মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
আসছে রবি মৌসুমের প্রধান শস্য জুড়ে চাহিদা থাকবে আলু উৎপাদনের তীব্র তৎপরতায়। গতবছর আলুর ভালো উৎপাদন ও সন্তোষজনক দাম থাকায় এবছর ও কৃষকেরা আলু চাষে আশাবাদী। সেই জন্য কৃষকেরা আলু চাষের আগাম প্রস্তুতিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। উত্তর অঞ্চলে প্রতিবছর হাজার হাজার হেক্টর আলু উৎপাদন হয়ে থাকে যা দেশে আলুর চাহিদা পূরণ করে এবং দেশের অর্থনীতিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। ঠাকুরগাঁও, রংপুর, দিনাজপুর, রাজশাহী,পাবনা, বগুড়া, নওগাঁ, জয়পুরহাট জেলাতে আলুর ব্যাপক উৎপাদন হয়ে থাকে। কিন্তু এবছর আলুর বীজের সংকট ও চড়া দাম নিয়ে উদ্বিগ্ন খেটে খাওয়া কৃষক। খাবার আলুর দাম যেমন বেড়েছে তেমনি বেড়েছে বীজ আলুর দাম। রাতে ট্রাকভর্তি বীজ আলু আসে এবং তৎক্ষনাৎ রাতের আঁধারেই বিক্রি হয় ব্যবসায়ীর হাতে। যেন এক নিষ্ঠুর প্রতিযোগিতা চলছে কৃষক ও ব্যবসায়ীর মধ্যে। আলুর বীজের দাম জ্যামিতিক হারে বেড়ে তা এখন বস্তা (বস্তার পরিমান ৪০ কেজি) প্রতি ৪২০০ টাকা (চলমান)।
গত বছর যার দাম ছিলো বস্তা প্রতি ২৬০০ টাকা। এমন দামে কৃষকের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে। বীজের দাম ও উৎপাদন খরচ করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে এসব মেহনতী কৃষক। জনমনের ধারণা, কোল্ডস্টোরেজে ব্যাপক পরিমানে আলুর বীজ সিন্ডিকেট করে রেখেছে অসাধু ব্যবসায়ী, ডিলার ও আমদানিকারকরা। বিএডিসি’র নেই কোনো সাঁড়াশি তৎপরতা। তবুও সরকারীভাবে আশানুরুপ একটি নিয়মাধীন লক্ষমাত্রার নোটিশ ও দিকনির্দেশনার দিকে তাকিয়ে আছে কৃষক পরিবার।
এবছর কৃষকের পছন্দসই বীজের তালিকায় রয়েছে হীরা, ব্র্যাক, ইস্পাহানি, এসি আই, এস্টোরিক্স, সানসাইন, এলুয়েট, ডায়মন্ড, কার্ডিনাল, ক্যারেজ ইত্যাদি। তবে চাহিদা ও জনপ্রিয়তায় শীর্ষে রয়েছে ব্র্যাক। বীজের এমন সংকট মোকাবেলায় কৃষি উপদেষ্টার সংশ্লিষ্ট তোড়জোড় ও আইনি তৎপরতা দিয়ে এসব ডিলারদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। তবেই কৃষকের মুখে হাসি ফুটবে। আলু চাষীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঋণের মুখে পড়েছে বর্গা চাষী কৃষকেরা। তাদের দুর্দশা যেন কোনোভাবেই এড়িয়ে যাওয়ার উপায় নাই। সেই সঙ্গে সার ও কীটনাশকের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। আলুর উৎপাদন খরচ নিয়ে দুঃশ্চিন্তা ও লোকসানের আশঙ্কায় সময় পার করছে প্রান্তি ক কৃষক। কৃষক আমাদের দেশের খাদ্যের যোগানদাতা। তাই এই সংকটকালীন সময়ে কৃষকের পাশে দাঁড়ানোর জন্য ভোক্তা অধিদপ্তরের নিকট দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
"কৃষক বাঁচলে তবেই বাঁচবে দেশ, নয়তো দুর্ভিক্ষের কবলে পড়বে দেশ"।
ইসতিয়াক আহমেদ হৃদয়
আক্কেলপুর, জয়পুরহাট
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪
আসছে রবি মৌসুমের প্রধান শস্য জুড়ে চাহিদা থাকবে আলু উৎপাদনের তীব্র তৎপরতায়। গতবছর আলুর ভালো উৎপাদন ও সন্তোষজনক দাম থাকায় এবছর ও কৃষকেরা আলু চাষে আশাবাদী। সেই জন্য কৃষকেরা আলু চাষের আগাম প্রস্তুতিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। উত্তর অঞ্চলে প্রতিবছর হাজার হাজার হেক্টর আলু উৎপাদন হয়ে থাকে যা দেশে আলুর চাহিদা পূরণ করে এবং দেশের অর্থনীতিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। ঠাকুরগাঁও, রংপুর, দিনাজপুর, রাজশাহী,পাবনা, বগুড়া, নওগাঁ, জয়পুরহাট জেলাতে আলুর ব্যাপক উৎপাদন হয়ে থাকে। কিন্তু এবছর আলুর বীজের সংকট ও চড়া দাম নিয়ে উদ্বিগ্ন খেটে খাওয়া কৃষক। খাবার আলুর দাম যেমন বেড়েছে তেমনি বেড়েছে বীজ আলুর দাম। রাতে ট্রাকভর্তি বীজ আলু আসে এবং তৎক্ষনাৎ রাতের আঁধারেই বিক্রি হয় ব্যবসায়ীর হাতে। যেন এক নিষ্ঠুর প্রতিযোগিতা চলছে কৃষক ও ব্যবসায়ীর মধ্যে। আলুর বীজের দাম জ্যামিতিক হারে বেড়ে তা এখন বস্তা (বস্তার পরিমান ৪০ কেজি) প্রতি ৪২০০ টাকা (চলমান)।
গত বছর যার দাম ছিলো বস্তা প্রতি ২৬০০ টাকা। এমন দামে কৃষকের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে। বীজের দাম ও উৎপাদন খরচ করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে এসব মেহনতী কৃষক। জনমনের ধারণা, কোল্ডস্টোরেজে ব্যাপক পরিমানে আলুর বীজ সিন্ডিকেট করে রেখেছে অসাধু ব্যবসায়ী, ডিলার ও আমদানিকারকরা। বিএডিসি’র নেই কোনো সাঁড়াশি তৎপরতা। তবুও সরকারীভাবে আশানুরুপ একটি নিয়মাধীন লক্ষমাত্রার নোটিশ ও দিকনির্দেশনার দিকে তাকিয়ে আছে কৃষক পরিবার।
এবছর কৃষকের পছন্দসই বীজের তালিকায় রয়েছে হীরা, ব্র্যাক, ইস্পাহানি, এসি আই, এস্টোরিক্স, সানসাইন, এলুয়েট, ডায়মন্ড, কার্ডিনাল, ক্যারেজ ইত্যাদি। তবে চাহিদা ও জনপ্রিয়তায় শীর্ষে রয়েছে ব্র্যাক। বীজের এমন সংকট মোকাবেলায় কৃষি উপদেষ্টার সংশ্লিষ্ট তোড়জোড় ও আইনি তৎপরতা দিয়ে এসব ডিলারদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। তবেই কৃষকের মুখে হাসি ফুটবে। আলু চাষীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঋণের মুখে পড়েছে বর্গা চাষী কৃষকেরা। তাদের দুর্দশা যেন কোনোভাবেই এড়িয়ে যাওয়ার উপায় নাই। সেই সঙ্গে সার ও কীটনাশকের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। আলুর উৎপাদন খরচ নিয়ে দুঃশ্চিন্তা ও লোকসানের আশঙ্কায় সময় পার করছে প্রান্তি ক কৃষক। কৃষক আমাদের দেশের খাদ্যের যোগানদাতা। তাই এই সংকটকালীন সময়ে কৃষকের পাশে দাঁড়ানোর জন্য ভোক্তা অধিদপ্তরের নিকট দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
"কৃষক বাঁচলে তবেই বাঁচবে দেশ, নয়তো দুর্ভিক্ষের কবলে পড়বে দেশ"।
ইসতিয়াক আহমেদ হৃদয়
আক্কেলপুর, জয়পুরহাট