চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ের করেরহাটে পাহাড় কাটা হচ্ছে। রাতের আঁধারে যেমন, দিনের আলোয় তেমন কাটা হচ্ছে পাহাড়। এর বিরুদ্ধে নেয়া হচ্ছে না কোন ব্যবস্থা। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ নিয়ে গত শুক্রবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
অতীতেও দেখা গেছে দিন-দুপুরে জনসম্মুখে পাহাড় কাটলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কার্যকর কোন ব্যবস্থা নেয়া হয় না। যাদের পাহাড় রক্ষায় কাজ করার কথা তারাই অনেক সময় পাহাড় ধ্বংস করেন। চট্টগ্রাম নগরের আকবর শাহ এলাকার পাহাড় কাটা বন্ধের বিষয়ে হাইকোর্টের নির্দেশনা রয়েছে। বাস্তবে সেখানে পাহাড় কাটা চলছে। অভিযোগ উঠেছে যে, স্থানীয় কাউন্সিলর একটি বাহিনী গড়ে তুলে পাহাড় ও ছড়া ধ্বংস করছেন। এ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
প্রশ্ন হচ্ছে, রক্ষক যদি ভক্ষক হয় তাহলে পাহাড়গুলোকে রক্ষা করবে কে।
প্রকৃতির ইকোসিস্টেমের অপরিহার্য উপাদন পাহাড়। দেশের পাহাড়গুলো আর কতদিন ইকোসিস্টেম রক্ষা করতে পারবে সেটা নিয়ে সংশয় আছে। মানুষের আগ্রাসী ভূমিকার কারণে এগুলোর অস্তিত্ব বিলীন হতে চলছে। অবৈধভাবে পাহাড় কাটা ও পাথর উত্তোলন নৈমত্তিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। এ কারণে প্রায়ই পাহাড় ধসসহ নানা দুর্ঘটনা ঘটে।
২০১৭ সালের ১২ থেকে ১৩ জুন পার্বত্য তিন জেলাসহ ছয় জেলায় পাহাড় ধসে ১৬৮ জন নিহত হয়, আহত হয় চার শতাধিক। নির্বিচারে পাহাড় ধ্বংসের কারণে নিঃশেষ হচ্ছে হয়ে যাচ্ছে গাছপালা, হারিয়ে যাচ্ছে জীববৈচিত্র্য। হুমকির মুখে রয়েছে প্রাণ-প্রকৃতি।
নির্বিচারে পাহাড় কাটা এখনই বন্ধ করতে হবে। পাহাড় কাটা রোধে পরিবেশ অধিদপ্তরকে মাঝে মাঝে পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়। তবে এক্ষেত্রে জরুরি হচ্ছে, পাহাড় কাটার সঙ্গে প্রকৃত যারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়া। বিশেষ করে, মূল হোতা বা রাঘববোয়ালদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া জরুরি।
অভিযোগ আছে যে, অভিযানে প্রায়ই শ্রমিকদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়। পাহাড় কাটার মূল হোতা যারা, তারা যদি ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে, তাহলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে না। আমরা বলতে চাই, পরিবেশ অধিদপ্তর পাহাড় কাটার মূল হোতা বা রাঘববোয়ালদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক।
রোববার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৩
চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ের করেরহাটে পাহাড় কাটা হচ্ছে। রাতের আঁধারে যেমন, দিনের আলোয় তেমন কাটা হচ্ছে পাহাড়। এর বিরুদ্ধে নেয়া হচ্ছে না কোন ব্যবস্থা। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ নিয়ে গত শুক্রবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
অতীতেও দেখা গেছে দিন-দুপুরে জনসম্মুখে পাহাড় কাটলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কার্যকর কোন ব্যবস্থা নেয়া হয় না। যাদের পাহাড় রক্ষায় কাজ করার কথা তারাই অনেক সময় পাহাড় ধ্বংস করেন। চট্টগ্রাম নগরের আকবর শাহ এলাকার পাহাড় কাটা বন্ধের বিষয়ে হাইকোর্টের নির্দেশনা রয়েছে। বাস্তবে সেখানে পাহাড় কাটা চলছে। অভিযোগ উঠেছে যে, স্থানীয় কাউন্সিলর একটি বাহিনী গড়ে তুলে পাহাড় ও ছড়া ধ্বংস করছেন। এ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
প্রশ্ন হচ্ছে, রক্ষক যদি ভক্ষক হয় তাহলে পাহাড়গুলোকে রক্ষা করবে কে।
প্রকৃতির ইকোসিস্টেমের অপরিহার্য উপাদন পাহাড়। দেশের পাহাড়গুলো আর কতদিন ইকোসিস্টেম রক্ষা করতে পারবে সেটা নিয়ে সংশয় আছে। মানুষের আগ্রাসী ভূমিকার কারণে এগুলোর অস্তিত্ব বিলীন হতে চলছে। অবৈধভাবে পাহাড় কাটা ও পাথর উত্তোলন নৈমত্তিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। এ কারণে প্রায়ই পাহাড় ধসসহ নানা দুর্ঘটনা ঘটে।
২০১৭ সালের ১২ থেকে ১৩ জুন পার্বত্য তিন জেলাসহ ছয় জেলায় পাহাড় ধসে ১৬৮ জন নিহত হয়, আহত হয় চার শতাধিক। নির্বিচারে পাহাড় ধ্বংসের কারণে নিঃশেষ হচ্ছে হয়ে যাচ্ছে গাছপালা, হারিয়ে যাচ্ছে জীববৈচিত্র্য। হুমকির মুখে রয়েছে প্রাণ-প্রকৃতি।
নির্বিচারে পাহাড় কাটা এখনই বন্ধ করতে হবে। পাহাড় কাটা রোধে পরিবেশ অধিদপ্তরকে মাঝে মাঝে পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়। তবে এক্ষেত্রে জরুরি হচ্ছে, পাহাড় কাটার সঙ্গে প্রকৃত যারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়া। বিশেষ করে, মূল হোতা বা রাঘববোয়ালদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া জরুরি।
অভিযোগ আছে যে, অভিযানে প্রায়ই শ্রমিকদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়। পাহাড় কাটার মূল হোতা যারা, তারা যদি ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে, তাহলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে না। আমরা বলতে চাই, পরিবেশ অধিদপ্তর পাহাড় কাটার মূল হোতা বা রাঘববোয়ালদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক।