alt

সম্পাদকীয়

মানবপাচার সংক্রান্ত মামলা প্রসঙ্গে

: সোমবার, ২৮ নভেম্বর ২০২২

দেশে মানবপাচার সংক্রান্ত মামলার ৯৭ শতাংশেরই নিষ্পত্তি হয়নি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এক হিসাব অনুযায়ী, গত দেড় যুগে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা হয়েছে সাড়ে ৭ হাজারেরও বেশি। যার মধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে আড়াই শ’রও কম মামলা। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

মানবপাচার মামলা নিয়ে অতীতেও হতাশজনক খবর মিলেছে। এর আগে জানা গেছে, মানবপাচার মামলার আসামিদের ৯৮ ভাগ খালাস পেয়ে যায়। এ ধরনের মামলায় খুব কম ব্যক্তিরই সাজা নিশ্চিত করা গেছে।

মানবপাচার মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ এ সংক্রান্ত মামলায় রাষ্ট্রের কাছে প্রতিবিধান চাইছেন। কিন্তু তাদের সুবিচার নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। সুবিচার দিতে না পারা পরিতাপের বিষয়। অপরাধের বিচার করা না হলে অপরাধীরা আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠে।

দেশের বড় সমস্যাগুলোর একটি হচ্ছে মানবপাচার। সরকারের এ ব্যাপারে যতটা নজর দেয়ার দরকার ছিল ততটা নেই। বিষয়টি কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। সরকার মানবপাচারবিষয়ক অপরাধের তদন্ত, মামলা পরিচালনা ইত্যাদি বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেয় না বলে অভিযোগ রয়েছে। ফলে মানবপাচার বেড়েই চলেছে। বাংলাদেশ পুলিশ ও জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছরই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মানবপাচার করা হয়। পাচার হওয়া মানুষের অধিকাংশই হচ্ছে নারী ও শিশু।

পাচারের বড় কোন ঘটনা ঘটলে প্রশাসন নড়েচড়ে বসে। অভিযানে কিছু চুনোপুঁটি ধরা পড়লেও রাঘববোয়ালরা ধরাছোঁয়ার বাইরেই থাকে। আইন প্রয়োগের শিথিলতার কারণে মানবপাচার বন্ধ করা যাচ্ছে না। মানবপাচার বন্ধ করতে হলে আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। পাচারের নেপথ্যের গডফাদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা জরুরি।

অভিযোগ রয়েছে যে, মানবপাচার সংক্রান্ত মামলার তদন্তে দুর্বলতার কারণে মূল আসামি ছাড়াও অন্যদের আসামি করা হয়। সমস্যা হচ্ছে, পরে সাক্ষ্যপ্রমাণ ঠিকমতো আদালতে হাজির করা হয় না। মানবপাচারের ঘটনায় সাধারণত এর কোনো দলিল বা নথিপত্র থাকে না।

তদন্তে দুর্বলতার কারণে অনেক মামলার আসামি খালাস পায়। এই অবস্থার অবসান ঘটাতে হবে।

অপরাধীর বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়া এবং সাক্ষী ও প্রমাণ উপস্থাপনের দায়িত্ব পুলিশের।

মামলার তদন্ত যেন সুষ্ঠু হয় সে ব্যাপারে নজর দিতে হবে।

মামলার সাক্ষীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করাও জরুরি। বিচারকাজে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, আইনজীবী, বিচারক সবাইকে

কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। নইলে মামলার বিচারপ্রার্থীরা হতাশ হবেন।

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কার করুন

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

স্লুইসগেটের ফাটল মেরামতে উদ্যোগ নিন

পরিবেশ দূষণ বন্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

রংপুর শিশু হাসপাতাল চালু হতে কালক্ষেপণ কেন

দেশে এত খাবার অপচয়ের কারণ কী

রায়গঞ্জে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ দূর করুন

প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরে থাকা জনগোষ্ঠী নিয়ে ভাবতে হবে

জলাশয় দূষণের জন্য দায়ী কারখানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তোলা বন্ধ করুন

বহরবুনিয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভবন নির্মাণে আর কত বিলম্ব

মশার উপদ্রব থেকে নগরবাসীকে মুক্তি দিন

সিলেট ‘ইইডি’ কার্যালয়ের অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ

পাহাড় কাটা বন্ধ করুন

স্বাধীনতার ৫৪ বছর : মানুষের আশা-আকাক্সক্ষা কতটা পূরণ হলো

চিকিৎসক সংকট দূর করুন

tab

সম্পাদকীয়

মানবপাচার সংক্রান্ত মামলা প্রসঙ্গে

সোমবার, ২৮ নভেম্বর ২০২২

দেশে মানবপাচার সংক্রান্ত মামলার ৯৭ শতাংশেরই নিষ্পত্তি হয়নি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এক হিসাব অনুযায়ী, গত দেড় যুগে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা হয়েছে সাড়ে ৭ হাজারেরও বেশি। যার মধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে আড়াই শ’রও কম মামলা। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

মানবপাচার মামলা নিয়ে অতীতেও হতাশজনক খবর মিলেছে। এর আগে জানা গেছে, মানবপাচার মামলার আসামিদের ৯৮ ভাগ খালাস পেয়ে যায়। এ ধরনের মামলায় খুব কম ব্যক্তিরই সাজা নিশ্চিত করা গেছে।

মানবপাচার মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ এ সংক্রান্ত মামলায় রাষ্ট্রের কাছে প্রতিবিধান চাইছেন। কিন্তু তাদের সুবিচার নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। সুবিচার দিতে না পারা পরিতাপের বিষয়। অপরাধের বিচার করা না হলে অপরাধীরা আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠে।

দেশের বড় সমস্যাগুলোর একটি হচ্ছে মানবপাচার। সরকারের এ ব্যাপারে যতটা নজর দেয়ার দরকার ছিল ততটা নেই। বিষয়টি কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। সরকার মানবপাচারবিষয়ক অপরাধের তদন্ত, মামলা পরিচালনা ইত্যাদি বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেয় না বলে অভিযোগ রয়েছে। ফলে মানবপাচার বেড়েই চলেছে। বাংলাদেশ পুলিশ ও জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছরই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মানবপাচার করা হয়। পাচার হওয়া মানুষের অধিকাংশই হচ্ছে নারী ও শিশু।

পাচারের বড় কোন ঘটনা ঘটলে প্রশাসন নড়েচড়ে বসে। অভিযানে কিছু চুনোপুঁটি ধরা পড়লেও রাঘববোয়ালরা ধরাছোঁয়ার বাইরেই থাকে। আইন প্রয়োগের শিথিলতার কারণে মানবপাচার বন্ধ করা যাচ্ছে না। মানবপাচার বন্ধ করতে হলে আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। পাচারের নেপথ্যের গডফাদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা জরুরি।

অভিযোগ রয়েছে যে, মানবপাচার সংক্রান্ত মামলার তদন্তে দুর্বলতার কারণে মূল আসামি ছাড়াও অন্যদের আসামি করা হয়। সমস্যা হচ্ছে, পরে সাক্ষ্যপ্রমাণ ঠিকমতো আদালতে হাজির করা হয় না। মানবপাচারের ঘটনায় সাধারণত এর কোনো দলিল বা নথিপত্র থাকে না।

তদন্তে দুর্বলতার কারণে অনেক মামলার আসামি খালাস পায়। এই অবস্থার অবসান ঘটাতে হবে।

অপরাধীর বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়া এবং সাক্ষী ও প্রমাণ উপস্থাপনের দায়িত্ব পুলিশের।

মামলার তদন্ত যেন সুষ্ঠু হয় সে ব্যাপারে নজর দিতে হবে।

মামলার সাক্ষীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করাও জরুরি। বিচারকাজে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, আইনজীবী, বিচারক সবাইকে

কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। নইলে মামলার বিচারপ্রার্থীরা হতাশ হবেন।

back to top