মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
সম্প্রতি প্রকাশিত যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটির (জিএফআই) এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, ২০০৯ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ছয় বছরে বাংলাদেশ থেকে ৪ লক্ষ ৩৬ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। এ প্রতিবেদন মতে, প্রতিবছর গড়ে প্রায় ৭৩ হাজার কোটি টাকা পাচার হচ্ছে। জিএফআই ছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি সংস্থার প্রতিবেদনে বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচারের ভয়াবহ আকার উঠে এসেছে। অর্থনীতিবিদদের মতে, বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ কমে যাওয়ায় টাকার পাচার বেড়েছে।
তাছাড়া অর্থ পাচারের অন্যতম কারণ হলো দুর্নীতি। আমাদের দেশে সর্বক্ষেত্রে দুর্নীতির প্রতিযোগিতা চলছে। এজন্যই বিদেশে টাকা পাচারের প্রবণতা বাড়ছে। মূলত বৈদেশিক বাণিজ্যের আড়ালে বিদেশে অর্থ পাচারের কার্যক্রম সংঘঠিত হয়। আমাদের দেশে বৈদেশিক আমদানি-রপ্তানির দেখভালের দায়িত্ব কাস্টমসের। আমাদের দেশে শতকরা প্রায় ৮০ শতাংশ আমদানি পণ্যের মূল্য বেশি এবং রপ্তানি পণ্যের মূল্য কম দেখানো হয়ে থাকে। এর মাধ্যমে বড় অংকের অর্থ পাচার হয়।
তাই প্রথমে কাস্টমসের চাকরিরত কর্মকর্তাদের দুর্নীতিমুক্ত ও দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে। তাছাড়া অর্থ পাচার রোধে বাংলাদেশ মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ কার্যকর করতে হবে। সরকার অর্থ পাচার রোধ সম্পর্কিত আইনে কেন্দ্রীয় ব্যাংক, দুদক জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং সিআইডি পুলিশকে দায়িত্ব বণ্টন করে দিয়েছেন। কিন্তু দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে, যা অর্থ পাচারের অন্যতম কারণ। সর্বপোরি, প্রশাসনকে অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। তবেই মেহনতি মানুষের পরিশ্রমের টাকা পাচার বন্ধ হবে এবং বাংলাদেশ আরও উন্নত ও সমৃদ্ধশালী হবে বলে প্রত্যাশা করি। আশাকরি কর্তৃপক্ষ এদিকে দৃষ্টি দিবেন।
সাইফুল মিয়া
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
রোববার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২১
সম্প্রতি প্রকাশিত যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটির (জিএফআই) এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, ২০০৯ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ছয় বছরে বাংলাদেশ থেকে ৪ লক্ষ ৩৬ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। এ প্রতিবেদন মতে, প্রতিবছর গড়ে প্রায় ৭৩ হাজার কোটি টাকা পাচার হচ্ছে। জিএফআই ছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি সংস্থার প্রতিবেদনে বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচারের ভয়াবহ আকার উঠে এসেছে। অর্থনীতিবিদদের মতে, বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ কমে যাওয়ায় টাকার পাচার বেড়েছে।
তাছাড়া অর্থ পাচারের অন্যতম কারণ হলো দুর্নীতি। আমাদের দেশে সর্বক্ষেত্রে দুর্নীতির প্রতিযোগিতা চলছে। এজন্যই বিদেশে টাকা পাচারের প্রবণতা বাড়ছে। মূলত বৈদেশিক বাণিজ্যের আড়ালে বিদেশে অর্থ পাচারের কার্যক্রম সংঘঠিত হয়। আমাদের দেশে বৈদেশিক আমদানি-রপ্তানির দেখভালের দায়িত্ব কাস্টমসের। আমাদের দেশে শতকরা প্রায় ৮০ শতাংশ আমদানি পণ্যের মূল্য বেশি এবং রপ্তানি পণ্যের মূল্য কম দেখানো হয়ে থাকে। এর মাধ্যমে বড় অংকের অর্থ পাচার হয়।
তাই প্রথমে কাস্টমসের চাকরিরত কর্মকর্তাদের দুর্নীতিমুক্ত ও দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে। তাছাড়া অর্থ পাচার রোধে বাংলাদেশ মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ কার্যকর করতে হবে। সরকার অর্থ পাচার রোধ সম্পর্কিত আইনে কেন্দ্রীয় ব্যাংক, দুদক জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং সিআইডি পুলিশকে দায়িত্ব বণ্টন করে দিয়েছেন। কিন্তু দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে, যা অর্থ পাচারের অন্যতম কারণ। সর্বপোরি, প্রশাসনকে অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। তবেই মেহনতি মানুষের পরিশ্রমের টাকা পাচার বন্ধ হবে এবং বাংলাদেশ আরও উন্নত ও সমৃদ্ধশালী হবে বলে প্রত্যাশা করি। আশাকরি কর্তৃপক্ষ এদিকে দৃষ্টি দিবেন।
সাইফুল মিয়া