মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
কিছুতেই থামছে না সড়ক দুর্ঘটনা। প্রতিদিনই পাল্লা দিয়ে দুর্ঘটনা ঘটছে; হতাহত হচ্ছে অসংখ্য মানুষ। ঘর থেকে বের হয়ে নিরাপদে বাসায় ফিরতে পারব সেই গ্যারান্টি কেউ দিতে পারছে না। দুর্ঘটনা যেন আজ নিয়তি হয়ে দাঁড়িয়েছে। একে রোধ বা নিয়ন্ত্রণ করার মতো কোন শক্তিই যেনো মানুষের নেই। রাষ্ট্রও সুরক্ষা দিতে পারছে না তার নাগরিকদের। সড়ক দুর্ঘটনার কাছে মানুষ আজ অসহায়, করুণার পাত্র। এই জিম্মিদশা থেকে মানুষ কবে মুক্তি পাবে কেউ বলতে পারছে না।
মনে হচ্ছে, সড়ক দুর্ঘটনার যেন একটি অভিশাপ। এই অভিশাপ মানুষকে মেনে নিতে হচ্ছে নতমস্তকে। দুর্ঘটনার কারণে কতো মানুষ যে প্রাণ হারাচ্ছে, নিঃস্ব হচ্ছে, পঙ্গুত্ববরণ করে দুঃষহ জীবনযাপন করছে তার কোন সঠিক পরিসংখ্যান নেই।
অতিরিক্ত যাত্রীবহন, দ্রুতগতিতে যানবাহন চালানো, রাস্তায় অন্য যানবাহনের সঙ্গে প্রতিযোগিতা, আনাড়ি ও অদক্ষ চালক, চলন্ত অবস্থায় মোবাইল ফোনে কথা বলা, চালকের সিটে বসে ঘুম ঘুম ভাব, চালক ও সহকারীর স্বেচ্ছাচারিতা ইত্যাকার নানা কারণে দুর্ঘটনায় পতিত হচ্ছে এ সব যানবাহন।
সত্যিকার অর্থে সড়কে চলাচলকারী যানবাহনগুলো যাত্রীদের সেবা দেয়ার কথা। কিন্তু সেবার বদলে কি ঘটছে তা সবারই জানা। গাড়ির মালিক, চালক, সহকারীদের অনিয়ম ও অবহেলার কোনো শেষ নেই। তাদের কাছে যাত্রীরা একপ্রকার জিম্মি। অনিয়মের প্রতিবাদ করলেও কোনো কাজ হয় না, কেউ কথা শোনে না। উল্টা আরও হেনস্তার শিকার হতে হয়।
আজকে এই বিষয়টি যাদের দেখার কথা তারা নির্বিকার। মালিক-শ্রমিক সংগঠনগুলোও নামকাওয়াস্তে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। তারা সেবার চেয়ে মুনাফাটাকেই বড় করে দেখছে। দেশের প্রত্যেকটি মানুষ অস্বাভাবিক মৃত্যু ও পঙ্গুত্বের হাত থেকে মুক্তি চায়। তারা নিরাপদ সড়ক চায়, চায় চলাচলের স্বাধীনতাসহ দুর্ঘটনা থেকে বাঁচার গ্যারান্টি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এগিয়ে না এলে দুর্ঘটনার কবল থেকে মুক্তির কোনো উপায় নেই।
আজম জহিরুল ইসলাম
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
শনিবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২২
কিছুতেই থামছে না সড়ক দুর্ঘটনা। প্রতিদিনই পাল্লা দিয়ে দুর্ঘটনা ঘটছে; হতাহত হচ্ছে অসংখ্য মানুষ। ঘর থেকে বের হয়ে নিরাপদে বাসায় ফিরতে পারব সেই গ্যারান্টি কেউ দিতে পারছে না। দুর্ঘটনা যেন আজ নিয়তি হয়ে দাঁড়িয়েছে। একে রোধ বা নিয়ন্ত্রণ করার মতো কোন শক্তিই যেনো মানুষের নেই। রাষ্ট্রও সুরক্ষা দিতে পারছে না তার নাগরিকদের। সড়ক দুর্ঘটনার কাছে মানুষ আজ অসহায়, করুণার পাত্র। এই জিম্মিদশা থেকে মানুষ কবে মুক্তি পাবে কেউ বলতে পারছে না।
মনে হচ্ছে, সড়ক দুর্ঘটনার যেন একটি অভিশাপ। এই অভিশাপ মানুষকে মেনে নিতে হচ্ছে নতমস্তকে। দুর্ঘটনার কারণে কতো মানুষ যে প্রাণ হারাচ্ছে, নিঃস্ব হচ্ছে, পঙ্গুত্ববরণ করে দুঃষহ জীবনযাপন করছে তার কোন সঠিক পরিসংখ্যান নেই।
অতিরিক্ত যাত্রীবহন, দ্রুতগতিতে যানবাহন চালানো, রাস্তায় অন্য যানবাহনের সঙ্গে প্রতিযোগিতা, আনাড়ি ও অদক্ষ চালক, চলন্ত অবস্থায় মোবাইল ফোনে কথা বলা, চালকের সিটে বসে ঘুম ঘুম ভাব, চালক ও সহকারীর স্বেচ্ছাচারিতা ইত্যাকার নানা কারণে দুর্ঘটনায় পতিত হচ্ছে এ সব যানবাহন।
সত্যিকার অর্থে সড়কে চলাচলকারী যানবাহনগুলো যাত্রীদের সেবা দেয়ার কথা। কিন্তু সেবার বদলে কি ঘটছে তা সবারই জানা। গাড়ির মালিক, চালক, সহকারীদের অনিয়ম ও অবহেলার কোনো শেষ নেই। তাদের কাছে যাত্রীরা একপ্রকার জিম্মি। অনিয়মের প্রতিবাদ করলেও কোনো কাজ হয় না, কেউ কথা শোনে না। উল্টা আরও হেনস্তার শিকার হতে হয়।
আজকে এই বিষয়টি যাদের দেখার কথা তারা নির্বিকার। মালিক-শ্রমিক সংগঠনগুলোও নামকাওয়াস্তে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। তারা সেবার চেয়ে মুনাফাটাকেই বড় করে দেখছে। দেশের প্রত্যেকটি মানুষ অস্বাভাবিক মৃত্যু ও পঙ্গুত্বের হাত থেকে মুক্তি চায়। তারা নিরাপদ সড়ক চায়, চায় চলাচলের স্বাধীনতাসহ দুর্ঘটনা থেকে বাঁচার গ্যারান্টি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এগিয়ে না এলে দুর্ঘটনার কবল থেকে মুক্তির কোনো উপায় নেই।
আজম জহিরুল ইসলাম