alt

চিঠিপত্র

চিঠি : লোকশিল্পী আবদুল মজিদ তালুকদার

: শনিবার, ০১ জানুয়ারী ২০২২

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

বিশিষ্ট লোকশিল্পী আব্দুল মজিদ তালুকদার গীতিকার, সুরকার ও আপাদমস্তক একজন দেশপ্রেমিক ছিলেন। ভাষা আন্দোলন, ছয় দফা, গণঅভ্যুত্থান ও মুক্তিযুদ্ধ ছাড়াও তৎকালীন আন্দোলনগুলোকে নিয়ে বিপ্লবী গান লিখে গতিশীল করেছেন।

মজিদ তালুকদার একাধারে অলইন্ডিয়া বেতার থেকে শুরু করে গ্রামোফোন রেকর্ড এবং পাকিস্তান বেতার টিভির একজন গীতিকার ও সুরকার ছিলেন। যিনি আশির দশকে উপমহাদেশে বরেণ্য কয়েকজন শিল্পীর মাঝে অন্যতম একজন ছিলেন। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন, সর্বভারতীয় কাগমারী কৃষক সম্মেলন, ছয় দফা, ১১ দফা, যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন ও ৭০-এর নির্বাচন নিয়ে গান রচনা করেছেন। একাত্তরেও তিনি ক্ষুরধার গানের কথা ও ধ্রুপদী কণ্ঠে বিপ্লবী ও দেশাত্মবোধক গান গেয়ে মুক্তিযুদ্ধকে বেগবান করে তুলেছেন, গণ মানুষকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিজয়োৎসবে গান গেয়ে তিনি স্বর্ণপদক লাভ করেন। ১৯৪৫ সালে নেত্রকোনার নাগড়ার মাঠে অবিভক্ত সর্বভারতীয় কৃষক সম্মেলনে তার লেখা ‘রাষ্ট্র ভাষা বাংলা চাই’ গান পরিবেশন করেন।

ছয় দফা ও ১১ দফাকে নিয়ে তিনি লিখেছিলেন- ‘রঙিন কাষ্ঠের রঙিন নাও /রঙিন নায়ের ছইয়া রে/ বঙ্গবন্ধু হাল ধইরাছে/ নায়ের পাছায় বইয়া রে/ ছয় দফারই নৌকা খানি/ ১১দফার বৈঠা রে...।’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ নিয়েও তিনি গান লিখে প্রচার করেন। আব্দুল মজিদ তালুকদার ১ম ও ২য় অধিবেশনে বাংলা একাডেমির একজন সদস্য সংগ্রাহক ছিলেন। একুশে বইমেলা ২০২১-এ অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফার সম্পাদনায় তার জীবন ও ৬৪৬টি সঙ্গীত নিয়ে ‘মজিদগীতি সমগ্র’ বইটি প্রকাশ হয়। সম্প্রতি তাকে ভাষা সৈনিক আবুল হোসেন কলেজ ও ‘অমাস’ এর যৌথ উদ্যোগে মরণোত্তর সম্মাননা প্রদান করা হয়। গানের মধ্যে তিনি লোকগীতি, জারি-সারি, ভাটিয়ালি, পল্লিগীতি, বাউল গান, মারফতিসহ লোকগানের সকল শাখায় কণ্ঠে ও কলমে বিচরণ করেছেন। তিনি ১৮৯৮ সালের ১৫ জানুয়ারি নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার ইটাউতা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৮৮সালের ৮ জুন তিনি পরলোক গমন করেন।

মহান এই গীতিকার, সুরকার ও দেশপ্রেমিক সম্পের্ক নতুন প্রজন্মকে জানার জন্য সরকারের উদ্যোগ নেওয়া দরকার বলে মনেকরি। এছাড়াও লোক সাহিত্যে ও বাঙালির আন্দোলন সংগ্রামে, মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদান রাখার জন্য দেরিতে হলেও মরণোত্তর একুশে পদক প্রদান করা উচিত। আশা করি কর্তৃপক্ষ বিষয়টি বিবেচনা করবেন।

রাসেল হাসান

নেত্রকোনা

ছবি

বেকারত্ব নিরসনে কুটির শিল্পের ভূমিকা

দুর্যোগ পূর্ববর্তী প্রস্তুতি

ছবি

সোনালি পাটের প্রয়োজনীয়তা

কালীকচ্ছের ধর্মতীর্থ বধ্যভূমিতে স্মৃতিসৌধ নির্মাণের দাবি

চিঠি : হলে খাবারের মান উন্নত করুন

চিঠি : স্বাস্থ্য শিক্ষা বিষয়ে ডিপ্লোমাধারীদের বৈষম্য দূর করুন

চিঠি : শিক্ষার মান উন্নয়ন চাই

চিঠি : সড়ক আইন বাস্তবায়ন করুন

চিঠি : রাস্তায় বাইক সন্ত্রাস

চিঠি : কঠিন হয়ে পড়ছে ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা

চিঠি : ডিসেম্বরের স্মৃতি

চিঠি : টেকসই ও সাশ্রয়ী ক্লিন এনার্জি

চিঠি : নকল গুড় জব্দ হোক

চিঠি : সড়কে বাড়ছে লেন ঝরছে প্রাণ

চিঠি : ঢাকাবাসীর কাছে মেট্রোরেল আশীর্বাদ

চিঠি : কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন জরুরি

চিঠি : পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস চাই

চিঠি : তারুণ্যের শক্তি কাজে লাগান

চিঠি : এইডস থেকে বাঁচতে সচেতন হোন

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ হোক

চিঠি : হাসুন, সুস্থ থাকুন

চিঠি : হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি বন্ধ হোক

চিঠি : রাজনীতিতে তরুণ সমাজের অংশগ্রহণ

চিঠি : মাদককে ‘না’ বলুন

চিঠি : পুনরুন্নয়ন প্রকল্প : পাল্টে যাবে পুরান ঢাকা

চিঠি : শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ান

চিঠি : চন্দ্রগঞ্জে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন চাই

চিঠি : বাড়ছে বাল্যবিয়ে

চিঠি : টিকটকের অপব্যবহার রোধ করতে হবে

চিঠি : আত্মবিশ্বাস ও আস্থা

চিঠি : শিক্ষকরা কি প্রকৃত মর্যাদা পাচ্ছে

চিঠি : শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সম্প্রীতি চাই

চিঠি : সকালে ও বিকেলে মেট্রোরেল চলুক

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ করতে হবে

চিঠি : ঢাবি’র কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার আধুনিকায়ন করা হোক

চিঠি : নিত্যপণ্যের দাম

tab

চিঠিপত্র

চিঠি : লোকশিল্পী আবদুল মজিদ তালুকদার

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

শনিবার, ০১ জানুয়ারী ২০২২

বিশিষ্ট লোকশিল্পী আব্দুল মজিদ তালুকদার গীতিকার, সুরকার ও আপাদমস্তক একজন দেশপ্রেমিক ছিলেন। ভাষা আন্দোলন, ছয় দফা, গণঅভ্যুত্থান ও মুক্তিযুদ্ধ ছাড়াও তৎকালীন আন্দোলনগুলোকে নিয়ে বিপ্লবী গান লিখে গতিশীল করেছেন।

মজিদ তালুকদার একাধারে অলইন্ডিয়া বেতার থেকে শুরু করে গ্রামোফোন রেকর্ড এবং পাকিস্তান বেতার টিভির একজন গীতিকার ও সুরকার ছিলেন। যিনি আশির দশকে উপমহাদেশে বরেণ্য কয়েকজন শিল্পীর মাঝে অন্যতম একজন ছিলেন। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন, সর্বভারতীয় কাগমারী কৃষক সম্মেলন, ছয় দফা, ১১ দফা, যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন ও ৭০-এর নির্বাচন নিয়ে গান রচনা করেছেন। একাত্তরেও তিনি ক্ষুরধার গানের কথা ও ধ্রুপদী কণ্ঠে বিপ্লবী ও দেশাত্মবোধক গান গেয়ে মুক্তিযুদ্ধকে বেগবান করে তুলেছেন, গণ মানুষকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিজয়োৎসবে গান গেয়ে তিনি স্বর্ণপদক লাভ করেন। ১৯৪৫ সালে নেত্রকোনার নাগড়ার মাঠে অবিভক্ত সর্বভারতীয় কৃষক সম্মেলনে তার লেখা ‘রাষ্ট্র ভাষা বাংলা চাই’ গান পরিবেশন করেন।

ছয় দফা ও ১১ দফাকে নিয়ে তিনি লিখেছিলেন- ‘রঙিন কাষ্ঠের রঙিন নাও /রঙিন নায়ের ছইয়া রে/ বঙ্গবন্ধু হাল ধইরাছে/ নায়ের পাছায় বইয়া রে/ ছয় দফারই নৌকা খানি/ ১১দফার বৈঠা রে...।’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ নিয়েও তিনি গান লিখে প্রচার করেন। আব্দুল মজিদ তালুকদার ১ম ও ২য় অধিবেশনে বাংলা একাডেমির একজন সদস্য সংগ্রাহক ছিলেন। একুশে বইমেলা ২০২১-এ অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফার সম্পাদনায় তার জীবন ও ৬৪৬টি সঙ্গীত নিয়ে ‘মজিদগীতি সমগ্র’ বইটি প্রকাশ হয়। সম্প্রতি তাকে ভাষা সৈনিক আবুল হোসেন কলেজ ও ‘অমাস’ এর যৌথ উদ্যোগে মরণোত্তর সম্মাননা প্রদান করা হয়। গানের মধ্যে তিনি লোকগীতি, জারি-সারি, ভাটিয়ালি, পল্লিগীতি, বাউল গান, মারফতিসহ লোকগানের সকল শাখায় কণ্ঠে ও কলমে বিচরণ করেছেন। তিনি ১৮৯৮ সালের ১৫ জানুয়ারি নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার ইটাউতা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৮৮সালের ৮ জুন তিনি পরলোক গমন করেন।

মহান এই গীতিকার, সুরকার ও দেশপ্রেমিক সম্পের্ক নতুন প্রজন্মকে জানার জন্য সরকারের উদ্যোগ নেওয়া দরকার বলে মনেকরি। এছাড়াও লোক সাহিত্যে ও বাঙালির আন্দোলন সংগ্রামে, মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদান রাখার জন্য দেরিতে হলেও মরণোত্তর একুশে পদক প্রদান করা উচিত। আশা করি কর্তৃপক্ষ বিষয়টি বিবেচনা করবেন।

রাসেল হাসান

নেত্রকোনা

back to top