alt

চিঠিপত্র

চিঠি : শিক্ষকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হোক

: রোববার, ২৪ জুলাই ২০২২

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

শিক্ষকের নিরলস প্রচেষ্টায় গড়ে উঠে জাতির ভবিষ্যৎ। অন্যান্য পেশার তুলনায় এই পেশা হচ্ছে অনেক সম্মানের এবং মর্যাদাপূর্ণ। একজন শিক্ষককে সবাই সম্মান করেন। তিনি জাতির মুকুট হিসেবে থাকেন সবসময়। কালের বিবর্তনে এখন শিক্ষকরা আর ভালো নেই। দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে নিম্ন প্রতিষ্ঠানগুলোতে ঠুনকো বিষয়ের জের ধরে জাতি গড়ার কারিগরদের ওপর হামলা হয়। প্রশ্ন হচ্ছে, কেন এ দুরবস্থা।

এসবের পেছনে বর্তমান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অপরাজনীতির ছোঁয়া লাগার বিষয়টা এড়িয়ে যাওয়া যায় না। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ তাদের স্বার্থসিদ্ধ করার জন্য শিক্ষকদের বলির পাঁঠা বানায়। এটা খুবই দুঃখজনক। একজন আদর্শ শিক্ষক আদর্শ মানুষ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করেন। এই আদর্শ শিক্ষক যখন রাজনীতির ময়দানে আবর্তিত হয়, তখন পদস্খলনও বরাবর টের পাওয়া যায়। ফলত তারা পদ-পদবির লোভে নিজেদের সম্মান হারায়। রাজনৈতিক নেতারাও তাদের যেমন ইচ্ছে তেমন ব্যবহার করার চেষ্টা করেন। সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষক লাঞ্ছনা ও হত্যার ঘটনা তারই দিকে ইঙ্গিত করে। তাই শিক্ষকদের রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার চেয়ে একজন আর্দশ শিক্ষকের ভূমিকা রেখে আদর্শ জাতি গড়ার পেছনে কাজ করা উচিত।

বর্তমানে শিক্ষকরা তাদের ন্যায্য সম্মানী থেকে অবহেলিত হচ্ছে। তাদের যা সম্মানী দেওয়া উচিত তার চেয়ে অনেক কম সম্মানী দেওয়া হয়। ওই সম্মানী দিয়ে তাদের পরিবার চালাতে অনেক কষ্ট হয়। তারা হামলা, অপদস্ত ও হত্যার স্বীকার হচ্ছে। সমাজে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও এই মহান পেশাকে আঁকড়ে ধরে রেখেছেন। এটা হচ্ছে আমাদের জন্য আশার দিক।

শিক্ষকরা হচ্ছেন জাতি গড়ার কারিগর। তাদের ক্ষতি হওয়া মানে পুরো জাতির ক্ষতি হওয়া। তাই মক্তব থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত প্রতিটি স্তরের শিক্ষকের প্রতি আরো যত্নশীল হওয়া চাই। অন্তত যাতে তারা নিজের পরিবার নিয়ে নিরাপত্তায় বসবাস করতে পারে এটা নিশ্চিত হওয়া উচিত।

ইমরান উদ্দিন

ছবি

বেকারত্ব নিরসনে কুটির শিল্পের ভূমিকা

দুর্যোগ পূর্ববর্তী প্রস্তুতি

ছবি

সোনালি পাটের প্রয়োজনীয়তা

কালীকচ্ছের ধর্মতীর্থ বধ্যভূমিতে স্মৃতিসৌধ নির্মাণের দাবি

চিঠি : হলে খাবারের মান উন্নত করুন

চিঠি : স্বাস্থ্য শিক্ষা বিষয়ে ডিপ্লোমাধারীদের বৈষম্য দূর করুন

চিঠি : শিক্ষার মান উন্নয়ন চাই

চিঠি : সড়ক আইন বাস্তবায়ন করুন

চিঠি : রাস্তায় বাইক সন্ত্রাস

চিঠি : কঠিন হয়ে পড়ছে ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা

চিঠি : ডিসেম্বরের স্মৃতি

চিঠি : টেকসই ও সাশ্রয়ী ক্লিন এনার্জি

চিঠি : নকল গুড় জব্দ হোক

চিঠি : সড়কে বাড়ছে লেন ঝরছে প্রাণ

চিঠি : ঢাকাবাসীর কাছে মেট্রোরেল আশীর্বাদ

চিঠি : কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন জরুরি

চিঠি : পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস চাই

চিঠি : তারুণ্যের শক্তি কাজে লাগান

চিঠি : এইডস থেকে বাঁচতে সচেতন হোন

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ হোক

চিঠি : হাসুন, সুস্থ থাকুন

চিঠি : হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি বন্ধ হোক

চিঠি : রাজনীতিতে তরুণ সমাজের অংশগ্রহণ

চিঠি : মাদককে ‘না’ বলুন

চিঠি : পুনরুন্নয়ন প্রকল্প : পাল্টে যাবে পুরান ঢাকা

চিঠি : শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ান

চিঠি : চন্দ্রগঞ্জে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন চাই

চিঠি : বাড়ছে বাল্যবিয়ে

চিঠি : টিকটকের অপব্যবহার রোধ করতে হবে

চিঠি : আত্মবিশ্বাস ও আস্থা

চিঠি : শিক্ষকরা কি প্রকৃত মর্যাদা পাচ্ছে

চিঠি : শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সম্প্রীতি চাই

চিঠি : সকালে ও বিকেলে মেট্রোরেল চলুক

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ করতে হবে

চিঠি : ঢাবি’র কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার আধুনিকায়ন করা হোক

চিঠি : নিত্যপণ্যের দাম

tab

চিঠিপত্র

চিঠি : শিক্ষকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হোক

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

রোববার, ২৪ জুলাই ২০২২

শিক্ষকের নিরলস প্রচেষ্টায় গড়ে উঠে জাতির ভবিষ্যৎ। অন্যান্য পেশার তুলনায় এই পেশা হচ্ছে অনেক সম্মানের এবং মর্যাদাপূর্ণ। একজন শিক্ষককে সবাই সম্মান করেন। তিনি জাতির মুকুট হিসেবে থাকেন সবসময়। কালের বিবর্তনে এখন শিক্ষকরা আর ভালো নেই। দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে নিম্ন প্রতিষ্ঠানগুলোতে ঠুনকো বিষয়ের জের ধরে জাতি গড়ার কারিগরদের ওপর হামলা হয়। প্রশ্ন হচ্ছে, কেন এ দুরবস্থা।

এসবের পেছনে বর্তমান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অপরাজনীতির ছোঁয়া লাগার বিষয়টা এড়িয়ে যাওয়া যায় না। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ তাদের স্বার্থসিদ্ধ করার জন্য শিক্ষকদের বলির পাঁঠা বানায়। এটা খুবই দুঃখজনক। একজন আদর্শ শিক্ষক আদর্শ মানুষ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করেন। এই আদর্শ শিক্ষক যখন রাজনীতির ময়দানে আবর্তিত হয়, তখন পদস্খলনও বরাবর টের পাওয়া যায়। ফলত তারা পদ-পদবির লোভে নিজেদের সম্মান হারায়। রাজনৈতিক নেতারাও তাদের যেমন ইচ্ছে তেমন ব্যবহার করার চেষ্টা করেন। সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষক লাঞ্ছনা ও হত্যার ঘটনা তারই দিকে ইঙ্গিত করে। তাই শিক্ষকদের রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার চেয়ে একজন আর্দশ শিক্ষকের ভূমিকা রেখে আদর্শ জাতি গড়ার পেছনে কাজ করা উচিত।

বর্তমানে শিক্ষকরা তাদের ন্যায্য সম্মানী থেকে অবহেলিত হচ্ছে। তাদের যা সম্মানী দেওয়া উচিত তার চেয়ে অনেক কম সম্মানী দেওয়া হয়। ওই সম্মানী দিয়ে তাদের পরিবার চালাতে অনেক কষ্ট হয়। তারা হামলা, অপদস্ত ও হত্যার স্বীকার হচ্ছে। সমাজে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও এই মহান পেশাকে আঁকড়ে ধরে রেখেছেন। এটা হচ্ছে আমাদের জন্য আশার দিক।

শিক্ষকরা হচ্ছেন জাতি গড়ার কারিগর। তাদের ক্ষতি হওয়া মানে পুরো জাতির ক্ষতি হওয়া। তাই মক্তব থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত প্রতিটি স্তরের শিক্ষকের প্রতি আরো যত্নশীল হওয়া চাই। অন্তত যাতে তারা নিজের পরিবার নিয়ে নিরাপত্তায় বসবাস করতে পারে এটা নিশ্চিত হওয়া উচিত।

ইমরান উদ্দিন

back to top