বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে পানগুছি নদীর ভাঙনে গত চার দশকে বিলীন হয়েছে ফসলি জমিসহ বহু স্থাপনা। ভাঙন থেমে নেই। বন্যা ও জলোচ্ছ্বাসে আতঙ্কে থাকে নদী তীরবর্তী বাসিন্দারা। ভাঙন থেকে রক্ষা পেতে সন্যাসী থেকে ঘষিয়াখালী পর্যন্ত স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এ নিয়ে গতকাল সোমবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
২০১২ সালে বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় উপকূলীয় অঞ্চলে বাঁধ পুনর্নির্মাণের জন্য ২৫ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছিল; কিন্তু সেটি আর আলোর মুখ দেখেনি। ডেল্টা পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। এই পরিকল্পনায় উপকূলীয় অঞ্চলে বাঁধ নির্মাণ ও সংস্কারের বিষয়টিকেই বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
যেসব উপকূলীয় অঞ্চলে বাঁধ নেই, সেসব অঞ্চলের মানুষদের নানান দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বন্যা বা ঝড়-জলোচ্ছ্বাসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগে ভিটেমাটি হারিয়ে অনেক মানুষ শহরে চলে আসতে বাধ্য হচ্ছে। এসব দুর্যোগ মোকাবেলা করার পথ রয়েছে। স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা হলে অনেক মানুষকেই সর্বস্ব হারিয়ে আজ পথে বসতে হতো না।
সরকার মোরেলগঞ্জ উপজেলায় উন্নয়নমূলক অনেক কাজ করেছে বলে জান যায়। সেখানকার বাসিন্দারের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল স্থায়ী একটি বাঁধ নির্মাণের। সবকিছুর আগে বাঁধটি নির্মাণ করা হলে তারা দুর্ভোগের শিকার হতো না।
আমরা আশা করব, এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা নেবে। নাগরিকদের দাবি মেনে উক্ত স্থানে বাঁধ তৈরি করবে। পানগুছি নদীতীরবর্তী বাসিন্দারা এখন আর ত্রাণ চায় না, চায় স্থায়ী ও টেকসই বেড়িবাঁধ। বাজেটে এ উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের জন্য বিশেষ বরাদ্দ রাখা হবে বলে আশা করি।
বাঁধ নির্মাণে যেন কোনো অনিয়ম-দুর্নীতি না হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। দেশের অনেক স্থানেই বাঁধ নির্মাণে অনিয়ম-দুর্নীতি হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। যে কারণে বাঁধ টেকসই হয় না। এতে উপকূলের বাসিন্দাদের কল্যাণ নিশ্চিত করা সম্ভব হয় না। রাষ্ট্রের টাকারও শ্রাদ্ধ হয়।
মঙ্গলবার, ১৬ মে ২০২৩
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে পানগুছি নদীর ভাঙনে গত চার দশকে বিলীন হয়েছে ফসলি জমিসহ বহু স্থাপনা। ভাঙন থেমে নেই। বন্যা ও জলোচ্ছ্বাসে আতঙ্কে থাকে নদী তীরবর্তী বাসিন্দারা। ভাঙন থেকে রক্ষা পেতে সন্যাসী থেকে ঘষিয়াখালী পর্যন্ত স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এ নিয়ে গতকাল সোমবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
২০১২ সালে বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় উপকূলীয় অঞ্চলে বাঁধ পুনর্নির্মাণের জন্য ২৫ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছিল; কিন্তু সেটি আর আলোর মুখ দেখেনি। ডেল্টা পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। এই পরিকল্পনায় উপকূলীয় অঞ্চলে বাঁধ নির্মাণ ও সংস্কারের বিষয়টিকেই বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
যেসব উপকূলীয় অঞ্চলে বাঁধ নেই, সেসব অঞ্চলের মানুষদের নানান দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বন্যা বা ঝড়-জলোচ্ছ্বাসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগে ভিটেমাটি হারিয়ে অনেক মানুষ শহরে চলে আসতে বাধ্য হচ্ছে। এসব দুর্যোগ মোকাবেলা করার পথ রয়েছে। স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা হলে অনেক মানুষকেই সর্বস্ব হারিয়ে আজ পথে বসতে হতো না।
সরকার মোরেলগঞ্জ উপজেলায় উন্নয়নমূলক অনেক কাজ করেছে বলে জান যায়। সেখানকার বাসিন্দারের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল স্থায়ী একটি বাঁধ নির্মাণের। সবকিছুর আগে বাঁধটি নির্মাণ করা হলে তারা দুর্ভোগের শিকার হতো না।
আমরা আশা করব, এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা নেবে। নাগরিকদের দাবি মেনে উক্ত স্থানে বাঁধ তৈরি করবে। পানগুছি নদীতীরবর্তী বাসিন্দারা এখন আর ত্রাণ চায় না, চায় স্থায়ী ও টেকসই বেড়িবাঁধ। বাজেটে এ উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের জন্য বিশেষ বরাদ্দ রাখা হবে বলে আশা করি।
বাঁধ নির্মাণে যেন কোনো অনিয়ম-দুর্নীতি না হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। দেশের অনেক স্থানেই বাঁধ নির্মাণে অনিয়ম-দুর্নীতি হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। যে কারণে বাঁধ টেকসই হয় না। এতে উপকূলের বাসিন্দাদের কল্যাণ নিশ্চিত করা সম্ভব হয় না। রাষ্ট্রের টাকারও শ্রাদ্ধ হয়।