পরিশোধনাগার তৈরি করা হয়নি। অবশ্য বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) এক যুগ আগে আরেকটি নতুন প্রসেস প্লান্ট স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছিল। কিন্তু নানান কারণে সেটি আলোর মুখ দেখেনি। যার খেসারত দিতে হচ্ছে দেশের মানুষকে। বিশেষ করে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার পর তেল পরিশোধনাগারের প্রয়োজন তীব্রভাবে অনুভূত হয়েছে। সক্ষমতার সীমাবদ্ধতা না থাকলে কম দরে বেশি পরিমাণ ক্রুড অয়েল কেনা যেত। এতে করে জ্বালানির চাহিদা মেটানো যেমন সহজ হতো, তেমনি এর দামও হয়তো এক লাফে এতটা বাড়াতে হতো না; যার ফলে জনজীবনে ভোগান্তি নেমে আসে আর সরকারও বিপাকে পড়ে।
এক যুগ আগে নেওয়া একটি প্রকল্প কেন বাস্তবায়ন করা যায়নি সেটা একটা প্রশ্ন। প্রকল্প বাস্তবায়ন না হওয়ার পেছনে সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিরা নানান কারণ দেখিয়েছেন। আমরা বলতে চাই, প্রকল্প বাস্তবায়নের পথে অনেক সমস্যা-সংকটই দেখা দেয়। সেসব মোকাবিলা করেই সামনে এগিয়ে যেতে হয়। পাহাড়সম সংকট মোকাবিলা করে পদ্মা সেতুর মতো প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। সেখানে কেবল অর্থায়নের সমস্যাই ছিল না, নদী শাসনের মতো চ্যালেঞ্জিং কাজও করতে হয়েছে। তেল পরিশোধনাগার তৈরির কাজ কি পদ্মা সেতু তৈরির চেয়ে বেশি কঠিন- এটা একটা প্রশ্ন।
প্রকল্প সময়মতো বাস্তবায়ন না হলে খরচ বেড়ে যায়। সমস্যা শুধু এই একটিই নয়। এর ক্ষতিকর আরো দিক রয়েছে। দেশে যদি আরও একটি তেল পরিশোধনাগার থাকতো তাহলে বর্তমান সংকটময় পরিস্থিতিতে কী পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হতো সেই প্রশ্ন তোলা যেতে পারে।
আমরা বলতে চাই, তেল পরিশোধনের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। অনতিবিলম্বে আরেকটি পরিশোধনাগার তৈরি করতে হবে। দেশের জ্বালানি নিরাপত্তার স্বার্থে কাজটি করা জরুরি।
বৃহস্পতিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২
তেল পরিশোধনের সক্ষমতার সঙ্গে একটি দেশের জ্বালানি নিরাপত্তার নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। বিশেষ করে আমদানিনির্ভর কোনো দেশের যদি তেল পরিশোধনের যথেষ্ট সামর্থ্য থাকে তাহলে তারা নানানভাবে এর সুফল পেতে পারে। প্রথমত তুলনামূলক কম দামে ক্রুড অয়েল (অপরিশোধিত তেল) আমদানি করা যায়। পাশাপাশি তেল পরিশোধনের সময় সৃষ্ট নানান উপজাতকেও কাজে লাগানো যায়। এমনকি সেসব উপজাত বা পরিশোধিত তেল রপ্তানিও করা যায়।
দেশে তেল পরিশোধন করে একমাত্র সরকারি জ্বালানি তেল পরিশোধনাগার ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড (ইআরএল)। জ্বালানির অভ্যন্তরীণ বার্ষিক চাহিদা ৬০ থেকে ৬৫ লাখ মেট্রিক টন। এই চাহিদা ঊর্ধ্বমুখী। ইআরএলের পরিশোধন ক্ষমতা বছরে ১৫ লাখ টন। কাজেই প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ পরিশোধিত তেল আমদানি করতে হচ্ছে। এতে ব্যয় বাড়ছে।
একমাত্র তেল পরিশোধনাগারটি তৈরি করা হয়েছিল ১৯৬৮ সালে। স্বাধীন বাংলাদেশে আর কোনো পরিশোধনাগার তৈরি করা হয়নি। অবশ্য বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) এক যুগ আগে আরেকটি নতুন প্রসেস প্লান্ট স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছিল। কিন্তু নানান কারণে সেটি আলোর মুখ দেখেনি। যার খেসারত দিতে হচ্ছে দেশের মানুষকে। বিশেষ করে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার পর তেল পরিশোধনাগারের প্রয়োজন তীব্রভাবে অনুভূত হয়েছে। সক্ষমতার সীমাবদ্ধতা না থাকলে কম দরে বেশি পরিমাণ ক্রুড অয়েল কেনা যেত। এতে করে জ্বালানির চাহিদা মেটানো যেমন সহজ হতো, তেমনি এর দামও হয়তো এক লাফে এতটা বাড়াতে হতো না; যার ফলে জনজীবনে ভোগান্তি নেমে আসে আর সরকারও বিপাকে পড়ে।
এক যুগ আগে নেওয়া একটি প্রকল্প কেন বাস্তবায়ন করা যায়নি সেটা একটা প্রশ্ন। প্রকল্প বাস্তবায়ন না হওয়ার পেছনে সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিরা নানান কারণ দেখিয়েছেন। আমরা বলতে চাই, প্রকল্প বাস্তবায়নের পথে অনেক সমস্যা-সংকটই দেখা দেয়। সেসব মোকাবিলা করেই সামনে এগিয়ে যেতে হয়। পাহাড়সম সংকট মোকাবিলা করে পদ্মা সেতুর মতো প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। সেখানে কেবল অর্থায়নের সমস্যাই ছিল না, নদী শাসনের মতো চ্যালেঞ্জিং কাজও করতে হয়েছে। তেল পরিশোধনাগার তৈরির কাজ কি পদ্মা সেতু তৈরির চেয়ে বেশি কঠিন- এটা একটা প্রশ্ন।
প্রকল্প সময়মতো বাস্তবায়ন না হলে খরচ বেড়ে যায়। সমস্যা শুধু এই একটিই নয়। এর ক্ষতিকর আরো দিক রয়েছে। দেশে যদি আরও একটি তেল পরিশোধনাগার থাকতো তাহলে বর্তমান সংকটময় পরিস্থিতিতে কী পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হতো সেই প্রশ্ন তোলা যেতে পারে।
আমরা বলতে চাই, তেল পরিশোধনের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। অনতিবিলম্বে আরেকটি পরিশোধনাগার তৈরি করতে হবে। দেশের জ্বালানি নিরাপত্তার স্বার্থে কাজটি করা জরুরি।