যশোরের শার্শা উপজেলায় গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষে প্রণোদনা কার্যক্রমে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে একটি তদন্ত কমিটিও গঠিত হয়েছে। এ নিয়ে গত সোমবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
জানা গেছে, শার্শা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষে দুটি পর্যায়ে ২৬০ জন কৃষককে প্রণোদনা দেয়ার কথা। তাদের প্রত্যেককে চাষের বিভিন্ন উপকরণসহ পাঁচ হাজার টাকারও বেশি নগদ টাকা দেয়ার কথা ছিল। প্রথম পর্যায়ে ১১০ জন ও দ্বিতীয় পর্যায়ে ১১৫ জনকে প্রণোদনা দেয়া হয়।
কিন্তু খাতা-কলমে ২৬০ জনকেই দেখানো হয়েছে। শুধু তাই নয় কৃষকদের অর্থ প্রদান না করে প্রকল্প শেষ করে বিল-ভাউচার জমা দিয়ে টাকা উত্তোলনের প্রক্রিয়া চলছে। এ ছাড়া কৃষকদের কাছে উচ্চমূল্যে বিক্রির এমওপি সার বিক্রি করারও অভিযোগ পাওয়া গেছে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। কিন্তু ১৫ দিনের বেশি সময় চলে গেলেও তদন্ত সম্পন্ন হয়নি। অভিযোগ রয়েছে, তদন্ত না করেই স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
আমরা বলতে চাই, অভিযোগের তদন্ত সুষ্ঠু ও দ্রুত সম্পন্ন করা জরুরি। এ ক্ষেত্রে কোন অজুহাত দেয়া চলে না। অতীতে বিভিন্ন সময় দেখা গেছে, কোন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে ঠিকই, কিন্তু তদন্ত শেষ হয়নি। আবার তদন্ত শেষ হলেও নানা কারণে সেই প্রতিবেদন আলোর মুখ দেখেনি। কখনো কোন প্রতিবেদন আলোর মুখ দেখলেও তা জনসম্মখে প্রকাশ করা হয় না কিংবা প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয় না। প্রতিবেদনে কোন সুপারিশ থাকলে তাও বাস্তবায়ন করা হয় না।
উল্লিখিত অভিযোগের তদন্তে যেন বিলম্ব না হয়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। আমরা আশা করতে চাই, তদন্ত দ্রুত সম্পন্ন হবে, এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন আলোর মুখ দেখবে। সুষ্ঠু তদন্তের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নিতে হবে। তার আগেই আপোসরফা করা হলে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিতে পারে।
বুধবার, ০৯ নভেম্বর ২০২২
যশোরের শার্শা উপজেলায় গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষে প্রণোদনা কার্যক্রমে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে একটি তদন্ত কমিটিও গঠিত হয়েছে। এ নিয়ে গত সোমবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
জানা গেছে, শার্শা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষে দুটি পর্যায়ে ২৬০ জন কৃষককে প্রণোদনা দেয়ার কথা। তাদের প্রত্যেককে চাষের বিভিন্ন উপকরণসহ পাঁচ হাজার টাকারও বেশি নগদ টাকা দেয়ার কথা ছিল। প্রথম পর্যায়ে ১১০ জন ও দ্বিতীয় পর্যায়ে ১১৫ জনকে প্রণোদনা দেয়া হয়।
কিন্তু খাতা-কলমে ২৬০ জনকেই দেখানো হয়েছে। শুধু তাই নয় কৃষকদের অর্থ প্রদান না করে প্রকল্প শেষ করে বিল-ভাউচার জমা দিয়ে টাকা উত্তোলনের প্রক্রিয়া চলছে। এ ছাড়া কৃষকদের কাছে উচ্চমূল্যে বিক্রির এমওপি সার বিক্রি করারও অভিযোগ পাওয়া গেছে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। কিন্তু ১৫ দিনের বেশি সময় চলে গেলেও তদন্ত সম্পন্ন হয়নি। অভিযোগ রয়েছে, তদন্ত না করেই স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
আমরা বলতে চাই, অভিযোগের তদন্ত সুষ্ঠু ও দ্রুত সম্পন্ন করা জরুরি। এ ক্ষেত্রে কোন অজুহাত দেয়া চলে না। অতীতে বিভিন্ন সময় দেখা গেছে, কোন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে ঠিকই, কিন্তু তদন্ত শেষ হয়নি। আবার তদন্ত শেষ হলেও নানা কারণে সেই প্রতিবেদন আলোর মুখ দেখেনি। কখনো কোন প্রতিবেদন আলোর মুখ দেখলেও তা জনসম্মখে প্রকাশ করা হয় না কিংবা প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয় না। প্রতিবেদনে কোন সুপারিশ থাকলে তাও বাস্তবায়ন করা হয় না।
উল্লিখিত অভিযোগের তদন্তে যেন বিলম্ব না হয়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। আমরা আশা করতে চাই, তদন্ত দ্রুত সম্পন্ন হবে, এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন আলোর মুখ দেখবে। সুষ্ঠু তদন্তের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নিতে হবে। তার আগেই আপোসরফা করা হলে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিতে পারে।