alt

চিঠিপত্র

গণরুম প্রথার বিলুপ্তি কবে?

: মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি আসন দখল করা অনেক কষ্টসাধ্য। কিন্তু ভর্তি হওয়ার পর এই ধারণা পালটে যায়। বিশেষ করে নারী শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে। কারণ, ভর্তি হওয়ার পর নারী শিক্ষার্থীরা আবসন সংকটের যে সমস্যায় পড়ে তাতে মনে হয় ভর্তি হওয়ার চেয়ে হলে সিট পাওয়া আরও বেশি কষ্টসাধ্য। প্রতিবছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্ধেকের বেশি নারী শিক্ষার্থী ভর্তি হয়। অথচ তাদের জন্য বরাদ্দ রয়েছে মাত্র ৫ টি হল। যেখানে ছেলেদের হল মোট ১৪ টি। ভর্তির সময় মেয়েদের ৫টি হলে যতগুলো শিক্ষার্থীকে সিট বরাদ্দ দেয়া হয় ততগুলো সিট থাকেই না। যার ফলে চরম বিড়ম্বনায় পড়তে হয় নারী শিক্ষার্থীদের। বিশেষ করে যারা মধ্যবিত্ত এবং নিম্নবিত্ত পারিবার থেকে আসে। আবার হলে এসে অধিক সময় ধরে থাকতে হয় তাদের গণরুমে।

সম্প্রতি ছেলেদের হলগুলো থেকে গণরুম প্রথার বিলুপ্তি ঘটলেও মেয়েরা এখন পর্যন্ত গণরুমের নোংরা পরিবেশে দিনাতিপাত করছে। রোকেয়া ও সুফিয়া কামাল হল থেকে গণরুমের বিলুপ্তি ঘটেছে কেননা সেখানে বরাদ্দকৃত ছাত্রীদের জন্য পর্যাপ্ত সিট রয়েছে। অথচ বঙ্গমাতা ও কুয়েত মৈত্রী হলে গণরুম সংখ্যা আরও বৃদ্ধি করা হয়েছে। কারণ, এ হলগুলোতে বরাদ্দ শিক্ষার্থীরা অনার্স শেষ বর্ষে এসেও সিট পায় না। তাই এদের আবাসনের কথা চিন্তা করে প্রশাসন গণরুম বাড়িয়েছে এবং বাঙ্ক বেডের ব্যবস্থা করেছে।

আর শামসুন্নাহার হলেও আবাসন সংখ্যা বাড়ানোর জন্য গণরুমগুলোতে বাঙ্ক বেডের ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন। অথচ অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হয় গণরুম গুলোর পরিবেশ এতই নিম্নমানের যে একেকটা রুমে ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত শিক্ষার্থী শুধু মাথা গুজে ঠাঁই নিয়েছে। প্রশাসন তাদের আবাসনের ব্যবস্থা করলেও প্রয়েজনীয় অনেক জিনিসেরই ব্যবস্থা করে নি। গণরুমের শিক্ষার্থীদের জন্য নেই শৌচাগারের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই পড়ার পরিবেশ। এমতবস্থায় অনেক শিক্ষার্থী শারীরিক এবং মানসিক চাপে পতিত হচ্ছে। তাহলে এই প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত শিক্ষার্থীদের অবস্থা আজ কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে প্রশাসনকে চিন্তার অনুরোধ। সেই সঙ্গে প্রশ্ন গণরুমের বিলুপ্তি কবে?

নুসরাত জাহান আয়েশা

শিক্ষার্থী, আরবি বিভাগ,

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের শেষ কোথায়?

টেকসই উন্নয়ন ও আদিবাসীদের অধিকার

শব্দদূষণ বন্ধ হবে কবে?

চট্টগ্রাম দোহাজারী অংশে রেল চালু হোক

দেশের প্রথম শহীদ মিনারের উপেক্ষিত ইতিহাস

তরুণদের হীনমন্যতা ও মত প্রকাশে অনীহা

বন সংরক্ষণ ও উন্নয়ন

শুধু ফেব্রুয়ারিতে ভাষার দরদ?

ভাষা ও সাহিত্যের মিলনমেলা

জমি দখলের ক্ষতিপূরণ চাই

পুরান ঢাকায় মশার উৎপাত

গুইমারায় স্বাস্থ্যসেবা সংকট : অবিলম্বে সমাধান প্রয়োজন

মশার উপদ্রব : জনস্বাস্থ্য ও নগর ব্যবস্থাপনার চরম ব্যর্থতা

পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু : একটি জাতীয় সংকট

নাম পাল্টে গেলে কত কী যে হয়

অনুপ্রেরণা হোক তুলনাহীন

দূষণ রোধে জীবাশ্ম জ্বালানি নির্ভরতা হ্রাস জরুরি

পাবলিক টয়লেটের সংখ্যা বাড়ান

রেলসেবার মান বাড়ান

নওগাঁ সরকারি কলেজের সংকট

টিকিটের দাম আকাশচুম্বী

জকিগঞ্জে গ্রামীণ সড়কের দুরবস্থা

রেলে দুর্নীতি

নবায়নযোগ্য শক্তির বিকল্প নেই

পথশিশুদের ভয়ঙ্কর নেশাদ্রব্য থেকে রক্ষা করুন

ঢাকা-ময়মনসিংহ ননস্টপ ট্রেন ও ডাবল লাইন নির্মাণের দাবি

শিশুদের প্রতি প্রতিহিংসা বন্ধ করুন

চরবাসীর নদী পারাপারে নিরাপত্তার প্রয়োজন

জন্মনিবন্ধন সেবায় অতিরিক্ত অর্থ আদায় : ব্যবস্থা নিন

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে স্পিডব্রেকার চাই

উন্নয়নের জন্য একটি অপরিহার্য উপাদান কারিগরি শিক্ষা

পোস্তগোলায় নিম্নমানের ড্রেন নির্মাণ

দিনমজুর সংকটে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত

পানাম সেতু : ঐতিহ্য রক্ষায় অবহেলা নয়

যাত্রাবাড়ীর চৌরাস্তা থেকে ধোলাইখাল বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত রাস্তার দুরবস্থা

মহেশখালী-কক্সবাজার নৌপথে সেতু চাই

tab

চিঠিপত্র

গণরুম প্রথার বিলুপ্তি কবে?

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি আসন দখল করা অনেক কষ্টসাধ্য। কিন্তু ভর্তি হওয়ার পর এই ধারণা পালটে যায়। বিশেষ করে নারী শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে। কারণ, ভর্তি হওয়ার পর নারী শিক্ষার্থীরা আবসন সংকটের যে সমস্যায় পড়ে তাতে মনে হয় ভর্তি হওয়ার চেয়ে হলে সিট পাওয়া আরও বেশি কষ্টসাধ্য। প্রতিবছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্ধেকের বেশি নারী শিক্ষার্থী ভর্তি হয়। অথচ তাদের জন্য বরাদ্দ রয়েছে মাত্র ৫ টি হল। যেখানে ছেলেদের হল মোট ১৪ টি। ভর্তির সময় মেয়েদের ৫টি হলে যতগুলো শিক্ষার্থীকে সিট বরাদ্দ দেয়া হয় ততগুলো সিট থাকেই না। যার ফলে চরম বিড়ম্বনায় পড়তে হয় নারী শিক্ষার্থীদের। বিশেষ করে যারা মধ্যবিত্ত এবং নিম্নবিত্ত পারিবার থেকে আসে। আবার হলে এসে অধিক সময় ধরে থাকতে হয় তাদের গণরুমে।

সম্প্রতি ছেলেদের হলগুলো থেকে গণরুম প্রথার বিলুপ্তি ঘটলেও মেয়েরা এখন পর্যন্ত গণরুমের নোংরা পরিবেশে দিনাতিপাত করছে। রোকেয়া ও সুফিয়া কামাল হল থেকে গণরুমের বিলুপ্তি ঘটেছে কেননা সেখানে বরাদ্দকৃত ছাত্রীদের জন্য পর্যাপ্ত সিট রয়েছে। অথচ বঙ্গমাতা ও কুয়েত মৈত্রী হলে গণরুম সংখ্যা আরও বৃদ্ধি করা হয়েছে। কারণ, এ হলগুলোতে বরাদ্দ শিক্ষার্থীরা অনার্স শেষ বর্ষে এসেও সিট পায় না। তাই এদের আবাসনের কথা চিন্তা করে প্রশাসন গণরুম বাড়িয়েছে এবং বাঙ্ক বেডের ব্যবস্থা করেছে।

আর শামসুন্নাহার হলেও আবাসন সংখ্যা বাড়ানোর জন্য গণরুমগুলোতে বাঙ্ক বেডের ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন। অথচ অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হয় গণরুম গুলোর পরিবেশ এতই নিম্নমানের যে একেকটা রুমে ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত শিক্ষার্থী শুধু মাথা গুজে ঠাঁই নিয়েছে। প্রশাসন তাদের আবাসনের ব্যবস্থা করলেও প্রয়েজনীয় অনেক জিনিসেরই ব্যবস্থা করে নি। গণরুমের শিক্ষার্থীদের জন্য নেই শৌচাগারের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই পড়ার পরিবেশ। এমতবস্থায় অনেক শিক্ষার্থী শারীরিক এবং মানসিক চাপে পতিত হচ্ছে। তাহলে এই প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত শিক্ষার্থীদের অবস্থা আজ কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে প্রশাসনকে চিন্তার অনুরোধ। সেই সঙ্গে প্রশ্ন গণরুমের বিলুপ্তি কবে?

নুসরাত জাহান আয়েশা

শিক্ষার্থী, আরবি বিভাগ,

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

back to top