alt

চিঠিপত্র

ঐতিহ্যবাহী ওরশ মেলা

: মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

গ্রামীণ জনপদের মানুষের বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম মেলা। জীবনের একঘেয়েমি দূর করতে এবং মনকে আনন্দে ভরিয়ে দিতে ঐতিহ্যবাহী মেলার ভূমিকা অপরিসীম। মেলা মানুষের কর্ম ব্যস্ত বিষন্ন মনকে সতেজ করে তোলে। প্রতিবছরের ন্যায় এবারও অনুষ্ঠিত হয়েছে ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলায় ঐতিহ্যবাহী নেকমরদ ওরশ মেলা। ১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই মেলা চলবে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। কনকনে শীতে যখন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে উত্তরবঙ্গের মানুষের জীবন, তখনি খুশির আমেজ ছড়িয়ে দিয়ে প্রাণচাঞ্চল্য তৈরি করে এই মেলা। উত্তরবঙ্গের ঐতিহ্যবাহী মেলা গুলোর মধ্যে নেকমরদ ওরশ মেলা অন্যতম। ঐতিহ্যবাহী এই মেলা ঠাকুরগাঁওসহ উত্তরবঙ্গের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও মানুষের ধর্মীয় সম্প্রীতিকে বিকশিত করে এবং এই অঞ্চলের কৃষ্টি ও সাংস্কৃতিক পরিচয় বহন করে। মেলাটি জাতি, ধর্ম, বর্ণ, সম্প্রদায় নির্বিশেষে সকলের বিচরণক্ষেত্র। মেলাটি শিশু-কিশোর, তরুণ-তরুণী, নারী-পুরুষসহ সব বয়সি মানুষের মিলনকেন্দ্র হয়ে ওঠে। শুধু ঠাকুরগাঁও নয়, পঞ্চগড়, দিনাজপুরসহ মেলার আমেজ ছড়িয়ে পড়ে পুরো উত্তরবঙ্গে। দূর দূরান্ত থেকে মেলায় ঘুরতে আসা আত্মীয়স্বজনদের আপ্যায়নে ব্যস্ত সময় পার করেন এই অঞ্চলের মানুষেরা। পরিবার ও আত্মীয়স্বজনদের নিয়ে মেলায় ঘোরাঘুরি, কেনাকাটা ও আনন্দ-উল্লাসে মেতে ওঠেন সবাই। মেলাকে কেন্দ্র করে পুরো জেলার প্রতিটি বাড়ি মিলনকেন্দ্রে পরিণত হয়।

ঐতিহ্যবাহী এই মেলায়, মানুষের বিনোদনের জন্যে থাকে ছোট-বড় সব ধরনের সার্কাস, যাত্রাপালা, ঐতিহ্যবাহী পুতুল নাচ, হাতিরখেলা, মোটরসাইকেল খেলা ও নাগরদোলনাসহ অনেক কিছু। তাছাড়াও এখানে প্রায় হারিয়ে যাওয়া বাংলার বাউল গান ও লোকগীতির আসর বসে। মেলাকে কেন্দ্র করে অঞ্চলটির ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা থেকে বড় ব্যবসায়ী সবাই ব্যস্ত সময় পার করেন। মেলা প্রায় সব ধরনের পণ্যের অভয়ারণ্য হয়ে ওঠে। এই মেলার অন্যতম আকর্ষণ মৃৎশিল্প ও কুটিরশিল্পের সামগ্রী। মাটির তৈরি ও কারুকার্য খচিত দৃষ্টিনন্দন ফুলের টব, ঘর সাজাবার সামগ্রী, বাচ্চাদের খেলনা, শামুক ও ঝিনুকের মালা, নকশিকাঁথা সহ প্রায় সব কিছু পাওয়া যায়। গ্রামীণ জনজীবনে শীতকাল ও পিঠা একে অপরের পরিপূরক। তাই তীব্র শীতের আমেজ সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে মেলায় পিঠার সারি সারি দোকান বসে। দোকানগুলোতে ভাঁপা পিঠা, চিতই পিঠা, দুধ চিতই, আন্দশা, পাটিসাপটা, সরভাজা, মালপোয়াসহ হরেক রকমের পিঠা পাওয়া যায়। তাছাড়াও মুখরোচক খাবার, হরেক রকমের মিষ্টান্ন এবং অঞ্চলটির ঐতিহ্যবাহী খাবার পাওয়া যায়। তাই সকল বিনোদনপ্রেমী, ভোজন রসিক ও শৌখিন মানুষদের মধ্যে এই মেলা অতি জনপ্রিয়।

আরিফুল ইসলাম রাজিন

শিক্ষার্থী, গণিত বিভাগ, ঢাকা কলেজ

মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের শেষ কোথায়?

টেকসই উন্নয়ন ও আদিবাসীদের অধিকার

শব্দদূষণ বন্ধ হবে কবে?

চট্টগ্রাম দোহাজারী অংশে রেল চালু হোক

দেশের প্রথম শহীদ মিনারের উপেক্ষিত ইতিহাস

তরুণদের হীনমন্যতা ও মত প্রকাশে অনীহা

বন সংরক্ষণ ও উন্নয়ন

শুধু ফেব্রুয়ারিতে ভাষার দরদ?

ভাষা ও সাহিত্যের মিলনমেলা

জমি দখলের ক্ষতিপূরণ চাই

পুরান ঢাকায় মশার উৎপাত

গুইমারায় স্বাস্থ্যসেবা সংকট : অবিলম্বে সমাধান প্রয়োজন

মশার উপদ্রব : জনস্বাস্থ্য ও নগর ব্যবস্থাপনার চরম ব্যর্থতা

পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু : একটি জাতীয় সংকট

নাম পাল্টে গেলে কত কী যে হয়

অনুপ্রেরণা হোক তুলনাহীন

দূষণ রোধে জীবাশ্ম জ্বালানি নির্ভরতা হ্রাস জরুরি

পাবলিক টয়লেটের সংখ্যা বাড়ান

গণরুম প্রথার বিলুপ্তি কবে?

রেলসেবার মান বাড়ান

নওগাঁ সরকারি কলেজের সংকট

টিকিটের দাম আকাশচুম্বী

জকিগঞ্জে গ্রামীণ সড়কের দুরবস্থা

রেলে দুর্নীতি

নবায়নযোগ্য শক্তির বিকল্প নেই

পথশিশুদের ভয়ঙ্কর নেশাদ্রব্য থেকে রক্ষা করুন

ঢাকা-ময়মনসিংহ ননস্টপ ট্রেন ও ডাবল লাইন নির্মাণের দাবি

শিশুদের প্রতি প্রতিহিংসা বন্ধ করুন

চরবাসীর নদী পারাপারে নিরাপত্তার প্রয়োজন

জন্মনিবন্ধন সেবায় অতিরিক্ত অর্থ আদায় : ব্যবস্থা নিন

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে স্পিডব্রেকার চাই

উন্নয়নের জন্য একটি অপরিহার্য উপাদান কারিগরি শিক্ষা

পোস্তগোলায় নিম্নমানের ড্রেন নির্মাণ

দিনমজুর সংকটে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত

পানাম সেতু : ঐতিহ্য রক্ষায় অবহেলা নয়

যাত্রাবাড়ীর চৌরাস্তা থেকে ধোলাইখাল বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত রাস্তার দুরবস্থা

tab

চিঠিপত্র

ঐতিহ্যবাহী ওরশ মেলা

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪

গ্রামীণ জনপদের মানুষের বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম মেলা। জীবনের একঘেয়েমি দূর করতে এবং মনকে আনন্দে ভরিয়ে দিতে ঐতিহ্যবাহী মেলার ভূমিকা অপরিসীম। মেলা মানুষের কর্ম ব্যস্ত বিষন্ন মনকে সতেজ করে তোলে। প্রতিবছরের ন্যায় এবারও অনুষ্ঠিত হয়েছে ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলায় ঐতিহ্যবাহী নেকমরদ ওরশ মেলা। ১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই মেলা চলবে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। কনকনে শীতে যখন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে উত্তরবঙ্গের মানুষের জীবন, তখনি খুশির আমেজ ছড়িয়ে দিয়ে প্রাণচাঞ্চল্য তৈরি করে এই মেলা। উত্তরবঙ্গের ঐতিহ্যবাহী মেলা গুলোর মধ্যে নেকমরদ ওরশ মেলা অন্যতম। ঐতিহ্যবাহী এই মেলা ঠাকুরগাঁওসহ উত্তরবঙ্গের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও মানুষের ধর্মীয় সম্প্রীতিকে বিকশিত করে এবং এই অঞ্চলের কৃষ্টি ও সাংস্কৃতিক পরিচয় বহন করে। মেলাটি জাতি, ধর্ম, বর্ণ, সম্প্রদায় নির্বিশেষে সকলের বিচরণক্ষেত্র। মেলাটি শিশু-কিশোর, তরুণ-তরুণী, নারী-পুরুষসহ সব বয়সি মানুষের মিলনকেন্দ্র হয়ে ওঠে। শুধু ঠাকুরগাঁও নয়, পঞ্চগড়, দিনাজপুরসহ মেলার আমেজ ছড়িয়ে পড়ে পুরো উত্তরবঙ্গে। দূর দূরান্ত থেকে মেলায় ঘুরতে আসা আত্মীয়স্বজনদের আপ্যায়নে ব্যস্ত সময় পার করেন এই অঞ্চলের মানুষেরা। পরিবার ও আত্মীয়স্বজনদের নিয়ে মেলায় ঘোরাঘুরি, কেনাকাটা ও আনন্দ-উল্লাসে মেতে ওঠেন সবাই। মেলাকে কেন্দ্র করে পুরো জেলার প্রতিটি বাড়ি মিলনকেন্দ্রে পরিণত হয়।

ঐতিহ্যবাহী এই মেলায়, মানুষের বিনোদনের জন্যে থাকে ছোট-বড় সব ধরনের সার্কাস, যাত্রাপালা, ঐতিহ্যবাহী পুতুল নাচ, হাতিরখেলা, মোটরসাইকেল খেলা ও নাগরদোলনাসহ অনেক কিছু। তাছাড়াও এখানে প্রায় হারিয়ে যাওয়া বাংলার বাউল গান ও লোকগীতির আসর বসে। মেলাকে কেন্দ্র করে অঞ্চলটির ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা থেকে বড় ব্যবসায়ী সবাই ব্যস্ত সময় পার করেন। মেলা প্রায় সব ধরনের পণ্যের অভয়ারণ্য হয়ে ওঠে। এই মেলার অন্যতম আকর্ষণ মৃৎশিল্প ও কুটিরশিল্পের সামগ্রী। মাটির তৈরি ও কারুকার্য খচিত দৃষ্টিনন্দন ফুলের টব, ঘর সাজাবার সামগ্রী, বাচ্চাদের খেলনা, শামুক ও ঝিনুকের মালা, নকশিকাঁথা সহ প্রায় সব কিছু পাওয়া যায়। গ্রামীণ জনজীবনে শীতকাল ও পিঠা একে অপরের পরিপূরক। তাই তীব্র শীতের আমেজ সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে মেলায় পিঠার সারি সারি দোকান বসে। দোকানগুলোতে ভাঁপা পিঠা, চিতই পিঠা, দুধ চিতই, আন্দশা, পাটিসাপটা, সরভাজা, মালপোয়াসহ হরেক রকমের পিঠা পাওয়া যায়। তাছাড়াও মুখরোচক খাবার, হরেক রকমের মিষ্টান্ন এবং অঞ্চলটির ঐতিহ্যবাহী খাবার পাওয়া যায়। তাই সকল বিনোদনপ্রেমী, ভোজন রসিক ও শৌখিন মানুষদের মধ্যে এই মেলা অতি জনপ্রিয়।

আরিফুল ইসলাম রাজিন

শিক্ষার্থী, গণিত বিভাগ, ঢাকা কলেজ

back to top