কোন শিল্প গড়ে তোলার সঙ্গে সঙ্গে এর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করা হলে পরিবেশের ক্ষতি এড়ানো সম্ভব হয়। বর্জ্যরে ধরন অনুযায়ী এর ব্যবস্থাপনাতেও রয়েছে ভিন্নতা। কিন্তু দেশে যারা শিল্প বা কলকারখানা গড়ে তোলেন তাদের সিংহভাগেরই বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আগ্রহ নেই। শিল্পবর্জ্য নদ-নদী, খালবিলে, উন্মুক্ত স্থানে ফেলা হয়। শিল্পবর্জ্য দেশের পরিবেশের জন্য অব্যাহত হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
উপযুক্ত ব্যবস্থাপনা ছাড়া দেশে শিল্প কলকারখানা গড়ে ওঠে কীভাবে আর তা বছরের পর বছর নির্বিঘ্নে চলে কীভাবে সেই প্রশ্ন করা যেতে পারে। কেবল বেসরকারি শিল্পই যে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ছাড়া গড়ে উঠছে তা নয়। দেশের অনেক সরকারি শিল্প কলকারখানায়ও যথাযথ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নেই বা আদৌ কোন ব্যবস্থা নেই।
প্রসঙ্গক্রমে বিসিক শিল্প নগরীর কথা বলা যায়। দেশের বিভিন্ন স্থানে গড়ে ওঠা অনেক বিসিক শিল্প নগরীতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করা হয় না বলে গণমাধ্যমে প্রায়ই খবর প্রকাশিত হয়। কয়েক দশক আগে গড়ে উঠেছে এমন শিল্প নগরীতেও এখনও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার লেশমাত্র নেই।
রংপুরে বিসিক শিল্প নগরী গড়ে উঠেছে ১৯৬৭ সালে। সেখানে ২৩টি কারখানা চালু আছে। শিল্প নগরীতে এখন পর্যন্ত কোন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্লান্ট স্থাপন করা হয়নি। এ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে, সেখানকার কারখানাগুলোর বর্জ্য যাচ্ছে কোথায়। অভিযোগ রয়েছে, শিল্প নগরী সংলগ্ন জলাশয়ে বর্জ্য ফেলা হয়। এতে করে পরিবেশ ধ্বংস হচ্ছে।
দেশের অন্যান্য স্থানে গড়ে ওঠা বিসিকের শিল্প নগরীর বিরুদ্ধেও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা না থাকার অভিযোগ পাওয়া যায়। কিন্তু এর বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয় সেটা আমরা জানতে চাই। বিসিক কি বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দায়-দায়িত্বের ঊর্ধ্বে। তারা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্লান্ট স্থাপন করে না কেন, আর যেখানে সেখানে বর্জ্য ফেলার জন্য তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয় তা জানা জরুরি।
আমরা বলতে চাই, রংপুরসহ বিসিকের সব শিল্প নগরীতে অবিলম্বে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্লান্ট স্থাপন করতে হবে। উন্মুক্ত স্থানে বর্জ্য ফেলা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। প্লান্ট না থাকায় পরিবেশের যে ক্ষতি হয়েছে সেজন্য সংশ্লিষ্টদের জবাবদিহিতা আদায় করা জরুরি।
বৃহস্পতিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২২
কোন শিল্প গড়ে তোলার সঙ্গে সঙ্গে এর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করা হলে পরিবেশের ক্ষতি এড়ানো সম্ভব হয়। বর্জ্যরে ধরন অনুযায়ী এর ব্যবস্থাপনাতেও রয়েছে ভিন্নতা। কিন্তু দেশে যারা শিল্প বা কলকারখানা গড়ে তোলেন তাদের সিংহভাগেরই বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আগ্রহ নেই। শিল্পবর্জ্য নদ-নদী, খালবিলে, উন্মুক্ত স্থানে ফেলা হয়। শিল্পবর্জ্য দেশের পরিবেশের জন্য অব্যাহত হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
উপযুক্ত ব্যবস্থাপনা ছাড়া দেশে শিল্প কলকারখানা গড়ে ওঠে কীভাবে আর তা বছরের পর বছর নির্বিঘ্নে চলে কীভাবে সেই প্রশ্ন করা যেতে পারে। কেবল বেসরকারি শিল্পই যে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ছাড়া গড়ে উঠছে তা নয়। দেশের অনেক সরকারি শিল্প কলকারখানায়ও যথাযথ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নেই বা আদৌ কোন ব্যবস্থা নেই।
প্রসঙ্গক্রমে বিসিক শিল্প নগরীর কথা বলা যায়। দেশের বিভিন্ন স্থানে গড়ে ওঠা অনেক বিসিক শিল্প নগরীতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করা হয় না বলে গণমাধ্যমে প্রায়ই খবর প্রকাশিত হয়। কয়েক দশক আগে গড়ে উঠেছে এমন শিল্প নগরীতেও এখনও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার লেশমাত্র নেই।
রংপুরে বিসিক শিল্প নগরী গড়ে উঠেছে ১৯৬৭ সালে। সেখানে ২৩টি কারখানা চালু আছে। শিল্প নগরীতে এখন পর্যন্ত কোন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্লান্ট স্থাপন করা হয়নি। এ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে, সেখানকার কারখানাগুলোর বর্জ্য যাচ্ছে কোথায়। অভিযোগ রয়েছে, শিল্প নগরী সংলগ্ন জলাশয়ে বর্জ্য ফেলা হয়। এতে করে পরিবেশ ধ্বংস হচ্ছে।
দেশের অন্যান্য স্থানে গড়ে ওঠা বিসিকের শিল্প নগরীর বিরুদ্ধেও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা না থাকার অভিযোগ পাওয়া যায়। কিন্তু এর বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয় সেটা আমরা জানতে চাই। বিসিক কি বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দায়-দায়িত্বের ঊর্ধ্বে। তারা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্লান্ট স্থাপন করে না কেন, আর যেখানে সেখানে বর্জ্য ফেলার জন্য তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয় তা জানা জরুরি।
আমরা বলতে চাই, রংপুরসহ বিসিকের সব শিল্প নগরীতে অবিলম্বে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্লান্ট স্থাপন করতে হবে। উন্মুক্ত স্থানে বর্জ্য ফেলা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। প্লান্ট না থাকায় পরিবেশের যে ক্ষতি হয়েছে সেজন্য সংশ্লিষ্টদের জবাবদিহিতা আদায় করা জরুরি।