alt

সম্পাদকীয়

সেন্টমার্টিন রক্ষায় সমন্বিত পদক্ষেপ নিন

: রোববার, ২৭ নভেম্বর ২০২২

কক্সবাজারের টেকনাফে সেন্টমার্টিনের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য নানান কারণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের এক হিসাব অনুযায়ী, দ্বীপটিতে ব্যক্তি মালিকানাধীন হোটেল, মোটেল ও রিসোর্ট রয়েছে ১৬৬টি। তবে এগুলোর কোনটিরই পরিবেশগত ছাড়পত্র নেই। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

পরিবেশ মন্ত্রণালয় দ্বীপ সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের ১ হাজার ৭৪৩ বর্গকিলোমিটার এলাকাকে সামুদ্রিক সংরক্ষিত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করেছে। ঘোষণা অনুযায়ী, দ্বীপে অনিয়ন্ত্রিত জাহাজ ও মোটর বোট চলাচল করতে পারার কথা নয়। দ্বীপ সংলগ্ন এলাকায় অতিরিক্ত মাছ ধরা, সাগরে বর্জ্য ও ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ ফেলা, প্রবাল প্রাচীর ধ্বংস করাও নিষিদ্ধ। প্রশ্ন হচ্ছে, ঘোষণা বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যথেষ্ট ব্যবস্থা নিয়েছে কিনা।

দেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপ রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে দ্বীপের পরিবেশ, প্রতিবেশ, জীববৈচিত্র্য সুরক্ষা, ইকোট্যুরিজমের উন্নয়নে কর্মপরিকল্পনাসহ ১৩টি সুপারিশ বাস্তবায়নের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এসব নির্দেশ বাস্তবায়ন হলে দ্বীপের পরিবেশ-প্রতিবেশ রক্ষা পাওয়ার কথা। অভিযোগ রয়েছে, দ্বীপ রক্ষায় ঘোষণা আর নির্দেশনা কাগজে-কলমেই সীমাবদ্ধ। এর বাস্তবায়নে টেকসই পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় না।

ভৌগোলিক কারণে সেন্টমার্টিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর গুরুত্ব নীতিনির্ধারকরাও স্বীকার করেন। দ্বীপটিতে অনেক জীববৈচিত্র্য রয়েছে; কিন্তু একশ্রেণীর মানুষের অবিবেচনাপ্রসূত কাজের কারণে দ্বীপটির পরিবেশ বিপর্যস্ত হচ্ছে। সেখানে নির্বিচারে অবকাঠামো নির্মাণ বন্ধ করা যাচ্ছে না। নিশ্চিত করা যায়নি সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা।

আমরা বলতে চাই, যে কোনো মূল্যে হোক সেন্টমার্টিনকে রক্ষা করতে হবে। সেখানে সব ধরনের অবকাঠামো নির্মাণ ও সম্প্রসারণ বন্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। দ্বীপে যান চলাচলকে একটি সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মধ্যে আনতে হবে। দ্বীপ রক্ষায় ম্যানগ্রোভ ও কেয়া বেষ্টনী বৃক্ষরোপণ করা জরুরি। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়েরও নির্দেশনা আছে। আমরা এসব নির্দেশনার বাস্তবায়ন দেখতে চাই।

কোনো একক কর্তৃপক্ষের পক্ষে সেন্টমার্টিন রক্ষা করা সম্ভব নয়। পরিবেশ অধিদপ্তরের পাশাপাশি কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, বিআইডব্লিউটিএ, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড, কোস্টগার্ডসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। দ্বীপ রক্ষার কাজ নিয়মিত তদারকি করা জরুরি। সরকারের পাশাপাশি জনসাধারণকেও ভূমিকা রাখতে হবে। স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটকরা সচেতন হলে দ্বীপ রক্ষার কাজ সহজ হবে।

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কার করুন

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

স্লুইসগেটের ফাটল মেরামতে উদ্যোগ নিন

পরিবেশ দূষণ বন্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

রংপুর শিশু হাসপাতাল চালু হতে কালক্ষেপণ কেন

দেশে এত খাবার অপচয়ের কারণ কী

রায়গঞ্জে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ দূর করুন

প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরে থাকা জনগোষ্ঠী নিয়ে ভাবতে হবে

জলাশয় দূষণের জন্য দায়ী কারখানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তোলা বন্ধ করুন

বহরবুনিয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভবন নির্মাণে আর কত বিলম্ব

মশার উপদ্রব থেকে নগরবাসীকে মুক্তি দিন

সিলেট ‘ইইডি’ কার্যালয়ের অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ

পাহাড় কাটা বন্ধ করুন

স্বাধীনতার ৫৪ বছর : মানুষের আশা-আকাক্সক্ষা কতটা পূরণ হলো

চিকিৎসক সংকট দূর করুন

tab

সম্পাদকীয়

সেন্টমার্টিন রক্ষায় সমন্বিত পদক্ষেপ নিন

রোববার, ২৭ নভেম্বর ২০২২

কক্সবাজারের টেকনাফে সেন্টমার্টিনের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য নানান কারণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের এক হিসাব অনুযায়ী, দ্বীপটিতে ব্যক্তি মালিকানাধীন হোটেল, মোটেল ও রিসোর্ট রয়েছে ১৬৬টি। তবে এগুলোর কোনটিরই পরিবেশগত ছাড়পত্র নেই। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

পরিবেশ মন্ত্রণালয় দ্বীপ সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের ১ হাজার ৭৪৩ বর্গকিলোমিটার এলাকাকে সামুদ্রিক সংরক্ষিত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করেছে। ঘোষণা অনুযায়ী, দ্বীপে অনিয়ন্ত্রিত জাহাজ ও মোটর বোট চলাচল করতে পারার কথা নয়। দ্বীপ সংলগ্ন এলাকায় অতিরিক্ত মাছ ধরা, সাগরে বর্জ্য ও ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ ফেলা, প্রবাল প্রাচীর ধ্বংস করাও নিষিদ্ধ। প্রশ্ন হচ্ছে, ঘোষণা বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যথেষ্ট ব্যবস্থা নিয়েছে কিনা।

দেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপ রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে দ্বীপের পরিবেশ, প্রতিবেশ, জীববৈচিত্র্য সুরক্ষা, ইকোট্যুরিজমের উন্নয়নে কর্মপরিকল্পনাসহ ১৩টি সুপারিশ বাস্তবায়নের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এসব নির্দেশ বাস্তবায়ন হলে দ্বীপের পরিবেশ-প্রতিবেশ রক্ষা পাওয়ার কথা। অভিযোগ রয়েছে, দ্বীপ রক্ষায় ঘোষণা আর নির্দেশনা কাগজে-কলমেই সীমাবদ্ধ। এর বাস্তবায়নে টেকসই পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় না।

ভৌগোলিক কারণে সেন্টমার্টিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর গুরুত্ব নীতিনির্ধারকরাও স্বীকার করেন। দ্বীপটিতে অনেক জীববৈচিত্র্য রয়েছে; কিন্তু একশ্রেণীর মানুষের অবিবেচনাপ্রসূত কাজের কারণে দ্বীপটির পরিবেশ বিপর্যস্ত হচ্ছে। সেখানে নির্বিচারে অবকাঠামো নির্মাণ বন্ধ করা যাচ্ছে না। নিশ্চিত করা যায়নি সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা।

আমরা বলতে চাই, যে কোনো মূল্যে হোক সেন্টমার্টিনকে রক্ষা করতে হবে। সেখানে সব ধরনের অবকাঠামো নির্মাণ ও সম্প্রসারণ বন্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। দ্বীপে যান চলাচলকে একটি সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মধ্যে আনতে হবে। দ্বীপ রক্ষায় ম্যানগ্রোভ ও কেয়া বেষ্টনী বৃক্ষরোপণ করা জরুরি। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়েরও নির্দেশনা আছে। আমরা এসব নির্দেশনার বাস্তবায়ন দেখতে চাই।

কোনো একক কর্তৃপক্ষের পক্ষে সেন্টমার্টিন রক্ষা করা সম্ভব নয়। পরিবেশ অধিদপ্তরের পাশাপাশি কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, বিআইডব্লিউটিএ, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড, কোস্টগার্ডসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। দ্বীপ রক্ষার কাজ নিয়মিত তদারকি করা জরুরি। সরকারের পাশাপাশি জনসাধারণকেও ভূমিকা রাখতে হবে। স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটকরা সচেতন হলে দ্বীপ রক্ষার কাজ সহজ হবে।

back to top