alt

সম্পাদকীয়

নারী শ্রমিকদের মজুরিবঞ্চনা

: বুধবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে পুরুষ শ্রমিকরা দিনে মজুরি পাচ্ছেন ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা আর নারী শ্রমিকরা পাচ্ছেন ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। যদিও উভয়েই সমান কাজ করছেন। নারী শ্রমিকরা মজুরি বৈষম্য কমানোর দাবি জানালেও সেটা উপেক্ষিতই রয়ে যায়। জীবিকার তাগিদে বাধ্য হয়ে তাদের কম মজুরিতে কাজ করতে হচ্ছে। এ নিয়ে গত মঙ্গলবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

শুধু রাজশাহীর এই একটি এলাকাতেই নয়, দেশের সব অঞ্চলেই কমবেশি নারী শ্রমিকরা মজুরি বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। কৃষিসহ বিভিন্ন খাতে কর্মরত নারীরা প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তারা যে কম কাজ করেন বা কাজে অদক্ষ তা নয়। কাজ করছেন পুরুষের সমান কিন্তু মজুরি পাচ্ছেন তাদের চেয়ে ঢের কম। মজুরি কম পেলেও এর বিরুদ্ধে প্রায়ই নারীরা কথাও বলতে পারেন না। কেউ কেউ প্রতিবাদ করলেও প্রতিকার আর পান না। এই অবস্থা চলছে যুগ যুগ ধরে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অনানুষ্ঠানিক খাতে মজুরি বৈষম্য প্রকট আকার ধারণ করেছে। শ্রম খাতে নারীদের সক্ষমতা বা দক্ষতায় ঘাটতি নেই। নারীরা কোথাও পুরুষদের তুলনায় কম কাজ করছেন বলে জানা যায় না। বরং অনেক ক্ষেত্রেই পুরুষ শ্রমিকদের তুলনায় নারী শ্রমিকদেরই বেশি পরিশ্রম করতে দেখা যায়। আর তাদের কাজের গুণগত মানও সন্তোষজনক। এরপরও সংশ্লিষ্টরা তাদের প্রাপ্য মজুরি দিতে কার্পণ্য করেন, নারীদের ন্যায্য পাওনা দেন না।

দেশের প্রকৃত উন্নয়ন-অগ্রগতি নিশ্চিত করতে হলে নারী শ্রমিকদের আর্থিকবঞ্চনা দূর করতে হবে। মজুরি-বৈষম্য মুক্ত সমাজ গড়ে তোলার বিকল্প নাই। নারী শ্রমিকদের বঞ্চিত করে সমাজের সত্যিকারের উন্নতি নিশ্চিত করা যাবে না।

আমরা মজুরি-বৈষম্যমুক্ত সমাজ চাই। নারী শ্রমিককে তার ন্যায্য পাওনা দেয়া হচ্ছে এমনটাই দেখতে চাই। নারী শ্রমিকের প্রতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা জরুরি। মালিকশ্রেণীর মনোভাব বদলানোর জন্য সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

দেশে নারী শ্রমিকরা ন্যায্য মজুরি পাচ্ছে কিনা সেটা সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে। সরকার নারী-পুরুষের সমতার কথা বলে। তাদের এর বাস্তব রূপ দিতে হবে।

ডায়রিয়া প্রতিরোধে চাই জনসচেতনতা

ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন সড়কে চলছে কীভাবে

গোবিন্দগঞ্জে নিয়মনীতি উপেক্ষা করে গাছ কাটার অভিযোগ আমলে নিন

নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা জরুরি

অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম ব্যবহারে চাই সচেতনতা

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

ভোলাডুবা হাওরের বোরো খেতের পানি নিষ্কাশনে ব্যবস্থা নিন

কিশোর গ্যাংয়ের প্রশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে

আদমজী ইপিজেড সড়ক মেরামতে আর কত কালক্ষেপণ

নদ-নদীর নাব্য রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কার করুন

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

স্লুইসগেটের ফাটল মেরামতে উদ্যোগ নিন

পরিবেশ দূষণ বন্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

রংপুর শিশু হাসপাতাল চালু হতে কালক্ষেপণ কেন

দেশে এত খাবার অপচয়ের কারণ কী

tab

সম্পাদকীয়

নারী শ্রমিকদের মজুরিবঞ্চনা

বুধবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে পুরুষ শ্রমিকরা দিনে মজুরি পাচ্ছেন ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা আর নারী শ্রমিকরা পাচ্ছেন ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। যদিও উভয়েই সমান কাজ করছেন। নারী শ্রমিকরা মজুরি বৈষম্য কমানোর দাবি জানালেও সেটা উপেক্ষিতই রয়ে যায়। জীবিকার তাগিদে বাধ্য হয়ে তাদের কম মজুরিতে কাজ করতে হচ্ছে। এ নিয়ে গত মঙ্গলবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

শুধু রাজশাহীর এই একটি এলাকাতেই নয়, দেশের সব অঞ্চলেই কমবেশি নারী শ্রমিকরা মজুরি বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। কৃষিসহ বিভিন্ন খাতে কর্মরত নারীরা প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তারা যে কম কাজ করেন বা কাজে অদক্ষ তা নয়। কাজ করছেন পুরুষের সমান কিন্তু মজুরি পাচ্ছেন তাদের চেয়ে ঢের কম। মজুরি কম পেলেও এর বিরুদ্ধে প্রায়ই নারীরা কথাও বলতে পারেন না। কেউ কেউ প্রতিবাদ করলেও প্রতিকার আর পান না। এই অবস্থা চলছে যুগ যুগ ধরে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অনানুষ্ঠানিক খাতে মজুরি বৈষম্য প্রকট আকার ধারণ করেছে। শ্রম খাতে নারীদের সক্ষমতা বা দক্ষতায় ঘাটতি নেই। নারীরা কোথাও পুরুষদের তুলনায় কম কাজ করছেন বলে জানা যায় না। বরং অনেক ক্ষেত্রেই পুরুষ শ্রমিকদের তুলনায় নারী শ্রমিকদেরই বেশি পরিশ্রম করতে দেখা যায়। আর তাদের কাজের গুণগত মানও সন্তোষজনক। এরপরও সংশ্লিষ্টরা তাদের প্রাপ্য মজুরি দিতে কার্পণ্য করেন, নারীদের ন্যায্য পাওনা দেন না।

দেশের প্রকৃত উন্নয়ন-অগ্রগতি নিশ্চিত করতে হলে নারী শ্রমিকদের আর্থিকবঞ্চনা দূর করতে হবে। মজুরি-বৈষম্য মুক্ত সমাজ গড়ে তোলার বিকল্প নাই। নারী শ্রমিকদের বঞ্চিত করে সমাজের সত্যিকারের উন্নতি নিশ্চিত করা যাবে না।

আমরা মজুরি-বৈষম্যমুক্ত সমাজ চাই। নারী শ্রমিককে তার ন্যায্য পাওনা দেয়া হচ্ছে এমনটাই দেখতে চাই। নারী শ্রমিকের প্রতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা জরুরি। মালিকশ্রেণীর মনোভাব বদলানোর জন্য সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

দেশে নারী শ্রমিকরা ন্যায্য মজুরি পাচ্ছে কিনা সেটা সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে। সরকার নারী-পুরুষের সমতার কথা বলে। তাদের এর বাস্তব রূপ দিতে হবে।

back to top