alt

চিঠিপত্র

চিঠি : অগ্রগতির প্রতিবন্ধকতা কুসংস্কার

: বৃহস্পতিবার, ২৫ আগস্ট ২০২২

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

এই জ্ঞান-বিজ্ঞানের যুগেও সমাজের অনেক মানুষ এখনো কুসংস্কারে নিমজ্জিত। এক্ষেত্রে শিক্ষিত আর অশিক্ষিত উভয় শ্রেণীর মানুষের মধ্যেই কুসংস্কার লক্ষণীয়। আজও গ্রামেগঞ্জে মেয়েদের শ্রী বা সৌন্দর্য বিচারের ক্ষেত্রে লক্ষ্মী-অলক্ষ্মী ইত্যাদি নিয়ে বিভাজন চলে। এখনও অনেককে দেখা যায়, এক শালিক দেখলে দিন খারাপের অন্ধ বিশ্বাসে আচ্ছন্ন হতে। ঘর থেকে বেরোবার সময়, অসাবধানতাবশত হোঁচট খেলে, কেউ কেউ খানিকটা বসে তারপর বাড়ি থেকে বের হন। অনেকেই ‘পেছন থেকে ডাকা অমঙ্গলকর’ এই কথাটাও যুক্তিহীনভাবে বিশ্বাস করেন। এরূপ হাজারও কুসংস্কার দৈনন্দিন জীবনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। এসব কুসংস্কার মূলত সামাজিক জীবনের প্রতিবন্ধক এবং উন্নয়ন ও অগ্রগতির অন্তরায়।

কুসংস্কার এক ধরনের অন্ধবিশ্বাস হলেও একে সমাজ জীবনের অভিশাপও বলা চলে। অনেকে একে জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে মনে করে! যদিও মনের অজ্ঞানতা, যুক্তিহীনতা আর বিবেক-বুদ্ধির অভাব থেকেই কুসংস্কারের জন্ম। প্রকৃতপক্ষে এর পেছনে কোনরকম সত্যতা বা বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। যুগ যুগ ধরে লোকমুখে প্রচলিত মিথ্যা ধারণা, কিছু বানানো গল্পের মিথ্যা রটনা আর মনের অন্ধকারজনিত বিশ্বাসই এর মূল ভিত্তি। কুসংস্কারের প্রভাবে সমাজের পাশাপাশি মানবজীবনের অনেক ক্ষতি হয়। ধর্মীয় গোঁড়ামি, অজ্ঞতা ও অশিক্ষা থেকে সৃষ্টি হয় যাবতীয় কুসংস্কারের। ফলে সমাজে নানারকম বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়।

ছোটখাটো বিষয়ে যেসব কুসংস্কার প্রচলিত রয়েছে তাতে আপাতদৃষ্টিতে তেমন কোন ক্ষতিকর প্রভাব না দেখা গেলেও আসলে মানবজীবনে তার সুদূরপ্রসারী প্রভাব আছে। কুসংস্কারের প্রভাবে মনে যে সংকীর্ণতা দেখা দেয়, তা প্রতিফলিত হয় তার আচরণে, কাজকর্মে। যেমন- অজপাড়া গাঁয়ে এমন ধারণা আছে, ঘুম থেকে উঠে কিছুকিছু মানুষের মুখ দেখলে দিন খারাপ যায়। এর ফলে সৃষ্টি হয় মানুষে মানুষে বিভেদের আর শত্রুতার। তাই সবাইকে কুসংস্কারের এ অন্ধকার বিশ্বাস দূরীকরণে এগিয়ে আসতে হবে। এই লক্ষ্যে পর্যাপ্ত শিক্ষার প্রসার ঘটাতে হবে। সামাজিক মাধ্যমগুলোতে জোরপ্রচার চালাতে হবে। ধনী, দরিদ্র, শিক্ষিত, অশিক্ষিত সবস্তরের মানুষের মাঝে সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। সামাজিক কুসংস্কার দূর করে আলোর পথ দেখতে হবে, সমাজকে নতুনভাবে গড়তে হবে, উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথ নিশ্চিত করতে হবে।

জিল্লুর রহমান

লেখক, ব্যাংকার

ছবি

বেকারত্ব নিরসনে কুটির শিল্পের ভূমিকা

দুর্যোগ পূর্ববর্তী প্রস্তুতি

ছবি

সোনালি পাটের প্রয়োজনীয়তা

কালীকচ্ছের ধর্মতীর্থ বধ্যভূমিতে স্মৃতিসৌধ নির্মাণের দাবি

চিঠি : হলে খাবারের মান উন্নত করুন

চিঠি : স্বাস্থ্য শিক্ষা বিষয়ে ডিপ্লোমাধারীদের বৈষম্য দূর করুন

চিঠি : শিক্ষার মান উন্নয়ন চাই

চিঠি : সড়ক আইন বাস্তবায়ন করুন

চিঠি : রাস্তায় বাইক সন্ত্রাস

চিঠি : কঠিন হয়ে পড়ছে ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা

চিঠি : ডিসেম্বরের স্মৃতি

চিঠি : টেকসই ও সাশ্রয়ী ক্লিন এনার্জি

চিঠি : নকল গুড় জব্দ হোক

চিঠি : সড়কে বাড়ছে লেন ঝরছে প্রাণ

চিঠি : ঢাকাবাসীর কাছে মেট্রোরেল আশীর্বাদ

চিঠি : কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন জরুরি

চিঠি : পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস চাই

চিঠি : তারুণ্যের শক্তি কাজে লাগান

চিঠি : এইডস থেকে বাঁচতে সচেতন হোন

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ হোক

চিঠি : হাসুন, সুস্থ থাকুন

চিঠি : হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি বন্ধ হোক

চিঠি : রাজনীতিতে তরুণ সমাজের অংশগ্রহণ

চিঠি : মাদককে ‘না’ বলুন

চিঠি : পুনরুন্নয়ন প্রকল্প : পাল্টে যাবে পুরান ঢাকা

চিঠি : শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ান

চিঠি : চন্দ্রগঞ্জে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন চাই

চিঠি : বাড়ছে বাল্যবিয়ে

চিঠি : টিকটকের অপব্যবহার রোধ করতে হবে

চিঠি : আত্মবিশ্বাস ও আস্থা

চিঠি : শিক্ষকরা কি প্রকৃত মর্যাদা পাচ্ছে

চিঠি : শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সম্প্রীতি চাই

চিঠি : সকালে ও বিকেলে মেট্রোরেল চলুক

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ করতে হবে

চিঠি : ঢাবি’র কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার আধুনিকায়ন করা হোক

চিঠি : নিত্যপণ্যের দাম

tab

চিঠিপত্র

চিঠি : অগ্রগতির প্রতিবন্ধকতা কুসংস্কার

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

বৃহস্পতিবার, ২৫ আগস্ট ২০২২

এই জ্ঞান-বিজ্ঞানের যুগেও সমাজের অনেক মানুষ এখনো কুসংস্কারে নিমজ্জিত। এক্ষেত্রে শিক্ষিত আর অশিক্ষিত উভয় শ্রেণীর মানুষের মধ্যেই কুসংস্কার লক্ষণীয়। আজও গ্রামেগঞ্জে মেয়েদের শ্রী বা সৌন্দর্য বিচারের ক্ষেত্রে লক্ষ্মী-অলক্ষ্মী ইত্যাদি নিয়ে বিভাজন চলে। এখনও অনেককে দেখা যায়, এক শালিক দেখলে দিন খারাপের অন্ধ বিশ্বাসে আচ্ছন্ন হতে। ঘর থেকে বেরোবার সময়, অসাবধানতাবশত হোঁচট খেলে, কেউ কেউ খানিকটা বসে তারপর বাড়ি থেকে বের হন। অনেকেই ‘পেছন থেকে ডাকা অমঙ্গলকর’ এই কথাটাও যুক্তিহীনভাবে বিশ্বাস করেন। এরূপ হাজারও কুসংস্কার দৈনন্দিন জীবনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। এসব কুসংস্কার মূলত সামাজিক জীবনের প্রতিবন্ধক এবং উন্নয়ন ও অগ্রগতির অন্তরায়।

কুসংস্কার এক ধরনের অন্ধবিশ্বাস হলেও একে সমাজ জীবনের অভিশাপও বলা চলে। অনেকে একে জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে মনে করে! যদিও মনের অজ্ঞানতা, যুক্তিহীনতা আর বিবেক-বুদ্ধির অভাব থেকেই কুসংস্কারের জন্ম। প্রকৃতপক্ষে এর পেছনে কোনরকম সত্যতা বা বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। যুগ যুগ ধরে লোকমুখে প্রচলিত মিথ্যা ধারণা, কিছু বানানো গল্পের মিথ্যা রটনা আর মনের অন্ধকারজনিত বিশ্বাসই এর মূল ভিত্তি। কুসংস্কারের প্রভাবে সমাজের পাশাপাশি মানবজীবনের অনেক ক্ষতি হয়। ধর্মীয় গোঁড়ামি, অজ্ঞতা ও অশিক্ষা থেকে সৃষ্টি হয় যাবতীয় কুসংস্কারের। ফলে সমাজে নানারকম বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়।

ছোটখাটো বিষয়ে যেসব কুসংস্কার প্রচলিত রয়েছে তাতে আপাতদৃষ্টিতে তেমন কোন ক্ষতিকর প্রভাব না দেখা গেলেও আসলে মানবজীবনে তার সুদূরপ্রসারী প্রভাব আছে। কুসংস্কারের প্রভাবে মনে যে সংকীর্ণতা দেখা দেয়, তা প্রতিফলিত হয় তার আচরণে, কাজকর্মে। যেমন- অজপাড়া গাঁয়ে এমন ধারণা আছে, ঘুম থেকে উঠে কিছুকিছু মানুষের মুখ দেখলে দিন খারাপ যায়। এর ফলে সৃষ্টি হয় মানুষে মানুষে বিভেদের আর শত্রুতার। তাই সবাইকে কুসংস্কারের এ অন্ধকার বিশ্বাস দূরীকরণে এগিয়ে আসতে হবে। এই লক্ষ্যে পর্যাপ্ত শিক্ষার প্রসার ঘটাতে হবে। সামাজিক মাধ্যমগুলোতে জোরপ্রচার চালাতে হবে। ধনী, দরিদ্র, শিক্ষিত, অশিক্ষিত সবস্তরের মানুষের মাঝে সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। সামাজিক কুসংস্কার দূর করে আলোর পথ দেখতে হবে, সমাজকে নতুনভাবে গড়তে হবে, উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথ নিশ্চিত করতে হবে।

জিল্লুর রহমান

লেখক, ব্যাংকার

back to top