নারীর প্রতি সহিংসতার ঘটনা ঘটেই চলেছে। নিজ ঘরে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে, কর্মক্ষেত্রে, গণপরিবহনে নানান জায়গায় সহিংসতার শিকার হচ্ছেন তারা। গণমাধ্যমে প্রায় প্রতিদিনই নারী নির্যাতনের কোনো না কোনো প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
‘বাংলাদেশে নারী ও কন্যা নির্যাতন চিত্র-২০২১ : ধর্ষণ, গণধর্ষণ, ধর্ষণের চেষ্টা, যৌন হয়রানি ও যৌতুক’ শীর্ষক সমীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে নারীরা ঘরেই বেশি নির্যাতিত হচ্ছেন। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের লিগ্যাল এইড উপপরিষদ এই প্রতিবদেন তৈরি করেছে। এতে ১৪টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় ২০২১ সালে প্রকাশিত নারী ও শিশুর পাঁচ ধরনের নির্যাতনের খবর বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
দেশে নারী ও শিশু নির্যাতনের হার বরাবরই উদ্বেগজন। তবে গণমাধ্যমে এসব নির্যাতনের কম ঘটনাই প্রকাশ পায়। অনেক নির্যাতনের ঘটনাই ভুক্তভোগী প্রকাশ করে না, বা প্রকাশ করলেও সামাজিক অবস্থানের কারণে পরিবার তা আড়াল করে।
নির্যাতনের ঘটনায় প্রতিকার না চাওয়ার পেছনে কারণ রয়েছে। থানায় অভিযোগ দায়ের থেকে শুরু করে মামলা, তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়া পর্যন্ত ভুক্তভোগীকেই নানা হয়রানির শিকার হতে হয়। এজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে অনেকে অভিযোগই করে না। কেউ কেউ মামলা করলেও তাকে পোহাতে হয় আরেক দুর্ভোগ। নির্যাতনের ঘটনার পর আইনি পদক্ষেপ নেয়া হলেও অনেকেই জামিনে মুক্ত হয়ে ভুক্তভোগীর পরিবারকে ভয়ভীতি দেখায়। এক্ষেত্রে চূড়ান্ত বিচার শেষে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির নজির কম। একজন ভুক্তভোগীকে ন্যায়বিচার দিতে হলে তার জন্য কিছু সুরক্ষামূলক ব্যবস্থাও নিতে হয়। সরকার সেক্ষেত্রে কতটুকু ব্যবস্থা নিতে পারছে, সেটা একটা প্রশ্ন।
দেশে অনেক ভালো ভালো আইন আছে। তবে যথাযথভাবে এগুলোর প্রয়োগ না হওয়ায় নির্যাতনের ঘটনা কমছে না বলে অভিযোগ রয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ অনুযায়ী, বিচারের জন্য ধর্ষণ মামলা প্রাপ্তির তারিখ থেকে ১৮০ দিনের মধ্যে ট্রাইব্যুনালকে কাজ শেষ করার কথা বলা হয়েছে। আইনে বাধ্যবাধকতা থাকলেও বাস্তবে তা কার্যকর হচ্ছে না।
নারী ও শিশু নির্যাতন বন্ধ করতে হলে এ সংক্রান্ত মামলাগুলোর দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হবে। অপরাধীর বিচার করে সাজা নিশ্চিত করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে।
শুক্রবার, ১৮ নভেম্বর ২০২২
নারীর প্রতি সহিংসতার ঘটনা ঘটেই চলেছে। নিজ ঘরে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে, কর্মক্ষেত্রে, গণপরিবহনে নানান জায়গায় সহিংসতার শিকার হচ্ছেন তারা। গণমাধ্যমে প্রায় প্রতিদিনই নারী নির্যাতনের কোনো না কোনো প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
‘বাংলাদেশে নারী ও কন্যা নির্যাতন চিত্র-২০২১ : ধর্ষণ, গণধর্ষণ, ধর্ষণের চেষ্টা, যৌন হয়রানি ও যৌতুক’ শীর্ষক সমীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে নারীরা ঘরেই বেশি নির্যাতিত হচ্ছেন। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের লিগ্যাল এইড উপপরিষদ এই প্রতিবদেন তৈরি করেছে। এতে ১৪টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় ২০২১ সালে প্রকাশিত নারী ও শিশুর পাঁচ ধরনের নির্যাতনের খবর বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
দেশে নারী ও শিশু নির্যাতনের হার বরাবরই উদ্বেগজন। তবে গণমাধ্যমে এসব নির্যাতনের কম ঘটনাই প্রকাশ পায়। অনেক নির্যাতনের ঘটনাই ভুক্তভোগী প্রকাশ করে না, বা প্রকাশ করলেও সামাজিক অবস্থানের কারণে পরিবার তা আড়াল করে।
নির্যাতনের ঘটনায় প্রতিকার না চাওয়ার পেছনে কারণ রয়েছে। থানায় অভিযোগ দায়ের থেকে শুরু করে মামলা, তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়া পর্যন্ত ভুক্তভোগীকেই নানা হয়রানির শিকার হতে হয়। এজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে অনেকে অভিযোগই করে না। কেউ কেউ মামলা করলেও তাকে পোহাতে হয় আরেক দুর্ভোগ। নির্যাতনের ঘটনার পর আইনি পদক্ষেপ নেয়া হলেও অনেকেই জামিনে মুক্ত হয়ে ভুক্তভোগীর পরিবারকে ভয়ভীতি দেখায়। এক্ষেত্রে চূড়ান্ত বিচার শেষে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির নজির কম। একজন ভুক্তভোগীকে ন্যায়বিচার দিতে হলে তার জন্য কিছু সুরক্ষামূলক ব্যবস্থাও নিতে হয়। সরকার সেক্ষেত্রে কতটুকু ব্যবস্থা নিতে পারছে, সেটা একটা প্রশ্ন।
দেশে অনেক ভালো ভালো আইন আছে। তবে যথাযথভাবে এগুলোর প্রয়োগ না হওয়ায় নির্যাতনের ঘটনা কমছে না বলে অভিযোগ রয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ অনুযায়ী, বিচারের জন্য ধর্ষণ মামলা প্রাপ্তির তারিখ থেকে ১৮০ দিনের মধ্যে ট্রাইব্যুনালকে কাজ শেষ করার কথা বলা হয়েছে। আইনে বাধ্যবাধকতা থাকলেও বাস্তবে তা কার্যকর হচ্ছে না।
নারী ও শিশু নির্যাতন বন্ধ করতে হলে এ সংক্রান্ত মামলাগুলোর দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হবে। অপরাধীর বিচার করে সাজা নিশ্চিত করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে।