alt

চিঠিপত্র

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শূন্য পাস

: শুক্রবার, ০৭ জানুয়ারী ২০২২

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

এবারে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং তার ফলাফলও প্রকাশ হয়েছে। অন্যান্যবারের মতো এবার সব বিষয়ের উপর পরীক্ষা হয়নি। শুধু গ্রুপভিত্তিক তিনটি বিষয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সময় ও নম্বর কমিয়ে দেয়া হয়েছে। এরপরও দেখা গেছে, ১৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের একজন শিক্ষার্থীও পাশ করতে পারেনি। অবাক হওয়ার মতো ঘটনাই বটে। এর আগেও এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় একই চিত্র আমরা লক্ষ্য করেছি। প্রতিবছরই কোনো না কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শূন্য ফলাফল অর্জন করতে দেখা যায়! কিন্তু এটা কেনো হবে? শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে, কার্যক্রম চলে, শিক্ষক-কর্মচারীরা বেতন-ভাতা তুলে নেন। পরীক্ষার্থীরা ফরম ফিলাপ করে; আবার যথারীতি পরীক্ষায়ও অংশগ্রহণ করে। কিন্তু ফলাফল বের হওয়ার পর দেখা যায় একজনও পাশ করতে পারে না। এই রহস্য সত্যিই বিস্ময়কর ও অতীব লজ্জার।

প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পাশের আশা নিয়েই পড়াশোনা করে, পরীক্ষা দেয়। কিন্তু ফলাফল প্রকাশের পর যদি একজন শিক্ষার্থীও পাশ করতে না পারে তখন তার মনের অবস্থাটা কি যে হয় তা ভুক্তভোগী মাত্রই টের পায়! তার অধ্যবসায় ও সাধনা ভেঙে খান খান হয়ে পড়ে। তখন স্বভাবতই প্রশ্ন উঠে, সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষক ও শিক্ষার গুণগত মান নিয়ে। এভাবে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চলতে পারে না। আর এসব ব্যর্থ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান টিকিয়ে রাখারও কোনো মানে হয় না। দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই সমমানের হওয়া উচিত। তা না হলে একটা বৈষম্য থেকেই যায়।

যে সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অকার্যকর হওয়ার পাশাপাশি ফলাফল শূন্য-তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া জরুরি। অন্যথায় ফি বছর একই ফলাফল করবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

আজম জহিরুল ইসলাম

গৌরীপুর, ময়মনসিংহ

ছবি

বেকারত্ব নিরসনে কুটির শিল্পের ভূমিকা

দুর্যোগ পূর্ববর্তী প্রস্তুতি

ছবি

সোনালি পাটের প্রয়োজনীয়তা

কালীকচ্ছের ধর্মতীর্থ বধ্যভূমিতে স্মৃতিসৌধ নির্মাণের দাবি

চিঠি : হলে খাবারের মান উন্নত করুন

চিঠি : স্বাস্থ্য শিক্ষা বিষয়ে ডিপ্লোমাধারীদের বৈষম্য দূর করুন

চিঠি : শিক্ষার মান উন্নয়ন চাই

চিঠি : সড়ক আইন বাস্তবায়ন করুন

চিঠি : রাস্তায় বাইক সন্ত্রাস

চিঠি : কঠিন হয়ে পড়ছে ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা

চিঠি : ডিসেম্বরের স্মৃতি

চিঠি : টেকসই ও সাশ্রয়ী ক্লিন এনার্জি

চিঠি : নকল গুড় জব্দ হোক

চিঠি : সড়কে বাড়ছে লেন ঝরছে প্রাণ

চিঠি : ঢাকাবাসীর কাছে মেট্রোরেল আশীর্বাদ

চিঠি : কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন জরুরি

চিঠি : পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস চাই

চিঠি : তারুণ্যের শক্তি কাজে লাগান

চিঠি : এইডস থেকে বাঁচতে সচেতন হোন

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ হোক

চিঠি : হাসুন, সুস্থ থাকুন

চিঠি : হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি বন্ধ হোক

চিঠি : রাজনীতিতে তরুণ সমাজের অংশগ্রহণ

চিঠি : মাদককে ‘না’ বলুন

চিঠি : পুনরুন্নয়ন প্রকল্প : পাল্টে যাবে পুরান ঢাকা

চিঠি : শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ান

চিঠি : চন্দ্রগঞ্জে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন চাই

চিঠি : বাড়ছে বাল্যবিয়ে

চিঠি : টিকটকের অপব্যবহার রোধ করতে হবে

চিঠি : আত্মবিশ্বাস ও আস্থা

চিঠি : শিক্ষকরা কি প্রকৃত মর্যাদা পাচ্ছে

চিঠি : শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সম্প্রীতি চাই

চিঠি : সকালে ও বিকেলে মেট্রোরেল চলুক

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ করতে হবে

চিঠি : ঢাবি’র কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার আধুনিকায়ন করা হোক

চিঠি : নিত্যপণ্যের দাম

tab

চিঠিপত্র

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শূন্য পাস

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

শুক্রবার, ০৭ জানুয়ারী ২০২২

এবারে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং তার ফলাফলও প্রকাশ হয়েছে। অন্যান্যবারের মতো এবার সব বিষয়ের উপর পরীক্ষা হয়নি। শুধু গ্রুপভিত্তিক তিনটি বিষয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সময় ও নম্বর কমিয়ে দেয়া হয়েছে। এরপরও দেখা গেছে, ১৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের একজন শিক্ষার্থীও পাশ করতে পারেনি। অবাক হওয়ার মতো ঘটনাই বটে। এর আগেও এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় একই চিত্র আমরা লক্ষ্য করেছি। প্রতিবছরই কোনো না কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শূন্য ফলাফল অর্জন করতে দেখা যায়! কিন্তু এটা কেনো হবে? শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে, কার্যক্রম চলে, শিক্ষক-কর্মচারীরা বেতন-ভাতা তুলে নেন। পরীক্ষার্থীরা ফরম ফিলাপ করে; আবার যথারীতি পরীক্ষায়ও অংশগ্রহণ করে। কিন্তু ফলাফল বের হওয়ার পর দেখা যায় একজনও পাশ করতে পারে না। এই রহস্য সত্যিই বিস্ময়কর ও অতীব লজ্জার।

প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পাশের আশা নিয়েই পড়াশোনা করে, পরীক্ষা দেয়। কিন্তু ফলাফল প্রকাশের পর যদি একজন শিক্ষার্থীও পাশ করতে না পারে তখন তার মনের অবস্থাটা কি যে হয় তা ভুক্তভোগী মাত্রই টের পায়! তার অধ্যবসায় ও সাধনা ভেঙে খান খান হয়ে পড়ে। তখন স্বভাবতই প্রশ্ন উঠে, সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষক ও শিক্ষার গুণগত মান নিয়ে। এভাবে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চলতে পারে না। আর এসব ব্যর্থ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান টিকিয়ে রাখারও কোনো মানে হয় না। দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই সমমানের হওয়া উচিত। তা না হলে একটা বৈষম্য থেকেই যায়।

যে সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অকার্যকর হওয়ার পাশাপাশি ফলাফল শূন্য-তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া জরুরি। অন্যথায় ফি বছর একই ফলাফল করবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

আজম জহিরুল ইসলাম

গৌরীপুর, ময়মনসিংহ

back to top