মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
গত এক যুগে অর্থনীতির বৈশ্বিক সংকটের মধ্যেও বাংলাদেশের অর্থনীতি মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকার কৃতিত্ব দেখিয়েছে। সে কৃতিত্বে যে ভাটা পড়েছে দেশজ অর্থনীতির হালহকিকত তারই প্রমাণ। করোনার পর রুশ- ইউক্রেন যুদ্ধ দুনিয়াজুড়ে যে ত্রাহি অবস্থার সৃষ্টি করেছে তার ছাপ পড়েছে বাংলাদেশেও। যুদ্ধের করালঘাতে বিশ্বব্যাপী জ্বালানি ও খাদ্যপণ্যের বাজার এখন ঊর্ধ্বমুখী।
বিশ্ববাজারে ডলারের দাম বাড়ছে অন্য সব মুদ্রার বিপরীতে। টাকার বিপরীতে বাংলাদেশে ডলারের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কমে আসছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। রেমিট্যান্স ও রপ্তানি খাতের প্রবৃদ্ধিও আশাব্যঞ্জক নয়। ডলারের খরচ কমাতে ও দাম নিয়ন্ত্রণে বিলাসী এবং কম প্রয়োজনীয় প্রায় ২০০ পণ্যের আমদানি শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। পরিস্থিতি সামলাতে বন্ধ করা হয়েছে সরকারি-আধাসরকারি-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের বিদেশ ভ্রমণ। তবু কমছে না অস্থিরতা।
বিশ্বব্যাপী আরেকটি মন্দা আঘাত হানুক বা না হানুক, মার্কিন প্রবৃদ্ধি ইতোমধ্যেই থমকে গেছে। চীনও চাপের মুখে আছে কোভিডের কারণে। ইউরোপে জিডিপি প্রবৃদ্ধি কার্যত শূন্য। তাই বিশ্ব অর্থনীতির প্রধান ইঞ্জিন যে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, তাতে সন্দেহ নেই। যুক্তরাষ্ট্রে জানুয়ারি-মার্চ ত্রৈমাসিকে মোট দেশীয় আয় অপ্রত্যাশিতভাবে ১ দশমিক ৪ শতাংশ বার্ষিক গতিতে হ্রাস পেয়েছে। ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে মন্দার আশঙ্কা বাড়ছে। বিশ্বজুড়ে মূল্যস্ফীতির কারণে ভোক্তারা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আর কে চৌধুরী
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
সোমবার, ০৬ জুন ২০২২
গত এক যুগে অর্থনীতির বৈশ্বিক সংকটের মধ্যেও বাংলাদেশের অর্থনীতি মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকার কৃতিত্ব দেখিয়েছে। সে কৃতিত্বে যে ভাটা পড়েছে দেশজ অর্থনীতির হালহকিকত তারই প্রমাণ। করোনার পর রুশ- ইউক্রেন যুদ্ধ দুনিয়াজুড়ে যে ত্রাহি অবস্থার সৃষ্টি করেছে তার ছাপ পড়েছে বাংলাদেশেও। যুদ্ধের করালঘাতে বিশ্বব্যাপী জ্বালানি ও খাদ্যপণ্যের বাজার এখন ঊর্ধ্বমুখী।
বিশ্ববাজারে ডলারের দাম বাড়ছে অন্য সব মুদ্রার বিপরীতে। টাকার বিপরীতে বাংলাদেশে ডলারের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কমে আসছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। রেমিট্যান্স ও রপ্তানি খাতের প্রবৃদ্ধিও আশাব্যঞ্জক নয়। ডলারের খরচ কমাতে ও দাম নিয়ন্ত্রণে বিলাসী এবং কম প্রয়োজনীয় প্রায় ২০০ পণ্যের আমদানি শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। পরিস্থিতি সামলাতে বন্ধ করা হয়েছে সরকারি-আধাসরকারি-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের বিদেশ ভ্রমণ। তবু কমছে না অস্থিরতা।
বিশ্বব্যাপী আরেকটি মন্দা আঘাত হানুক বা না হানুক, মার্কিন প্রবৃদ্ধি ইতোমধ্যেই থমকে গেছে। চীনও চাপের মুখে আছে কোভিডের কারণে। ইউরোপে জিডিপি প্রবৃদ্ধি কার্যত শূন্য। তাই বিশ্ব অর্থনীতির প্রধান ইঞ্জিন যে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, তাতে সন্দেহ নেই। যুক্তরাষ্ট্রে জানুয়ারি-মার্চ ত্রৈমাসিকে মোট দেশীয় আয় অপ্রত্যাশিতভাবে ১ দশমিক ৪ শতাংশ বার্ষিক গতিতে হ্রাস পেয়েছে। ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে মন্দার আশঙ্কা বাড়ছে। বিশ্বজুড়ে মূল্যস্ফীতির কারণে ভোক্তারা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আর কে চৌধুরী