alt

চিঠিপত্র

চিঠি : হাতিয়া গণহত্যা

: রোববার, ২৮ নভেম্বর ২০২১

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে তৎকালীন বৃহত্তর রংপুর জেলার সবচেয়ে বড় গণহত্যা চালানো হয় কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নে। ১৩ নভেম্বর চালানো বর্বরোচিত এই গণহত্যায় প্রাণ হারান নিরীহ-নিরস্ত্র ৬৯৭ জন মানুষ। তাদের মধ্যে বেশিরভাগ ছিল শিশু ও নারী। পুরে ছাই হয় বাগুয়া অনন্তপুর, রামখানা, মন্ডলের হাট, নয়াদাড়া, নীলকণ্ঠ ও দাগারকুটি গ্রামের বাড়িঘর, গরু-ছাগল, হাস-মুরগী। যারা আগুন থেকে পালিয়ে ছিল তাদের ধরে কাউকে হাত-পা বেঁধে আগুনে ফেলা দেয়া হয়েছিল।

আবার অনেককে সারিবদ্ধ করে দাঁড় করিয়ে নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করা হয়। রক্তে লাল হয় পাশ দিয়ে বয়ে চলা ব্রহ্মপুত্র। শুধু এখানেই শেষ নয় মৃত্যু নিশ্চিত করতে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে ক্ষত-বিক্ষত করে লাশগুলোকে আগুনে ফেলে দেয় পাকিস্তানি বাহিনী।

স্বাধীনতার ৫০ বছর পেরিয়ে গেলেও আজও রাষ্ট্রীয়ভাবে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। হত্যাকান্ডে শিকার পরিবার পায়নি রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা। গত ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ খ্রিস্টাব্দে ১৩ জন গ্রেপ্তার হলেও এখনো বিচার হয়নি এই গণহত্যাকান্ডে জড়িত রাজাকার, আল-বদর, আল-শামসসহ পাকিস্তানি দালালদের। স্থানীয়ভাবে দিবসটি নানা কর্মকান্ডে হাতিয়া গণহত্যা দিবস পালন করা হলেও নীরবে মুছে যাচ্ছে ইতিহাসের পাতা থেকে। তাইন সময়ের দাবি আগামী প্রজন্মকে এ হত্যাকান্ড জানাতে হাতিয়ায় স্মৃতিস্তম্ভের পাশে শহীদদের নামফলক স্থাপনসহ ১৩ নভেম্বর দিনটিকে জাতীয়ভাবে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের ব্যবস্থা করা হোক।

জরীফ উদ্দীন

ছবি

বেকারত্ব নিরসনে কুটির শিল্পের ভূমিকা

দুর্যোগ পূর্ববর্তী প্রস্তুতি

ছবি

সোনালি পাটের প্রয়োজনীয়তা

কালীকচ্ছের ধর্মতীর্থ বধ্যভূমিতে স্মৃতিসৌধ নির্মাণের দাবি

চিঠি : হলে খাবারের মান উন্নত করুন

চিঠি : স্বাস্থ্য শিক্ষা বিষয়ে ডিপ্লোমাধারীদের বৈষম্য দূর করুন

চিঠি : শিক্ষার মান উন্নয়ন চাই

চিঠি : সড়ক আইন বাস্তবায়ন করুন

চিঠি : রাস্তায় বাইক সন্ত্রাস

চিঠি : কঠিন হয়ে পড়ছে ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা

চিঠি : ডিসেম্বরের স্মৃতি

চিঠি : টেকসই ও সাশ্রয়ী ক্লিন এনার্জি

চিঠি : নকল গুড় জব্দ হোক

চিঠি : সড়কে বাড়ছে লেন ঝরছে প্রাণ

চিঠি : ঢাকাবাসীর কাছে মেট্রোরেল আশীর্বাদ

চিঠি : কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন জরুরি

চিঠি : পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস চাই

চিঠি : তারুণ্যের শক্তি কাজে লাগান

চিঠি : এইডস থেকে বাঁচতে সচেতন হোন

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ হোক

চিঠি : হাসুন, সুস্থ থাকুন

চিঠি : হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি বন্ধ হোক

চিঠি : রাজনীতিতে তরুণ সমাজের অংশগ্রহণ

চিঠি : মাদককে ‘না’ বলুন

চিঠি : পুনরুন্নয়ন প্রকল্প : পাল্টে যাবে পুরান ঢাকা

চিঠি : শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ান

চিঠি : চন্দ্রগঞ্জে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন চাই

চিঠি : বাড়ছে বাল্যবিয়ে

চিঠি : টিকটকের অপব্যবহার রোধ করতে হবে

চিঠি : আত্মবিশ্বাস ও আস্থা

চিঠি : শিক্ষকরা কি প্রকৃত মর্যাদা পাচ্ছে

চিঠি : শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সম্প্রীতি চাই

চিঠি : সকালে ও বিকেলে মেট্রোরেল চলুক

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ করতে হবে

চিঠি : ঢাবি’র কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার আধুনিকায়ন করা হোক

চিঠি : নিত্যপণ্যের দাম

tab

চিঠিপত্র

চিঠি : হাতিয়া গণহত্যা

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

রোববার, ২৮ নভেম্বর ২০২১

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে তৎকালীন বৃহত্তর রংপুর জেলার সবচেয়ে বড় গণহত্যা চালানো হয় কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নে। ১৩ নভেম্বর চালানো বর্বরোচিত এই গণহত্যায় প্রাণ হারান নিরীহ-নিরস্ত্র ৬৯৭ জন মানুষ। তাদের মধ্যে বেশিরভাগ ছিল শিশু ও নারী। পুরে ছাই হয় বাগুয়া অনন্তপুর, রামখানা, মন্ডলের হাট, নয়াদাড়া, নীলকণ্ঠ ও দাগারকুটি গ্রামের বাড়িঘর, গরু-ছাগল, হাস-মুরগী। যারা আগুন থেকে পালিয়ে ছিল তাদের ধরে কাউকে হাত-পা বেঁধে আগুনে ফেলা দেয়া হয়েছিল।

আবার অনেককে সারিবদ্ধ করে দাঁড় করিয়ে নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করা হয়। রক্তে লাল হয় পাশ দিয়ে বয়ে চলা ব্রহ্মপুত্র। শুধু এখানেই শেষ নয় মৃত্যু নিশ্চিত করতে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে ক্ষত-বিক্ষত করে লাশগুলোকে আগুনে ফেলে দেয় পাকিস্তানি বাহিনী।

স্বাধীনতার ৫০ বছর পেরিয়ে গেলেও আজও রাষ্ট্রীয়ভাবে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। হত্যাকান্ডে শিকার পরিবার পায়নি রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা। গত ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ খ্রিস্টাব্দে ১৩ জন গ্রেপ্তার হলেও এখনো বিচার হয়নি এই গণহত্যাকান্ডে জড়িত রাজাকার, আল-বদর, আল-শামসসহ পাকিস্তানি দালালদের। স্থানীয়ভাবে দিবসটি নানা কর্মকান্ডে হাতিয়া গণহত্যা দিবস পালন করা হলেও নীরবে মুছে যাচ্ছে ইতিহাসের পাতা থেকে। তাইন সময়ের দাবি আগামী প্রজন্মকে এ হত্যাকান্ড জানাতে হাতিয়ায় স্মৃতিস্তম্ভের পাশে শহীদদের নামফলক স্থাপনসহ ১৩ নভেম্বর দিনটিকে জাতীয়ভাবে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের ব্যবস্থা করা হোক।

জরীফ উদ্দীন

back to top