কিশোরগঞ্জে গত মাসে আত্মহত্যা করেছেন ৩৭ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ২৫ জন এবং নারী ১২ জন। জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা থেকে জানা গেছে এই তথ্য। এ নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
একটি জেলায় এক মাসে এত মানুষ কেন আত্মহত্যা করল সেটা জানা দরকার। বিশেষজ্ঞদের মতে, আত্মহত্যাকে একধরনের মনস্তাত্ত্বিক সমস্যা। সাধারণত কোনো মানসিক পীড়ার কারণে একজন মানুষ আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। বিভিন্ন পারিপার্শ্বিক চাপ থেকে ব্যক্তির মানসিক পীড়ার জন্ম হতে পারে। অর্থনৈতিক সমস্যা, ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক সম্পর্কের টানাপোড়েন অনেক সময় আত্মহত্যার কারণ হতে পারে।
আত্মহত্যা প্রতিরোধযোগ্য। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে পারে এমন মানুষের মধ্যে আগেই কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায়। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কাছের মানুষ যদি লক্ষণগুলো খেয়াল করেন এবং সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয় তাহলে অনেককেই আত্মহত্যার পথ থেকে ফেরানো সম্ভব। সেই সময় তাকে মনঃসামাজিক সহায়তা দেয়া, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে নেয়া জরুরি। কেউ মৃত্যুর কথা বললে বিষয়টিকে আমলে নিতে হবে। কারণ যারা মৃত্যুর কথা বলে তাদের আত্মহত্যার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। কারো মধ্যে মানসিক অস্থিরতা কিংবা কোনো ধরনের অস্বাভাবিকতা লক্ষ করলে তার সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করতে হবে। এক্ষেত্রে স্বজন ও বন্ধুদেরেই সবার আগে এগিয়ে আসতে হবে।
আত্মহত্যা প্রতিরোধ করতে হলে সমাজের সব অংশকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। শৈশবেই একজন মানুষকে এমনভাবে গড়ে তুলতে হবে, যাতে তারা সফলতার মতো ব্যর্থতাকে মেনে নিতে পারে। পারিবারিক বন্ধন দৃঢ় হওয়া অনেক জরুরি। পরিবারে সব সদস্যের সঙ্গে গুণগত সময় কাটাতে হবে।
আত্মহত্যা প্রতিরোধে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা জরুরি। বিশেষকরে তৃণমূল পর্যন্ত মানসিক স্বাস্থ্যসেবা সঠিকভাবে পৌঁছে দিতে হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, শহরের চেয়ে গ্রামেই আত্মহত্যার ঘটনা বেশি ঘটে। গ্রামীণ সমাজ কাঠামোর কারণে এর প্রকাশ হয় কম। কাজেই প্রান্তিক মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে আরও কাজ করতে হবে।
বুধবার, ১৬ নভেম্বর ২০২২
কিশোরগঞ্জে গত মাসে আত্মহত্যা করেছেন ৩৭ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ২৫ জন এবং নারী ১২ জন। জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা থেকে জানা গেছে এই তথ্য। এ নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
একটি জেলায় এক মাসে এত মানুষ কেন আত্মহত্যা করল সেটা জানা দরকার। বিশেষজ্ঞদের মতে, আত্মহত্যাকে একধরনের মনস্তাত্ত্বিক সমস্যা। সাধারণত কোনো মানসিক পীড়ার কারণে একজন মানুষ আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। বিভিন্ন পারিপার্শ্বিক চাপ থেকে ব্যক্তির মানসিক পীড়ার জন্ম হতে পারে। অর্থনৈতিক সমস্যা, ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক সম্পর্কের টানাপোড়েন অনেক সময় আত্মহত্যার কারণ হতে পারে।
আত্মহত্যা প্রতিরোধযোগ্য। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে পারে এমন মানুষের মধ্যে আগেই কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায়। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কাছের মানুষ যদি লক্ষণগুলো খেয়াল করেন এবং সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয় তাহলে অনেককেই আত্মহত্যার পথ থেকে ফেরানো সম্ভব। সেই সময় তাকে মনঃসামাজিক সহায়তা দেয়া, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে নেয়া জরুরি। কেউ মৃত্যুর কথা বললে বিষয়টিকে আমলে নিতে হবে। কারণ যারা মৃত্যুর কথা বলে তাদের আত্মহত্যার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। কারো মধ্যে মানসিক অস্থিরতা কিংবা কোনো ধরনের অস্বাভাবিকতা লক্ষ করলে তার সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করতে হবে। এক্ষেত্রে স্বজন ও বন্ধুদেরেই সবার আগে এগিয়ে আসতে হবে।
আত্মহত্যা প্রতিরোধ করতে হলে সমাজের সব অংশকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। শৈশবেই একজন মানুষকে এমনভাবে গড়ে তুলতে হবে, যাতে তারা সফলতার মতো ব্যর্থতাকে মেনে নিতে পারে। পারিবারিক বন্ধন দৃঢ় হওয়া অনেক জরুরি। পরিবারে সব সদস্যের সঙ্গে গুণগত সময় কাটাতে হবে।
আত্মহত্যা প্রতিরোধে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা জরুরি। বিশেষকরে তৃণমূল পর্যন্ত মানসিক স্বাস্থ্যসেবা সঠিকভাবে পৌঁছে দিতে হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, শহরের চেয়ে গ্রামেই আত্মহত্যার ঘটনা বেশি ঘটে। গ্রামীণ সমাজ কাঠামোর কারণে এর প্রকাশ হয় কম। কাজেই প্রান্তিক মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে আরও কাজ করতে হবে।