alt

চিঠিপত্র

চিঠি : পরিবারহীন শৈশব

: শনিবার, ১৮ জুন ২০২২

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

বৃদ্ধাশ্রম সম্পর্কে কমবেশি সকলেই জানি। কিন্তু আমরা কি কখনো সন্তান আশ্রমের কথা শুনেছি? আসুন আজকে এ বিষয়টি নিয়ে একটু আলোচনা করা যাক। পরিবারের কনিষ্ঠ সদস্য অথবা ছোট সন্তানটিকে ধর্মীয় শিক্ষার্জন বা একটু বেশি দুষ্টুমি করার শাস্তি স্বরূপ কিংবা উন্নত ক্যারিয়ার গঠনের উদ্দেশ্যে বোডিং স্কুল, হেফজখানা, ক্যাডেট স্কুল, মিশনারি স্কুলগুলোতে পাঠানো হয়; তাকে পরোক্ষভাবে শিশু আশ্রম বলতে পারি।

শিশু-কিশোরদের উচ্ছ্বাসপূর্ণ সময় কাটানোর সময়টিকে চার দেয়ালের কপাটে বইপুস্তক ও নিয়ম-শৃঙ্খলায় আবদ্ধ রাখা হয়, স্বর্ণসময়ের পুরোটা সময় মায়ের আঁচলের ছায়া বঞ্চিত করা হয়। এই শিশু আশ্রমের কারণে শিশুর সামাজিকীকরণে বিরুপ প্রভাব বিস্তারের আশঙ্কা রয়েছে। কারণ সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়ার বাহন হিসেবে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা পালন করে পরিবার।

বোডিং স্কুল একটি দন্ড। বেশিরভাগ সময় হেফজখানা কিংবা বোডিং স্কুলগুলোতে একটু দুষ্টু ছেলেদের পাঠানো হয়। এতে করে শিশুটির মনে আগে থেকেই একটি চিন্তা লালিত হয় যে ‘আমি দুষ্টু বলেই তো শাস্তি হিসেবে এখানে এসেছি’ তা থেকেই সে আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে।

দুরন্ত এই শিশুটিকে শৃঙ্খলায় রাখতে চাইলে তার জন্য প্রয়োজন শাসন ও ভালোবাসার সমন্বয় একটি পরিবেশ। যা বোডিং স্কুলের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোতে সম্ভব নয়। এখানে নির্ধারিত দায়িত্বশীলের নিয়ন্ত্রণাধীন থাকলেও সম্পূর্ণভাবে সুশিক্ষা প্রদান করা সম্ভব নয়। ‘ক্লাস কিংবা আবাসিক শিক্ষার্থীদের মনিটররা চাকরি সূত্রে ডিউটি পালন করেন। এক্ষেত্রে ‘ডিউটি’ এবং ‘রেসপন্সিবিলিটি‘ দুটোই সম্পূর্ণ আলাদা পরিভাষা’। আর ছোট থেকেই দায়িত্বশীলহীনতায় ভোগা শিশুটি কখনো সম্পূর্ণ সুশিক্ষা ও সঠিক বিকাশ পেতে পারে না। সামাজিক জীবনে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার যতটা প্রয়োজন ঠিক ততটাই প্রয়োজন পরিবারের। শিশুকে মেধা ও মননশীলতায় এগিয়ে রাখতে চাইলে বোডিং স্কুল নামক শিশু আশ্রমে নয় বরং প্রয়োজন পরিবারের সঙ্গে মিলেমিশে থাকার।

মাসুম মাহমুদ

ছবি

বেকারত্ব নিরসনে কুটির শিল্পের ভূমিকা

দুর্যোগ পূর্ববর্তী প্রস্তুতি

ছবি

সোনালি পাটের প্রয়োজনীয়তা

কালীকচ্ছের ধর্মতীর্থ বধ্যভূমিতে স্মৃতিসৌধ নির্মাণের দাবি

চিঠি : হলে খাবারের মান উন্নত করুন

চিঠি : স্বাস্থ্য শিক্ষা বিষয়ে ডিপ্লোমাধারীদের বৈষম্য দূর করুন

চিঠি : শিক্ষার মান উন্নয়ন চাই

চিঠি : সড়ক আইন বাস্তবায়ন করুন

চিঠি : রাস্তায় বাইক সন্ত্রাস

চিঠি : কঠিন হয়ে পড়ছে ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা

চিঠি : ডিসেম্বরের স্মৃতি

চিঠি : টেকসই ও সাশ্রয়ী ক্লিন এনার্জি

চিঠি : নকল গুড় জব্দ হোক

চিঠি : সড়কে বাড়ছে লেন ঝরছে প্রাণ

চিঠি : ঢাকাবাসীর কাছে মেট্রোরেল আশীর্বাদ

চিঠি : কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন জরুরি

চিঠি : পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস চাই

চিঠি : তারুণ্যের শক্তি কাজে লাগান

চিঠি : এইডস থেকে বাঁচতে সচেতন হোন

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ হোক

চিঠি : হাসুন, সুস্থ থাকুন

চিঠি : হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি বন্ধ হোক

চিঠি : রাজনীতিতে তরুণ সমাজের অংশগ্রহণ

চিঠি : মাদককে ‘না’ বলুন

চিঠি : পুনরুন্নয়ন প্রকল্প : পাল্টে যাবে পুরান ঢাকা

চিঠি : শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ান

চিঠি : চন্দ্রগঞ্জে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন চাই

চিঠি : বাড়ছে বাল্যবিয়ে

চিঠি : টিকটকের অপব্যবহার রোধ করতে হবে

চিঠি : আত্মবিশ্বাস ও আস্থা

চিঠি : শিক্ষকরা কি প্রকৃত মর্যাদা পাচ্ছে

চিঠি : শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সম্প্রীতি চাই

চিঠি : সকালে ও বিকেলে মেট্রোরেল চলুক

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ করতে হবে

চিঠি : ঢাবি’র কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার আধুনিকায়ন করা হোক

চিঠি : নিত্যপণ্যের দাম

tab

চিঠিপত্র

চিঠি : পরিবারহীন শৈশব

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

শনিবার, ১৮ জুন ২০২২

বৃদ্ধাশ্রম সম্পর্কে কমবেশি সকলেই জানি। কিন্তু আমরা কি কখনো সন্তান আশ্রমের কথা শুনেছি? আসুন আজকে এ বিষয়টি নিয়ে একটু আলোচনা করা যাক। পরিবারের কনিষ্ঠ সদস্য অথবা ছোট সন্তানটিকে ধর্মীয় শিক্ষার্জন বা একটু বেশি দুষ্টুমি করার শাস্তি স্বরূপ কিংবা উন্নত ক্যারিয়ার গঠনের উদ্দেশ্যে বোডিং স্কুল, হেফজখানা, ক্যাডেট স্কুল, মিশনারি স্কুলগুলোতে পাঠানো হয়; তাকে পরোক্ষভাবে শিশু আশ্রম বলতে পারি।

শিশু-কিশোরদের উচ্ছ্বাসপূর্ণ সময় কাটানোর সময়টিকে চার দেয়ালের কপাটে বইপুস্তক ও নিয়ম-শৃঙ্খলায় আবদ্ধ রাখা হয়, স্বর্ণসময়ের পুরোটা সময় মায়ের আঁচলের ছায়া বঞ্চিত করা হয়। এই শিশু আশ্রমের কারণে শিশুর সামাজিকীকরণে বিরুপ প্রভাব বিস্তারের আশঙ্কা রয়েছে। কারণ সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়ার বাহন হিসেবে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা পালন করে পরিবার।

বোডিং স্কুল একটি দন্ড। বেশিরভাগ সময় হেফজখানা কিংবা বোডিং স্কুলগুলোতে একটু দুষ্টু ছেলেদের পাঠানো হয়। এতে করে শিশুটির মনে আগে থেকেই একটি চিন্তা লালিত হয় যে ‘আমি দুষ্টু বলেই তো শাস্তি হিসেবে এখানে এসেছি’ তা থেকেই সে আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে।

দুরন্ত এই শিশুটিকে শৃঙ্খলায় রাখতে চাইলে তার জন্য প্রয়োজন শাসন ও ভালোবাসার সমন্বয় একটি পরিবেশ। যা বোডিং স্কুলের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোতে সম্ভব নয়। এখানে নির্ধারিত দায়িত্বশীলের নিয়ন্ত্রণাধীন থাকলেও সম্পূর্ণভাবে সুশিক্ষা প্রদান করা সম্ভব নয়। ‘ক্লাস কিংবা আবাসিক শিক্ষার্থীদের মনিটররা চাকরি সূত্রে ডিউটি পালন করেন। এক্ষেত্রে ‘ডিউটি’ এবং ‘রেসপন্সিবিলিটি‘ দুটোই সম্পূর্ণ আলাদা পরিভাষা’। আর ছোট থেকেই দায়িত্বশীলহীনতায় ভোগা শিশুটি কখনো সম্পূর্ণ সুশিক্ষা ও সঠিক বিকাশ পেতে পারে না। সামাজিক জীবনে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার যতটা প্রয়োজন ঠিক ততটাই প্রয়োজন পরিবারের। শিশুকে মেধা ও মননশীলতায় এগিয়ে রাখতে চাইলে বোডিং স্কুল নামক শিশু আশ্রমে নয় বরং প্রয়োজন পরিবারের সঙ্গে মিলেমিশে থাকার।

মাসুম মাহমুদ

back to top