alt

চিঠিপত্র

চিঠি : উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার মাধ্যম হোক মাতৃভাষা

: শনিবার, ২৭ আগস্ট ২০২২

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

মানুষের অবচেতন মনের চিন্তার মাধ্যম হলো মাতৃভাষা। মাতৃভাষার সঙ্গে মানুষের আত্মিক সম্পর্ক রয়েছে। তাই মাতৃভাষায় বিজ্ঞানবিষয়ক শিক্ষা ও গবেষণা অতি দ্রুত কোনো জাতিকে তার কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে পারে। জ্ঞান-বিজ্ঞানের উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি শিল্পনির্ভর হয়ে পড়েছে। শিল্পের বিকাশই কোনো জাতির উন্নয়নের মানদন্ড। যে জাতি শিল্পে যত উন্নত এবং যাদের উৎপাদিত পণ্য বিশ্ববাজারে যত সমাদৃত, তারাই তত সমৃদ্ধ জাতি। জ্ঞানচর্চার এ যুগে যারা মাতৃভাষাকে আঁকড়ে ধরেছে, তারা দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।

উদাহরণস্বরূপ চীনের কথা বলা যেতে পারে। প্রাথমিক থেকে শুরু করে উচ্চশিক্ষায় জ্ঞানচর্চার মাধ্যম হিসেবে চীনারা মাতৃভাষাকে ব্যবহার করছে। এর সুফল কিন্তু তারা হাতে হাতে পাচ্ছে। মাতৃভাষায় জ্ঞানচর্চার কারণে চীনের ১৫০ কোটি জনগণ তাদের চিন্তা, সৃজনশীলতা, আবিষ্কার সব কিছুতেই সর্বোচ্চ সক্ষমতা সহজভাবে উপস্থাপন করার সুযোগ পাচ্ছে। ফলে চীন আজ পৃথিবীর জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতির এক অপ্রতিরোধ্য শক্তি।

ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়ার মতো বিশ্বের শক্তিধর ও উন্নত দেশগুলো তাদের উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম মাতৃভাষায় পরিচালিত করে। প্রসঙ্গক্রমে বলা যায়, রসায়নের পর্যায় সারণির উদ্ভাবক রাশিয়ান নাগরিক দিমিত্রি মেনডেলিফ তার গবেষণার নিবন্ধগুলো কখনোই ইংরেজিতে প্রকাশ করেননি। সব সময়ই তিনি তার প্রকাশনাগুলো রুশ ভাষায় প্রকাশ করতেন।

বিশ্বের অন্যান্য জাতি তাদের নিজেদের প্রয়োজনেই মেনডেলিফের গবেষণালব্ধ প্রকাশনাগুলো নিজেদের ভাষায় অনুবাদ করে নিয়েছে। যদি মেনডেলিফের ক্ষেত্রে এমন শর্ত থাকত যে ইংরেজিতে গবেষণাপত্র প্রকাশ করা ছাড়া বিকল্প কোনো উপায় নেই, তাহলে হয়তো পর্যায় সারণির মতো জটিল একটি বিষয় নিয়ে এমন সুন্দর উদ্ভাবন পৃথিবীর মানুষ দেখতেই পেত না। পৃথিবীকে যারা নতুন কিছু দিতে চায় তাদের জন্য ভাষা যেন বাধা না হয়ে দাঁড়ায়। উন্নত জাতি গঠনে বিষয়টি নিয়ে ভাবার ও পদক্ষেপ গ্রহণের প্রকৃত সময় এখনই।

নাজমুল ইসলাম

ছবি

বেকারত্ব নিরসনে কুটির শিল্পের ভূমিকা

দুর্যোগ পূর্ববর্তী প্রস্তুতি

ছবি

সোনালি পাটের প্রয়োজনীয়তা

কালীকচ্ছের ধর্মতীর্থ বধ্যভূমিতে স্মৃতিসৌধ নির্মাণের দাবি

চিঠি : হলে খাবারের মান উন্নত করুন

চিঠি : স্বাস্থ্য শিক্ষা বিষয়ে ডিপ্লোমাধারীদের বৈষম্য দূর করুন

চিঠি : শিক্ষার মান উন্নয়ন চাই

চিঠি : সড়ক আইন বাস্তবায়ন করুন

চিঠি : রাস্তায় বাইক সন্ত্রাস

চিঠি : কঠিন হয়ে পড়ছে ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা

চিঠি : ডিসেম্বরের স্মৃতি

চিঠি : টেকসই ও সাশ্রয়ী ক্লিন এনার্জি

চিঠি : নকল গুড় জব্দ হোক

চিঠি : সড়কে বাড়ছে লেন ঝরছে প্রাণ

চিঠি : ঢাকাবাসীর কাছে মেট্রোরেল আশীর্বাদ

চিঠি : কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন জরুরি

চিঠি : পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস চাই

চিঠি : তারুণ্যের শক্তি কাজে লাগান

চিঠি : এইডস থেকে বাঁচতে সচেতন হোন

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ হোক

চিঠি : হাসুন, সুস্থ থাকুন

চিঠি : হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি বন্ধ হোক

চিঠি : রাজনীতিতে তরুণ সমাজের অংশগ্রহণ

চিঠি : মাদককে ‘না’ বলুন

চিঠি : পুনরুন্নয়ন প্রকল্প : পাল্টে যাবে পুরান ঢাকা

চিঠি : শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ান

চিঠি : চন্দ্রগঞ্জে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন চাই

চিঠি : বাড়ছে বাল্যবিয়ে

চিঠি : টিকটকের অপব্যবহার রোধ করতে হবে

চিঠি : আত্মবিশ্বাস ও আস্থা

চিঠি : শিক্ষকরা কি প্রকৃত মর্যাদা পাচ্ছে

চিঠি : শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সম্প্রীতি চাই

চিঠি : সকালে ও বিকেলে মেট্রোরেল চলুক

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ করতে হবে

চিঠি : ঢাবি’র কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার আধুনিকায়ন করা হোক

চিঠি : নিত্যপণ্যের দাম

tab

চিঠিপত্র

চিঠি : উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার মাধ্যম হোক মাতৃভাষা

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

শনিবার, ২৭ আগস্ট ২০২২

মানুষের অবচেতন মনের চিন্তার মাধ্যম হলো মাতৃভাষা। মাতৃভাষার সঙ্গে মানুষের আত্মিক সম্পর্ক রয়েছে। তাই মাতৃভাষায় বিজ্ঞানবিষয়ক শিক্ষা ও গবেষণা অতি দ্রুত কোনো জাতিকে তার কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে পারে। জ্ঞান-বিজ্ঞানের উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি শিল্পনির্ভর হয়ে পড়েছে। শিল্পের বিকাশই কোনো জাতির উন্নয়নের মানদন্ড। যে জাতি শিল্পে যত উন্নত এবং যাদের উৎপাদিত পণ্য বিশ্ববাজারে যত সমাদৃত, তারাই তত সমৃদ্ধ জাতি। জ্ঞানচর্চার এ যুগে যারা মাতৃভাষাকে আঁকড়ে ধরেছে, তারা দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।

উদাহরণস্বরূপ চীনের কথা বলা যেতে পারে। প্রাথমিক থেকে শুরু করে উচ্চশিক্ষায় জ্ঞানচর্চার মাধ্যম হিসেবে চীনারা মাতৃভাষাকে ব্যবহার করছে। এর সুফল কিন্তু তারা হাতে হাতে পাচ্ছে। মাতৃভাষায় জ্ঞানচর্চার কারণে চীনের ১৫০ কোটি জনগণ তাদের চিন্তা, সৃজনশীলতা, আবিষ্কার সব কিছুতেই সর্বোচ্চ সক্ষমতা সহজভাবে উপস্থাপন করার সুযোগ পাচ্ছে। ফলে চীন আজ পৃথিবীর জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতির এক অপ্রতিরোধ্য শক্তি।

ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়ার মতো বিশ্বের শক্তিধর ও উন্নত দেশগুলো তাদের উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম মাতৃভাষায় পরিচালিত করে। প্রসঙ্গক্রমে বলা যায়, রসায়নের পর্যায় সারণির উদ্ভাবক রাশিয়ান নাগরিক দিমিত্রি মেনডেলিফ তার গবেষণার নিবন্ধগুলো কখনোই ইংরেজিতে প্রকাশ করেননি। সব সময়ই তিনি তার প্রকাশনাগুলো রুশ ভাষায় প্রকাশ করতেন।

বিশ্বের অন্যান্য জাতি তাদের নিজেদের প্রয়োজনেই মেনডেলিফের গবেষণালব্ধ প্রকাশনাগুলো নিজেদের ভাষায় অনুবাদ করে নিয়েছে। যদি মেনডেলিফের ক্ষেত্রে এমন শর্ত থাকত যে ইংরেজিতে গবেষণাপত্র প্রকাশ করা ছাড়া বিকল্প কোনো উপায় নেই, তাহলে হয়তো পর্যায় সারণির মতো জটিল একটি বিষয় নিয়ে এমন সুন্দর উদ্ভাবন পৃথিবীর মানুষ দেখতেই পেত না। পৃথিবীকে যারা নতুন কিছু দিতে চায় তাদের জন্য ভাষা যেন বাধা না হয়ে দাঁড়ায়। উন্নত জাতি গঠনে বিষয়টি নিয়ে ভাবার ও পদক্ষেপ গ্রহণের প্রকৃত সময় এখনই।

নাজমুল ইসলাম

back to top