alt

চিঠিপত্র

চিঠি : গতির নেশায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা

: রোববার, ০৯ জানুয়ারী ২০২২

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

দেশে প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও ঘটছে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা। তবে অধিকাংশ দুর্ঘটনার শিকার তরুণরা। তরুণ প্রজন্মের একটি বিরাট অংশের বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালানোর নগ্ন প্রতিযোগিতার মানসিকতা ক্রমাগত দুর্ঘটনার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। জীবনের তোয়াক্কা না করে বেপরোয়া এসব প্রতিযোগিতাই মহাসড়কে মোটরসাইকেল কেড়ে নিচ্ছে একেকটি তাজা প্রাণ, সড়ক রঞ্জিত হচ্ছে নির্ভেজাল রক্তে। সড়কে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা নতুন না হলেও ইদানীং বেড়েই চলেছে এর সংখ্যা। দুর্ঘটনায় প্রতিদিন মৃত্যুর সংখ্যা বাড়লেও বাড়ছে না সচেতনতা।

মোটরসাইকেল বিপণনকারী কোম্পানিগুলোর দেয়া তথ্যানুযায়ী- দেশে বছরে প্রায় ৫ লাখ নতুন মোটরসাইকেল বিক্রি হয়। তরুণ প্রজন্মের অধিকাংশ ছেলেদের কাছে মোটরসাইকেল রীতিমতো স্বপ্নের মতো হয়ে উঠেছে। বয়সের আগেই মোটরসাইকেলের নেশায় মত্ত অধিকাংশ তরুণ। বাবা-মা আবদার পূরণ করতে না চাইলে অবাধ্য হয়ে ওঠে কেউ কেউ। ঘটে নানান অসামাজিক ঘটনাও। আবেগ জর্জরিত এসব তরুণ মোটরসাইকেল পেয়ে একেকজন হয়ে ওঠে গতিদানব।

শুধু গতির নেশাই নয়, নানাবিধ কারণ ও খামখেয়ালিপনায় প্রতিনিয়ত ঘটছে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা। হেলমেটের ব্যবহার না করা, অল্প বয়সে মহাসড়কে বাইক চালানো, উচ্চগতি, ওভারটেকিং প্রবণতা, ঘন ঘন লেন পরিবর্তন, ফোনে কথা বলে মোটরসাইকেল চালানো, ফিটনেস ও লাইসেন্সবিহীন মোটরসাইকেল চালানো দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়িয়ে তুলছে।

দেশে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা রোধ করতে নেই তেমন ইতিবাচক পদক্ষেপ। যেকোনো বড় দুর্ঘটনার পর কিছুদিন সে বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, পত্র-পত্রিকা, টেলিভিশন টক-শো থেকে শুরু করে বিভিন্ন মাধ্যমে সরগরম থাকলেও ইতিবাচক পদক্ষেপ কিংবা আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন দেখা মেলে না।

আইন বাস্তবায়নে ফাঁকফোকর থাকায় নিত্যদিনই মোটরসাইকেলের বেপরোয়া গতির কাছে হেরে যাচ্ছে আমাদের তরুণ সমাজ। মোটরসাইকেল এমন এক যানবাহন, যেটা সতর্কতার সাথে ট্রাফিক নিয়ম মেনে চালাতে পারলে দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছে দেবে। আর অনিয়ম, অসচেতনতা ও অসতর্কভাবে চালালে দ্রুত কবরে পৌঁছে দেবে। তাই মোটর বাইকারদের উচিত হবে নিয়ম মেনে সতর্কতা ও সচেতনতার সাথে মোটরসাইকেল চালানো। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা প্রতিরোধে প্রশাসন কর্তৃক আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবি।

সাগরিকা সুলতানা প্রিয়া

ছবি

বেকারত্ব নিরসনে কুটির শিল্পের ভূমিকা

দুর্যোগ পূর্ববর্তী প্রস্তুতি

ছবি

সোনালি পাটের প্রয়োজনীয়তা

কালীকচ্ছের ধর্মতীর্থ বধ্যভূমিতে স্মৃতিসৌধ নির্মাণের দাবি

চিঠি : হলে খাবারের মান উন্নত করুন

চিঠি : স্বাস্থ্য শিক্ষা বিষয়ে ডিপ্লোমাধারীদের বৈষম্য দূর করুন

চিঠি : শিক্ষার মান উন্নয়ন চাই

চিঠি : সড়ক আইন বাস্তবায়ন করুন

চিঠি : রাস্তায় বাইক সন্ত্রাস

চিঠি : কঠিন হয়ে পড়ছে ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা

চিঠি : ডিসেম্বরের স্মৃতি

চিঠি : টেকসই ও সাশ্রয়ী ক্লিন এনার্জি

চিঠি : নকল গুড় জব্দ হোক

চিঠি : সড়কে বাড়ছে লেন ঝরছে প্রাণ

চিঠি : ঢাকাবাসীর কাছে মেট্রোরেল আশীর্বাদ

চিঠি : কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন জরুরি

চিঠি : পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস চাই

চিঠি : তারুণ্যের শক্তি কাজে লাগান

চিঠি : এইডস থেকে বাঁচতে সচেতন হোন

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ হোক

চিঠি : হাসুন, সুস্থ থাকুন

চিঠি : হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি বন্ধ হোক

চিঠি : রাজনীতিতে তরুণ সমাজের অংশগ্রহণ

চিঠি : মাদককে ‘না’ বলুন

চিঠি : পুনরুন্নয়ন প্রকল্প : পাল্টে যাবে পুরান ঢাকা

চিঠি : শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ান

চিঠি : চন্দ্রগঞ্জে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন চাই

চিঠি : বাড়ছে বাল্যবিয়ে

চিঠি : টিকটকের অপব্যবহার রোধ করতে হবে

চিঠি : আত্মবিশ্বাস ও আস্থা

চিঠি : শিক্ষকরা কি প্রকৃত মর্যাদা পাচ্ছে

চিঠি : শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সম্প্রীতি চাই

চিঠি : সকালে ও বিকেলে মেট্রোরেল চলুক

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ করতে হবে

চিঠি : ঢাবি’র কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার আধুনিকায়ন করা হোক

চিঠি : নিত্যপণ্যের দাম

tab

চিঠিপত্র

চিঠি : গতির নেশায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

রোববার, ০৯ জানুয়ারী ২০২২

দেশে প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও ঘটছে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা। তবে অধিকাংশ দুর্ঘটনার শিকার তরুণরা। তরুণ প্রজন্মের একটি বিরাট অংশের বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালানোর নগ্ন প্রতিযোগিতার মানসিকতা ক্রমাগত দুর্ঘটনার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। জীবনের তোয়াক্কা না করে বেপরোয়া এসব প্রতিযোগিতাই মহাসড়কে মোটরসাইকেল কেড়ে নিচ্ছে একেকটি তাজা প্রাণ, সড়ক রঞ্জিত হচ্ছে নির্ভেজাল রক্তে। সড়কে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা নতুন না হলেও ইদানীং বেড়েই চলেছে এর সংখ্যা। দুর্ঘটনায় প্রতিদিন মৃত্যুর সংখ্যা বাড়লেও বাড়ছে না সচেতনতা।

মোটরসাইকেল বিপণনকারী কোম্পানিগুলোর দেয়া তথ্যানুযায়ী- দেশে বছরে প্রায় ৫ লাখ নতুন মোটরসাইকেল বিক্রি হয়। তরুণ প্রজন্মের অধিকাংশ ছেলেদের কাছে মোটরসাইকেল রীতিমতো স্বপ্নের মতো হয়ে উঠেছে। বয়সের আগেই মোটরসাইকেলের নেশায় মত্ত অধিকাংশ তরুণ। বাবা-মা আবদার পূরণ করতে না চাইলে অবাধ্য হয়ে ওঠে কেউ কেউ। ঘটে নানান অসামাজিক ঘটনাও। আবেগ জর্জরিত এসব তরুণ মোটরসাইকেল পেয়ে একেকজন হয়ে ওঠে গতিদানব।

শুধু গতির নেশাই নয়, নানাবিধ কারণ ও খামখেয়ালিপনায় প্রতিনিয়ত ঘটছে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা। হেলমেটের ব্যবহার না করা, অল্প বয়সে মহাসড়কে বাইক চালানো, উচ্চগতি, ওভারটেকিং প্রবণতা, ঘন ঘন লেন পরিবর্তন, ফোনে কথা বলে মোটরসাইকেল চালানো, ফিটনেস ও লাইসেন্সবিহীন মোটরসাইকেল চালানো দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়িয়ে তুলছে।

দেশে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা রোধ করতে নেই তেমন ইতিবাচক পদক্ষেপ। যেকোনো বড় দুর্ঘটনার পর কিছুদিন সে বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, পত্র-পত্রিকা, টেলিভিশন টক-শো থেকে শুরু করে বিভিন্ন মাধ্যমে সরগরম থাকলেও ইতিবাচক পদক্ষেপ কিংবা আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন দেখা মেলে না।

আইন বাস্তবায়নে ফাঁকফোকর থাকায় নিত্যদিনই মোটরসাইকেলের বেপরোয়া গতির কাছে হেরে যাচ্ছে আমাদের তরুণ সমাজ। মোটরসাইকেল এমন এক যানবাহন, যেটা সতর্কতার সাথে ট্রাফিক নিয়ম মেনে চালাতে পারলে দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছে দেবে। আর অনিয়ম, অসচেতনতা ও অসতর্কভাবে চালালে দ্রুত কবরে পৌঁছে দেবে। তাই মোটর বাইকারদের উচিত হবে নিয়ম মেনে সতর্কতা ও সচেতনতার সাথে মোটরসাইকেল চালানো। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা প্রতিরোধে প্রশাসন কর্তৃক আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবি।

সাগরিকা সুলতানা প্রিয়া

back to top