গত বুধবার সন্ধ্যায় কক্সবাজারের রামু উপজেলায় পাহাড় ধসে মারা গেছে একই পরিবারের চার সদস্য। নিহতরা পাহাড় সংলগ্ন টিনশেড ঘরে বাস করত। পাহাড় থেকে মাটির বিশাল খন্ড তাদের বসবাসস্থলে ধসে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই তারা মারা গেছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেছেন, সংশ্লিষ্ট পাহাড়ের আশপাশের কিছু ইটের ভাটার জন্য দীর্ঘ দিন ধরে মাটি খনন করা হচ্ছে। মাটি খননের কারণে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটতে পারে।
দেশে পাহাড় ধসে প্রায়ই মানুষ হতাহতের ঘটনা ঘটে। বর্ষা মৌসুমে পাহাড় ধসে হতাহতের ঘটনা ঘটে বেশি। তবে অন্যান্য সময়ও এ ধরনের খবর পাওয়া যায়। এর জন্য দায়ী হচ্ছে নির্বিচারে পাহাড় কাটা। প্রকাশ্যেই পাহাড় কেটে ধ্বংস করা হলেও এর বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। অতীতে ভয়াবহ পাহাড় ধসের ঘটনায় কমিটি করা হয়েছে। কমিটি ধসের কারণ অনুসন্ধান করে দেখেছে। তারা অনেক সুপারিশও করেছে।
কিন্তু সেসব সুপারিশ বাস্তবায়ন করা হয়েছে বলে জানা যায় না। পাহাড় কাটা বন্ধ হয়নি। নির্বিচারে পাথর তোলা হচ্ছে। সেখানকার গাছ কাটা হচ্ছে। ব্যাপক হারে বনায়নের কথা বলা হলেও সেটা করা যায়নি। যে কারণে পাহাড়গুলোকে রক্ষা করা যাচ্ছে না। আমরা বলতে চাই, পাহাড় রক্ষা করতে হলে সংশ্লিষ্ট আইন সুপারিশের কঠোর বাস্তবায়ন করতে হবে। যাদের কারণে পাহাড় বিপন্ন হয়ে পড়েছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার বিকল্প নেই। এজন্য সংশ্লিষ্টদের সদিচ্ছা থাকা জরুরি।
পাহাড় ধসে জানমালের ক্ষয়ক্ষতিও রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। এর কারণ হচ্ছে- পাহাড়ে মানুষের ঝুঁকিপূর্ণ বসবাস বন্ধ হয়নি। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাহাড়ে যারা বসবাস করে তাদের সিংহভাগই নিম্নআয়ের দরিদ্র মানুষ। হুট করে সেখানকার বসতি ছাড়লে তাদের আশ্রয় মিলবে কোথায় সেটা একটা প্রশ্ন। অন্য কোথাও নিরাপদ বাসস্থানের ব্যবস্থা করার সঙ্গতি তাদের নেই। তাদের টেকসই পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা দরকার। পাহাড় ধসে জানমালের ক্ষতি রোধ করতে হলে সবার আগে স্থায়ী পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে।
শুক্রবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২২
গত বুধবার সন্ধ্যায় কক্সবাজারের রামু উপজেলায় পাহাড় ধসে মারা গেছে একই পরিবারের চার সদস্য। নিহতরা পাহাড় সংলগ্ন টিনশেড ঘরে বাস করত। পাহাড় থেকে মাটির বিশাল খন্ড তাদের বসবাসস্থলে ধসে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই তারা মারা গেছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেছেন, সংশ্লিষ্ট পাহাড়ের আশপাশের কিছু ইটের ভাটার জন্য দীর্ঘ দিন ধরে মাটি খনন করা হচ্ছে। মাটি খননের কারণে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটতে পারে।
দেশে পাহাড় ধসে প্রায়ই মানুষ হতাহতের ঘটনা ঘটে। বর্ষা মৌসুমে পাহাড় ধসে হতাহতের ঘটনা ঘটে বেশি। তবে অন্যান্য সময়ও এ ধরনের খবর পাওয়া যায়। এর জন্য দায়ী হচ্ছে নির্বিচারে পাহাড় কাটা। প্রকাশ্যেই পাহাড় কেটে ধ্বংস করা হলেও এর বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। অতীতে ভয়াবহ পাহাড় ধসের ঘটনায় কমিটি করা হয়েছে। কমিটি ধসের কারণ অনুসন্ধান করে দেখেছে। তারা অনেক সুপারিশও করেছে।
কিন্তু সেসব সুপারিশ বাস্তবায়ন করা হয়েছে বলে জানা যায় না। পাহাড় কাটা বন্ধ হয়নি। নির্বিচারে পাথর তোলা হচ্ছে। সেখানকার গাছ কাটা হচ্ছে। ব্যাপক হারে বনায়নের কথা বলা হলেও সেটা করা যায়নি। যে কারণে পাহাড়গুলোকে রক্ষা করা যাচ্ছে না। আমরা বলতে চাই, পাহাড় রক্ষা করতে হলে সংশ্লিষ্ট আইন সুপারিশের কঠোর বাস্তবায়ন করতে হবে। যাদের কারণে পাহাড় বিপন্ন হয়ে পড়েছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার বিকল্প নেই। এজন্য সংশ্লিষ্টদের সদিচ্ছা থাকা জরুরি।
পাহাড় ধসে জানমালের ক্ষয়ক্ষতিও রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। এর কারণ হচ্ছে- পাহাড়ে মানুষের ঝুঁকিপূর্ণ বসবাস বন্ধ হয়নি। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাহাড়ে যারা বসবাস করে তাদের সিংহভাগই নিম্নআয়ের দরিদ্র মানুষ। হুট করে সেখানকার বসতি ছাড়লে তাদের আশ্রয় মিলবে কোথায় সেটা একটা প্রশ্ন। অন্য কোথাও নিরাপদ বাসস্থানের ব্যবস্থা করার সঙ্গতি তাদের নেই। তাদের টেকসই পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা দরকার। পাহাড় ধসে জানমালের ক্ষতি রোধ করতে হলে সবার আগে স্থায়ী পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে।