alt

চিঠিপত্র

চিঠি : কাজ হারানো নারীদের প্রতি সুদৃষ্টি দিন

: শুক্রবার, ১৫ জুলাই ২০২২

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক নারী। কিন্তু কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে পুরুষদের চেয়ে বরাবরই নারীরা অনেকটা পিছিয়ে। করোনাকালে কাজ হারিয়ে বিপাকে পড়েছেন অনেক কর্মজীবী নারী। করোনা পূর্ববর্তী সময়ে বাংলাদেশে নারীদের সবচেয়ে বেশি অংশগ্রহণ ছিল তৈরি পোশাক খাত, কৃষি খাত এবং গৃহকর্মী হিসেবে। করোনা নারীদের এই কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রগুলো ওলট-পালট করে দিয়েছে। চাকরি হারানোর পাশাপাশি নারীরা সহিংসতারও শিকার হচ্ছেন। করোনাকালে নারীদের প্রতি অর্থনৈতিক চাপ ও পারিবারিক সহিংসতা বেড়েছে ব্যাপক মাত্রায়।

করোনা সংকটে নারী-পুরুষ উভয়েই কাজ হারালেও পুরুষের চাইতে নারী কর্মজীবীরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। কারণ, পুরুষরা দ্রুত অন্যত্র কাজ খুঁজে নিলেও নারীর ক্ষেত্রে এ সুযোগ কম। প্রাতিষ্ঠানিক খাতের চেয়ে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে কর্মরত নারীরা কাজ হারিয়েছেন বেশি। মহামারিতে এসব খাতে কর্মরত নারীরাই কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তবে পোশাক খাত এবং প্রবাসী নারী শ্রমিক, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা, কৃষি ও গৃহকর্মে জড়িত নারীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের এক গবেষণায় বলা হয়, করোনায় নারী নেতৃত্বাধীন পরিবারের আয় কমেছে ৮০ শতাংশ। করোনায় নারীদের চাকরি হারানোর ঝুঁকি বেড়েছে বলে সতর্ক করে দিয়েছে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা-আইএলও।

যেসব নারী সংসারে একমাত্র উপার্জনকারী তারা গোটা পরিবার নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। অনেকেই শহর ছেড়েছেন, ফিরে গেছেন গ্রামে। সেখানেও সংসারের অভাব মোচন হচ্ছে না। অনেক নারীর কাজ বাজার নির্ভর। তারা বাজারে গিয়ে নিজেদের পণ্য বিক্রি করেন। কিন্তু মহামারির ফলে সেটি কমে গেছে। এ ছাড়া যেসব নারী ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উদ্যোক্তা ছিলেন তারা নিজেদের আয় দিয়ে ব্যবসা চালাতেন। কিন্তু আয় ও ব্যবসা চালানোর চক্রাকার ব্যবস্থাটি দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় তাদের ব্যবসাও নষ্ট হয়ে গেছে। তাই করোনাকালে কাজ হারানো নারীদেরকে কাজে ফেরাতে সরকারি-বেসরকারি প্রণোদনা নিশ্চিত করতে হবে। তদের কাজে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করেতে হবে।

লিমন আহমেদ

কালীকচ্ছের ধর্মতীর্থ বধ্যভূমিতে স্মৃতিসৌধ নির্মাণের দাবি

চিঠি : হলে খাবারের মান উন্নত করুন

চিঠি : স্বাস্থ্য শিক্ষা বিষয়ে ডিপ্লোমাধারীদের বৈষম্য দূর করুন

চিঠি : শিক্ষার মান উন্নয়ন চাই

চিঠি : সড়ক আইন বাস্তবায়ন করুন

চিঠি : রাস্তায় বাইক সন্ত্রাস

চিঠি : কঠিন হয়ে পড়ছে ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা

চিঠি : ডিসেম্বরের স্মৃতি

চিঠি : টেকসই ও সাশ্রয়ী ক্লিন এনার্জি

চিঠি : নকল গুড় জব্দ হোক

চিঠি : সড়কে বাড়ছে লেন ঝরছে প্রাণ

চিঠি : ঢাকাবাসীর কাছে মেট্রোরেল আশীর্বাদ

চিঠি : কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন জরুরি

চিঠি : পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস চাই

চিঠি : তারুণ্যের শক্তি কাজে লাগান

চিঠি : এইডস থেকে বাঁচতে সচেতন হোন

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ হোক

চিঠি : হাসুন, সুস্থ থাকুন

চিঠি : হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি বন্ধ হোক

চিঠি : রাজনীতিতে তরুণ সমাজের অংশগ্রহণ

চিঠি : মাদককে ‘না’ বলুন

চিঠি : পুনরুন্নয়ন প্রকল্প : পাল্টে যাবে পুরান ঢাকা

চিঠি : শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ান

চিঠি : চন্দ্রগঞ্জে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন চাই

চিঠি : বাড়ছে বাল্যবিয়ে

চিঠি : টিকটকের অপব্যবহার রোধ করতে হবে

চিঠি : আত্মবিশ্বাস ও আস্থা

চিঠি : শিক্ষকরা কি প্রকৃত মর্যাদা পাচ্ছে

চিঠি : শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সম্প্রীতি চাই

চিঠি : সকালে ও বিকেলে মেট্রোরেল চলুক

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ করতে হবে

চিঠি : ঢাবি’র কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার আধুনিকায়ন করা হোক

চিঠি : নিত্যপণ্যের দাম

চিঠি : শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চাই পরিচ্ছন্ন শৌচাগার

চিঠি : বায়ুদূষণ থেকে রাজধানীকে রক্ষা করুন

চিঠি : পর্যটনকেন্দ্রে খাবারের অস্বাভাবিক মূল্য

tab

চিঠিপত্র

চিঠি : কাজ হারানো নারীদের প্রতি সুদৃষ্টি দিন

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

শুক্রবার, ১৫ জুলাই ২০২২

বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক নারী। কিন্তু কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে পুরুষদের চেয়ে বরাবরই নারীরা অনেকটা পিছিয়ে। করোনাকালে কাজ হারিয়ে বিপাকে পড়েছেন অনেক কর্মজীবী নারী। করোনা পূর্ববর্তী সময়ে বাংলাদেশে নারীদের সবচেয়ে বেশি অংশগ্রহণ ছিল তৈরি পোশাক খাত, কৃষি খাত এবং গৃহকর্মী হিসেবে। করোনা নারীদের এই কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রগুলো ওলট-পালট করে দিয়েছে। চাকরি হারানোর পাশাপাশি নারীরা সহিংসতারও শিকার হচ্ছেন। করোনাকালে নারীদের প্রতি অর্থনৈতিক চাপ ও পারিবারিক সহিংসতা বেড়েছে ব্যাপক মাত্রায়।

করোনা সংকটে নারী-পুরুষ উভয়েই কাজ হারালেও পুরুষের চাইতে নারী কর্মজীবীরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। কারণ, পুরুষরা দ্রুত অন্যত্র কাজ খুঁজে নিলেও নারীর ক্ষেত্রে এ সুযোগ কম। প্রাতিষ্ঠানিক খাতের চেয়ে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে কর্মরত নারীরা কাজ হারিয়েছেন বেশি। মহামারিতে এসব খাতে কর্মরত নারীরাই কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তবে পোশাক খাত এবং প্রবাসী নারী শ্রমিক, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা, কৃষি ও গৃহকর্মে জড়িত নারীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের এক গবেষণায় বলা হয়, করোনায় নারী নেতৃত্বাধীন পরিবারের আয় কমেছে ৮০ শতাংশ। করোনায় নারীদের চাকরি হারানোর ঝুঁকি বেড়েছে বলে সতর্ক করে দিয়েছে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা-আইএলও।

যেসব নারী সংসারে একমাত্র উপার্জনকারী তারা গোটা পরিবার নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। অনেকেই শহর ছেড়েছেন, ফিরে গেছেন গ্রামে। সেখানেও সংসারের অভাব মোচন হচ্ছে না। অনেক নারীর কাজ বাজার নির্ভর। তারা বাজারে গিয়ে নিজেদের পণ্য বিক্রি করেন। কিন্তু মহামারির ফলে সেটি কমে গেছে। এ ছাড়া যেসব নারী ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উদ্যোক্তা ছিলেন তারা নিজেদের আয় দিয়ে ব্যবসা চালাতেন। কিন্তু আয় ও ব্যবসা চালানোর চক্রাকার ব্যবস্থাটি দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় তাদের ব্যবসাও নষ্ট হয়ে গেছে। তাই করোনাকালে কাজ হারানো নারীদেরকে কাজে ফেরাতে সরকারি-বেসরকারি প্রণোদনা নিশ্চিত করতে হবে। তদের কাজে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করেতে হবে।

লিমন আহমেদ

back to top