alt

সম্পাদকীয়

সরকারি কলেজে আসবাবপত্র কেনায় অনিয়ম-দুর্নীতি প্রসঙ্গে

: মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩

সরকারি কলেজে আসবাবপত্র কেনাকাটায় অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। আসবাবপত্র কেনা হচ্ছে- ‘শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে জেলা সদরে অবস্থিত (৭০) পোস্ট-গ্র্যাজুয়েট কলেজসমূহের উন্নয়ন প্রকল্প’-এর আওতায়। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দায়িত্বে রয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। প্রকল্প পরিচালকের বিরুদ্ধেই অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষও জানে। এ নিয়ে গত সোমবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

দরপত্র থেকে শুরু করে আসবাবপত্র কেনাকাটার প্রতিটি স্তরেই অনিয়ম-দুর্নীতি হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ক্রয় প্রক্রিয়ায় স্বজনপ্রীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। দরপত্র আহ্বানের কথা ছিল তিন ধাপে। প্রথম ধাপে সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠানকে বাদ দেয়া এবং দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপে দরপত্রের শর্ত পরিবর্তন করে সর্বনিম্ন দরদাতাকে বাদ দিয়ে দ্বিতীয়, তৃতীয় বা চতুর্থ দরদাতাকে কাজ দেয়া হয়েছে।

অভিযোগ উঠেছে, এই দরপত্রে অনিয়ম করা হয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাদের অন্যায় সুবিধা দেয়ার জন্য। অর্ধশত সরকারি কলেজের জন্য ৩৬ কোটি টাকার আসবাবপত্র কেনা হচ্ছে। আর ঠিকাদারি কাজ ভাগাভাগি হয়েছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাদের মধ্যে। নিম্নমানের আসবাবপত্র সরবরাহের দায়ে মাউশি যে প্রতিষ্ঠানের জামানত বাজেয়াপ্ত করেছিল সেই ‘অভিযুক্ত’ প্রতিষ্ঠানকেও কাজ দেয়া হয়েছে। অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়টি মাউশি কর্মকর্তাদেরও ক্ষুব্ধ করেছে। তারা এ প্রকল্পের কেনাকাটার অনিয়মের কোনো দায় নেবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে।

প্রকল্প পরিচালককে মাউশির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা চিঠি দেয়ার পরও আসবাবপত্র কেন কিনল সেটা জানা দরকার। প্রকল্প পরিচালক বলছেন, জুনের মধ্যে আসবাবপত্র কেনা না হলে প্রকল্পের টাকা ফেরত যাবে। আমরা বলতে চাই, নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পের অর্থ ব্যয় করার যেমন বাধ্যবাধকতা আছে, তেমনই প্রকল্পে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে সেটা সুরাহা করাও জরুরি।

আমরা জানতে চাইব, অনিয়ম-দুর্নীতির সুরাহা না করে প্রকল্পের অর্থ ব্যয় করায় কেন তিনি উৎসাহী হয়ে উঠলেন? যখন জানা যাচ্ছে, অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রকল্পে সরকারের ৩০ লাখ টাকা ক্ষতি হচ্ছে, তখন সেটাকে গুরুত্ব দেয়ার দরকার ছিল। তড়িঘড়ি করে ঠিকাদারদের সঙ্গে চুক্তি করা এবং কার্যাদেশ চূড়ান্ত করা কেন হলো- সেই প্রশ্নও এসে যায়।

অনয়িম-দুর্নীতির যে অভিযোগ উঠেছে সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। আমরা আশা করব, দ্রুত তদন্ত শেষ হবে এবং সেটি আলোর মুখ দেখবে। তদন্তে যদি কারো কোনো দোষ খুঁজে পাওয়া যায়, তাহলে তার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি বন্ধে বাধা কোথায়

বাল্যবিয়ে : সামাজিক এ ব্যাধির নিরাময় করতে হবে সমাজকেই

বাসাইলে সেতু পুনর্নির্মাণে পদক্ষেপ নিন

পাহাড় কাটা কি চলতেই থাকবে

পীরগাছায় আড়াইকুঁড়ি নদীতে সেতু নির্মাণ করুন

বাড়ছে ডেঙ্গু : আতঙ্ক নয়, চাই সচেতনতা

খুলনা নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে টেকসই পদক্ষেপ নিন

শিশু নির্যাতন বন্ধে সমাজের মনোভাব বদলানো জরুরি

তেঁতুলিয়ায় ভিডব্লিউবির চাল বিতরণে অনিয়ম বন্ধ করুন

শিশুর বিকাশে চাই পুষ্টি সচেতনতা

রংপুর শিশু হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু করতে দেরি কেন

পেঁয়াজের বাড়তি দাম, লাভের গুড় খাচ্ছে কে

পানি সংকট নিরসনে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

কক্সবাজারে অপহরণ বাণিজ্য কেন বন্ধ করা যাচ্ছে না

ভালুকায় সড়ক সংস্কারের কাজ বন্ধ কেন

মানুষ ও হাতি উভয়কেই রক্ষা করতে হবে

দালাল চক্রের হাত থেকে বিদেশ গমনেচ্ছুদের রক্ষা করতে হবে

গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রসঙ্গে

বিএসটিআইর সক্ষমতা বাড়ানো জরুরি

অগ্নিদুর্ঘটনা প্রতিরোধে ফায়ার সার্ভিসের সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হবে

সৈয়দপুরে রেলের পয়ঃনিষ্কাশনের নালা দখলমুক্ত করুন

সাইবার অপরাধ দমনে আইনের প্রয়োগ ঘটাতে হবে

ফরিদপুরে পদ্মার বালু তোলা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাত ও অতি উষ্ণতা মোকাবিলায় পদক্ষেপ নিতে হবে

নদী খননে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

পেঁয়াজের দাম ও কিছু প্রশ্ন

সুন্দরগঞ্জে কালভার্ট নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

প্রান্তিক দরিদ্রদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হবে

ব্রহ্মপুত্র নদে অবৈধভাবে বালু তোলা বন্ধ করুন

চাই আর্সেনিকমুক্ত পানি

তারাকান্দার সড়কটি সংস্কার করুন

ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত পুনর্বাসন করুন

মোরেলগঞ্জে পানগুছি নদীতীরে বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি

শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনায় চূড়ান্ত ব্যবস্থা নিতে বিলম্ব কেন

দশমিনার খালগুলো রক্ষা করুন

পাহাড় দখল বন্ধে টেকসই পদক্ষেপ নিন

tab

সম্পাদকীয়

সরকারি কলেজে আসবাবপত্র কেনায় অনিয়ম-দুর্নীতি প্রসঙ্গে

মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩

সরকারি কলেজে আসবাবপত্র কেনাকাটায় অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। আসবাবপত্র কেনা হচ্ছে- ‘শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে জেলা সদরে অবস্থিত (৭০) পোস্ট-গ্র্যাজুয়েট কলেজসমূহের উন্নয়ন প্রকল্প’-এর আওতায়। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দায়িত্বে রয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। প্রকল্প পরিচালকের বিরুদ্ধেই অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষও জানে। এ নিয়ে গত সোমবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

দরপত্র থেকে শুরু করে আসবাবপত্র কেনাকাটার প্রতিটি স্তরেই অনিয়ম-দুর্নীতি হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ক্রয় প্রক্রিয়ায় স্বজনপ্রীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। দরপত্র আহ্বানের কথা ছিল তিন ধাপে। প্রথম ধাপে সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠানকে বাদ দেয়া এবং দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপে দরপত্রের শর্ত পরিবর্তন করে সর্বনিম্ন দরদাতাকে বাদ দিয়ে দ্বিতীয়, তৃতীয় বা চতুর্থ দরদাতাকে কাজ দেয়া হয়েছে।

অভিযোগ উঠেছে, এই দরপত্রে অনিয়ম করা হয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাদের অন্যায় সুবিধা দেয়ার জন্য। অর্ধশত সরকারি কলেজের জন্য ৩৬ কোটি টাকার আসবাবপত্র কেনা হচ্ছে। আর ঠিকাদারি কাজ ভাগাভাগি হয়েছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাদের মধ্যে। নিম্নমানের আসবাবপত্র সরবরাহের দায়ে মাউশি যে প্রতিষ্ঠানের জামানত বাজেয়াপ্ত করেছিল সেই ‘অভিযুক্ত’ প্রতিষ্ঠানকেও কাজ দেয়া হয়েছে। অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়টি মাউশি কর্মকর্তাদেরও ক্ষুব্ধ করেছে। তারা এ প্রকল্পের কেনাকাটার অনিয়মের কোনো দায় নেবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে।

প্রকল্প পরিচালককে মাউশির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা চিঠি দেয়ার পরও আসবাবপত্র কেন কিনল সেটা জানা দরকার। প্রকল্প পরিচালক বলছেন, জুনের মধ্যে আসবাবপত্র কেনা না হলে প্রকল্পের টাকা ফেরত যাবে। আমরা বলতে চাই, নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পের অর্থ ব্যয় করার যেমন বাধ্যবাধকতা আছে, তেমনই প্রকল্পে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে সেটা সুরাহা করাও জরুরি।

আমরা জানতে চাইব, অনিয়ম-দুর্নীতির সুরাহা না করে প্রকল্পের অর্থ ব্যয় করায় কেন তিনি উৎসাহী হয়ে উঠলেন? যখন জানা যাচ্ছে, অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রকল্পে সরকারের ৩০ লাখ টাকা ক্ষতি হচ্ছে, তখন সেটাকে গুরুত্ব দেয়ার দরকার ছিল। তড়িঘড়ি করে ঠিকাদারদের সঙ্গে চুক্তি করা এবং কার্যাদেশ চূড়ান্ত করা কেন হলো- সেই প্রশ্নও এসে যায়।

অনয়িম-দুর্নীতির যে অভিযোগ উঠেছে সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। আমরা আশা করব, দ্রুত তদন্ত শেষ হবে এবং সেটি আলোর মুখ দেখবে। তদন্তে যদি কারো কোনো দোষ খুঁজে পাওয়া যায়, তাহলে তার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।

back to top