মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড। প্রতিটা মানুষের সুষ্ঠু বিকাশ ও যথাযথ ব্যক্তিত্ব গঠনের জন্য শিক্ষা আবশ্যক। আমাদের শেখার যাত্রা শৈশব থেকে শুরু হয়, সমাজে ঘটা প্রতিটা ঘটনা অথবা বিষয় থেকে আমরা শিক্ষা গ্রহণ করি। এছাড়াও প্রতিটা দেশের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যবস্থা আছে।
অনেকে আছে যারা পড়াশোনা করতে বিরক্তবোধ করে। শিশুদের মধ্যে এটা বেশি দেখা যায়। তবে এর জন্য পারিপার্শ্বিক পরিবেশ অনেকাংশেই দায়ী। বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় অনেক প্রতিযোগিতা, আর এই প্রতিযোগিতাকে শিশুর চেয়ে শিশুর অভিভাবকরা বেশি গুরুত্ব দেন। যে করেই হোক শিশুকে ভালো ফলাফল করতে হবে, ক্লাসে প্রথম হতেই হবে, সেরা পুরস্কারটা পেতেই হবে- এসব বলে শিশুকে সবসময় একটা আতঙ্কের মধ্যে রাখে; যা অনেক সময় শিশুর প্রতিভা বিকাশে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। শহরের শিশুদের মধ্যে এ আতঙ্ক বেশি দেখা যায়, স্কুলে ভর্তি নিয়ে চলে প্রতিযোগিতা।
এমনটা শিশুর মধ্য পড়াশোনার প্রতি অনীহা তৈরি করে। শিশু পড়াশোনায় যে আনন্দ সেটা পায় না। এমনকি যখন ছেলে মেয়েরা স্কুল পেরিয়ে কলেজে যায়, বিশ্ববিদ্যালয় যায় তখন এই সমাজ, পরিবার তাকে এই অসুস্থ প্রতিযোগিতা নিয়ে কথা শোনায়। ফল স্বরূপ পড়াশোনা থেকে অনেকেই ঝরে যায়। আবার কেউ কেউ বেছে নেয় আত্মহত্যার পথও।
পড়াশোনায় প্রতিযোগিতা থাকবে এটা স্বাভাবিক; কিন্তু এটাকে চরম মাত্রায় নিয়ে যাওয়া অসুস্থ মানসিকতার পরিচয় বহন করে। পড়াশোনার চিত্রটা এমন হওয়ার কথা ছিল না, এসবের জন্য আমাদের পারিপার্শ্বিক পরিবেশ দায়ী। পড়াশোনার ক্ষেত্রে এমন চিত্রের পরিবর্তন করতে হবে। পড়াশোনায় আনন্দময় পরিবেশের ব্যবস্থা করতে হবে- বিশেষ করে শিশুদের।
হালিমা আক্তার
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
বৃহস্পতিবার, ২৮ জুলাই ২০২২
শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড। প্রতিটা মানুষের সুষ্ঠু বিকাশ ও যথাযথ ব্যক্তিত্ব গঠনের জন্য শিক্ষা আবশ্যক। আমাদের শেখার যাত্রা শৈশব থেকে শুরু হয়, সমাজে ঘটা প্রতিটা ঘটনা অথবা বিষয় থেকে আমরা শিক্ষা গ্রহণ করি। এছাড়াও প্রতিটা দেশের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যবস্থা আছে।
অনেকে আছে যারা পড়াশোনা করতে বিরক্তবোধ করে। শিশুদের মধ্যে এটা বেশি দেখা যায়। তবে এর জন্য পারিপার্শ্বিক পরিবেশ অনেকাংশেই দায়ী। বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় অনেক প্রতিযোগিতা, আর এই প্রতিযোগিতাকে শিশুর চেয়ে শিশুর অভিভাবকরা বেশি গুরুত্ব দেন। যে করেই হোক শিশুকে ভালো ফলাফল করতে হবে, ক্লাসে প্রথম হতেই হবে, সেরা পুরস্কারটা পেতেই হবে- এসব বলে শিশুকে সবসময় একটা আতঙ্কের মধ্যে রাখে; যা অনেক সময় শিশুর প্রতিভা বিকাশে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। শহরের শিশুদের মধ্যে এ আতঙ্ক বেশি দেখা যায়, স্কুলে ভর্তি নিয়ে চলে প্রতিযোগিতা।
এমনটা শিশুর মধ্য পড়াশোনার প্রতি অনীহা তৈরি করে। শিশু পড়াশোনায় যে আনন্দ সেটা পায় না। এমনকি যখন ছেলে মেয়েরা স্কুল পেরিয়ে কলেজে যায়, বিশ্ববিদ্যালয় যায় তখন এই সমাজ, পরিবার তাকে এই অসুস্থ প্রতিযোগিতা নিয়ে কথা শোনায়। ফল স্বরূপ পড়াশোনা থেকে অনেকেই ঝরে যায়। আবার কেউ কেউ বেছে নেয় আত্মহত্যার পথও।
পড়াশোনায় প্রতিযোগিতা থাকবে এটা স্বাভাবিক; কিন্তু এটাকে চরম মাত্রায় নিয়ে যাওয়া অসুস্থ মানসিকতার পরিচয় বহন করে। পড়াশোনার চিত্রটা এমন হওয়ার কথা ছিল না, এসবের জন্য আমাদের পারিপার্শ্বিক পরিবেশ দায়ী। পড়াশোনার ক্ষেত্রে এমন চিত্রের পরিবর্তন করতে হবে। পড়াশোনায় আনন্দময় পরিবেশের ব্যবস্থা করতে হবে- বিশেষ করে শিশুদের।
হালিমা আক্তার