মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
দেশে মানুষ বাড়ছে; সেই সঙ্গে বাড়ছে বেকারত্ব। বেকারত্বের অবসান ঘটিয়ে একটু সুখের আশায় তরুণরা বিদেশে পাড়ি দেয়ার স্বপ্ন দেখে। আর এই সুযোগে আদম ব্যাপারিরা তরুণদের নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিদেশে পাঠায়। সম্প্রতি ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যাওয়ার ব্যাপারে আমাদের তরুণদের আগ্রহ বেড়েছে। এই আগ্রহকে পুঁজি করে ভুয়া ভিসা, ওয়ার্ক পারমিট ইত্যাদি দেখিয়ে তরুণদের ফাঁদে ফেলে এক শ্রেণীর অসাধু চক্র। এরপর নানা কৌশলে তরুণদের কাছ থেকে সর্বস্ব কেড়ে নেয়। প্রথমে তরুণদের পাঠানো হয় ভারতে। এরপর সেখান থেকে পাঠানো হয় ইউরোপের কোন না কোন দেশে। আর এজন্য প্রত্যেক তরুণের কাছ থেকে নেয়া হয় মোটা অংকের টাকা। চাহিদা মোতাবেক টাকা না দিলে তাদের ওপর চালানো হয় অমানবিক নির্যাতন। এমনি ভয়াবহ চিত্র উঠে আসছে দেশের গণমাধ্যমগুলোতে। নির্যাতিত ও প্রতারিত তরুণদের বর্ণনা শুনে আমরা শিহরিত হই, চোখের জল ফেলি!
সর্বস্ব খুইয়ে দেশে এসে তরুণদের কেউ কেউ মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করে। পুলিশ কিছু অপরাধীকে আইনের আওতায় আনে। কিন্তু অনেক অপরাধীই থেকে যায় ধরাছোঁয়ার বাইরে। জানা গেছে, এখনো বাংলাদেশি বহু তরুণ ভারতের বিভিন্ন শহরে মানব পাচারকারীদের কাছে জিম্মি। ওদের কাছে না আছে অর্থ, না আছে খাওয়া, ঘুম এবং না আছে জীবনের নিরাপত্তা! একটু সুখের আশায় বিদেশে পাড়ি জমানো এসব তরুণ এখন ধুঁকে ধুঁকে মরছে। এ ভাগ্যাহত তরুণদের জিম্মিদশা থেকে উদ্ধারসহ দেশি-বিদেশি মানব পাচারকারী চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো জরুরি। পাশাপাশি দেশের মানুষকে সচেতন করাও জরুরি হয়ে পড়েছে। কোনো তরুণ যাতে লোভে পড়ে মানব পাচারকারী চক্রের হাতে প্রতারিত না হয় সে বিষয়টিও ভেবে দেখতে হবে। সেই সঙ্গে কর্মসংস্থান সংকট দূর করে বেকারদের কাজের পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
আজম জহিরুল ইসলাম
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
শুক্রবার, ২১ জানুয়ারী ২০২২
দেশে মানুষ বাড়ছে; সেই সঙ্গে বাড়ছে বেকারত্ব। বেকারত্বের অবসান ঘটিয়ে একটু সুখের আশায় তরুণরা বিদেশে পাড়ি দেয়ার স্বপ্ন দেখে। আর এই সুযোগে আদম ব্যাপারিরা তরুণদের নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিদেশে পাঠায়। সম্প্রতি ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যাওয়ার ব্যাপারে আমাদের তরুণদের আগ্রহ বেড়েছে। এই আগ্রহকে পুঁজি করে ভুয়া ভিসা, ওয়ার্ক পারমিট ইত্যাদি দেখিয়ে তরুণদের ফাঁদে ফেলে এক শ্রেণীর অসাধু চক্র। এরপর নানা কৌশলে তরুণদের কাছ থেকে সর্বস্ব কেড়ে নেয়। প্রথমে তরুণদের পাঠানো হয় ভারতে। এরপর সেখান থেকে পাঠানো হয় ইউরোপের কোন না কোন দেশে। আর এজন্য প্রত্যেক তরুণের কাছ থেকে নেয়া হয় মোটা অংকের টাকা। চাহিদা মোতাবেক টাকা না দিলে তাদের ওপর চালানো হয় অমানবিক নির্যাতন। এমনি ভয়াবহ চিত্র উঠে আসছে দেশের গণমাধ্যমগুলোতে। নির্যাতিত ও প্রতারিত তরুণদের বর্ণনা শুনে আমরা শিহরিত হই, চোখের জল ফেলি!
সর্বস্ব খুইয়ে দেশে এসে তরুণদের কেউ কেউ মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করে। পুলিশ কিছু অপরাধীকে আইনের আওতায় আনে। কিন্তু অনেক অপরাধীই থেকে যায় ধরাছোঁয়ার বাইরে। জানা গেছে, এখনো বাংলাদেশি বহু তরুণ ভারতের বিভিন্ন শহরে মানব পাচারকারীদের কাছে জিম্মি। ওদের কাছে না আছে অর্থ, না আছে খাওয়া, ঘুম এবং না আছে জীবনের নিরাপত্তা! একটু সুখের আশায় বিদেশে পাড়ি জমানো এসব তরুণ এখন ধুঁকে ধুঁকে মরছে। এ ভাগ্যাহত তরুণদের জিম্মিদশা থেকে উদ্ধারসহ দেশি-বিদেশি মানব পাচারকারী চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো জরুরি। পাশাপাশি দেশের মানুষকে সচেতন করাও জরুরি হয়ে পড়েছে। কোনো তরুণ যাতে লোভে পড়ে মানব পাচারকারী চক্রের হাতে প্রতারিত না হয় সে বিষয়টিও ভেবে দেখতে হবে। সেই সঙ্গে কর্মসংস্থান সংকট দূর করে বেকারদের কাজের পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
আজম জহিরুল ইসলাম