alt

চিঠিপত্র

চিঠি : শিশুশ্রম প্রতিরোধ করা জরুরি

: সোমবার, ১৩ জুন ২০২২

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) ২০২০ সালের পরিসংখ্যান অনুসারে সারাবিশ্বে ১৬০ মিলিয়ন শিশু শিশুশ্রম এর সঙ্গে জড়িত। যার মধ্যে ৬৩ মিলিয়ন মেয়ে শিশু ও ৯৭ মিলিয়ন ছেলে শিশু রয়েছে। যার অর্থ হচ্ছে বিশ্বব্যাপী প্রতি দশজন শিশুর মধ্যে একজন শিশু শিশুশ্রম এর সঙ্গে জড়িত। এদের মধ্যে প্রায় ৭৯ মিলিয়ন শিশু ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করছে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর জাতীয় শিশুশ্রম সমীক্ষা ২০১৩’র ( চূড়ান্ত ২০২১) তথ্য মতে, দেশে শিশু শ্রমিক রয়েছে ৩৪ লাখ ৫০ হাজার। কর্মরত শিশুদের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজত আছে ১২ লাখ ৮০ হাজার জন। আর ২ লাখ ৬০ হাজার জন শিশু অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়েজিত, যা তাদের জীবন ও স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।

উপরোক্ত পরিসংখ্যান থেকে এটা স্পষ্ট যে সারাবিশ্বে শিশুশ্রম এর পরিমাণ আমাদের ধারণার চেয়েও বেশি। করোনার অভিঘাতে এর সংখ্যা অনেকাংশে বেড়ে গেছে। কেননা করোনাকালীন সময় অর্থনৈতিক মন্দার দরুণ অনেক শিশুকে কাজে নেমে পড়তে হয়েছে পরিবারের হাল ধরার জন্য। তারা স্কুল থেকে ছিটকে পড়েছে, বাধাগ্রস্ত হয়েছে তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ। ফলে বিশ্ববাসী একটি অশিক্ষিত ও অদক্ষ প্রজন্ম পেতে যাচ্ছে অদূর ভবিষ্যতে, যা মোটেও বিশ্ববাসীর জন্য সুখকর নয়।

আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। আজকে যে শিশুটি তার শৈশবকালীন ও কৈশোরকালীন অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়ে মূল ধারার উন্নয়ন থেকে ছিটকে পড়ছে, সে কখনোই আর ফিরে আসেত পারবে কি না-সেটা গবেষণার বিষয়।

শিশুশ্রম একটি মারাত্মক সামাজিক ব্যাধি। তাই আসুন শিশুশ্রম বন্ধে আমরা সবাই যার যার জায়গা থেকে সোচ্চার হই, গড়ে তুলি জনমত। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এই বিশ্বকে, এই দেশকে শিশুর বাসযোগ্য স্থানে পরিণত করি যেখানে থাকবে না কোন শিশুশ্রম। ফুলের মতো পবিত্র শিশুগুলো বেড়ে উঠবে তার আপন মহিমায়, আলোকিত করবে সারা বিশ্বকে। নেতৃত্ব দেবে আগামীর পৃথিবীকে। আজ থেকে আমাদের পথচলা শুরু হোক শিশুশ্রম মুক্ত পৃথিবীর প্রত্যাশায়। আর আমাদের স্লোগান হোক ‘শিশুশ্রম বন্ধ করি, সমৃদ্ধশালী পৃথিবী গড়ি’।

বিল্লাল হোসেন

ছবি

বেকারত্ব নিরসনে কুটির শিল্পের ভূমিকা

দুর্যোগ পূর্ববর্তী প্রস্তুতি

ছবি

সোনালি পাটের প্রয়োজনীয়তা

কালীকচ্ছের ধর্মতীর্থ বধ্যভূমিতে স্মৃতিসৌধ নির্মাণের দাবি

চিঠি : হলে খাবারের মান উন্নত করুন

চিঠি : স্বাস্থ্য শিক্ষা বিষয়ে ডিপ্লোমাধারীদের বৈষম্য দূর করুন

চিঠি : শিক্ষার মান উন্নয়ন চাই

চিঠি : সড়ক আইন বাস্তবায়ন করুন

চিঠি : রাস্তায় বাইক সন্ত্রাস

চিঠি : কঠিন হয়ে পড়ছে ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা

চিঠি : ডিসেম্বরের স্মৃতি

চিঠি : টেকসই ও সাশ্রয়ী ক্লিন এনার্জি

চিঠি : নকল গুড় জব্দ হোক

চিঠি : সড়কে বাড়ছে লেন ঝরছে প্রাণ

চিঠি : ঢাকাবাসীর কাছে মেট্রোরেল আশীর্বাদ

চিঠি : কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন জরুরি

চিঠি : পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস চাই

চিঠি : তারুণ্যের শক্তি কাজে লাগান

চিঠি : এইডস থেকে বাঁচতে সচেতন হোন

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ হোক

চিঠি : হাসুন, সুস্থ থাকুন

চিঠি : হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি বন্ধ হোক

চিঠি : রাজনীতিতে তরুণ সমাজের অংশগ্রহণ

চিঠি : মাদককে ‘না’ বলুন

চিঠি : পুনরুন্নয়ন প্রকল্প : পাল্টে যাবে পুরান ঢাকা

চিঠি : শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ান

চিঠি : চন্দ্রগঞ্জে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন চাই

চিঠি : বাড়ছে বাল্যবিয়ে

চিঠি : টিকটকের অপব্যবহার রোধ করতে হবে

চিঠি : আত্মবিশ্বাস ও আস্থা

চিঠি : শিক্ষকরা কি প্রকৃত মর্যাদা পাচ্ছে

চিঠি : শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সম্প্রীতি চাই

চিঠি : সকালে ও বিকেলে মেট্রোরেল চলুক

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ করতে হবে

চিঠি : ঢাবি’র কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার আধুনিকায়ন করা হোক

চিঠি : নিত্যপণ্যের দাম

tab

চিঠিপত্র

চিঠি : শিশুশ্রম প্রতিরোধ করা জরুরি

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

সোমবার, ১৩ জুন ২০২২

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) ২০২০ সালের পরিসংখ্যান অনুসারে সারাবিশ্বে ১৬০ মিলিয়ন শিশু শিশুশ্রম এর সঙ্গে জড়িত। যার মধ্যে ৬৩ মিলিয়ন মেয়ে শিশু ও ৯৭ মিলিয়ন ছেলে শিশু রয়েছে। যার অর্থ হচ্ছে বিশ্বব্যাপী প্রতি দশজন শিশুর মধ্যে একজন শিশু শিশুশ্রম এর সঙ্গে জড়িত। এদের মধ্যে প্রায় ৭৯ মিলিয়ন শিশু ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করছে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর জাতীয় শিশুশ্রম সমীক্ষা ২০১৩’র ( চূড়ান্ত ২০২১) তথ্য মতে, দেশে শিশু শ্রমিক রয়েছে ৩৪ লাখ ৫০ হাজার। কর্মরত শিশুদের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজত আছে ১২ লাখ ৮০ হাজার জন। আর ২ লাখ ৬০ হাজার জন শিশু অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়েজিত, যা তাদের জীবন ও স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।

উপরোক্ত পরিসংখ্যান থেকে এটা স্পষ্ট যে সারাবিশ্বে শিশুশ্রম এর পরিমাণ আমাদের ধারণার চেয়েও বেশি। করোনার অভিঘাতে এর সংখ্যা অনেকাংশে বেড়ে গেছে। কেননা করোনাকালীন সময় অর্থনৈতিক মন্দার দরুণ অনেক শিশুকে কাজে নেমে পড়তে হয়েছে পরিবারের হাল ধরার জন্য। তারা স্কুল থেকে ছিটকে পড়েছে, বাধাগ্রস্ত হয়েছে তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ। ফলে বিশ্ববাসী একটি অশিক্ষিত ও অদক্ষ প্রজন্ম পেতে যাচ্ছে অদূর ভবিষ্যতে, যা মোটেও বিশ্ববাসীর জন্য সুখকর নয়।

আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। আজকে যে শিশুটি তার শৈশবকালীন ও কৈশোরকালীন অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়ে মূল ধারার উন্নয়ন থেকে ছিটকে পড়ছে, সে কখনোই আর ফিরে আসেত পারবে কি না-সেটা গবেষণার বিষয়।

শিশুশ্রম একটি মারাত্মক সামাজিক ব্যাধি। তাই আসুন শিশুশ্রম বন্ধে আমরা সবাই যার যার জায়গা থেকে সোচ্চার হই, গড়ে তুলি জনমত। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এই বিশ্বকে, এই দেশকে শিশুর বাসযোগ্য স্থানে পরিণত করি যেখানে থাকবে না কোন শিশুশ্রম। ফুলের মতো পবিত্র শিশুগুলো বেড়ে উঠবে তার আপন মহিমায়, আলোকিত করবে সারা বিশ্বকে। নেতৃত্ব দেবে আগামীর পৃথিবীকে। আজ থেকে আমাদের পথচলা শুরু হোক শিশুশ্রম মুক্ত পৃথিবীর প্রত্যাশায়। আর আমাদের স্লোগান হোক ‘শিশুশ্রম বন্ধ করি, সমৃদ্ধশালী পৃথিবী গড়ি’।

বিল্লাল হোসেন

back to top