alt

সম্পাদকীয়

আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দাদের দুরবস্থা

: বুধবার, ৩০ নভেম্বর ২০২২

নানা সমস্যায় জর্জরিত টাঙ্গাইল সদর উপজেলার দাইন্যা ইউনিয়নের চিলাবাড়ী আশ্রয়ণ কেন্দ্রের বাসিন্দারা। সেখানে গত দুই বছর ধরে ৪০টি পরিবারের দেড় শতাধিক মানুষ বসবাস করে আসছে। নিরাপদ পানি, পয়ঃনিষ্কাশন, জলাবদ্ধতা, যাতায়াত ব্যবস্থা, গৃহনির্মাণে ত্রুটিসহ নানা সমস্যায় দিন কাটাচ্ছেন তারা। এ নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

আশ্রয়ণ প্রকল্পের বসিন্দারা জানিয়েছেন, সেখানে প্রতি ১০টি পরিবারের জন্য একটি করে টিউবওয়েল বসানো হয়েছে। কিন্তু এসব টিউবওয়েলের পানিতে আয়রন থাকায় তাদের খাওয়াসহ দৈনন্দিন কাজে ব্যবহারে চরম সমস্যা হচ্ছে। এছাড়াও নেই ড্রেন ও যাতায়াতের রাস্তা। এ কারণে ব্যবহৃত পানি যাচ্ছে অন্যের জমিতে। আর হাঁটাচলাও করতে হচ্ছে অন্যের জমির ওপর দিয়ে। এজন্য প্রায় প্রতিদিনই তাদের শুনতে হচ্ছে প্রতিবেশীদের কটু কথা।

শুধু তাই নয়, অভিযোগ আছে ভূতুড়ে বিদ্যুৎ বিলেরও। অধিকাংশ বাসিন্দা জানিয়েছেন, তারা শুধু একটি করে লাইট ও ফ্যান চালান। দু-একজনের ঘরে ফ্রিজ রয়েছে। কিন্তু প্রতিমাসে এক থেকে দুই হাজার টাকা বিদ্যুৎ বিল আসে। সহায়-সম্বলহীন এসব পরিবারের সদস্যদের অধিকাংশই দিনমজুর। বর্তমানে নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে সংসার চালাতে তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। তার ওপর আবার রয়েছে ভূতুড়ে বিদ্যুৎ বিল। আর এসব বিল সরেজমিন মিটার না দেখে অফিসে বসে প্রস্তুত করা হয় বলেও জানান আশ্রয়ণ কেন্দ্রের বাসিন্দারা।

শুধু চিলাবাড়ী আশ্রয়ণ কেন্দ্রেরই নয়, দেশের অনেক আশ্রয়ণ কেন্দ্রে একই ধরনের সমস্যা রয়েছে। আশ্রয়ণ কেন্দ্রের ঘর নির্মাণে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিরও অভিযোগ রয়েছে। শুধু যাতায়াতের রাস্তা ও ড্রেনেজ ব্যবস্থাই নয় কিছু কিছু আশ্রয়ণ প্রকল্প এমন বিচ্ছিন্ন এলাকায় করা হয়েছে যেখানে কোন জীবিকার সংস্থান নেই। তাই সুবিধাভোগীরা এসব ঘর ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছেন। খালি পড়ে আছে ঘরগুলো।

আশ্রয়ণ প্রকল্পের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য ভালো। এর মাধ্যমে গৃহ ও ভূমিহীনদের জমিসহ ঘর দেয়া হয়েছে। সহায়-সম্বল ও আশ্রয়হীন মানুষের মাথাগোঁজার ঠাঁই হয়েছে। সরকারের এমন কাজ প্রশংসার যোগ্য। কিন্তু সেখানে যদি বসবাসের জন্য প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা না থাকে তাহলে তো এ প্রকল্পের সুফল পাওয়া যাবে না। বরং রাষ্ট্র তথা জনগণের টাকার অপচয় হবে। তাই আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দারা যাতে স্বাচ্ছন্দ্যে বসবাস করতে পারেন সেই ব্যবস্থা করতে হবে। টাঙ্গাইল সদর উপজেলার চিলাবাড়ী আশ্রয়ণ কেন্দ্রের উল্লেখিত সমস্যার দ্রুত সমাধান করতে হবে।

দেশের বিদ্যুৎ বিভাগ বাড়তি বিল করে-এমন অভিযোগ কমবেশি সব সময়ই ছিল। করোনা সংকটের সময় সেটি সবচেয়ে বেশি ছিল। কারণ করোনার সময় সরবরাহ প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ থেকে সরেজমিন গিয়ে মিটার পরীক্ষা করার সুযোগ ছিল না। কিন্তু এখন সরেজমিন না গিয়ে, মিটার পরীক্ষা না করে ভূতুড়ে বিল দেয়ার কারণ কী। তাও আবার সরকারের সুবিধাভোগী আশ্রয়ণ প্রকল্পের হতদরিদ্র বাসিন্দাদের। আমরা আশা করব, টাঙ্গাইলের বিদ্যুৎ বিভাগ এ অভিযোগের সুরাহা করবে, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। পাশাপাশি ভূতুড়ে বিদ্যুৎ বিল কেন হচ্ছে তা খতিয়ে দেখতে হবে।

ডায়রিয়া প্রতিরোধে চাই জনসচেতনতা

ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন সড়কে চলছে কীভাবে

গোবিন্দগঞ্জে নিয়মনীতি উপেক্ষা করে গাছ কাটার অভিযোগ আমলে নিন

নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা জরুরি

অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম ব্যবহারে চাই সচেতনতা

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

ভোলাডুবা হাওরের বোরো খেতের পানি নিষ্কাশনে ব্যবস্থা নিন

কিশোর গ্যাংয়ের প্রশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে

আদমজী ইপিজেড সড়ক মেরামতে আর কত কালক্ষেপণ

নদ-নদীর নাব্য রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কার করুন

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

স্লুইসগেটের ফাটল মেরামতে উদ্যোগ নিন

পরিবেশ দূষণ বন্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

রংপুর শিশু হাসপাতাল চালু হতে কালক্ষেপণ কেন

দেশে এত খাবার অপচয়ের কারণ কী

tab

সম্পাদকীয়

আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দাদের দুরবস্থা

বুধবার, ৩০ নভেম্বর ২০২২

নানা সমস্যায় জর্জরিত টাঙ্গাইল সদর উপজেলার দাইন্যা ইউনিয়নের চিলাবাড়ী আশ্রয়ণ কেন্দ্রের বাসিন্দারা। সেখানে গত দুই বছর ধরে ৪০টি পরিবারের দেড় শতাধিক মানুষ বসবাস করে আসছে। নিরাপদ পানি, পয়ঃনিষ্কাশন, জলাবদ্ধতা, যাতায়াত ব্যবস্থা, গৃহনির্মাণে ত্রুটিসহ নানা সমস্যায় দিন কাটাচ্ছেন তারা। এ নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

আশ্রয়ণ প্রকল্পের বসিন্দারা জানিয়েছেন, সেখানে প্রতি ১০টি পরিবারের জন্য একটি করে টিউবওয়েল বসানো হয়েছে। কিন্তু এসব টিউবওয়েলের পানিতে আয়রন থাকায় তাদের খাওয়াসহ দৈনন্দিন কাজে ব্যবহারে চরম সমস্যা হচ্ছে। এছাড়াও নেই ড্রেন ও যাতায়াতের রাস্তা। এ কারণে ব্যবহৃত পানি যাচ্ছে অন্যের জমিতে। আর হাঁটাচলাও করতে হচ্ছে অন্যের জমির ওপর দিয়ে। এজন্য প্রায় প্রতিদিনই তাদের শুনতে হচ্ছে প্রতিবেশীদের কটু কথা।

শুধু তাই নয়, অভিযোগ আছে ভূতুড়ে বিদ্যুৎ বিলেরও। অধিকাংশ বাসিন্দা জানিয়েছেন, তারা শুধু একটি করে লাইট ও ফ্যান চালান। দু-একজনের ঘরে ফ্রিজ রয়েছে। কিন্তু প্রতিমাসে এক থেকে দুই হাজার টাকা বিদ্যুৎ বিল আসে। সহায়-সম্বলহীন এসব পরিবারের সদস্যদের অধিকাংশই দিনমজুর। বর্তমানে নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে সংসার চালাতে তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। তার ওপর আবার রয়েছে ভূতুড়ে বিদ্যুৎ বিল। আর এসব বিল সরেজমিন মিটার না দেখে অফিসে বসে প্রস্তুত করা হয় বলেও জানান আশ্রয়ণ কেন্দ্রের বাসিন্দারা।

শুধু চিলাবাড়ী আশ্রয়ণ কেন্দ্রেরই নয়, দেশের অনেক আশ্রয়ণ কেন্দ্রে একই ধরনের সমস্যা রয়েছে। আশ্রয়ণ কেন্দ্রের ঘর নির্মাণে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিরও অভিযোগ রয়েছে। শুধু যাতায়াতের রাস্তা ও ড্রেনেজ ব্যবস্থাই নয় কিছু কিছু আশ্রয়ণ প্রকল্প এমন বিচ্ছিন্ন এলাকায় করা হয়েছে যেখানে কোন জীবিকার সংস্থান নেই। তাই সুবিধাভোগীরা এসব ঘর ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছেন। খালি পড়ে আছে ঘরগুলো।

আশ্রয়ণ প্রকল্পের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য ভালো। এর মাধ্যমে গৃহ ও ভূমিহীনদের জমিসহ ঘর দেয়া হয়েছে। সহায়-সম্বল ও আশ্রয়হীন মানুষের মাথাগোঁজার ঠাঁই হয়েছে। সরকারের এমন কাজ প্রশংসার যোগ্য। কিন্তু সেখানে যদি বসবাসের জন্য প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা না থাকে তাহলে তো এ প্রকল্পের সুফল পাওয়া যাবে না। বরং রাষ্ট্র তথা জনগণের টাকার অপচয় হবে। তাই আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দারা যাতে স্বাচ্ছন্দ্যে বসবাস করতে পারেন সেই ব্যবস্থা করতে হবে। টাঙ্গাইল সদর উপজেলার চিলাবাড়ী আশ্রয়ণ কেন্দ্রের উল্লেখিত সমস্যার দ্রুত সমাধান করতে হবে।

দেশের বিদ্যুৎ বিভাগ বাড়তি বিল করে-এমন অভিযোগ কমবেশি সব সময়ই ছিল। করোনা সংকটের সময় সেটি সবচেয়ে বেশি ছিল। কারণ করোনার সময় সরবরাহ প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ থেকে সরেজমিন গিয়ে মিটার পরীক্ষা করার সুযোগ ছিল না। কিন্তু এখন সরেজমিন না গিয়ে, মিটার পরীক্ষা না করে ভূতুড়ে বিল দেয়ার কারণ কী। তাও আবার সরকারের সুবিধাভোগী আশ্রয়ণ প্রকল্পের হতদরিদ্র বাসিন্দাদের। আমরা আশা করব, টাঙ্গাইলের বিদ্যুৎ বিভাগ এ অভিযোগের সুরাহা করবে, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। পাশাপাশি ভূতুড়ে বিদ্যুৎ বিল কেন হচ্ছে তা খতিয়ে দেখতে হবে।

back to top