মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
বাংলাদেশের ব্যাঙ্ক বলে, এক ডলারে ৯৩ টাকা- জনগণ ডলার কিনতে গেলে লাগে একশ’ টাকা। এদিকে ভারতে এক ডলার সমান প্রায় আশি টাকা ছুঁইছুঁই। আমার ছাত্র জীবনে দেখেছি ২০ টাকা দিলে ১ ডলার মিলত। তারপর কেটে গেছে ৫০টি বছর। দিন যতই যাচ্ছে ‘জলের দরে টাকা হচ্ছে’। প্রায় প্রতিদিনই একটু একটু করে যেভাবে টাকার দাম কমছে তাতে শত টাকা পেরিয়ে যেয়ে এগিয়ে চলতেই থাকবে। টাকার দাম এভাবে পড়তে থাকলে দেশ চালকদের মুখবন্ধ, টুইটার হ্যান্ডেলও নীরব রইবে। হয়তো কর্তৃপক্ষ এসবের কোন খবরই রাখেন না, অথবা টাকার দাম কমাকে কর্তৃপক্ষ গুরুত্বই দেন না। ডলারের মূল্য বহুদূর এগিয়ে গেছে। সবাই নিশ্চুপ।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাম্রাজ্যবাদের দুনিয়াজুড়ে আধিপত্য বিস্তারের অভিযানে বাংলাদেশকে যত বেশি সহযোগী করে তোলা হচ্ছে ততই ডলারের তুলনায় টাকার মূল্য পতন ঘটছে। বর্তমানে এশিয়ায় সবচেয়ে খারাপ অবস্থা টাকার। বাজারের ডলারের চাহিদা বাড়লে এবং ডলারের জোগান কমলে ডলারের বিনিময়মূল্য বাড়ে। বাংলাদেশে এখন সেটাই ঘটছে। তেলসহ বিশ্ব বাজারে পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমদানি খরচ বেড়ে ডলারের চাহিদা বাড়ছে। আবার আমেরিকাসহ উন্নত দেশগুলোতে উচ্চ মূল্যবৃদ্ধি আটকাতে বাড়ছে সুদের হার। দেশের বাজার থেকে বিদেশি লগ্নিকারীরা লগ্নি তুলে চলে যাচ্ছে আমেরিকায়। ফলে ডলারের জোগান শূন্য হয়ে গেছে। স্বাভাবিকভাবেই টাকার দাম হু হু করে কমছে। টাকার দাম কমা মানে মূল্যবৃদ্ধির জোরালো ইন্ধন। তাই মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণও কঠিন হয়ে যাবে।
লিয়াকত হোসেন খোকন
রূপনগর, ঢাকা
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
বৃহস্পতিবার, ১৬ জুন ২০২২
বাংলাদেশের ব্যাঙ্ক বলে, এক ডলারে ৯৩ টাকা- জনগণ ডলার কিনতে গেলে লাগে একশ’ টাকা। এদিকে ভারতে এক ডলার সমান প্রায় আশি টাকা ছুঁইছুঁই। আমার ছাত্র জীবনে দেখেছি ২০ টাকা দিলে ১ ডলার মিলত। তারপর কেটে গেছে ৫০টি বছর। দিন যতই যাচ্ছে ‘জলের দরে টাকা হচ্ছে’। প্রায় প্রতিদিনই একটু একটু করে যেভাবে টাকার দাম কমছে তাতে শত টাকা পেরিয়ে যেয়ে এগিয়ে চলতেই থাকবে। টাকার দাম এভাবে পড়তে থাকলে দেশ চালকদের মুখবন্ধ, টুইটার হ্যান্ডেলও নীরব রইবে। হয়তো কর্তৃপক্ষ এসবের কোন খবরই রাখেন না, অথবা টাকার দাম কমাকে কর্তৃপক্ষ গুরুত্বই দেন না। ডলারের মূল্য বহুদূর এগিয়ে গেছে। সবাই নিশ্চুপ।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাম্রাজ্যবাদের দুনিয়াজুড়ে আধিপত্য বিস্তারের অভিযানে বাংলাদেশকে যত বেশি সহযোগী করে তোলা হচ্ছে ততই ডলারের তুলনায় টাকার মূল্য পতন ঘটছে। বর্তমানে এশিয়ায় সবচেয়ে খারাপ অবস্থা টাকার। বাজারের ডলারের চাহিদা বাড়লে এবং ডলারের জোগান কমলে ডলারের বিনিময়মূল্য বাড়ে। বাংলাদেশে এখন সেটাই ঘটছে। তেলসহ বিশ্ব বাজারে পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমদানি খরচ বেড়ে ডলারের চাহিদা বাড়ছে। আবার আমেরিকাসহ উন্নত দেশগুলোতে উচ্চ মূল্যবৃদ্ধি আটকাতে বাড়ছে সুদের হার। দেশের বাজার থেকে বিদেশি লগ্নিকারীরা লগ্নি তুলে চলে যাচ্ছে আমেরিকায়। ফলে ডলারের জোগান শূন্য হয়ে গেছে। স্বাভাবিকভাবেই টাকার দাম হু হু করে কমছে। টাকার দাম কমা মানে মূল্যবৃদ্ধির জোরালো ইন্ধন। তাই মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণও কঠিন হয়ে যাবে।
লিয়াকত হোসেন খোকন
রূপনগর, ঢাকা