রাজধানী ঢাকাকে যানজটমুক্ত করার লক্ষ্যে একাধিকবার বৃত্তাকার নৌপথ চালু করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কোনোবারই সেটা টেকসই হয়নি। বৃত্তাকার নৌপথে প্রকল্পের অধীনে ৯ কোটি ২১ লাখ টাকায় ১২টি ওয়াটার বাস কেনা হয়েছিলি; এসব ওয়াটার বাসের মধ্যে পাঁচটি অকেজো হয়ে পড়েছে বলে জানা গেছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
রাজধানীতে ২০০৪ সালে প্রথম নৌপথ চালু হয়। সেবার নৌপথ চালু হওয়ার মাস খানেকের মধ্যেই মুখ থুবড়ে পড়ে সেই প্রকল্প। ২০১০ সালে দ্বিতীয় দফায় চালু হয়। সেবার এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে নৌপথ সেবা বন্ধে হয়ে যায়। ২০১৩ সালে আবার সেটা চালু হয় এবং যথারীতি কিছুদিন পর বন্ধ হয়। এর পরের বছরও চালু ও বন্ধ হওয়ার বৃত্ত থেকে বের হওয়া যায়নি।
নৌপথে মানুষকে আকৃষ্ট করার জন্য এর সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ করা হয়েছিল। বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা এবং বালু নদীর তীরভূমিতে পিলার স্থাপন, তীররক্ষা, ওয়াকওয়ে, ইকোপার্ক ও জেটিসহ বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণে প্রায় সাড়ে আটশ’ কোটি টাকার প্রকল্পটি নেয়া হয়েছিল ২০১৮ সালে জুলাইয়ে। এরপরও নৌপথে যাত্রী আকর্ষণ করা যায়নি।
নৌপথ টেকসইভাবে চালু রাখতে না পারার অন্যতম কারণ হচ্ছে, নদ-নদী দখল ও দূষণ। কোনোভাবেই দখল-দূষণ বন্ধ করা যাচ্ছে না। অবৈধ দখল ও দূষণের শিকার রাজধানীর নদ-নদী ভরাট হয়ে যাচ্ছে। নদ-নদীর দখল ও দূষণ বন্ধ করা জরুরি।
নদ-নদীর ওপরে অপরিকল্পিতভাবে নির্মাণ করা হয়েছে সেতু। নির্মিত সড়ক ও রেলপথের একাধিক সেতুর উচ্চতা কম হওয়ার কারণে এর নিচ দিয়ে বর্ষা মৌসুমে পণ্য ও যাত্রীবাহী নৌযান ঠিকমতো চলতে পারে না।
রাজধানীর বৃত্তাকার নৌপথে চলাচলের বাধা দূর করতে সরকার কম উচ্চতার ১৬টি সেতু ভেঙে ফেলার উদ্যোগ নিয়েছে। আবার নতুন করে কম উচ্চতার আরও দুটি সেতু তৈরি করার কথাও শোনা গেছে। নৌপথ নিয়ে তুঘলকি কান্ডকারখানা বন্ধ না হলে অবস্থার উত্তরণ ঘটবে না। নদীর ওপর অপরিকল্পিতভাবে সেতু বানানোর অপসংস্কৃতি ত্যাগ করতে হবে।
আমরা বলতে চাই, রাজধানীর যানজট দূর করতে হলে বৃত্তাকার নৌপথের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে। নৌপথ চালু হলে মানুষের সময় ও অর্থ দুই-ই বাঁচবে। এজন্য সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।
শুক্রবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২২
রাজধানী ঢাকাকে যানজটমুক্ত করার লক্ষ্যে একাধিকবার বৃত্তাকার নৌপথ চালু করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কোনোবারই সেটা টেকসই হয়নি। বৃত্তাকার নৌপথে প্রকল্পের অধীনে ৯ কোটি ২১ লাখ টাকায় ১২টি ওয়াটার বাস কেনা হয়েছিলি; এসব ওয়াটার বাসের মধ্যে পাঁচটি অকেজো হয়ে পড়েছে বলে জানা গেছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
রাজধানীতে ২০০৪ সালে প্রথম নৌপথ চালু হয়। সেবার নৌপথ চালু হওয়ার মাস খানেকের মধ্যেই মুখ থুবড়ে পড়ে সেই প্রকল্প। ২০১০ সালে দ্বিতীয় দফায় চালু হয়। সেবার এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে নৌপথ সেবা বন্ধে হয়ে যায়। ২০১৩ সালে আবার সেটা চালু হয় এবং যথারীতি কিছুদিন পর বন্ধ হয়। এর পরের বছরও চালু ও বন্ধ হওয়ার বৃত্ত থেকে বের হওয়া যায়নি।
নৌপথে মানুষকে আকৃষ্ট করার জন্য এর সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ করা হয়েছিল। বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা এবং বালু নদীর তীরভূমিতে পিলার স্থাপন, তীররক্ষা, ওয়াকওয়ে, ইকোপার্ক ও জেটিসহ বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণে প্রায় সাড়ে আটশ’ কোটি টাকার প্রকল্পটি নেয়া হয়েছিল ২০১৮ সালে জুলাইয়ে। এরপরও নৌপথে যাত্রী আকর্ষণ করা যায়নি।
নৌপথ টেকসইভাবে চালু রাখতে না পারার অন্যতম কারণ হচ্ছে, নদ-নদী দখল ও দূষণ। কোনোভাবেই দখল-দূষণ বন্ধ করা যাচ্ছে না। অবৈধ দখল ও দূষণের শিকার রাজধানীর নদ-নদী ভরাট হয়ে যাচ্ছে। নদ-নদীর দখল ও দূষণ বন্ধ করা জরুরি।
নদ-নদীর ওপরে অপরিকল্পিতভাবে নির্মাণ করা হয়েছে সেতু। নির্মিত সড়ক ও রেলপথের একাধিক সেতুর উচ্চতা কম হওয়ার কারণে এর নিচ দিয়ে বর্ষা মৌসুমে পণ্য ও যাত্রীবাহী নৌযান ঠিকমতো চলতে পারে না।
রাজধানীর বৃত্তাকার নৌপথে চলাচলের বাধা দূর করতে সরকার কম উচ্চতার ১৬টি সেতু ভেঙে ফেলার উদ্যোগ নিয়েছে। আবার নতুন করে কম উচ্চতার আরও দুটি সেতু তৈরি করার কথাও শোনা গেছে। নৌপথ নিয়ে তুঘলকি কান্ডকারখানা বন্ধ না হলে অবস্থার উত্তরণ ঘটবে না। নদীর ওপর অপরিকল্পিতভাবে সেতু বানানোর অপসংস্কৃতি ত্যাগ করতে হবে।
আমরা বলতে চাই, রাজধানীর যানজট দূর করতে হলে বৃত্তাকার নৌপথের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে। নৌপথ চালু হলে মানুষের সময় ও অর্থ দুই-ই বাঁচবে। এজন্য সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।