রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে পুরুষ শ্রমিকরা দিনে মজুরি পাচ্ছেন ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা আর নারী শ্রমিকরা পাচ্ছেন ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। যদিও উভয়েই সমান কাজ করছেন। নারী শ্রমিকরা মজুরি বৈষম্য কমানোর দাবি জানালেও সেটা উপেক্ষিতই রয়ে যায়। জীবিকার তাগিদে বাধ্য হয়ে তাদের কম মজুরিতে কাজ করতে হচ্ছে। এ নিয়ে গত মঙ্গলবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
শুধু রাজশাহীর এই একটি এলাকাতেই নয়, দেশের সব অঞ্চলেই কমবেশি নারী শ্রমিকরা মজুরি বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। কৃষিসহ বিভিন্ন খাতে কর্মরত নারীরা প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তারা যে কম কাজ করেন বা কাজে অদক্ষ তা নয়। কাজ করছেন পুরুষের সমান কিন্তু মজুরি পাচ্ছেন তাদের চেয়ে ঢের কম। মজুরি কম পেলেও এর বিরুদ্ধে প্রায়ই নারীরা কথাও বলতে পারেন না। কেউ কেউ প্রতিবাদ করলেও প্রতিকার আর পান না। এই অবস্থা চলছে যুগ যুগ ধরে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অনানুষ্ঠানিক খাতে মজুরি বৈষম্য প্রকট আকার ধারণ করেছে। শ্রম খাতে নারীদের সক্ষমতা বা দক্ষতায় ঘাটতি নেই। নারীরা কোথাও পুরুষদের তুলনায় কম কাজ করছেন বলে জানা যায় না। বরং অনেক ক্ষেত্রেই পুরুষ শ্রমিকদের তুলনায় নারী শ্রমিকদেরই বেশি পরিশ্রম করতে দেখা যায়। আর তাদের কাজের গুণগত মানও সন্তোষজনক। এরপরও সংশ্লিষ্টরা তাদের প্রাপ্য মজুরি দিতে কার্পণ্য করেন, নারীদের ন্যায্য পাওনা দেন না।
দেশের প্রকৃত উন্নয়ন-অগ্রগতি নিশ্চিত করতে হলে নারী শ্রমিকদের আর্থিকবঞ্চনা দূর করতে হবে। মজুরি-বৈষম্য মুক্ত সমাজ গড়ে তোলার বিকল্প নাই। নারী শ্রমিকদের বঞ্চিত করে সমাজের সত্যিকারের উন্নতি নিশ্চিত করা যাবে না।
আমরা মজুরি-বৈষম্যমুক্ত সমাজ চাই। নারী শ্রমিককে তার ন্যায্য পাওনা দেয়া হচ্ছে এমনটাই দেখতে চাই। নারী শ্রমিকের প্রতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা জরুরি। মালিকশ্রেণীর মনোভাব বদলানোর জন্য সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
দেশে নারী শ্রমিকরা ন্যায্য মজুরি পাচ্ছে কিনা সেটা সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে। সরকার নারী-পুরুষের সমতার কথা বলে। তাদের এর বাস্তব রূপ দিতে হবে।
বুধবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে পুরুষ শ্রমিকরা দিনে মজুরি পাচ্ছেন ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা আর নারী শ্রমিকরা পাচ্ছেন ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। যদিও উভয়েই সমান কাজ করছেন। নারী শ্রমিকরা মজুরি বৈষম্য কমানোর দাবি জানালেও সেটা উপেক্ষিতই রয়ে যায়। জীবিকার তাগিদে বাধ্য হয়ে তাদের কম মজুরিতে কাজ করতে হচ্ছে। এ নিয়ে গত মঙ্গলবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
শুধু রাজশাহীর এই একটি এলাকাতেই নয়, দেশের সব অঞ্চলেই কমবেশি নারী শ্রমিকরা মজুরি বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। কৃষিসহ বিভিন্ন খাতে কর্মরত নারীরা প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তারা যে কম কাজ করেন বা কাজে অদক্ষ তা নয়। কাজ করছেন পুরুষের সমান কিন্তু মজুরি পাচ্ছেন তাদের চেয়ে ঢের কম। মজুরি কম পেলেও এর বিরুদ্ধে প্রায়ই নারীরা কথাও বলতে পারেন না। কেউ কেউ প্রতিবাদ করলেও প্রতিকার আর পান না। এই অবস্থা চলছে যুগ যুগ ধরে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অনানুষ্ঠানিক খাতে মজুরি বৈষম্য প্রকট আকার ধারণ করেছে। শ্রম খাতে নারীদের সক্ষমতা বা দক্ষতায় ঘাটতি নেই। নারীরা কোথাও পুরুষদের তুলনায় কম কাজ করছেন বলে জানা যায় না। বরং অনেক ক্ষেত্রেই পুরুষ শ্রমিকদের তুলনায় নারী শ্রমিকদেরই বেশি পরিশ্রম করতে দেখা যায়। আর তাদের কাজের গুণগত মানও সন্তোষজনক। এরপরও সংশ্লিষ্টরা তাদের প্রাপ্য মজুরি দিতে কার্পণ্য করেন, নারীদের ন্যায্য পাওনা দেন না।
দেশের প্রকৃত উন্নয়ন-অগ্রগতি নিশ্চিত করতে হলে নারী শ্রমিকদের আর্থিকবঞ্চনা দূর করতে হবে। মজুরি-বৈষম্য মুক্ত সমাজ গড়ে তোলার বিকল্প নাই। নারী শ্রমিকদের বঞ্চিত করে সমাজের সত্যিকারের উন্নতি নিশ্চিত করা যাবে না।
আমরা মজুরি-বৈষম্যমুক্ত সমাজ চাই। নারী শ্রমিককে তার ন্যায্য পাওনা দেয়া হচ্ছে এমনটাই দেখতে চাই। নারী শ্রমিকের প্রতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা জরুরি। মালিকশ্রেণীর মনোভাব বদলানোর জন্য সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
দেশে নারী শ্রমিকরা ন্যায্য মজুরি পাচ্ছে কিনা সেটা সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে। সরকার নারী-পুরুষের সমতার কথা বলে। তাদের এর বাস্তব রূপ দিতে হবে।