alt

চিঠিপত্র

চিঠি : সেশনজট নয়, জীবনজটে বন্দী শিক্ষার্থীরা

: রোববার, ২৩ জানুয়ারী ২০২২

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

বিশ্ব চিরাচরিত যে শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে পরিচিত ছিল এবং অর্থনৈতিকভাবে পৃথিবী বিগত দশকগুলোতে যে অগ্রগতির ধারায় এগোচ্ছিল, কোভিড-১৯-এর কারণে ব্যাপকভাবে তার নেতিবাচক পরিবর্তন ঘটে; যা ইতিহাসে রেকর্ড সংখ্যক সেশনজট এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হলো। কিন্তু ইতিহাসে কখনও এত বড় শিক্ষা ক্ষেত্রে ক্ষতি আর হয়নি।

গত বছরের জুলাই পর্যন্ত ১৬০টিরও বেশি দেশের স্কুল বন্ধ ছিল। এতে ১০০ কোটিরও বেশি শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর বর্তমানে ২০২২ সালে আবারও শুরু হলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের রীতি। করোনার কারণে দীর্ঘদিন স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় মোট শিক্ষার্থীর ৯৪ ভাগ কোনো না কোনোভাবে ক্ষতির শিকার হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের ৯৯ ভাগই নিম্ন বা নিম্ন-মধ্যআয়ের দেশের শিক্ষার্থী।

বিশেষ করে ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের’ শিক্ষার্থীরা আজ বেশি ক্ষতির মুখে পড়লো। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অতীতে সেশনজট মুক্ত ছিলো বলে অনেক শিক্ষার্থী তাদের চাকরি টার্গেট রেখে উচ্চতর পড়াশোনা জগতে আসলো। কিন্তু এখন তো সেশনজটকে বাদ দিয়ে জীবনজটে আঁটকে গেলো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো।

আজকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেকে পড়াশোনাকে বিদায় জানিয়ে প্রবাস জীবনকে স্বাগত জানাচ্ছে। কারণ আর কত পড়াশোনা শেষে চাকরি পাওয়ার অনিশ্চিত স্বপ্ন দেখাবে। কিন্তু তারপরও আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাতে কোনো বিকল্প পথ আসতেছে না। অন্তত শ্রেণী পাঠদান বন্ধ রেখে হলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষাগুলো নিয়ে শিক্ষার্থীদের কর্মজীবনে প্রবেশের সুযোগ দেওয়া জরুরি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে শিক্ষিত বেকার দূর হবে না। তাই অতি দ্রুত শিক্ষার্থীদের রক্ষা করুন।

মাজহারুল ইসলাম শামীম

শিক্ষার্থী, ফেনী সরকারি কলেজ

ছবি

বেকারত্ব নিরসনে কুটির শিল্পের ভূমিকা

দুর্যোগ পূর্ববর্তী প্রস্তুতি

ছবি

সোনালি পাটের প্রয়োজনীয়তা

কালীকচ্ছের ধর্মতীর্থ বধ্যভূমিতে স্মৃতিসৌধ নির্মাণের দাবি

চিঠি : হলে খাবারের মান উন্নত করুন

চিঠি : স্বাস্থ্য শিক্ষা বিষয়ে ডিপ্লোমাধারীদের বৈষম্য দূর করুন

চিঠি : শিক্ষার মান উন্নয়ন চাই

চিঠি : সড়ক আইন বাস্তবায়ন করুন

চিঠি : রাস্তায় বাইক সন্ত্রাস

চিঠি : কঠিন হয়ে পড়ছে ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা

চিঠি : ডিসেম্বরের স্মৃতি

চিঠি : টেকসই ও সাশ্রয়ী ক্লিন এনার্জি

চিঠি : নকল গুড় জব্দ হোক

চিঠি : সড়কে বাড়ছে লেন ঝরছে প্রাণ

চিঠি : ঢাকাবাসীর কাছে মেট্রোরেল আশীর্বাদ

চিঠি : কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন জরুরি

চিঠি : পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস চাই

চিঠি : তারুণ্যের শক্তি কাজে লাগান

চিঠি : এইডস থেকে বাঁচতে সচেতন হোন

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ হোক

চিঠি : হাসুন, সুস্থ থাকুন

চিঠি : হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি বন্ধ হোক

চিঠি : রাজনীতিতে তরুণ সমাজের অংশগ্রহণ

চিঠি : মাদককে ‘না’ বলুন

চিঠি : পুনরুন্নয়ন প্রকল্প : পাল্টে যাবে পুরান ঢাকা

চিঠি : শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ান

চিঠি : চন্দ্রগঞ্জে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন চাই

চিঠি : বাড়ছে বাল্যবিয়ে

চিঠি : টিকটকের অপব্যবহার রোধ করতে হবে

চিঠি : আত্মবিশ্বাস ও আস্থা

চিঠি : শিক্ষকরা কি প্রকৃত মর্যাদা পাচ্ছে

চিঠি : শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সম্প্রীতি চাই

চিঠি : সকালে ও বিকেলে মেট্রোরেল চলুক

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ করতে হবে

চিঠি : ঢাবি’র কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার আধুনিকায়ন করা হোক

চিঠি : নিত্যপণ্যের দাম

tab

চিঠিপত্র

চিঠি : সেশনজট নয়, জীবনজটে বন্দী শিক্ষার্থীরা

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

রোববার, ২৩ জানুয়ারী ২০২২

বিশ্ব চিরাচরিত যে শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে পরিচিত ছিল এবং অর্থনৈতিকভাবে পৃথিবী বিগত দশকগুলোতে যে অগ্রগতির ধারায় এগোচ্ছিল, কোভিড-১৯-এর কারণে ব্যাপকভাবে তার নেতিবাচক পরিবর্তন ঘটে; যা ইতিহাসে রেকর্ড সংখ্যক সেশনজট এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হলো। কিন্তু ইতিহাসে কখনও এত বড় শিক্ষা ক্ষেত্রে ক্ষতি আর হয়নি।

গত বছরের জুলাই পর্যন্ত ১৬০টিরও বেশি দেশের স্কুল বন্ধ ছিল। এতে ১০০ কোটিরও বেশি শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর বর্তমানে ২০২২ সালে আবারও শুরু হলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের রীতি। করোনার কারণে দীর্ঘদিন স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় মোট শিক্ষার্থীর ৯৪ ভাগ কোনো না কোনোভাবে ক্ষতির শিকার হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের ৯৯ ভাগই নিম্ন বা নিম্ন-মধ্যআয়ের দেশের শিক্ষার্থী।

বিশেষ করে ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের’ শিক্ষার্থীরা আজ বেশি ক্ষতির মুখে পড়লো। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অতীতে সেশনজট মুক্ত ছিলো বলে অনেক শিক্ষার্থী তাদের চাকরি টার্গেট রেখে উচ্চতর পড়াশোনা জগতে আসলো। কিন্তু এখন তো সেশনজটকে বাদ দিয়ে জীবনজটে আঁটকে গেলো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো।

আজকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেকে পড়াশোনাকে বিদায় জানিয়ে প্রবাস জীবনকে স্বাগত জানাচ্ছে। কারণ আর কত পড়াশোনা শেষে চাকরি পাওয়ার অনিশ্চিত স্বপ্ন দেখাবে। কিন্তু তারপরও আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাতে কোনো বিকল্প পথ আসতেছে না। অন্তত শ্রেণী পাঠদান বন্ধ রেখে হলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষাগুলো নিয়ে শিক্ষার্থীদের কর্মজীবনে প্রবেশের সুযোগ দেওয়া জরুরি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে শিক্ষিত বেকার দূর হবে না। তাই অতি দ্রুত শিক্ষার্থীদের রক্ষা করুন।

মাজহারুল ইসলাম শামীম

শিক্ষার্থী, ফেনী সরকারি কলেজ

back to top