alt

চিঠিপত্র

চিঠি : পেরেক ঠুকে গাছে বিজ্ঞাপন টাঙানো বন্ধ হোক

: শুক্রবার, ১৩ মে ২০২২

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

গাছের প্রাণ আছে। গাছ মানুষকে অক্সিজেন, ফুল, ফল, ছায়া ও কাঠ দিয়ে সহযোগিতা করে। আবার ঝড়, জলোচ্ছ্বাস ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকেও রক্ষা করে। গাছ নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। কিন্তু দুঃখের বিষয় এই গাছেই আমরা নানাভাবে অত্যাচার, নির্যাতন করি। ফুল, ফল ও পাতা ছিড়ে দেই। আবার ব্যানার, ফেস্টুন ও সাইনবোর্ড টাঙানোর পেরেক ঠুকে দেই।

টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর উপজেলার কাকরাইদ, ইদিলপুর, নতুন বাজার, জয়বাংলা বাজার, মোটেরবাজার, আউশনারা উচ্চ বিদ্যালয় ও আউশনারা কলেজ এলাকায় সড়কের পাশের গাছে গাছে ঝুলছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রচারণার অসংখ্য ফেস্টুন ও ব্যানার, যা গাছে পেরেক ঠুকে আটকানো হয়েছে। গাছের বাকশক্তি ও প্রতিবাদ করবার ক্ষমতা নেই তাই যে যার ইচ্ছে মতো পেরেক মেরে এসব ফেস্টুন টাঙিয়েছে।

প্রায় সারাবছরই টাঙানো হয় এসব ফেস্টুন, ব্যানার। তবে সাম্প্রতিক ফেস্টুন লাগানোর পরিমাণ কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। তাছাড়া আগামী ১৫ জুন মধুপুর উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রার্থীরা প্রচার-প্রচারণার জন্য ফেস্টুন বানিয়েছে। যেগুলো পেরেক মেরে টাঙানো হচ্ছে রাস্তার পাশের ও স্কুল-কলেজের সামনের গাছে। প্রতিটি গাছে ১৫-২০ টি করে পেরেক বিদ্ধ করা হয়েছে। নির্বিচারে পেরেক লাগানোর কারণে গাছের গায়ে অসংখ্য ছিদ্র হচ্ছে। সেই ছিদ্র দিয়ে পানি ও বাতাস ঢুকে গাছে পচন ধরার আশঙ্কা রয়েছে।

গাছে পেরেক মেরে বিজ্ঞাপন টাঙানো বন্ধ করতে স্থানীয় প্রশাসনেরও কোন পদক্ষেপ চোখে পড়ছে না। অথচ জীবন্ত গাছে পেরেক মারা আইনত দন্ডনীয়। এ ব্যাপারে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জরুরিভিত্তিতে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।

তরিকুল ইসলাম

আউশনারা, মধুপুর, টাঙ্গাইল

ছবি

বেকারত্ব নিরসনে কুটির শিল্পের ভূমিকা

দুর্যোগ পূর্ববর্তী প্রস্তুতি

ছবি

সোনালি পাটের প্রয়োজনীয়তা

কালীকচ্ছের ধর্মতীর্থ বধ্যভূমিতে স্মৃতিসৌধ নির্মাণের দাবি

চিঠি : হলে খাবারের মান উন্নত করুন

চিঠি : স্বাস্থ্য শিক্ষা বিষয়ে ডিপ্লোমাধারীদের বৈষম্য দূর করুন

চিঠি : শিক্ষার মান উন্নয়ন চাই

চিঠি : সড়ক আইন বাস্তবায়ন করুন

চিঠি : রাস্তায় বাইক সন্ত্রাস

চিঠি : কঠিন হয়ে পড়ছে ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা

চিঠি : ডিসেম্বরের স্মৃতি

চিঠি : টেকসই ও সাশ্রয়ী ক্লিন এনার্জি

চিঠি : নকল গুড় জব্দ হোক

চিঠি : সড়কে বাড়ছে লেন ঝরছে প্রাণ

চিঠি : ঢাকাবাসীর কাছে মেট্রোরেল আশীর্বাদ

চিঠি : কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন জরুরি

চিঠি : পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস চাই

চিঠি : তারুণ্যের শক্তি কাজে লাগান

চিঠি : এইডস থেকে বাঁচতে সচেতন হোন

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ হোক

চিঠি : হাসুন, সুস্থ থাকুন

চিঠি : হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি বন্ধ হোক

চিঠি : রাজনীতিতে তরুণ সমাজের অংশগ্রহণ

চিঠি : মাদককে ‘না’ বলুন

চিঠি : পুনরুন্নয়ন প্রকল্প : পাল্টে যাবে পুরান ঢাকা

চিঠি : শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ান

চিঠি : চন্দ্রগঞ্জে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন চাই

চিঠি : বাড়ছে বাল্যবিয়ে

চিঠি : টিকটকের অপব্যবহার রোধ করতে হবে

চিঠি : আত্মবিশ্বাস ও আস্থা

চিঠি : শিক্ষকরা কি প্রকৃত মর্যাদা পাচ্ছে

চিঠি : শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সম্প্রীতি চাই

চিঠি : সকালে ও বিকেলে মেট্রোরেল চলুক

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ করতে হবে

চিঠি : ঢাবি’র কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার আধুনিকায়ন করা হোক

চিঠি : নিত্যপণ্যের দাম

tab

চিঠিপত্র

চিঠি : পেরেক ঠুকে গাছে বিজ্ঞাপন টাঙানো বন্ধ হোক

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

শুক্রবার, ১৩ মে ২০২২

গাছের প্রাণ আছে। গাছ মানুষকে অক্সিজেন, ফুল, ফল, ছায়া ও কাঠ দিয়ে সহযোগিতা করে। আবার ঝড়, জলোচ্ছ্বাস ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকেও রক্ষা করে। গাছ নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। কিন্তু দুঃখের বিষয় এই গাছেই আমরা নানাভাবে অত্যাচার, নির্যাতন করি। ফুল, ফল ও পাতা ছিড়ে দেই। আবার ব্যানার, ফেস্টুন ও সাইনবোর্ড টাঙানোর পেরেক ঠুকে দেই।

টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর উপজেলার কাকরাইদ, ইদিলপুর, নতুন বাজার, জয়বাংলা বাজার, মোটেরবাজার, আউশনারা উচ্চ বিদ্যালয় ও আউশনারা কলেজ এলাকায় সড়কের পাশের গাছে গাছে ঝুলছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রচারণার অসংখ্য ফেস্টুন ও ব্যানার, যা গাছে পেরেক ঠুকে আটকানো হয়েছে। গাছের বাকশক্তি ও প্রতিবাদ করবার ক্ষমতা নেই তাই যে যার ইচ্ছে মতো পেরেক মেরে এসব ফেস্টুন টাঙিয়েছে।

প্রায় সারাবছরই টাঙানো হয় এসব ফেস্টুন, ব্যানার। তবে সাম্প্রতিক ফেস্টুন লাগানোর পরিমাণ কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। তাছাড়া আগামী ১৫ জুন মধুপুর উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রার্থীরা প্রচার-প্রচারণার জন্য ফেস্টুন বানিয়েছে। যেগুলো পেরেক মেরে টাঙানো হচ্ছে রাস্তার পাশের ও স্কুল-কলেজের সামনের গাছে। প্রতিটি গাছে ১৫-২০ টি করে পেরেক বিদ্ধ করা হয়েছে। নির্বিচারে পেরেক লাগানোর কারণে গাছের গায়ে অসংখ্য ছিদ্র হচ্ছে। সেই ছিদ্র দিয়ে পানি ও বাতাস ঢুকে গাছে পচন ধরার আশঙ্কা রয়েছে।

গাছে পেরেক মেরে বিজ্ঞাপন টাঙানো বন্ধ করতে স্থানীয় প্রশাসনেরও কোন পদক্ষেপ চোখে পড়ছে না। অথচ জীবন্ত গাছে পেরেক মারা আইনত দন্ডনীয়। এ ব্যাপারে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জরুরিভিত্তিতে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।

তরিকুল ইসলাম

আউশনারা, মধুপুর, টাঙ্গাইল

back to top