খুলনার ময়ূর নদের প্রাণ ফেরাতে ও নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে সাড়ে সাত কোটি টাকা ব্যয়ে খনন কাজ শুরু হয়েছিল গত ডিসেম্বরে। কিন্তু অবৈধ দখলদারদের বাধার কারণে খনন কাজ বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। এছাড়া খনন কাজ করার আগে নদীর সীমানার নকশা তৈরি এবং পাড়ের অবৈধ দখলদারদের বাড়িঘর উচ্ছেদ না করায় খনন কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না বলে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে। এ নিয়ে গতকাল শনিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
নদী খনন করা অত্যন্ত জরুরি। নদী খনন না করা হলে দখলে-দূষণে সরু হয়ে যায়। রূপসা নদীর সঙ্গে ময়ূর নদের সরাসরি সংযোগ থাকলেও ময়ূর হয়ে উঠেছে বদ্ধ নদ। স্রোতস্বিনী নদটি হারিয়েছে তার সৌন্দর্য ও গতি। এটি এখন মরা খাল। প্রভাবশালীরা নদের পাড় দখল করে বসতবাড়ি ও ফসলি জমি বানিয়েছে। নদের যেটুকু এখনো টিকে আছে সেটুকুতে ময়লা-আবর্জনার ভাগাড় বানিয়েছে নদের পাড়ের মানুষেরা। ফলে পানিপ্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। যে কারণে একটু বৃষ্টি হলেই খুলনা নগর জলাবদ্ধ হয়ে ওঠে।
অভিযোগ উঠেছে যে, ময়ূর নদ খননের নামে অর্থের অপচয়ই শুধু হয়, সুফল মেলে না কিছুই। প্রশাসন একাধিকবার নদের অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করেছে, কদিনের ব্যবধানে আবারও যা ছিল তা-ই হয়ে গেছে। এ কারণে মূল নদের জায়গা ছোট হয়ে গেছে।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নদের সীমানা নির্ধারণ না করে কাজ শুরু করে কিভাবে। নদের তীর দখলমুক্ত না করে কাজ করা হলে সেটা পদে পদে হোঁচট খাবে তা তো জানা কথা। এতে রাষ্ট্রের টাকারই অপচয় হয় শুধু।
শুধু খুলনাতেই না, দেশের অনেক স্থানে নদ-নদী খননের সময় নানান বাধা-বিপত্তি দেখা দেয়। নদ-নদী খননের কাজে সংশ্লিষ্ট যেসব কর্তৃপক্ষের সমন্বিতভাবে কাজ করার কথা তারা যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করে না বলে অভিযোগ রয়েছে। ময়ূর নদ খননের ক্ষেত্রেও এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। দেশের বিদ্যমান বাস্তবতায় নদ-নদী খননের কাজ কোনো একক কর্তৃপক্ষের পক্ষে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষকে সমন্বয় করে এ কাজ করতে হবে। ময়ূর নদ খননের কাজে সবাই বাধা দূর করতে জরুরি পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে এমনটাই আমরা দেখতে চাই।
রোববার, ১২ মার্চ ২০২৩
খুলনার ময়ূর নদের প্রাণ ফেরাতে ও নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে সাড়ে সাত কোটি টাকা ব্যয়ে খনন কাজ শুরু হয়েছিল গত ডিসেম্বরে। কিন্তু অবৈধ দখলদারদের বাধার কারণে খনন কাজ বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। এছাড়া খনন কাজ করার আগে নদীর সীমানার নকশা তৈরি এবং পাড়ের অবৈধ দখলদারদের বাড়িঘর উচ্ছেদ না করায় খনন কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না বলে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে। এ নিয়ে গতকাল শনিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
নদী খনন করা অত্যন্ত জরুরি। নদী খনন না করা হলে দখলে-দূষণে সরু হয়ে যায়। রূপসা নদীর সঙ্গে ময়ূর নদের সরাসরি সংযোগ থাকলেও ময়ূর হয়ে উঠেছে বদ্ধ নদ। স্রোতস্বিনী নদটি হারিয়েছে তার সৌন্দর্য ও গতি। এটি এখন মরা খাল। প্রভাবশালীরা নদের পাড় দখল করে বসতবাড়ি ও ফসলি জমি বানিয়েছে। নদের যেটুকু এখনো টিকে আছে সেটুকুতে ময়লা-আবর্জনার ভাগাড় বানিয়েছে নদের পাড়ের মানুষেরা। ফলে পানিপ্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। যে কারণে একটু বৃষ্টি হলেই খুলনা নগর জলাবদ্ধ হয়ে ওঠে।
অভিযোগ উঠেছে যে, ময়ূর নদ খননের নামে অর্থের অপচয়ই শুধু হয়, সুফল মেলে না কিছুই। প্রশাসন একাধিকবার নদের অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করেছে, কদিনের ব্যবধানে আবারও যা ছিল তা-ই হয়ে গেছে। এ কারণে মূল নদের জায়গা ছোট হয়ে গেছে।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নদের সীমানা নির্ধারণ না করে কাজ শুরু করে কিভাবে। নদের তীর দখলমুক্ত না করে কাজ করা হলে সেটা পদে পদে হোঁচট খাবে তা তো জানা কথা। এতে রাষ্ট্রের টাকারই অপচয় হয় শুধু।
শুধু খুলনাতেই না, দেশের অনেক স্থানে নদ-নদী খননের সময় নানান বাধা-বিপত্তি দেখা দেয়। নদ-নদী খননের কাজে সংশ্লিষ্ট যেসব কর্তৃপক্ষের সমন্বিতভাবে কাজ করার কথা তারা যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করে না বলে অভিযোগ রয়েছে। ময়ূর নদ খননের ক্ষেত্রেও এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। দেশের বিদ্যমান বাস্তবতায় নদ-নদী খননের কাজ কোনো একক কর্তৃপক্ষের পক্ষে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষকে সমন্বয় করে এ কাজ করতে হবে। ময়ূর নদ খননের কাজে সবাই বাধা দূর করতে জরুরি পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে এমনটাই আমরা দেখতে চাই।