alt

সম্পাদকীয়

ময়ূর নদ খননে সব বাধা দূর করুন

: রোববার, ১২ মার্চ ২০২৩

খুলনার ময়ূর নদের প্রাণ ফেরাতে ও নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে সাড়ে সাত কোটি টাকা ব্যয়ে খনন কাজ শুরু হয়েছিল গত ডিসেম্বরে। কিন্তু অবৈধ দখলদারদের বাধার কারণে খনন কাজ বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। এছাড়া খনন কাজ করার আগে নদীর সীমানার নকশা তৈরি এবং পাড়ের অবৈধ দখলদারদের বাড়িঘর উচ্ছেদ না করায় খনন কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না বলে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে। এ নিয়ে গতকাল শনিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

নদী খনন করা অত্যন্ত জরুরি। নদী খনন না করা হলে দখলে-দূষণে সরু হয়ে যায়। রূপসা নদীর সঙ্গে ময়ূর নদের সরাসরি সংযোগ থাকলেও ময়ূর হয়ে উঠেছে বদ্ধ নদ। স্রোতস্বিনী নদটি হারিয়েছে তার সৌন্দর্য ও গতি। এটি এখন মরা খাল। প্রভাবশালীরা নদের পাড় দখল করে বসতবাড়ি ও ফসলি জমি বানিয়েছে। নদের যেটুকু এখনো টিকে আছে সেটুকুতে ময়লা-আবর্জনার ভাগাড় বানিয়েছে নদের পাড়ের মানুষেরা। ফলে পানিপ্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। যে কারণে একটু বৃষ্টি হলেই খুলনা নগর জলাবদ্ধ হয়ে ওঠে।

অভিযোগ উঠেছে যে, ময়ূর নদ খননের নামে অর্থের অপচয়ই শুধু হয়, সুফল মেলে না কিছুই। প্রশাসন একাধিকবার নদের অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করেছে, কদিনের ব্যবধানে আবারও যা ছিল তা-ই হয়ে গেছে। এ কারণে মূল নদের জায়গা ছোট হয়ে গেছে।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নদের সীমানা নির্ধারণ না করে কাজ শুরু করে কিভাবে। নদের তীর দখলমুক্ত না করে কাজ করা হলে সেটা পদে পদে হোঁচট খাবে তা তো জানা কথা। এতে রাষ্ট্রের টাকারই অপচয় হয় শুধু।

শুধু খুলনাতেই না, দেশের অনেক স্থানে নদ-নদী খননের সময় নানান বাধা-বিপত্তি দেখা দেয়। নদ-নদী খননের কাজে সংশ্লিষ্ট যেসব কর্তৃপক্ষের সমন্বিতভাবে কাজ করার কথা তারা যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করে না বলে অভিযোগ রয়েছে। ময়ূর নদ খননের ক্ষেত্রেও এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। দেশের বিদ্যমান বাস্তবতায় নদ-নদী খননের কাজ কোনো একক কর্তৃপক্ষের পক্ষে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষকে সমন্বয় করে এ কাজ করতে হবে। ময়ূর নদ খননের কাজে সবাই বাধা দূর করতে জরুরি পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে এমনটাই আমরা দেখতে চাই।

দেবিদ্বারে মহাসড়কের মরা গাছ অপসারণে বিলম্ব কেন

এইচপিভি টিকা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে হবে

লোকালয়ে বন্যহাতি

নদী দখল-দূষণমুক্ত করতে আইনি পদক্ষেপ নিন

বরিশাল সিটি করপোরেশনের জন্ম নিবন্ধন কার্যক্রম চালু করুন

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নিন

পূর্বধলায় সড়ক নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

নাব্য সংকট দূর করুন

সমুদ্রস্নানে পর্যটকের মৃত্যু

হারভেস্টারে ধান কাটায় বেশি টাকা নেয়ার কারণ কী

দরিদ্রদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত করুন

নির্ধারিত মেয়াদে প্রকল্পের কাজ শেষ করা জরুরি

বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ উদ্ধার করুন

নারী ও কন্যাশিশুকে সাইবার সহিংসতা থেকে রক্ষা করতে হবে

দূষণ রোধে সমন্বিত পরিকল্পনা থাকতে হবে

ভূমিকম্প : ভবিষ্যতের বিপদ মোকাবিলায় টেকসই পরিকল্পনা জরুরি

এইডস প্রতিরোধে সমন্বিত প্রয়াস চালাতে হবে

টেকসই শান্তির জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন জরুরি

দেওয়ানগঞ্জে যমুনার বালু তোলা বন্ধ হোক

নামমাত্র মূল্যে গাছ বিক্রির অভিযোগ আমলে নিন

শরণখোলা হাসপাতালে লোকবল নিয়োগে ব্যবস্থা নিন

নিষিদ্ধ জাল দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কৃষিঋণ বিতরণে অনিয়ম বন্ধে ব্যবস্থা নিন

গোয়ালন্দে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন বন্ধ করার অভিযোগ আমলে নিন

বনভূমি দখল বন্ধে ব্যবস্থা নিন

নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে

উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের অভিনন্দন

ছবি

মার্কেজের নিঃসঙ্গতা ও সংহতি

ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে ট্রমা সেন্টার দ্রুত চালু করুন

বিষ দিয়ে মাছ ধরা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

আর্সেনিক দূষণ মোকাবিলায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

তাজরীন ট্র্যাজেডি : বিচার পেতে আর কত অপেক্ষা

সওজের জমি দখল করে মসজিদ নির্মাণের অভিযোগ আমলে নিন

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

কুতুবপুর উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র চালু করুন

পাহাড় কাটা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

tab

সম্পাদকীয়

ময়ূর নদ খননে সব বাধা দূর করুন

রোববার, ১২ মার্চ ২০২৩

খুলনার ময়ূর নদের প্রাণ ফেরাতে ও নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে সাড়ে সাত কোটি টাকা ব্যয়ে খনন কাজ শুরু হয়েছিল গত ডিসেম্বরে। কিন্তু অবৈধ দখলদারদের বাধার কারণে খনন কাজ বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। এছাড়া খনন কাজ করার আগে নদীর সীমানার নকশা তৈরি এবং পাড়ের অবৈধ দখলদারদের বাড়িঘর উচ্ছেদ না করায় খনন কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না বলে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে। এ নিয়ে গতকাল শনিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

নদী খনন করা অত্যন্ত জরুরি। নদী খনন না করা হলে দখলে-দূষণে সরু হয়ে যায়। রূপসা নদীর সঙ্গে ময়ূর নদের সরাসরি সংযোগ থাকলেও ময়ূর হয়ে উঠেছে বদ্ধ নদ। স্রোতস্বিনী নদটি হারিয়েছে তার সৌন্দর্য ও গতি। এটি এখন মরা খাল। প্রভাবশালীরা নদের পাড় দখল করে বসতবাড়ি ও ফসলি জমি বানিয়েছে। নদের যেটুকু এখনো টিকে আছে সেটুকুতে ময়লা-আবর্জনার ভাগাড় বানিয়েছে নদের পাড়ের মানুষেরা। ফলে পানিপ্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। যে কারণে একটু বৃষ্টি হলেই খুলনা নগর জলাবদ্ধ হয়ে ওঠে।

অভিযোগ উঠেছে যে, ময়ূর নদ খননের নামে অর্থের অপচয়ই শুধু হয়, সুফল মেলে না কিছুই। প্রশাসন একাধিকবার নদের অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করেছে, কদিনের ব্যবধানে আবারও যা ছিল তা-ই হয়ে গেছে। এ কারণে মূল নদের জায়গা ছোট হয়ে গেছে।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নদের সীমানা নির্ধারণ না করে কাজ শুরু করে কিভাবে। নদের তীর দখলমুক্ত না করে কাজ করা হলে সেটা পদে পদে হোঁচট খাবে তা তো জানা কথা। এতে রাষ্ট্রের টাকারই অপচয় হয় শুধু।

শুধু খুলনাতেই না, দেশের অনেক স্থানে নদ-নদী খননের সময় নানান বাধা-বিপত্তি দেখা দেয়। নদ-নদী খননের কাজে সংশ্লিষ্ট যেসব কর্তৃপক্ষের সমন্বিতভাবে কাজ করার কথা তারা যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করে না বলে অভিযোগ রয়েছে। ময়ূর নদ খননের ক্ষেত্রেও এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। দেশের বিদ্যমান বাস্তবতায় নদ-নদী খননের কাজ কোনো একক কর্তৃপক্ষের পক্ষে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষকে সমন্বয় করে এ কাজ করতে হবে। ময়ূর নদ খননের কাজে সবাই বাধা দূর করতে জরুরি পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে এমনটাই আমরা দেখতে চাই।

back to top