alt

চিঠিপত্র

চিঠি : নিরাপদ সড়কের বিকল্প নেই

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : শনিবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২২

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

কিছুতেই থামছে না সড়ক দুর্ঘটনা। প্রতিদিনই পাল্লা দিয়ে দুর্ঘটনা ঘটছে; হতাহত হচ্ছে অসংখ্য মানুষ। ঘর থেকে বের হয়ে নিরাপদে বাসায় ফিরতে পারব সেই গ্যারান্টি কেউ দিতে পারছে না। দুর্ঘটনা যেন আজ নিয়তি হয়ে দাঁড়িয়েছে। একে রোধ বা নিয়ন্ত্রণ করার মতো কোন শক্তিই যেনো মানুষের নেই। রাষ্ট্রও সুরক্ষা দিতে পারছে না তার নাগরিকদের। সড়ক দুর্ঘটনার কাছে মানুষ আজ অসহায়, করুণার পাত্র। এই জিম্মিদশা থেকে মানুষ কবে মুক্তি পাবে কেউ বলতে পারছে না।

মনে হচ্ছে, সড়ক দুর্ঘটনার যেন একটি অভিশাপ। এই অভিশাপ মানুষকে মেনে নিতে হচ্ছে নতমস্তকে। দুর্ঘটনার কারণে কতো মানুষ যে প্রাণ হারাচ্ছে, নিঃস্ব হচ্ছে, পঙ্গুত্ববরণ করে দুঃষহ জীবনযাপন করছে তার কোন সঠিক পরিসংখ্যান নেই।

অতিরিক্ত যাত্রীবহন, দ্রুতগতিতে যানবাহন চালানো, রাস্তায় অন্য যানবাহনের সঙ্গে প্রতিযোগিতা, আনাড়ি ও অদক্ষ চালক, চলন্ত অবস্থায় মোবাইল ফোনে কথা বলা, চালকের সিটে বসে ঘুম ঘুম ভাব, চালক ও সহকারীর স্বেচ্ছাচারিতা ইত্যাকার নানা কারণে দুর্ঘটনায় পতিত হচ্ছে এ সব যানবাহন।

সত্যিকার অর্থে সড়কে চলাচলকারী যানবাহনগুলো যাত্রীদের সেবা দেয়ার কথা। কিন্তু সেবার বদলে কি ঘটছে তা সবারই জানা। গাড়ির মালিক, চালক, সহকারীদের অনিয়ম ও অবহেলার কোনো শেষ নেই। তাদের কাছে যাত্রীরা একপ্রকার জিম্মি। অনিয়মের প্রতিবাদ করলেও কোনো কাজ হয় না, কেউ কথা শোনে না। উল্টা আরও হেনস্তার শিকার হতে হয়।

আজকে এই বিষয়টি যাদের দেখার কথা তারা নির্বিকার। মালিক-শ্রমিক সংগঠনগুলোও নামকাওয়াস্তে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। তারা সেবার চেয়ে মুনাফাটাকেই বড় করে দেখছে। দেশের প্রত্যেকটি মানুষ অস্বাভাবিক মৃত্যু ও পঙ্গুত্বের হাত থেকে মুক্তি চায়। তারা নিরাপদ সড়ক চায়, চায় চলাচলের স্বাধীনতাসহ দুর্ঘটনা থেকে বাঁচার গ্যারান্টি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এগিয়ে না এলে দুর্ঘটনার কবল থেকে মুক্তির কোনো উপায় নেই।

আজম জহিরুল ইসলাম

ছবি

বেকারত্ব নিরসনে কুটির শিল্পের ভূমিকা

দুর্যোগ পূর্ববর্তী প্রস্তুতি

ছবি

সোনালি পাটের প্রয়োজনীয়তা

কালীকচ্ছের ধর্মতীর্থ বধ্যভূমিতে স্মৃতিসৌধ নির্মাণের দাবি

চিঠি : হলে খাবারের মান উন্নত করুন

চিঠি : স্বাস্থ্য শিক্ষা বিষয়ে ডিপ্লোমাধারীদের বৈষম্য দূর করুন

চিঠি : শিক্ষার মান উন্নয়ন চাই

চিঠি : সড়ক আইন বাস্তবায়ন করুন

চিঠি : রাস্তায় বাইক সন্ত্রাস

চিঠি : কঠিন হয়ে পড়ছে ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা

চিঠি : ডিসেম্বরের স্মৃতি

চিঠি : টেকসই ও সাশ্রয়ী ক্লিন এনার্জি

চিঠি : নকল গুড় জব্দ হোক

চিঠি : সড়কে বাড়ছে লেন ঝরছে প্রাণ

চিঠি : ঢাকাবাসীর কাছে মেট্রোরেল আশীর্বাদ

চিঠি : কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন জরুরি

চিঠি : পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস চাই

চিঠি : তারুণ্যের শক্তি কাজে লাগান

চিঠি : এইডস থেকে বাঁচতে সচেতন হোন

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ হোক

চিঠি : হাসুন, সুস্থ থাকুন

চিঠি : হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি বন্ধ হোক

চিঠি : রাজনীতিতে তরুণ সমাজের অংশগ্রহণ

চিঠি : মাদককে ‘না’ বলুন

চিঠি : পুনরুন্নয়ন প্রকল্প : পাল্টে যাবে পুরান ঢাকা

চিঠি : শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ান

চিঠি : চন্দ্রগঞ্জে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন চাই

চিঠি : বাড়ছে বাল্যবিয়ে

চিঠি : টিকটকের অপব্যবহার রোধ করতে হবে

চিঠি : আত্মবিশ্বাস ও আস্থা

চিঠি : শিক্ষকরা কি প্রকৃত মর্যাদা পাচ্ছে

চিঠি : শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সম্প্রীতি চাই

চিঠি : সকালে ও বিকেলে মেট্রোরেল চলুক

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ করতে হবে

চিঠি : ঢাবি’র কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার আধুনিকায়ন করা হোক

চিঠি : নিত্যপণ্যের দাম

tab

চিঠিপত্র

চিঠি : নিরাপদ সড়কের বিকল্প নেই

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

শনিবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২২

কিছুতেই থামছে না সড়ক দুর্ঘটনা। প্রতিদিনই পাল্লা দিয়ে দুর্ঘটনা ঘটছে; হতাহত হচ্ছে অসংখ্য মানুষ। ঘর থেকে বের হয়ে নিরাপদে বাসায় ফিরতে পারব সেই গ্যারান্টি কেউ দিতে পারছে না। দুর্ঘটনা যেন আজ নিয়তি হয়ে দাঁড়িয়েছে। একে রোধ বা নিয়ন্ত্রণ করার মতো কোন শক্তিই যেনো মানুষের নেই। রাষ্ট্রও সুরক্ষা দিতে পারছে না তার নাগরিকদের। সড়ক দুর্ঘটনার কাছে মানুষ আজ অসহায়, করুণার পাত্র। এই জিম্মিদশা থেকে মানুষ কবে মুক্তি পাবে কেউ বলতে পারছে না।

মনে হচ্ছে, সড়ক দুর্ঘটনার যেন একটি অভিশাপ। এই অভিশাপ মানুষকে মেনে নিতে হচ্ছে নতমস্তকে। দুর্ঘটনার কারণে কতো মানুষ যে প্রাণ হারাচ্ছে, নিঃস্ব হচ্ছে, পঙ্গুত্ববরণ করে দুঃষহ জীবনযাপন করছে তার কোন সঠিক পরিসংখ্যান নেই।

অতিরিক্ত যাত্রীবহন, দ্রুতগতিতে যানবাহন চালানো, রাস্তায় অন্য যানবাহনের সঙ্গে প্রতিযোগিতা, আনাড়ি ও অদক্ষ চালক, চলন্ত অবস্থায় মোবাইল ফোনে কথা বলা, চালকের সিটে বসে ঘুম ঘুম ভাব, চালক ও সহকারীর স্বেচ্ছাচারিতা ইত্যাকার নানা কারণে দুর্ঘটনায় পতিত হচ্ছে এ সব যানবাহন।

সত্যিকার অর্থে সড়কে চলাচলকারী যানবাহনগুলো যাত্রীদের সেবা দেয়ার কথা। কিন্তু সেবার বদলে কি ঘটছে তা সবারই জানা। গাড়ির মালিক, চালক, সহকারীদের অনিয়ম ও অবহেলার কোনো শেষ নেই। তাদের কাছে যাত্রীরা একপ্রকার জিম্মি। অনিয়মের প্রতিবাদ করলেও কোনো কাজ হয় না, কেউ কথা শোনে না। উল্টা আরও হেনস্তার শিকার হতে হয়।

আজকে এই বিষয়টি যাদের দেখার কথা তারা নির্বিকার। মালিক-শ্রমিক সংগঠনগুলোও নামকাওয়াস্তে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। তারা সেবার চেয়ে মুনাফাটাকেই বড় করে দেখছে। দেশের প্রত্যেকটি মানুষ অস্বাভাবিক মৃত্যু ও পঙ্গুত্বের হাত থেকে মুক্তি চায়। তারা নিরাপদ সড়ক চায়, চায় চলাচলের স্বাধীনতাসহ দুর্ঘটনা থেকে বাঁচার গ্যারান্টি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এগিয়ে না এলে দুর্ঘটনার কবল থেকে মুক্তির কোনো উপায় নেই।

আজম জহিরুল ইসলাম

back to top