দেশে মানবপাচার সংক্রান্ত মামলার ৯৭ শতাংশেরই নিষ্পত্তি হয়নি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এক হিসাব অনুযায়ী, গত দেড় যুগে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা হয়েছে সাড়ে ৭ হাজারেরও বেশি। যার মধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে আড়াই শ’রও কম মামলা। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
মানবপাচার মামলা নিয়ে অতীতেও হতাশজনক খবর মিলেছে। এর আগে জানা গেছে, মানবপাচার মামলার আসামিদের ৯৮ ভাগ খালাস পেয়ে যায়। এ ধরনের মামলায় খুব কম ব্যক্তিরই সাজা নিশ্চিত করা গেছে।
মানবপাচার মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ এ সংক্রান্ত মামলায় রাষ্ট্রের কাছে প্রতিবিধান চাইছেন। কিন্তু তাদের সুবিচার নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। সুবিচার দিতে না পারা পরিতাপের বিষয়। অপরাধের বিচার করা না হলে অপরাধীরা আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠে।
দেশের বড় সমস্যাগুলোর একটি হচ্ছে মানবপাচার। সরকারের এ ব্যাপারে যতটা নজর দেয়ার দরকার ছিল ততটা নেই। বিষয়টি কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। সরকার মানবপাচারবিষয়ক অপরাধের তদন্ত, মামলা পরিচালনা ইত্যাদি বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেয় না বলে অভিযোগ রয়েছে। ফলে মানবপাচার বেড়েই চলেছে। বাংলাদেশ পুলিশ ও জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছরই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মানবপাচার করা হয়। পাচার হওয়া মানুষের অধিকাংশই হচ্ছে নারী ও শিশু।
পাচারের বড় কোন ঘটনা ঘটলে প্রশাসন নড়েচড়ে বসে। অভিযানে কিছু চুনোপুঁটি ধরা পড়লেও রাঘববোয়ালরা ধরাছোঁয়ার বাইরেই থাকে। আইন প্রয়োগের শিথিলতার কারণে মানবপাচার বন্ধ করা যাচ্ছে না। মানবপাচার বন্ধ করতে হলে আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। পাচারের নেপথ্যের গডফাদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা জরুরি।
অভিযোগ রয়েছে যে, মানবপাচার সংক্রান্ত মামলার তদন্তে দুর্বলতার কারণে মূল আসামি ছাড়াও অন্যদের আসামি করা হয়। সমস্যা হচ্ছে, পরে সাক্ষ্যপ্রমাণ ঠিকমতো আদালতে হাজির করা হয় না। মানবপাচারের ঘটনায় সাধারণত এর কোনো দলিল বা নথিপত্র থাকে না।
তদন্তে দুর্বলতার কারণে অনেক মামলার আসামি খালাস পায়। এই অবস্থার অবসান ঘটাতে হবে।
অপরাধীর বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়া এবং সাক্ষী ও প্রমাণ উপস্থাপনের দায়িত্ব পুলিশের।
মামলার তদন্ত যেন সুষ্ঠু হয় সে ব্যাপারে নজর দিতে হবে।
মামলার সাক্ষীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করাও জরুরি। বিচারকাজে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, আইনজীবী, বিচারক সবাইকে
কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। নইলে মামলার বিচারপ্রার্থীরা হতাশ হবেন।
সোমবার, ২৮ নভেম্বর ২০২২
দেশে মানবপাচার সংক্রান্ত মামলার ৯৭ শতাংশেরই নিষ্পত্তি হয়নি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এক হিসাব অনুযায়ী, গত দেড় যুগে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা হয়েছে সাড়ে ৭ হাজারেরও বেশি। যার মধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে আড়াই শ’রও কম মামলা। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
মানবপাচার মামলা নিয়ে অতীতেও হতাশজনক খবর মিলেছে। এর আগে জানা গেছে, মানবপাচার মামলার আসামিদের ৯৮ ভাগ খালাস পেয়ে যায়। এ ধরনের মামলায় খুব কম ব্যক্তিরই সাজা নিশ্চিত করা গেছে।
মানবপাচার মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ এ সংক্রান্ত মামলায় রাষ্ট্রের কাছে প্রতিবিধান চাইছেন। কিন্তু তাদের সুবিচার নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। সুবিচার দিতে না পারা পরিতাপের বিষয়। অপরাধের বিচার করা না হলে অপরাধীরা আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠে।
দেশের বড় সমস্যাগুলোর একটি হচ্ছে মানবপাচার। সরকারের এ ব্যাপারে যতটা নজর দেয়ার দরকার ছিল ততটা নেই। বিষয়টি কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। সরকার মানবপাচারবিষয়ক অপরাধের তদন্ত, মামলা পরিচালনা ইত্যাদি বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেয় না বলে অভিযোগ রয়েছে। ফলে মানবপাচার বেড়েই চলেছে। বাংলাদেশ পুলিশ ও জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছরই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মানবপাচার করা হয়। পাচার হওয়া মানুষের অধিকাংশই হচ্ছে নারী ও শিশু।
পাচারের বড় কোন ঘটনা ঘটলে প্রশাসন নড়েচড়ে বসে। অভিযানে কিছু চুনোপুঁটি ধরা পড়লেও রাঘববোয়ালরা ধরাছোঁয়ার বাইরেই থাকে। আইন প্রয়োগের শিথিলতার কারণে মানবপাচার বন্ধ করা যাচ্ছে না। মানবপাচার বন্ধ করতে হলে আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। পাচারের নেপথ্যের গডফাদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা জরুরি।
অভিযোগ রয়েছে যে, মানবপাচার সংক্রান্ত মামলার তদন্তে দুর্বলতার কারণে মূল আসামি ছাড়াও অন্যদের আসামি করা হয়। সমস্যা হচ্ছে, পরে সাক্ষ্যপ্রমাণ ঠিকমতো আদালতে হাজির করা হয় না। মানবপাচারের ঘটনায় সাধারণত এর কোনো দলিল বা নথিপত্র থাকে না।
তদন্তে দুর্বলতার কারণে অনেক মামলার আসামি খালাস পায়। এই অবস্থার অবসান ঘটাতে হবে।
অপরাধীর বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়া এবং সাক্ষী ও প্রমাণ উপস্থাপনের দায়িত্ব পুলিশের।
মামলার তদন্ত যেন সুষ্ঠু হয় সে ব্যাপারে নজর দিতে হবে।
মামলার সাক্ষীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করাও জরুরি। বিচারকাজে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, আইনজীবী, বিচারক সবাইকে
কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। নইলে মামলার বিচারপ্রার্থীরা হতাশ হবেন।