alt

সম্পাদকীয়

নারী নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

: শুক্রবার, ১৮ নভেম্বর ২০২২

নারীর প্রতি সহিংসতার ঘটনা ঘটেই চলেছে। নিজ ঘরে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে, কর্মক্ষেত্রে, গণপরিবহনে নানান জায়গায় সহিংসতার শিকার হচ্ছেন তারা। গণমাধ্যমে প্রায় প্রতিদিনই নারী নির্যাতনের কোনো না কোনো প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

‘বাংলাদেশে নারী ও কন্যা নির্যাতন চিত্র-২০২১ : ধর্ষণ, গণধর্ষণ, ধর্ষণের চেষ্টা, যৌন হয়রানি ও যৌতুক’ শীর্ষক সমীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে নারীরা ঘরেই বেশি নির্যাতিত হচ্ছেন। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের লিগ্যাল এইড উপপরিষদ এই প্রতিবদেন তৈরি করেছে। এতে ১৪টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় ২০২১ সালে প্রকাশিত নারী ও শিশুর পাঁচ ধরনের নির্যাতনের খবর বিশ্লেষণ করা হয়েছে।

দেশে নারী ও শিশু নির্যাতনের হার বরাবরই উদ্বেগজন। তবে গণমাধ্যমে এসব নির্যাতনের কম ঘটনাই প্রকাশ পায়। অনেক নির্যাতনের ঘটনাই ভুক্তভোগী প্রকাশ করে না, বা প্রকাশ করলেও সামাজিক অবস্থানের কারণে পরিবার তা আড়াল করে।

নির্যাতনের ঘটনায় প্রতিকার না চাওয়ার পেছনে কারণ রয়েছে। থানায় অভিযোগ দায়ের থেকে শুরু করে মামলা, তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়া পর্যন্ত ভুক্তভোগীকেই নানা হয়রানির শিকার হতে হয়। এজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে অনেকে অভিযোগই করে না। কেউ কেউ মামলা করলেও তাকে পোহাতে হয় আরেক দুর্ভোগ। নির্যাতনের ঘটনার পর আইনি পদক্ষেপ নেয়া হলেও অনেকেই জামিনে মুক্ত হয়ে ভুক্তভোগীর পরিবারকে ভয়ভীতি দেখায়। এক্ষেত্রে চূড়ান্ত বিচার শেষে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির নজির কম। একজন ভুক্তভোগীকে ন্যায়বিচার দিতে হলে তার জন্য কিছু সুরক্ষামূলক ব্যবস্থাও নিতে হয়। সরকার সেক্ষেত্রে কতটুকু ব্যবস্থা নিতে পারছে, সেটা একটা প্রশ্ন।

দেশে অনেক ভালো ভালো আইন আছে। তবে যথাযথভাবে এগুলোর প্রয়োগ না হওয়ায় নির্যাতনের ঘটনা কমছে না বলে অভিযোগ রয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ অনুযায়ী, বিচারের জন্য ধর্ষণ মামলা প্রাপ্তির তারিখ থেকে ১৮০ দিনের মধ্যে ট্রাইব্যুনালকে কাজ শেষ করার কথা বলা হয়েছে। আইনে বাধ্যবাধকতা থাকলেও বাস্তবে তা কার্যকর হচ্ছে না।

নারী ও শিশু নির্যাতন বন্ধ করতে হলে এ সংক্রান্ত মামলাগুলোর দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হবে। অপরাধীর বিচার করে সাজা নিশ্চিত করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে।

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কার করুন

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

স্লুইসগেটের ফাটল মেরামতে উদ্যোগ নিন

পরিবেশ দূষণ বন্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

রংপুর শিশু হাসপাতাল চালু হতে কালক্ষেপণ কেন

দেশে এত খাবার অপচয়ের কারণ কী

রায়গঞ্জে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ দূর করুন

প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরে থাকা জনগোষ্ঠী নিয়ে ভাবতে হবে

জলাশয় দূষণের জন্য দায়ী কারখানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তোলা বন্ধ করুন

বহরবুনিয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভবন নির্মাণে আর কত বিলম্ব

মশার উপদ্রব থেকে নগরবাসীকে মুক্তি দিন

সিলেট ‘ইইডি’ কার্যালয়ের অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ

পাহাড় কাটা বন্ধ করুন

স্বাধীনতার ৫৪ বছর : মানুষের আশা-আকাক্সক্ষা কতটা পূরণ হলো

চিকিৎসক সংকট দূর করুন

tab

সম্পাদকীয়

নারী নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

শুক্রবার, ১৮ নভেম্বর ২০২২

নারীর প্রতি সহিংসতার ঘটনা ঘটেই চলেছে। নিজ ঘরে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে, কর্মক্ষেত্রে, গণপরিবহনে নানান জায়গায় সহিংসতার শিকার হচ্ছেন তারা। গণমাধ্যমে প্রায় প্রতিদিনই নারী নির্যাতনের কোনো না কোনো প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

‘বাংলাদেশে নারী ও কন্যা নির্যাতন চিত্র-২০২১ : ধর্ষণ, গণধর্ষণ, ধর্ষণের চেষ্টা, যৌন হয়রানি ও যৌতুক’ শীর্ষক সমীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে নারীরা ঘরেই বেশি নির্যাতিত হচ্ছেন। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের লিগ্যাল এইড উপপরিষদ এই প্রতিবদেন তৈরি করেছে। এতে ১৪টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় ২০২১ সালে প্রকাশিত নারী ও শিশুর পাঁচ ধরনের নির্যাতনের খবর বিশ্লেষণ করা হয়েছে।

দেশে নারী ও শিশু নির্যাতনের হার বরাবরই উদ্বেগজন। তবে গণমাধ্যমে এসব নির্যাতনের কম ঘটনাই প্রকাশ পায়। অনেক নির্যাতনের ঘটনাই ভুক্তভোগী প্রকাশ করে না, বা প্রকাশ করলেও সামাজিক অবস্থানের কারণে পরিবার তা আড়াল করে।

নির্যাতনের ঘটনায় প্রতিকার না চাওয়ার পেছনে কারণ রয়েছে। থানায় অভিযোগ দায়ের থেকে শুরু করে মামলা, তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়া পর্যন্ত ভুক্তভোগীকেই নানা হয়রানির শিকার হতে হয়। এজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে অনেকে অভিযোগই করে না। কেউ কেউ মামলা করলেও তাকে পোহাতে হয় আরেক দুর্ভোগ। নির্যাতনের ঘটনার পর আইনি পদক্ষেপ নেয়া হলেও অনেকেই জামিনে মুক্ত হয়ে ভুক্তভোগীর পরিবারকে ভয়ভীতি দেখায়। এক্ষেত্রে চূড়ান্ত বিচার শেষে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির নজির কম। একজন ভুক্তভোগীকে ন্যায়বিচার দিতে হলে তার জন্য কিছু সুরক্ষামূলক ব্যবস্থাও নিতে হয়। সরকার সেক্ষেত্রে কতটুকু ব্যবস্থা নিতে পারছে, সেটা একটা প্রশ্ন।

দেশে অনেক ভালো ভালো আইন আছে। তবে যথাযথভাবে এগুলোর প্রয়োগ না হওয়ায় নির্যাতনের ঘটনা কমছে না বলে অভিযোগ রয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ অনুযায়ী, বিচারের জন্য ধর্ষণ মামলা প্রাপ্তির তারিখ থেকে ১৮০ দিনের মধ্যে ট্রাইব্যুনালকে কাজ শেষ করার কথা বলা হয়েছে। আইনে বাধ্যবাধকতা থাকলেও বাস্তবে তা কার্যকর হচ্ছে না।

নারী ও শিশু নির্যাতন বন্ধ করতে হলে এ সংক্রান্ত মামলাগুলোর দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হবে। অপরাধীর বিচার করে সাজা নিশ্চিত করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে।

back to top