alt

চিঠিপত্র

চিঠি : সরকারি চাকরিজীবীদের সম্পদের হিসাব বিবরণী

: রোববার, ২৩ জানুয়ারী ২০২২

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

দুর্নীতি বন্ধ করতে হলে সরকারি চাকরিজীবীদের অর্জিত সম্পদের হিসাব দিতে হবে। বিশেষ করে যারা কর্মরত অবস্থায় অবৈধ পন্থায় টাকা কামাচ্ছেন তাদের জবাবদিহির আওতায় আনা দরকার। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন বিভাগ থেকে সরকারি চাকরিজীবীদের সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিলের নির্দেশনা জারি করলেও তা কার্যকর হচ্ছে না। বেশিরভাগ মন্ত্রণালয় ও চাকরিজীবীরা সাড়া দিচ্ছেন না সরকারি এ নির্দেশনার। অথচ সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা-১৯৭৯ অনুযায়ী পাঁচ বছর অন্তর অন্তর সম্পদ বিবরণী দাখিলের নিয়ম আছে।

বাংলাদেশ সরকার অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করলেও তেমন একটা সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। রাষ্ট্রের প্রত্যেকটি মন্ত্রণালয় আজ অনিয়ম ও দুর্নীতিতে ডুবে আছে। অনেকেই দুর্নীতিতে গা ভাসিয়ে অঢেল সম্পদের মালিক বনে গেছেন। কারো কারো গাড়ি, বাড়ি, প্লট, ফ্ল্যাট, মার্কেটসহ শহর ও গ্রামে প্রচুর জমিজমা রয়েছে। এগুলো দুর্নীতিরই একটা বৃহৎ অংশ তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

টিআইবি বলেছে, আইনগতভাবে সরকারি চাকরিজীবীদের কাছে সম্পদের হিসাব চাওয়া হয়েছে। যারা দিচ্ছেন না, আইন অমান্য করার দায়ে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। বিষয়টি এমন নয় যে, যা খুশি তাই করলাম।

সংশ্লিষ্ট চাকরিজীবীদের জবাবদিহি নিশ্চিতের লক্ষ্যে তাদের সম্পদের বিবরণী দাখিলের কোনো বিকল্প নেই। যারা সম্পদের হিসাব দাখিল করতে গড়িমসি করছেন তাদের বিষয়ে কঠোর হওয়া দরকার। যারা আইন মানবেন না তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয়া জরুরি। দু’জনকে আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে পারলেই অন্যরা সতর্ক ও হুঁশিয়ার হয়ে যাবে। ‘দুর্নীতি যেই করুক তাদের কোনো ছাড় নয়’- এই মনোভাব পোষণ করতে পারলে দেশ থেকে কিছুটা হলেও দুর্নীতি কমে আসবে।

আজম জহিরুল ইসলাম

গৌরীপুর, ময়মনসিংহ

ছবি

বেকারত্ব নিরসনে কুটির শিল্পের ভূমিকা

দুর্যোগ পূর্ববর্তী প্রস্তুতি

ছবি

সোনালি পাটের প্রয়োজনীয়তা

কালীকচ্ছের ধর্মতীর্থ বধ্যভূমিতে স্মৃতিসৌধ নির্মাণের দাবি

চিঠি : হলে খাবারের মান উন্নত করুন

চিঠি : স্বাস্থ্য শিক্ষা বিষয়ে ডিপ্লোমাধারীদের বৈষম্য দূর করুন

চিঠি : শিক্ষার মান উন্নয়ন চাই

চিঠি : সড়ক আইন বাস্তবায়ন করুন

চিঠি : রাস্তায় বাইক সন্ত্রাস

চিঠি : কঠিন হয়ে পড়ছে ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা

চিঠি : ডিসেম্বরের স্মৃতি

চিঠি : টেকসই ও সাশ্রয়ী ক্লিন এনার্জি

চিঠি : নকল গুড় জব্দ হোক

চিঠি : সড়কে বাড়ছে লেন ঝরছে প্রাণ

চিঠি : ঢাকাবাসীর কাছে মেট্রোরেল আশীর্বাদ

চিঠি : কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন জরুরি

চিঠি : পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস চাই

চিঠি : তারুণ্যের শক্তি কাজে লাগান

চিঠি : এইডস থেকে বাঁচতে সচেতন হোন

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ হোক

চিঠি : হাসুন, সুস্থ থাকুন

চিঠি : হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি বন্ধ হোক

চিঠি : রাজনীতিতে তরুণ সমাজের অংশগ্রহণ

চিঠি : মাদককে ‘না’ বলুন

চিঠি : পুনরুন্নয়ন প্রকল্প : পাল্টে যাবে পুরান ঢাকা

চিঠি : শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ান

চিঠি : চন্দ্রগঞ্জে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন চাই

চিঠি : বাড়ছে বাল্যবিয়ে

চিঠি : টিকটকের অপব্যবহার রোধ করতে হবে

চিঠি : আত্মবিশ্বাস ও আস্থা

চিঠি : শিক্ষকরা কি প্রকৃত মর্যাদা পাচ্ছে

চিঠি : শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সম্প্রীতি চাই

চিঠি : সকালে ও বিকেলে মেট্রোরেল চলুক

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ করতে হবে

চিঠি : ঢাবি’র কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার আধুনিকায়ন করা হোক

চিঠি : নিত্যপণ্যের দাম

tab

চিঠিপত্র

চিঠি : সরকারি চাকরিজীবীদের সম্পদের হিসাব বিবরণী

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

রোববার, ২৩ জানুয়ারী ২০২২

দুর্নীতি বন্ধ করতে হলে সরকারি চাকরিজীবীদের অর্জিত সম্পদের হিসাব দিতে হবে। বিশেষ করে যারা কর্মরত অবস্থায় অবৈধ পন্থায় টাকা কামাচ্ছেন তাদের জবাবদিহির আওতায় আনা দরকার। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন বিভাগ থেকে সরকারি চাকরিজীবীদের সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিলের নির্দেশনা জারি করলেও তা কার্যকর হচ্ছে না। বেশিরভাগ মন্ত্রণালয় ও চাকরিজীবীরা সাড়া দিচ্ছেন না সরকারি এ নির্দেশনার। অথচ সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা-১৯৭৯ অনুযায়ী পাঁচ বছর অন্তর অন্তর সম্পদ বিবরণী দাখিলের নিয়ম আছে।

বাংলাদেশ সরকার অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করলেও তেমন একটা সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। রাষ্ট্রের প্রত্যেকটি মন্ত্রণালয় আজ অনিয়ম ও দুর্নীতিতে ডুবে আছে। অনেকেই দুর্নীতিতে গা ভাসিয়ে অঢেল সম্পদের মালিক বনে গেছেন। কারো কারো গাড়ি, বাড়ি, প্লট, ফ্ল্যাট, মার্কেটসহ শহর ও গ্রামে প্রচুর জমিজমা রয়েছে। এগুলো দুর্নীতিরই একটা বৃহৎ অংশ তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

টিআইবি বলেছে, আইনগতভাবে সরকারি চাকরিজীবীদের কাছে সম্পদের হিসাব চাওয়া হয়েছে। যারা দিচ্ছেন না, আইন অমান্য করার দায়ে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। বিষয়টি এমন নয় যে, যা খুশি তাই করলাম।

সংশ্লিষ্ট চাকরিজীবীদের জবাবদিহি নিশ্চিতের লক্ষ্যে তাদের সম্পদের বিবরণী দাখিলের কোনো বিকল্প নেই। যারা সম্পদের হিসাব দাখিল করতে গড়িমসি করছেন তাদের বিষয়ে কঠোর হওয়া দরকার। যারা আইন মানবেন না তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয়া জরুরি। দু’জনকে আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে পারলেই অন্যরা সতর্ক ও হুঁশিয়ার হয়ে যাবে। ‘দুর্নীতি যেই করুক তাদের কোনো ছাড় নয়’- এই মনোভাব পোষণ করতে পারলে দেশ থেকে কিছুটা হলেও দুর্নীতি কমে আসবে।

আজম জহিরুল ইসলাম

গৌরীপুর, ময়মনসিংহ

back to top