alt

চিঠিপত্র

চিঠি : মাদকেই সর্বনাশ

: রোববার, ৩১ জুলাই ২০২২

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

একজন মানুষ মাদকাসক্ত হয়ে গেলে তার মধ্যে মানবিকবোধ নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে যায়, অবরুদ্ধ হয়ে যায় বিবেক। যার ফলে মাদকাসক্ত ব্যক্তির দ্বারা যেকোন ধরনের অপরাধ মুহূর্তের মধ্যেই সংঘটিত হয়ে যায় কোন অনুশোচনা ছাড়াই। ফলে মাদকাসক্ত ব্যক্তিকে ইচ্ছেমতো ব্যবহার করে সুবিধাবাধীরা। সময়ে সময়ে সংঘটিত হত্যাকান্ড ও ধর্ষণের ঘটনাগুলো পর্যালোচনা করলে দেখা যায় অধিকাংশ খুনি ও ধর্ষকই মাদকাসক্ত ছিলেন।

দেশব্যাপী মাদকের প্রভাব দিন দিন বাড়ছে। তরুণ-তরুণীরা মাদকে বেশি আসক্ত হলেও, শিশু থেকে বৃদ্ধ সব বয়সের মানুষই মরণঘাতী মাদক গ্রহণ করছে। মাদকের ভয়াবহতা এবং পরিণতি সম্পর্কে সচেতনতামূলক বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করলেও কমছে না মাদকসেবীর সংখ্যা, মাদক ব্যবসায়ীর সংখ্যা। মাদক ব্যবসায়ীরা অল্প সময়ে অধিক সম্পদের মালিক হওয়ার নেশায় সারা দেশে মাদক ছড়িয়ে দিচ্ছে। মাদকের ভয়াবহতা ও পরিণতির কথা বুঝতে ও জানতে না পারায় বহু কিশোর-কিশোরী বন্ধুদের আড্ডায় কিংবা মাদক বিক্রেতাদের ফাঁদে পা দিয়ে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে।

সন্তানকে মাদক থেকে দূরে রাখতে পিতা মাতাকেই সবার আগে এগিয়ে আসতে হবে। পরিবারের স্কুল-কলেজপড়ুয়া ছেলেমেয়েরা কার সঙ্গে মেলা মেশা করছে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। পরিবারের সদস্যদের সঠিক দায়িত্ব পালনের মাধ্যমেই সন্তানকে মাদক থেকে দূরের রাখতে পারে। পাশাপাশি মাদকাসক্ত ব্যক্তিকে নিরাময় কেন্দ্রে পাঠিয়ে সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়মিত মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান চারাতে হবে। মাদক ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি প্রদান করতে হবে। সকলে মিলে প্রয়োজনীয় ও কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারলে মাদকের ভয়াল থাবা থেকে রেহাই পাওয়া যাবে।

জুবায়ের আহমেদ

ছবি

বেকারত্ব নিরসনে কুটির শিল্পের ভূমিকা

দুর্যোগ পূর্ববর্তী প্রস্তুতি

ছবি

সোনালি পাটের প্রয়োজনীয়তা

কালীকচ্ছের ধর্মতীর্থ বধ্যভূমিতে স্মৃতিসৌধ নির্মাণের দাবি

চিঠি : হলে খাবারের মান উন্নত করুন

চিঠি : স্বাস্থ্য শিক্ষা বিষয়ে ডিপ্লোমাধারীদের বৈষম্য দূর করুন

চিঠি : শিক্ষার মান উন্নয়ন চাই

চিঠি : সড়ক আইন বাস্তবায়ন করুন

চিঠি : রাস্তায় বাইক সন্ত্রাস

চিঠি : কঠিন হয়ে পড়ছে ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা

চিঠি : ডিসেম্বরের স্মৃতি

চিঠি : টেকসই ও সাশ্রয়ী ক্লিন এনার্জি

চিঠি : নকল গুড় জব্দ হোক

চিঠি : সড়কে বাড়ছে লেন ঝরছে প্রাণ

চিঠি : ঢাকাবাসীর কাছে মেট্রোরেল আশীর্বাদ

চিঠি : কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন জরুরি

চিঠি : পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস চাই

চিঠি : তারুণ্যের শক্তি কাজে লাগান

চিঠি : এইডস থেকে বাঁচতে সচেতন হোন

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ হোক

চিঠি : হাসুন, সুস্থ থাকুন

চিঠি : হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি বন্ধ হোক

চিঠি : রাজনীতিতে তরুণ সমাজের অংশগ্রহণ

চিঠি : মাদককে ‘না’ বলুন

চিঠি : পুনরুন্নয়ন প্রকল্প : পাল্টে যাবে পুরান ঢাকা

চিঠি : শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ান

চিঠি : চন্দ্রগঞ্জে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন চাই

চিঠি : বাড়ছে বাল্যবিয়ে

চিঠি : টিকটকের অপব্যবহার রোধ করতে হবে

চিঠি : আত্মবিশ্বাস ও আস্থা

চিঠি : শিক্ষকরা কি প্রকৃত মর্যাদা পাচ্ছে

চিঠি : শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সম্প্রীতি চাই

চিঠি : সকালে ও বিকেলে মেট্রোরেল চলুক

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ করতে হবে

চিঠি : ঢাবি’র কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার আধুনিকায়ন করা হোক

চিঠি : নিত্যপণ্যের দাম

tab

চিঠিপত্র

চিঠি : মাদকেই সর্বনাশ

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

রোববার, ৩১ জুলাই ২০২২

একজন মানুষ মাদকাসক্ত হয়ে গেলে তার মধ্যে মানবিকবোধ নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে যায়, অবরুদ্ধ হয়ে যায় বিবেক। যার ফলে মাদকাসক্ত ব্যক্তির দ্বারা যেকোন ধরনের অপরাধ মুহূর্তের মধ্যেই সংঘটিত হয়ে যায় কোন অনুশোচনা ছাড়াই। ফলে মাদকাসক্ত ব্যক্তিকে ইচ্ছেমতো ব্যবহার করে সুবিধাবাধীরা। সময়ে সময়ে সংঘটিত হত্যাকান্ড ও ধর্ষণের ঘটনাগুলো পর্যালোচনা করলে দেখা যায় অধিকাংশ খুনি ও ধর্ষকই মাদকাসক্ত ছিলেন।

দেশব্যাপী মাদকের প্রভাব দিন দিন বাড়ছে। তরুণ-তরুণীরা মাদকে বেশি আসক্ত হলেও, শিশু থেকে বৃদ্ধ সব বয়সের মানুষই মরণঘাতী মাদক গ্রহণ করছে। মাদকের ভয়াবহতা এবং পরিণতি সম্পর্কে সচেতনতামূলক বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করলেও কমছে না মাদকসেবীর সংখ্যা, মাদক ব্যবসায়ীর সংখ্যা। মাদক ব্যবসায়ীরা অল্প সময়ে অধিক সম্পদের মালিক হওয়ার নেশায় সারা দেশে মাদক ছড়িয়ে দিচ্ছে। মাদকের ভয়াবহতা ও পরিণতির কথা বুঝতে ও জানতে না পারায় বহু কিশোর-কিশোরী বন্ধুদের আড্ডায় কিংবা মাদক বিক্রেতাদের ফাঁদে পা দিয়ে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে।

সন্তানকে মাদক থেকে দূরে রাখতে পিতা মাতাকেই সবার আগে এগিয়ে আসতে হবে। পরিবারের স্কুল-কলেজপড়ুয়া ছেলেমেয়েরা কার সঙ্গে মেলা মেশা করছে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। পরিবারের সদস্যদের সঠিক দায়িত্ব পালনের মাধ্যমেই সন্তানকে মাদক থেকে দূরের রাখতে পারে। পাশাপাশি মাদকাসক্ত ব্যক্তিকে নিরাময় কেন্দ্রে পাঠিয়ে সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়মিত মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান চারাতে হবে। মাদক ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি প্রদান করতে হবে। সকলে মিলে প্রয়োজনীয় ও কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারলে মাদকের ভয়াল থাবা থেকে রেহাই পাওয়া যাবে।

জুবায়ের আহমেদ

back to top