খাদ্য অধিদপ্তরের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ওপেন মার্কেট সেলের (ওএমএস) চাল ও আটা বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। রংপুর নগরীতে অনেকে লাইনে দাঁড়িয়েও ওএমএসের পণ্য কিনতে পারছেন না। অনেক লাইনে না থেকেও দিব্যি পণ্য কিনছেন। সেসব পণ্য বাইরে বিক্রিও করে দিচ্ছেন। এ নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
একইদিনের পত্রিকায় নোয়াখালীতেও ওএমএসের চাল নিয়ে অনিয়মের খবর প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে ১ হাজার ১৩০ কেজি চাল উদ্ধার ও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদিকে কুড়িগ্রামের উলিপুরের বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন যে, ওএমএসের চালের বরাদ্দ কম।
মূল্যস্ফীতির খারায় পড়ে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। কেবল প্রান্তিক দরিদ্র মানুষই নয়, শহুরে অনেক মধ্যবিত্তও এখন সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে। ওএমএসের পণ্য কিনতে দেখা গেছে অনেকে মধ্যবিত্ত মানুষকেও। তুলনামূলক কম দামে চাল-ডাল কিনতে পারলে তাদের সংসার ব্যয়ের বোঝা কিছুটা হলেও লাঘব হয়।
জনগণকে কম দামে চাল-ডাল দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। উদ্যোগটি ভালো। সমস্যা হচ্ছে, ওএমএসের পণ্য বিক্রিতে অনিয়ম আর কারসাজি বন্ধ করা যাচ্ছে না। এসব পণ্য পাচার করার অভিযোগও পাওয়া গেছে বিভিন্ন সময়। অসাধু একটি চক্র সেই চাল পাচার করছে। গণমাধ্যমের কল্যাণে কখনো কখনো হাজার হাজার কেজি চাল পাচারের খবরও জানা গেছে।
অবশ্য পাচার হওয়ার সময় অনেক চাল জব্দও করা হয়েছে। পাচারের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে কাউকে কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাচারের অভিযোগে করা হয় মামলা। কিন্তু কোন কিছুতেই ওএমএসের পণ্য বিক্রিতে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করা যাচ্ছে না। যে কারণে প্রকৃত উপকারভোগীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এতেকরে জনগণকে কম দামে চাল-ডাল দেয়ার যে লক্ষ্য সরকার নিয়েছে তাও ব্যাহত হচ্ছে।
আমরা বলতে চাই, ওএমএসের পণ্য বিক্রিতে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিতে হবে। সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। সংশ্লিষ্টদের কার্যক্রমে স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হলে অবস্থার উন্নতি হতে পারে। মানুষের ক্রমবর্ধমান চাহিদাকে বিবেচনায় নিয়ে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতা আরও বাড়ানো যায় কিনা সেটা ভেবে দেখতে হবে।
শুক্রবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২২
খাদ্য অধিদপ্তরের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ওপেন মার্কেট সেলের (ওএমএস) চাল ও আটা বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। রংপুর নগরীতে অনেকে লাইনে দাঁড়িয়েও ওএমএসের পণ্য কিনতে পারছেন না। অনেক লাইনে না থেকেও দিব্যি পণ্য কিনছেন। সেসব পণ্য বাইরে বিক্রিও করে দিচ্ছেন। এ নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
একইদিনের পত্রিকায় নোয়াখালীতেও ওএমএসের চাল নিয়ে অনিয়মের খবর প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে ১ হাজার ১৩০ কেজি চাল উদ্ধার ও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদিকে কুড়িগ্রামের উলিপুরের বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন যে, ওএমএসের চালের বরাদ্দ কম।
মূল্যস্ফীতির খারায় পড়ে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। কেবল প্রান্তিক দরিদ্র মানুষই নয়, শহুরে অনেক মধ্যবিত্তও এখন সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে। ওএমএসের পণ্য কিনতে দেখা গেছে অনেকে মধ্যবিত্ত মানুষকেও। তুলনামূলক কম দামে চাল-ডাল কিনতে পারলে তাদের সংসার ব্যয়ের বোঝা কিছুটা হলেও লাঘব হয়।
জনগণকে কম দামে চাল-ডাল দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। উদ্যোগটি ভালো। সমস্যা হচ্ছে, ওএমএসের পণ্য বিক্রিতে অনিয়ম আর কারসাজি বন্ধ করা যাচ্ছে না। এসব পণ্য পাচার করার অভিযোগও পাওয়া গেছে বিভিন্ন সময়। অসাধু একটি চক্র সেই চাল পাচার করছে। গণমাধ্যমের কল্যাণে কখনো কখনো হাজার হাজার কেজি চাল পাচারের খবরও জানা গেছে।
অবশ্য পাচার হওয়ার সময় অনেক চাল জব্দও করা হয়েছে। পাচারের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে কাউকে কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাচারের অভিযোগে করা হয় মামলা। কিন্তু কোন কিছুতেই ওএমএসের পণ্য বিক্রিতে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করা যাচ্ছে না। যে কারণে প্রকৃত উপকারভোগীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এতেকরে জনগণকে কম দামে চাল-ডাল দেয়ার যে লক্ষ্য সরকার নিয়েছে তাও ব্যাহত হচ্ছে।
আমরা বলতে চাই, ওএমএসের পণ্য বিক্রিতে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিতে হবে। সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। সংশ্লিষ্টদের কার্যক্রমে স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হলে অবস্থার উন্নতি হতে পারে। মানুষের ক্রমবর্ধমান চাহিদাকে বিবেচনায় নিয়ে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতা আরও বাড়ানো যায় কিনা সেটা ভেবে দেখতে হবে।