alt

সম্পাদকীয়

পাহাড় ধসে মর্মান্তিক মৃত্যু

: শুক্রবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২২

গত বুধবার সন্ধ্যায় কক্সবাজারের রামু উপজেলায় পাহাড় ধসে মারা গেছে একই পরিবারের চার সদস্য। নিহতরা পাহাড় সংলগ্ন টিনশেড ঘরে বাস করত। পাহাড় থেকে মাটির বিশাল খন্ড তাদের বসবাসস্থলে ধসে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই তারা মারা গেছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেছেন, সংশ্লিষ্ট পাহাড়ের আশপাশের কিছু ইটের ভাটার জন্য দীর্ঘ দিন ধরে মাটি খনন করা হচ্ছে। মাটি খননের কারণে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটতে পারে।

দেশে পাহাড় ধসে প্রায়ই মানুষ হতাহতের ঘটনা ঘটে। বর্ষা মৌসুমে পাহাড় ধসে হতাহতের ঘটনা ঘটে বেশি। তবে অন্যান্য সময়ও এ ধরনের খবর পাওয়া যায়। এর জন্য দায়ী হচ্ছে নির্বিচারে পাহাড় কাটা। প্রকাশ্যেই পাহাড় কেটে ধ্বংস করা হলেও এর বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। অতীতে ভয়াবহ পাহাড় ধসের ঘটনায় কমিটি করা হয়েছে। কমিটি ধসের কারণ অনুসন্ধান করে দেখেছে। তারা অনেক সুপারিশও করেছে।

কিন্তু সেসব সুপারিশ বাস্তবায়ন করা হয়েছে বলে জানা যায় না। পাহাড় কাটা বন্ধ হয়নি। নির্বিচারে পাথর তোলা হচ্ছে। সেখানকার গাছ কাটা হচ্ছে। ব্যাপক হারে বনায়নের কথা বলা হলেও সেটা করা যায়নি। যে কারণে পাহাড়গুলোকে রক্ষা করা যাচ্ছে না। আমরা বলতে চাই, পাহাড় রক্ষা করতে হলে সংশ্লিষ্ট আইন সুপারিশের কঠোর বাস্তবায়ন করতে হবে। যাদের কারণে পাহাড় বিপন্ন হয়ে পড়েছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার বিকল্প নেই। এজন্য সংশ্লিষ্টদের সদিচ্ছা থাকা জরুরি।

পাহাড় ধসে জানমালের ক্ষয়ক্ষতিও রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। এর কারণ হচ্ছে- পাহাড়ে মানুষের ঝুঁকিপূর্ণ বসবাস বন্ধ হয়নি। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাহাড়ে যারা বসবাস করে তাদের সিংহভাগই নিম্নআয়ের দরিদ্র মানুষ। হুট করে সেখানকার বসতি ছাড়লে তাদের আশ্রয় মিলবে কোথায় সেটা একটা প্রশ্ন। অন্য কোথাও নিরাপদ বাসস্থানের ব্যবস্থা করার সঙ্গতি তাদের নেই। তাদের টেকসই পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা দরকার। পাহাড় ধসে জানমালের ক্ষতি রোধ করতে হলে সবার আগে স্থায়ী পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে।

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কার করুন

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

স্লুইসগেটের ফাটল মেরামতে উদ্যোগ নিন

পরিবেশ দূষণ বন্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

রংপুর শিশু হাসপাতাল চালু হতে কালক্ষেপণ কেন

দেশে এত খাবার অপচয়ের কারণ কী

রায়গঞ্জে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ দূর করুন

প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরে থাকা জনগোষ্ঠী নিয়ে ভাবতে হবে

জলাশয় দূষণের জন্য দায়ী কারখানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তোলা বন্ধ করুন

বহরবুনিয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভবন নির্মাণে আর কত বিলম্ব

মশার উপদ্রব থেকে নগরবাসীকে মুক্তি দিন

সিলেট ‘ইইডি’ কার্যালয়ের অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ

পাহাড় কাটা বন্ধ করুন

স্বাধীনতার ৫৪ বছর : মানুষের আশা-আকাক্সক্ষা কতটা পূরণ হলো

চিকিৎসক সংকট দূর করুন

tab

সম্পাদকীয়

পাহাড় ধসে মর্মান্তিক মৃত্যু

শুক্রবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২২

গত বুধবার সন্ধ্যায় কক্সবাজারের রামু উপজেলায় পাহাড় ধসে মারা গেছে একই পরিবারের চার সদস্য। নিহতরা পাহাড় সংলগ্ন টিনশেড ঘরে বাস করত। পাহাড় থেকে মাটির বিশাল খন্ড তাদের বসবাসস্থলে ধসে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই তারা মারা গেছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেছেন, সংশ্লিষ্ট পাহাড়ের আশপাশের কিছু ইটের ভাটার জন্য দীর্ঘ দিন ধরে মাটি খনন করা হচ্ছে। মাটি খননের কারণে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটতে পারে।

দেশে পাহাড় ধসে প্রায়ই মানুষ হতাহতের ঘটনা ঘটে। বর্ষা মৌসুমে পাহাড় ধসে হতাহতের ঘটনা ঘটে বেশি। তবে অন্যান্য সময়ও এ ধরনের খবর পাওয়া যায়। এর জন্য দায়ী হচ্ছে নির্বিচারে পাহাড় কাটা। প্রকাশ্যেই পাহাড় কেটে ধ্বংস করা হলেও এর বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। অতীতে ভয়াবহ পাহাড় ধসের ঘটনায় কমিটি করা হয়েছে। কমিটি ধসের কারণ অনুসন্ধান করে দেখেছে। তারা অনেক সুপারিশও করেছে।

কিন্তু সেসব সুপারিশ বাস্তবায়ন করা হয়েছে বলে জানা যায় না। পাহাড় কাটা বন্ধ হয়নি। নির্বিচারে পাথর তোলা হচ্ছে। সেখানকার গাছ কাটা হচ্ছে। ব্যাপক হারে বনায়নের কথা বলা হলেও সেটা করা যায়নি। যে কারণে পাহাড়গুলোকে রক্ষা করা যাচ্ছে না। আমরা বলতে চাই, পাহাড় রক্ষা করতে হলে সংশ্লিষ্ট আইন সুপারিশের কঠোর বাস্তবায়ন করতে হবে। যাদের কারণে পাহাড় বিপন্ন হয়ে পড়েছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার বিকল্প নেই। এজন্য সংশ্লিষ্টদের সদিচ্ছা থাকা জরুরি।

পাহাড় ধসে জানমালের ক্ষয়ক্ষতিও রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। এর কারণ হচ্ছে- পাহাড়ে মানুষের ঝুঁকিপূর্ণ বসবাস বন্ধ হয়নি। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাহাড়ে যারা বসবাস করে তাদের সিংহভাগই নিম্নআয়ের দরিদ্র মানুষ। হুট করে সেখানকার বসতি ছাড়লে তাদের আশ্রয় মিলবে কোথায় সেটা একটা প্রশ্ন। অন্য কোথাও নিরাপদ বাসস্থানের ব্যবস্থা করার সঙ্গতি তাদের নেই। তাদের টেকসই পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা দরকার। পাহাড় ধসে জানমালের ক্ষতি রোধ করতে হলে সবার আগে স্থায়ী পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে।

back to top