মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে তৎকালীন বৃহত্তর রংপুর জেলার সবচেয়ে বড় গণহত্যা চালানো হয় কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নে। ১৩ নভেম্বর চালানো বর্বরোচিত এই গণহত্যায় প্রাণ হারান নিরীহ-নিরস্ত্র ৬৯৭ জন মানুষ। তাদের মধ্যে বেশিরভাগ ছিল শিশু ও নারী। পুরে ছাই হয় বাগুয়া অনন্তপুর, রামখানা, মন্ডলের হাট, নয়াদাড়া, নীলকণ্ঠ ও দাগারকুটি গ্রামের বাড়িঘর, গরু-ছাগল, হাস-মুরগী। যারা আগুন থেকে পালিয়ে ছিল তাদের ধরে কাউকে হাত-পা বেঁধে আগুনে ফেলা দেয়া হয়েছিল।
আবার অনেককে সারিবদ্ধ করে দাঁড় করিয়ে নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করা হয়। রক্তে লাল হয় পাশ দিয়ে বয়ে চলা ব্রহ্মপুত্র। শুধু এখানেই শেষ নয় মৃত্যু নিশ্চিত করতে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে ক্ষত-বিক্ষত করে লাশগুলোকে আগুনে ফেলে দেয় পাকিস্তানি বাহিনী।
স্বাধীনতার ৫০ বছর পেরিয়ে গেলেও আজও রাষ্ট্রীয়ভাবে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। হত্যাকান্ডে শিকার পরিবার পায়নি রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা। গত ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ খ্রিস্টাব্দে ১৩ জন গ্রেপ্তার হলেও এখনো বিচার হয়নি এই গণহত্যাকান্ডে জড়িত রাজাকার, আল-বদর, আল-শামসসহ পাকিস্তানি দালালদের। স্থানীয়ভাবে দিবসটি নানা কর্মকান্ডে হাতিয়া গণহত্যা দিবস পালন করা হলেও নীরবে মুছে যাচ্ছে ইতিহাসের পাতা থেকে। তাইন সময়ের দাবি আগামী প্রজন্মকে এ হত্যাকান্ড জানাতে হাতিয়ায় স্মৃতিস্তম্ভের পাশে শহীদদের নামফলক স্থাপনসহ ১৩ নভেম্বর দিনটিকে জাতীয়ভাবে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের ব্যবস্থা করা হোক।
জরীফ উদ্দীন
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
রোববার, ২৮ নভেম্বর ২০২১
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে তৎকালীন বৃহত্তর রংপুর জেলার সবচেয়ে বড় গণহত্যা চালানো হয় কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নে। ১৩ নভেম্বর চালানো বর্বরোচিত এই গণহত্যায় প্রাণ হারান নিরীহ-নিরস্ত্র ৬৯৭ জন মানুষ। তাদের মধ্যে বেশিরভাগ ছিল শিশু ও নারী। পুরে ছাই হয় বাগুয়া অনন্তপুর, রামখানা, মন্ডলের হাট, নয়াদাড়া, নীলকণ্ঠ ও দাগারকুটি গ্রামের বাড়িঘর, গরু-ছাগল, হাস-মুরগী। যারা আগুন থেকে পালিয়ে ছিল তাদের ধরে কাউকে হাত-পা বেঁধে আগুনে ফেলা দেয়া হয়েছিল।
আবার অনেককে সারিবদ্ধ করে দাঁড় করিয়ে নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করা হয়। রক্তে লাল হয় পাশ দিয়ে বয়ে চলা ব্রহ্মপুত্র। শুধু এখানেই শেষ নয় মৃত্যু নিশ্চিত করতে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে ক্ষত-বিক্ষত করে লাশগুলোকে আগুনে ফেলে দেয় পাকিস্তানি বাহিনী।
স্বাধীনতার ৫০ বছর পেরিয়ে গেলেও আজও রাষ্ট্রীয়ভাবে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। হত্যাকান্ডে শিকার পরিবার পায়নি রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা। গত ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ খ্রিস্টাব্দে ১৩ জন গ্রেপ্তার হলেও এখনো বিচার হয়নি এই গণহত্যাকান্ডে জড়িত রাজাকার, আল-বদর, আল-শামসসহ পাকিস্তানি দালালদের। স্থানীয়ভাবে দিবসটি নানা কর্মকান্ডে হাতিয়া গণহত্যা দিবস পালন করা হলেও নীরবে মুছে যাচ্ছে ইতিহাসের পাতা থেকে। তাইন সময়ের দাবি আগামী প্রজন্মকে এ হত্যাকান্ড জানাতে হাতিয়ায় স্মৃতিস্তম্ভের পাশে শহীদদের নামফলক স্থাপনসহ ১৩ নভেম্বর দিনটিকে জাতীয়ভাবে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের ব্যবস্থা করা হোক।
জরীফ উদ্দীন