মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
সোশ্যাল মিডিয়া ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল আমাদের দেশের মানুষের জন্য দিন দিন ভয়াবহ ভূমিকায় অবতীর্ণ হচ্ছে। ফেসবুক হয়ে উঠেছে সমালোচনা, নিন্দা ও মানুষকে ছোট করার কেন্দ্রবিন্দু। সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা যার যেটা মনে চায় সেটা লিখে পোস্ট করে। এই লেখা যে মানুষের সামাজিক জীবনে কতটা প্রভাব ফেলবে সেটা নিয়ে এসব পোস্টকারীদের বিন্দুমাত্র ভাবনা নেই।
এসব সোশ্যাল মিডিয়া ও ভূয়া অনলাইন মিডিয়াগুলো এক এক সময় এক এক জনকে টার্গেট করে নিউজ করে। তাদের টার্গেট থেকে মানসিক চাপ সামলে বেঁচে ফেরা বড়ই কষ্টকর। তাদের নিউজগুলো হয় অহেতুক, ভিত্তিহীন ও কোনো ব্যক্তিকে খর্ব করে লেখা। এসব নিউজকে কেন্দ্র করে মূলত সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলের সৃষ্টি হয়। সোশ্যাল মিডিয়া এখন এতটাই অসুস্থ মানুষের দখলে চলে গেছে যে, মৃত্যু সংবাদেও হা-হা রিয়্যাক্টের সংখ্যা বেশি থাকে।
আমাদের সমাজে বসবাসকারী মানুষের মধ্যে যে সামাজিকতার অভাব ও যেসব মনগড়া মনোভাব তৈরি হয়েছে এটা দূর করতে শিক্ষার্থীদের সামাজিক জ্ঞান অর্জনে সচেষ্ট হতে হবে। একই সঙ্গে মানুষের সামাজিক জীবনকে বাধাগ্রস্ত করে- এমন কাজ না করা নিয়ে মানুষের মাঝে দৃঢ়বোধ জাগ্রত করে তুলতে হবে। এছাড়া সমাজ ও সোশ্যাল মিডিয়া কোথাও আমাদের সুস্থ ও সুন্দরভাবে টিকে থাকা সম্ভব নয়। তাই এখনই সময় এসব কুজনদের বিরুদ্ধে সরকারের পদক্ষেপ নেওয়ার; সোশ্যাল মিডিয়ার অপপ্রচার বন্ধে সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
গাজী আবদুর রহিম
শিক্ষার্থী, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
শুক্রবার, ২৬ আগস্ট ২০২২
সোশ্যাল মিডিয়া ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল আমাদের দেশের মানুষের জন্য দিন দিন ভয়াবহ ভূমিকায় অবতীর্ণ হচ্ছে। ফেসবুক হয়ে উঠেছে সমালোচনা, নিন্দা ও মানুষকে ছোট করার কেন্দ্রবিন্দু। সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা যার যেটা মনে চায় সেটা লিখে পোস্ট করে। এই লেখা যে মানুষের সামাজিক জীবনে কতটা প্রভাব ফেলবে সেটা নিয়ে এসব পোস্টকারীদের বিন্দুমাত্র ভাবনা নেই।
এসব সোশ্যাল মিডিয়া ও ভূয়া অনলাইন মিডিয়াগুলো এক এক সময় এক এক জনকে টার্গেট করে নিউজ করে। তাদের টার্গেট থেকে মানসিক চাপ সামলে বেঁচে ফেরা বড়ই কষ্টকর। তাদের নিউজগুলো হয় অহেতুক, ভিত্তিহীন ও কোনো ব্যক্তিকে খর্ব করে লেখা। এসব নিউজকে কেন্দ্র করে মূলত সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলের সৃষ্টি হয়। সোশ্যাল মিডিয়া এখন এতটাই অসুস্থ মানুষের দখলে চলে গেছে যে, মৃত্যু সংবাদেও হা-হা রিয়্যাক্টের সংখ্যা বেশি থাকে।
আমাদের সমাজে বসবাসকারী মানুষের মধ্যে যে সামাজিকতার অভাব ও যেসব মনগড়া মনোভাব তৈরি হয়েছে এটা দূর করতে শিক্ষার্থীদের সামাজিক জ্ঞান অর্জনে সচেষ্ট হতে হবে। একই সঙ্গে মানুষের সামাজিক জীবনকে বাধাগ্রস্ত করে- এমন কাজ না করা নিয়ে মানুষের মাঝে দৃঢ়বোধ জাগ্রত করে তুলতে হবে। এছাড়া সমাজ ও সোশ্যাল মিডিয়া কোথাও আমাদের সুস্থ ও সুন্দরভাবে টিকে থাকা সম্ভব নয়। তাই এখনই সময় এসব কুজনদের বিরুদ্ধে সরকারের পদক্ষেপ নেওয়ার; সোশ্যাল মিডিয়ার অপপ্রচার বন্ধে সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
গাজী আবদুর রহিম
শিক্ষার্থী, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি