মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
দেশেই হাজার হাজার আইন আছে কিন্তু তার অধিকাংশই বাস্তবায়ন হয় না। বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের মধ্যে অন্যতম। বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ (সংশোধিত-২০১০)-এর ৬(ঙ)ধারা অনুযায়ী জলাধার হিসেবে শ্রেণীভুক্ত কোন জায়গা ভরাটের বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। উক্ত আইনে জলাধার ভরাট তা অপরাধ হিসেবে গণ্য করে, অপরাধিদের অনধিক দুই বছর কারাদন্ড ও অনধিক দুই লক্ষ টাকা জরিমানা বা উভয় দন্ড প্রদানের বিধান রাখা হয়েছে।
কিন্তু দেশের সর্বত্র যে হারে নিচু ফসলি জমি, ডোবা, নালা, পুকুর, দিঘি, খাল, বিল, হাওর, বাঁওড় ও নগ-নদী ভরাট করে ভূমিদস্যুরা প্লট, ফ্লাটের নামে আবাসন বাণিজ্য করে পরিবেশ ধ্বংস করে চলেছে- সেক্ষেত্রে পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের প্রয়োগ করে অপরাধীদের শাস্তি প্রদানের উদাহরণ খুব একটা দেখা যায় না।
গত দুই দশকে শ্রীনগর উপজেলায় শতাধিক ডোবা, নালা, ফসলি জমি, পুকুর, দিঘি, জলাশয়, সড়কের দুই পাশের নিচু নালা, খাল ভরাট করে মার্কেট করা হয়েছে। এসব করা হয়েছে ক্ষমতাসীন দলের নেতা, এমপি ও প্রশাসনের প্রত্যক্ষ মদতে। এমন কী শ্রীনগরে পুলিশ প্রশাসনও বাজারের দক্ষিণে ও পুরাতন থানার পশ্চিমের পুকুরটি ভরাট করে বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করেছে। মুন্সীগঞ্জ জেলা পরিষদ এ ব্যাপারে চ্যাম্পিয়ান। শ্রীনগর ডাকবাংলার ও সাব রেজিস্ট্রি অফিসের দক্ষিণের দীর্ঘ দৃষ্টিনন্দন লেক ভরাট করে মার্কেটের নামে ইট, বালু, রডের জাল সৃষ্টি করেছে।
এই অবস্থার অবসান ঘটাতে হলে পরিবেশ আইনের প্রয়োগ ঘটাতে হবে।
জয়নাল আবেদীন
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
বুধবার, ০৮ জুন ২০২২
দেশেই হাজার হাজার আইন আছে কিন্তু তার অধিকাংশই বাস্তবায়ন হয় না। বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের মধ্যে অন্যতম। বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ (সংশোধিত-২০১০)-এর ৬(ঙ)ধারা অনুযায়ী জলাধার হিসেবে শ্রেণীভুক্ত কোন জায়গা ভরাটের বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। উক্ত আইনে জলাধার ভরাট তা অপরাধ হিসেবে গণ্য করে, অপরাধিদের অনধিক দুই বছর কারাদন্ড ও অনধিক দুই লক্ষ টাকা জরিমানা বা উভয় দন্ড প্রদানের বিধান রাখা হয়েছে।
কিন্তু দেশের সর্বত্র যে হারে নিচু ফসলি জমি, ডোবা, নালা, পুকুর, দিঘি, খাল, বিল, হাওর, বাঁওড় ও নগ-নদী ভরাট করে ভূমিদস্যুরা প্লট, ফ্লাটের নামে আবাসন বাণিজ্য করে পরিবেশ ধ্বংস করে চলেছে- সেক্ষেত্রে পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের প্রয়োগ করে অপরাধীদের শাস্তি প্রদানের উদাহরণ খুব একটা দেখা যায় না।
গত দুই দশকে শ্রীনগর উপজেলায় শতাধিক ডোবা, নালা, ফসলি জমি, পুকুর, দিঘি, জলাশয়, সড়কের দুই পাশের নিচু নালা, খাল ভরাট করে মার্কেট করা হয়েছে। এসব করা হয়েছে ক্ষমতাসীন দলের নেতা, এমপি ও প্রশাসনের প্রত্যক্ষ মদতে। এমন কী শ্রীনগরে পুলিশ প্রশাসনও বাজারের দক্ষিণে ও পুরাতন থানার পশ্চিমের পুকুরটি ভরাট করে বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করেছে। মুন্সীগঞ্জ জেলা পরিষদ এ ব্যাপারে চ্যাম্পিয়ান। শ্রীনগর ডাকবাংলার ও সাব রেজিস্ট্রি অফিসের দক্ষিণের দীর্ঘ দৃষ্টিনন্দন লেক ভরাট করে মার্কেটের নামে ইট, বালু, রডের জাল সৃষ্টি করেছে।
এই অবস্থার অবসান ঘটাতে হলে পরিবেশ আইনের প্রয়োগ ঘটাতে হবে।
জয়নাল আবেদীন