কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার জোড়গাছ বাজার হাটে কয়েকগুণ বেশি খাজনা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। হাটে কৃষক ও জনসাধারণ পণ্য বিক্রি করতে গিয়ে নাজেহাল হচ্ছেন। অতিরিক্ত খাজনা দিতে গিয়ে তাদের নাভিশ্বাস উঠছে। এ নিয়ে গতকাল রোববার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, উত্তরবঙ্গের মধ্যে জোড়গাছ হাটে খাদ্যশস্য, পশুসহ বিভিন্ন পণ্যের খাজনা সবচেয়ে বেশি আদায় করা হয়। অতিরিক্ত খাজনা নেওয়া হলেও দেওয়া হয় না কোন রসিদ। তাছাড়া ইজারাদারের পক্ষ থেকে হাটের বিভিন্ন স্থানে খাজনা আদায়ের তালিকা লাগানোর কথা; কিন্তু কোথাও এ তালিকা লাগানো হয়নি। এমনিতেই নানা কারণে কৃষিপণ্যের উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে। পণ্য বিক্রি করলে উৎপাদন খরচই উঠে আসে না। তার ওপর পরিবহন খরচ ও ঘাট ভাড়া রয়েছে। এর সাথে নতুন করে যোগ হয়েছে অতিরিক্ত খাজনা। এতে সাধারণ কৃষক ও ব্যবসায়ীসহ হাটের ক্রেতা-বিক্রেতারা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন।
অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের বিষয়ে ইজারাদারি প্রতিষ্ঠান বলছে, হাটটি বেশি টাকায় ইজারা নেওয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হাটে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের কোনো সুযোগ নেই। সরকার নির্ধারিত খাজনা আদায় করতে হবে। শিগগিরই তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দেশের হাট-বাজারসহ বিভিন্ন ঘাট ইজারার মাধ্যমে সরকার রাজস্ব পায়। হাট-বাজারে অবশ্যই ইজারা দিতে হবে। তবে তা হতে হবে নিয়ম-কানুনের মধ্যে। ইজারাদারদের সরকার নির্ধারিত সীমার বাইরে খাজনা আদায় করা থেকে বিরত থাকতে হবে। খাজনা আদায়ের ক্ষেত্রে সুনির্ষ্টি কিছু নিয়ম রয়েছে। নিয়মের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
যারা নিয়ম-কানুন না মানবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়াই কাম্য। চিলমারী জোড়গাছ হাটে কয়েকগুণ বেশি খাজনা আদায়ের অভিযোগটি দ্রুত তদন্ত করে দেখতে হবে। এক্ষেত্রে কালক্ষেপণ কাম্য নয়। তবে কেউ অতিরিক্ত ব্যয়ে ইজারা নিলে সে বেশি খাজনা আদায় করতে চাইবে। ইজারাদারের অভিযোগও খতিয়ে দেখতে হবে।
সোমবার, ২৮ নভেম্বর ২০২২
কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার জোড়গাছ বাজার হাটে কয়েকগুণ বেশি খাজনা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। হাটে কৃষক ও জনসাধারণ পণ্য বিক্রি করতে গিয়ে নাজেহাল হচ্ছেন। অতিরিক্ত খাজনা দিতে গিয়ে তাদের নাভিশ্বাস উঠছে। এ নিয়ে গতকাল রোববার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, উত্তরবঙ্গের মধ্যে জোড়গাছ হাটে খাদ্যশস্য, পশুসহ বিভিন্ন পণ্যের খাজনা সবচেয়ে বেশি আদায় করা হয়। অতিরিক্ত খাজনা নেওয়া হলেও দেওয়া হয় না কোন রসিদ। তাছাড়া ইজারাদারের পক্ষ থেকে হাটের বিভিন্ন স্থানে খাজনা আদায়ের তালিকা লাগানোর কথা; কিন্তু কোথাও এ তালিকা লাগানো হয়নি। এমনিতেই নানা কারণে কৃষিপণ্যের উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে। পণ্য বিক্রি করলে উৎপাদন খরচই উঠে আসে না। তার ওপর পরিবহন খরচ ও ঘাট ভাড়া রয়েছে। এর সাথে নতুন করে যোগ হয়েছে অতিরিক্ত খাজনা। এতে সাধারণ কৃষক ও ব্যবসায়ীসহ হাটের ক্রেতা-বিক্রেতারা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন।
অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের বিষয়ে ইজারাদারি প্রতিষ্ঠান বলছে, হাটটি বেশি টাকায় ইজারা নেওয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হাটে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের কোনো সুযোগ নেই। সরকার নির্ধারিত খাজনা আদায় করতে হবে। শিগগিরই তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দেশের হাট-বাজারসহ বিভিন্ন ঘাট ইজারার মাধ্যমে সরকার রাজস্ব পায়। হাট-বাজারে অবশ্যই ইজারা দিতে হবে। তবে তা হতে হবে নিয়ম-কানুনের মধ্যে। ইজারাদারদের সরকার নির্ধারিত সীমার বাইরে খাজনা আদায় করা থেকে বিরত থাকতে হবে। খাজনা আদায়ের ক্ষেত্রে সুনির্ষ্টি কিছু নিয়ম রয়েছে। নিয়মের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
যারা নিয়ম-কানুন না মানবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়াই কাম্য। চিলমারী জোড়গাছ হাটে কয়েকগুণ বেশি খাজনা আদায়ের অভিযোগটি দ্রুত তদন্ত করে দেখতে হবে। এক্ষেত্রে কালক্ষেপণ কাম্য নয়। তবে কেউ অতিরিক্ত ব্যয়ে ইজারা নিলে সে বেশি খাজনা আদায় করতে চাইবে। ইজারাদারের অভিযোগও খতিয়ে দেখতে হবে।