alt

সম্পাদকীয়

আত্মহত্যা প্রতিরোধে সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালাতে হবে

: বুধবার, ১৬ নভেম্বর ২০২২

কিশোরগঞ্জে গত মাসে আত্মহত্যা করেছেন ৩৭ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ২৫ জন এবং নারী ১২ জন। জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা থেকে জানা গেছে এই তথ্য। এ নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

একটি জেলায় এক মাসে এত মানুষ কেন আত্মহত্যা করল সেটা জানা দরকার। বিশেষজ্ঞদের মতে, আত্মহত্যাকে একধরনের মনস্তাত্ত্বিক সমস্যা। সাধারণত কোনো মানসিক পীড়ার কারণে একজন মানুষ আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। বিভিন্ন পারিপার্শ্বিক চাপ থেকে ব্যক্তির মানসিক পীড়ার জন্ম হতে পারে। অর্থনৈতিক সমস্যা, ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক সম্পর্কের টানাপোড়েন অনেক সময় আত্মহত্যার কারণ হতে পারে।

আত্মহত্যা প্রতিরোধযোগ্য। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে পারে এমন মানুষের মধ্যে আগেই কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায়। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কাছের মানুষ যদি লক্ষণগুলো খেয়াল করেন এবং সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয় তাহলে অনেককেই আত্মহত্যার পথ থেকে ফেরানো সম্ভব। সেই সময় তাকে মনঃসামাজিক সহায়তা দেয়া, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে নেয়া জরুরি। কেউ মৃত্যুর কথা বললে বিষয়টিকে আমলে নিতে হবে। কারণ যারা মৃত্যুর কথা বলে তাদের আত্মহত্যার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। কারো মধ্যে মানসিক অস্থিরতা কিংবা কোনো ধরনের অস্বাভাবিকতা লক্ষ করলে তার সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করতে হবে। এক্ষেত্রে স্বজন ও বন্ধুদেরেই সবার আগে এগিয়ে আসতে হবে।

আত্মহত্যা প্রতিরোধ করতে হলে সমাজের সব অংশকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। শৈশবেই একজন মানুষকে এমনভাবে গড়ে তুলতে হবে, যাতে তারা সফলতার মতো ব্যর্থতাকে মেনে নিতে পারে। পারিবারিক বন্ধন দৃঢ় হওয়া অনেক জরুরি। পরিবারে সব সদস্যের সঙ্গে গুণগত সময় কাটাতে হবে।

আত্মহত্যা প্রতিরোধে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা জরুরি। বিশেষকরে তৃণমূল পর্যন্ত মানসিক স্বাস্থ্যসেবা সঠিকভাবে পৌঁছে দিতে হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, শহরের চেয়ে গ্রামেই আত্মহত্যার ঘটনা বেশি ঘটে। গ্রামীণ সমাজ কাঠামোর কারণে এর প্রকাশ হয় কম। কাজেই প্রান্তিক মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে আরও কাজ করতে হবে।

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কার করুন

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

স্লুইসগেটের ফাটল মেরামতে উদ্যোগ নিন

পরিবেশ দূষণ বন্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

রংপুর শিশু হাসপাতাল চালু হতে কালক্ষেপণ কেন

দেশে এত খাবার অপচয়ের কারণ কী

রায়গঞ্জে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ দূর করুন

প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরে থাকা জনগোষ্ঠী নিয়ে ভাবতে হবে

জলাশয় দূষণের জন্য দায়ী কারখানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তোলা বন্ধ করুন

বহরবুনিয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভবন নির্মাণে আর কত বিলম্ব

মশার উপদ্রব থেকে নগরবাসীকে মুক্তি দিন

সিলেট ‘ইইডি’ কার্যালয়ের অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ

পাহাড় কাটা বন্ধ করুন

স্বাধীনতার ৫৪ বছর : মানুষের আশা-আকাক্সক্ষা কতটা পূরণ হলো

চিকিৎসক সংকট দূর করুন

tab

সম্পাদকীয়

আত্মহত্যা প্রতিরোধে সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালাতে হবে

বুধবার, ১৬ নভেম্বর ২০২২

কিশোরগঞ্জে গত মাসে আত্মহত্যা করেছেন ৩৭ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ২৫ জন এবং নারী ১২ জন। জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা থেকে জানা গেছে এই তথ্য। এ নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

একটি জেলায় এক মাসে এত মানুষ কেন আত্মহত্যা করল সেটা জানা দরকার। বিশেষজ্ঞদের মতে, আত্মহত্যাকে একধরনের মনস্তাত্ত্বিক সমস্যা। সাধারণত কোনো মানসিক পীড়ার কারণে একজন মানুষ আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। বিভিন্ন পারিপার্শ্বিক চাপ থেকে ব্যক্তির মানসিক পীড়ার জন্ম হতে পারে। অর্থনৈতিক সমস্যা, ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক সম্পর্কের টানাপোড়েন অনেক সময় আত্মহত্যার কারণ হতে পারে।

আত্মহত্যা প্রতিরোধযোগ্য। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে পারে এমন মানুষের মধ্যে আগেই কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায়। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কাছের মানুষ যদি লক্ষণগুলো খেয়াল করেন এবং সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয় তাহলে অনেককেই আত্মহত্যার পথ থেকে ফেরানো সম্ভব। সেই সময় তাকে মনঃসামাজিক সহায়তা দেয়া, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে নেয়া জরুরি। কেউ মৃত্যুর কথা বললে বিষয়টিকে আমলে নিতে হবে। কারণ যারা মৃত্যুর কথা বলে তাদের আত্মহত্যার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। কারো মধ্যে মানসিক অস্থিরতা কিংবা কোনো ধরনের অস্বাভাবিকতা লক্ষ করলে তার সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করতে হবে। এক্ষেত্রে স্বজন ও বন্ধুদেরেই সবার আগে এগিয়ে আসতে হবে।

আত্মহত্যা প্রতিরোধ করতে হলে সমাজের সব অংশকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। শৈশবেই একজন মানুষকে এমনভাবে গড়ে তুলতে হবে, যাতে তারা সফলতার মতো ব্যর্থতাকে মেনে নিতে পারে। পারিবারিক বন্ধন দৃঢ় হওয়া অনেক জরুরি। পরিবারে সব সদস্যের সঙ্গে গুণগত সময় কাটাতে হবে।

আত্মহত্যা প্রতিরোধে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা জরুরি। বিশেষকরে তৃণমূল পর্যন্ত মানসিক স্বাস্থ্যসেবা সঠিকভাবে পৌঁছে দিতে হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, শহরের চেয়ে গ্রামেই আত্মহত্যার ঘটনা বেশি ঘটে। গ্রামীণ সমাজ কাঠামোর কারণে এর প্রকাশ হয় কম। কাজেই প্রান্তিক মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে আরও কাজ করতে হবে।

back to top