alt

সম্পাদকীয়

পেঁয়াজ চাষে প্রণোদনা কার্যক্রমে অনিয়মের অভিযোগ প্রসঙ্গে

: বুধবার, ০৯ নভেম্বর ২০২২

যশোরের শার্শা উপজেলায় গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষে প্রণোদনা কার্যক্রমে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে একটি তদন্ত কমিটিও গঠিত হয়েছে। এ নিয়ে গত সোমবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

জানা গেছে, শার্শা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষে দুটি পর্যায়ে ২৬০ জন কৃষককে প্রণোদনা দেয়ার কথা। তাদের প্রত্যেককে চাষের বিভিন্ন উপকরণসহ পাঁচ হাজার টাকারও বেশি নগদ টাকা দেয়ার কথা ছিল। প্রথম পর্যায়ে ১১০ জন ও দ্বিতীয় পর্যায়ে ১১৫ জনকে প্রণোদনা দেয়া হয়।

কিন্তু খাতা-কলমে ২৬০ জনকেই দেখানো হয়েছে। শুধু তাই নয় কৃষকদের অর্থ প্রদান না করে প্রকল্প শেষ করে বিল-ভাউচার জমা দিয়ে টাকা উত্তোলনের প্রক্রিয়া চলছে। এ ছাড়া কৃষকদের কাছে উচ্চমূল্যে বিক্রির এমওপি সার বিক্রি করারও অভিযোগ পাওয়া গেছে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। কিন্তু ১৫ দিনের বেশি সময় চলে গেলেও তদন্ত সম্পন্ন হয়নি। অভিযোগ রয়েছে, তদন্ত না করেই স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

আমরা বলতে চাই, অভিযোগের তদন্ত সুষ্ঠু ও দ্রুত সম্পন্ন করা জরুরি। এ ক্ষেত্রে কোন অজুহাত দেয়া চলে না। অতীতে বিভিন্ন সময় দেখা গেছে, কোন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে ঠিকই, কিন্তু তদন্ত শেষ হয়নি। আবার তদন্ত শেষ হলেও নানা কারণে সেই প্রতিবেদন আলোর মুখ দেখেনি। কখনো কোন প্রতিবেদন আলোর মুখ দেখলেও তা জনসম্মখে প্রকাশ করা হয় না কিংবা প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয় না। প্রতিবেদনে কোন সুপারিশ থাকলে তাও বাস্তবায়ন করা হয় না।

উল্লিখিত অভিযোগের তদন্তে যেন বিলম্ব না হয়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। আমরা আশা করতে চাই, তদন্ত দ্রুত সম্পন্ন হবে, এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন আলোর মুখ দেখবে। সুষ্ঠু তদন্তের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নিতে হবে। তার আগেই আপোসরফা করা হলে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিতে পারে।

টাঙ্গাইলে জলাশয় দখলের অভিযোগের সুরাহা করুন

অবৈধ বালু তোলা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য : ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ আমলে নিন

ভৈরব নদে সেতু নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

ডায়রিয়া প্রতিরোধে চাই জনসচেতনতা

ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন সড়কে চলছে কীভাবে

গোবিন্দগঞ্জে নিয়মনীতি উপেক্ষা করে গাছ কাটার অভিযোগ আমলে নিন

নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা জরুরি

অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম ব্যবহারে চাই সচেতনতা

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

ভোলাডুবা হাওরের বোরো খেতের পানি নিষ্কাশনে ব্যবস্থা নিন

কিশোর গ্যাংয়ের প্রশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে

আদমজী ইপিজেড সড়ক মেরামতে আর কত কালক্ষেপণ

নদ-নদীর নাব্য রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কার করুন

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

tab

সম্পাদকীয়

পেঁয়াজ চাষে প্রণোদনা কার্যক্রমে অনিয়মের অভিযোগ প্রসঙ্গে

বুধবার, ০৯ নভেম্বর ২০২২

যশোরের শার্শা উপজেলায় গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষে প্রণোদনা কার্যক্রমে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে একটি তদন্ত কমিটিও গঠিত হয়েছে। এ নিয়ে গত সোমবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

জানা গেছে, শার্শা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষে দুটি পর্যায়ে ২৬০ জন কৃষককে প্রণোদনা দেয়ার কথা। তাদের প্রত্যেককে চাষের বিভিন্ন উপকরণসহ পাঁচ হাজার টাকারও বেশি নগদ টাকা দেয়ার কথা ছিল। প্রথম পর্যায়ে ১১০ জন ও দ্বিতীয় পর্যায়ে ১১৫ জনকে প্রণোদনা দেয়া হয়।

কিন্তু খাতা-কলমে ২৬০ জনকেই দেখানো হয়েছে। শুধু তাই নয় কৃষকদের অর্থ প্রদান না করে প্রকল্প শেষ করে বিল-ভাউচার জমা দিয়ে টাকা উত্তোলনের প্রক্রিয়া চলছে। এ ছাড়া কৃষকদের কাছে উচ্চমূল্যে বিক্রির এমওপি সার বিক্রি করারও অভিযোগ পাওয়া গেছে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। কিন্তু ১৫ দিনের বেশি সময় চলে গেলেও তদন্ত সম্পন্ন হয়নি। অভিযোগ রয়েছে, তদন্ত না করেই স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

আমরা বলতে চাই, অভিযোগের তদন্ত সুষ্ঠু ও দ্রুত সম্পন্ন করা জরুরি। এ ক্ষেত্রে কোন অজুহাত দেয়া চলে না। অতীতে বিভিন্ন সময় দেখা গেছে, কোন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে ঠিকই, কিন্তু তদন্ত শেষ হয়নি। আবার তদন্ত শেষ হলেও নানা কারণে সেই প্রতিবেদন আলোর মুখ দেখেনি। কখনো কোন প্রতিবেদন আলোর মুখ দেখলেও তা জনসম্মখে প্রকাশ করা হয় না কিংবা প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয় না। প্রতিবেদনে কোন সুপারিশ থাকলে তাও বাস্তবায়ন করা হয় না।

উল্লিখিত অভিযোগের তদন্তে যেন বিলম্ব না হয়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। আমরা আশা করতে চাই, তদন্ত দ্রুত সম্পন্ন হবে, এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন আলোর মুখ দেখবে। সুষ্ঠু তদন্তের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নিতে হবে। তার আগেই আপোসরফা করা হলে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিতে পারে।

back to top