মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
দেশে যেসব প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয় তার মধ্যে বন্যায় ক্ষতি হয় বেশি। নদী ভরাটের কারণে বন্যার প্রকোপ বাড়ছে। অনেক এলাকায় অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায়ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। আবার বন্যার পানি কমতে শুরু করলেও দুর্গত এলাকায় দেখা দেয় বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্যের সংকট। ছড়িয়ে পড়ে পানিবাহিত রোগবালাই। ভেসে যায় পুকুরের মাছ। জোয়ারের পানি ঢুকে তলিয়ে যায় নিচু এলাকা। যেমনটি ঘটেছে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি এলাকায়।
বন্যা নিয়ন্ত্রণের চেয়ে প্রতিরোধ জরুরি। প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টিতে বন্যা ও জলাবদ্ধতা হবে- এটাই এখন নিয়তি হয়ে দেখা দিয়েছে। উজান থেকে নেমে আসা পানি যাতে কোনো বাধা ছাড়াই সাগরে নেমে যেতে পারে, তার ব্যবস্থা করতে হবে। প্রতি বছর পলি জমে যেসব নদীর গভীরতা কমছে সেগুলো খননের কোনো বিকল্প নেই। তবে আপাতত আমাদের প্রয়োজনীয় ত্রাণ নিয়ে দাঁড়াতে হবে বন্যার্তদের পাশে। নিতে হবে দীর্ঘমেয়াদি পুনর্বাসন পরিকল্পনা।
টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে কয়েকজনের প্রাণহানি ঘটেছে। বন্যা কবলিত এলাকায় সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনী ত্রাণসহ প্রয়োজনীয় সহায়তা দিচ্ছে। পাহাড়ের পাদদেশে থাকা বাসিন্দাদের নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে। বান্দরবানে খোলা হয়েছে ২০৭টি আশ্রয় কেন্দ্র। দুর্গতদের পাশে ইতোমধ্যে প্রশাসন দাঁড়িয়েছে। তাদের কষ্ট লাঘবে সমাজের অবস্থাসম্পন্ন মানুষদেরও এগিয়ে আসতে হবে।
দয়াল কুমার বড়ুয়া
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
শনিবার, ১৯ আগস্ট ২০২৩
দেশে যেসব প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয় তার মধ্যে বন্যায় ক্ষতি হয় বেশি। নদী ভরাটের কারণে বন্যার প্রকোপ বাড়ছে। অনেক এলাকায় অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায়ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। আবার বন্যার পানি কমতে শুরু করলেও দুর্গত এলাকায় দেখা দেয় বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্যের সংকট। ছড়িয়ে পড়ে পানিবাহিত রোগবালাই। ভেসে যায় পুকুরের মাছ। জোয়ারের পানি ঢুকে তলিয়ে যায় নিচু এলাকা। যেমনটি ঘটেছে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি এলাকায়।
বন্যা নিয়ন্ত্রণের চেয়ে প্রতিরোধ জরুরি। প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টিতে বন্যা ও জলাবদ্ধতা হবে- এটাই এখন নিয়তি হয়ে দেখা দিয়েছে। উজান থেকে নেমে আসা পানি যাতে কোনো বাধা ছাড়াই সাগরে নেমে যেতে পারে, তার ব্যবস্থা করতে হবে। প্রতি বছর পলি জমে যেসব নদীর গভীরতা কমছে সেগুলো খননের কোনো বিকল্প নেই। তবে আপাতত আমাদের প্রয়োজনীয় ত্রাণ নিয়ে দাঁড়াতে হবে বন্যার্তদের পাশে। নিতে হবে দীর্ঘমেয়াদি পুনর্বাসন পরিকল্পনা।
টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে কয়েকজনের প্রাণহানি ঘটেছে। বন্যা কবলিত এলাকায় সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনী ত্রাণসহ প্রয়োজনীয় সহায়তা দিচ্ছে। পাহাড়ের পাদদেশে থাকা বাসিন্দাদের নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে। বান্দরবানে খোলা হয়েছে ২০৭টি আশ্রয় কেন্দ্র। দুর্গতদের পাশে ইতোমধ্যে প্রশাসন দাঁড়িয়েছে। তাদের কষ্ট লাঘবে সমাজের অবস্থাসম্পন্ন মানুষদেরও এগিয়ে আসতে হবে।
দয়াল কুমার বড়ুয়া