alt

চিঠিপত্র

চিঠি : এ কেমন আচরণ!

: শুক্রবার, ০৮ জুলাই ২০২২

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

কয়েক দিন আগে ঢাকার উদ্দেশে ট্রেনে ভ্রমণ করছিলাম। সিটে বসে আমি আমার ফোন ব্যবহার করছি। চলন্ত ট্রেনে হঠাৎ ফিল্মি স্টাইলে একজন লোক আমার কাছে এসে মোবাইলটা এক প্রকার কেড়েই নিলেন। বললেন, মোবাইলটা দেখি? আমি তাকে বললাম, কে আপনি? মোবাইল কেন দিব?

তারপর তিনি বললেন, আগে মোবাইল নিই, বাকিটা পরে বলছি। আমি তর্ক না করে তাকে ফোনটা দিয়ে দিলাম। তিনি আমাকে প্রশ্ন করলেন, বাড়ি কোথায়? যাচ্ছি কোথায়? পরিচয় কী? আমি তাকে সব প্রশ্নের উত্তর দিলাম। ইতোমধ্যে তিনি আমার ফোনের ইনবক্স, ফেসবুক মেসেঞ্জার, গ্যালারির যাবতীয় ছবি ও ভিডিওসহ সবকিছু দেখলেন। আমি তাকে আবারও জিজ্ঞাসা করলাম, কে আপনি?

তারপর তিনি চোখ রাঙিয়ে আমার দিকে তাকালেন। সবকিছু চেক করা শেষ হলে তিনি আমাকে ফোন দিয়ে দিলেন। আমি আবারও তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, কে আপনি? পরিচয় তো দেবেন। তারপর তিনি পকেট থেকে পরিচয়পত্র বের করে জানালেন তিনি র‌্যাব। আমি তাকে বললাম, আপনি পরিচয় দিলে তো আমি নিজেই আপনাকে সহযোগিতা করতাম।

কারও আচরণ বা গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী উক্ত ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ বা তল্লাশি করতেই পারে। সিআরপিসির ১০৩ ও ১৬৫ ধারা অনুযায়ী কমপক্ষে দুজন গণ্যমান্য ব্যক্তির উপস্থিতিতে তল্লাশি চালানোর আইনি অধিকার পুলিশের বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর রয়েছে।

নিয়ম মেনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যাকে তল্লাশি করতে চাইলে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি এক্ষেত্রে সহযোগিতা করতে আইনত বাধ্য। কিন্তু এমন বাজেভাবে কাউকে হেনস্থা করার অধিকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সংবিধান বা আইন প্রদান করেনি। কাউকে সন্দেহভাজন মনে হলে জিজ্ঞাসাবাদ করার পূর্বে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের পরিচয় দিয়ে ন্যূনতম ভদ্রতা প্রদর্শনের নির্দেশনা প্রদানের জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বিনীত অনুরোধ করছি।

আখতার হোসেন আজাদ

ছবি

বেকারত্ব নিরসনে কুটির শিল্পের ভূমিকা

দুর্যোগ পূর্ববর্তী প্রস্তুতি

ছবি

সোনালি পাটের প্রয়োজনীয়তা

কালীকচ্ছের ধর্মতীর্থ বধ্যভূমিতে স্মৃতিসৌধ নির্মাণের দাবি

চিঠি : হলে খাবারের মান উন্নত করুন

চিঠি : স্বাস্থ্য শিক্ষা বিষয়ে ডিপ্লোমাধারীদের বৈষম্য দূর করুন

চিঠি : শিক্ষার মান উন্নয়ন চাই

চিঠি : সড়ক আইন বাস্তবায়ন করুন

চিঠি : রাস্তায় বাইক সন্ত্রাস

চিঠি : কঠিন হয়ে পড়ছে ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা

চিঠি : ডিসেম্বরের স্মৃতি

চিঠি : টেকসই ও সাশ্রয়ী ক্লিন এনার্জি

চিঠি : নকল গুড় জব্দ হোক

চিঠি : সড়কে বাড়ছে লেন ঝরছে প্রাণ

চিঠি : ঢাকাবাসীর কাছে মেট্রোরেল আশীর্বাদ

চিঠি : কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন জরুরি

চিঠি : পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস চাই

চিঠি : তারুণ্যের শক্তি কাজে লাগান

চিঠি : এইডস থেকে বাঁচতে সচেতন হোন

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ হোক

চিঠি : হাসুন, সুস্থ থাকুন

চিঠি : হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি বন্ধ হোক

চিঠি : রাজনীতিতে তরুণ সমাজের অংশগ্রহণ

চিঠি : মাদককে ‘না’ বলুন

চিঠি : পুনরুন্নয়ন প্রকল্প : পাল্টে যাবে পুরান ঢাকা

চিঠি : শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ান

চিঠি : চন্দ্রগঞ্জে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন চাই

চিঠি : বাড়ছে বাল্যবিয়ে

চিঠি : টিকটকের অপব্যবহার রোধ করতে হবে

চিঠি : আত্মবিশ্বাস ও আস্থা

চিঠি : শিক্ষকরা কি প্রকৃত মর্যাদা পাচ্ছে

চিঠি : শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সম্প্রীতি চাই

চিঠি : সকালে ও বিকেলে মেট্রোরেল চলুক

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ করতে হবে

চিঠি : ঢাবি’র কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার আধুনিকায়ন করা হোক

চিঠি : নিত্যপণ্যের দাম

tab

চিঠিপত্র

চিঠি : এ কেমন আচরণ!

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

শুক্রবার, ০৮ জুলাই ২০২২

কয়েক দিন আগে ঢাকার উদ্দেশে ট্রেনে ভ্রমণ করছিলাম। সিটে বসে আমি আমার ফোন ব্যবহার করছি। চলন্ত ট্রেনে হঠাৎ ফিল্মি স্টাইলে একজন লোক আমার কাছে এসে মোবাইলটা এক প্রকার কেড়েই নিলেন। বললেন, মোবাইলটা দেখি? আমি তাকে বললাম, কে আপনি? মোবাইল কেন দিব?

তারপর তিনি বললেন, আগে মোবাইল নিই, বাকিটা পরে বলছি। আমি তর্ক না করে তাকে ফোনটা দিয়ে দিলাম। তিনি আমাকে প্রশ্ন করলেন, বাড়ি কোথায়? যাচ্ছি কোথায়? পরিচয় কী? আমি তাকে সব প্রশ্নের উত্তর দিলাম। ইতোমধ্যে তিনি আমার ফোনের ইনবক্স, ফেসবুক মেসেঞ্জার, গ্যালারির যাবতীয় ছবি ও ভিডিওসহ সবকিছু দেখলেন। আমি তাকে আবারও জিজ্ঞাসা করলাম, কে আপনি?

তারপর তিনি চোখ রাঙিয়ে আমার দিকে তাকালেন। সবকিছু চেক করা শেষ হলে তিনি আমাকে ফোন দিয়ে দিলেন। আমি আবারও তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, কে আপনি? পরিচয় তো দেবেন। তারপর তিনি পকেট থেকে পরিচয়পত্র বের করে জানালেন তিনি র‌্যাব। আমি তাকে বললাম, আপনি পরিচয় দিলে তো আমি নিজেই আপনাকে সহযোগিতা করতাম।

কারও আচরণ বা গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী উক্ত ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ বা তল্লাশি করতেই পারে। সিআরপিসির ১০৩ ও ১৬৫ ধারা অনুযায়ী কমপক্ষে দুজন গণ্যমান্য ব্যক্তির উপস্থিতিতে তল্লাশি চালানোর আইনি অধিকার পুলিশের বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর রয়েছে।

নিয়ম মেনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যাকে তল্লাশি করতে চাইলে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি এক্ষেত্রে সহযোগিতা করতে আইনত বাধ্য। কিন্তু এমন বাজেভাবে কাউকে হেনস্থা করার অধিকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সংবিধান বা আইন প্রদান করেনি। কাউকে সন্দেহভাজন মনে হলে জিজ্ঞাসাবাদ করার পূর্বে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের পরিচয় দিয়ে ন্যূনতম ভদ্রতা প্রদর্শনের নির্দেশনা প্রদানের জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বিনীত অনুরোধ করছি।

আখতার হোসেন আজাদ

back to top