alt

চিঠিপত্র

চিঠি : অব্যবস্থাপনার যাঁতাকল

: রোববার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

আমরা একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছি অর্ধশত বছরেরও অধিক সময়, যেখান থেকে মধ্যরাতে দুর্ঘটনার কারণে শিক্ষকের রক্তাক্ত লাশ বেরোয় সড়কের অব্যবস্থাপনার কারণে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আফতাব হোসেন স্যারের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। ৩ সেপ্টেম্বর রাত বারোটায় ঘটে যাওয়া এই দুর্ঘটনার প্রতিটি শিক্ষার্থীর মনে দাগ কেটেছে, শুধু তা-ই নয়, আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এলাকাবাসীও।

একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় হাজারখানেক শিক্ষক, দশ হাজারের অধিক শিক্ষার্থী কীভাবে যুগের পর যুগ একইভাবে অত্যাচারিত হয়ে আসছে! আর কতো প্রাণ যাবে! আর কত-শত শিক্ষক এভাবে নিজের তাজা রক্ত জোবরার এক নং গেইটে বিসর্জন দেবে? আজ এই ঘটনায় বিশ্বের কাছে লজ্জিত হলো চট্টগ্রাম, লজ্জিত হলো বাংলাদেশ। মার্মান্তিক এই ঘটনার কথা চিরজীবন মনে রাখবে সবাই। তাই অনতিবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নং গেটে স্পিডব্রেকার এবং পর্যাপ্ত গতি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা বাড়ানোর জোর দাবি জানাচ্ছি।

তা ছাড়া প্রতিনিয়ত অভ্যন্তরে সিএনজি, রিকশার অতিরিক্ত ভাড়ার বিরুদ্ধে কথা বলতে গিয়ে বহুবার নির্যাতন ও লাঞ্ছনার হয়েছে শিক্ষার্থীরা। যেখানে বুদ্ধির মুক্ত চিন্তা, নিজ স্বাধীনতায় ছাত্রছাত্রীরা মেধাকে বিকশিত করার প্রয়াস পাবে, সেখানে মার খেতে হচ্ছে। শহর থেকে যাতায়াতের বাহন শাটল ট্রেনের পাখা এবং লাইট অচল। প্রচন্ড গরমে এক মাসের মধ্যে বহু শিক্ষার্থী হিটস্ট্রোক করেছে। তাছাড়া, হলের খাবারের নিম্নমানের কারণে শত শত শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে প্রতিনিয়ত মেডিকেলে ভর্তি হচ্ছে। তাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে অনুরোধ অনতিবিলম্বে এসব অব্যবস্থাপনা দূর করে শান্তি ফিরিয়ে আনা হোক ‘প্রাচ্যের আমাজন’ খ্যাত আমাদের প্রাণের ক্যাম্পাস চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে।

জোয়াইরিয়া বিনতে আজিজ

ছবি

বেকারত্ব নিরসনে কুটির শিল্পের ভূমিকা

দুর্যোগ পূর্ববর্তী প্রস্তুতি

ছবি

সোনালি পাটের প্রয়োজনীয়তা

কালীকচ্ছের ধর্মতীর্থ বধ্যভূমিতে স্মৃতিসৌধ নির্মাণের দাবি

চিঠি : হলে খাবারের মান উন্নত করুন

চিঠি : স্বাস্থ্য শিক্ষা বিষয়ে ডিপ্লোমাধারীদের বৈষম্য দূর করুন

চিঠি : শিক্ষার মান উন্নয়ন চাই

চিঠি : সড়ক আইন বাস্তবায়ন করুন

চিঠি : রাস্তায় বাইক সন্ত্রাস

চিঠি : কঠিন হয়ে পড়ছে ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা

চিঠি : ডিসেম্বরের স্মৃতি

চিঠি : টেকসই ও সাশ্রয়ী ক্লিন এনার্জি

চিঠি : নকল গুড় জব্দ হোক

চিঠি : সড়কে বাড়ছে লেন ঝরছে প্রাণ

চিঠি : ঢাকাবাসীর কাছে মেট্রোরেল আশীর্বাদ

চিঠি : কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন জরুরি

চিঠি : পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস চাই

চিঠি : তারুণ্যের শক্তি কাজে লাগান

চিঠি : এইডস থেকে বাঁচতে সচেতন হোন

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ হোক

চিঠি : হাসুন, সুস্থ থাকুন

চিঠি : হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি বন্ধ হোক

চিঠি : রাজনীতিতে তরুণ সমাজের অংশগ্রহণ

চিঠি : মাদককে ‘না’ বলুন

চিঠি : পুনরুন্নয়ন প্রকল্প : পাল্টে যাবে পুরান ঢাকা

চিঠি : শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ান

চিঠি : চন্দ্রগঞ্জে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন চাই

চিঠি : বাড়ছে বাল্যবিয়ে

চিঠি : টিকটকের অপব্যবহার রোধ করতে হবে

চিঠি : আত্মবিশ্বাস ও আস্থা

চিঠি : শিক্ষকরা কি প্রকৃত মর্যাদা পাচ্ছে

চিঠি : শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সম্প্রীতি চাই

চিঠি : সকালে ও বিকেলে মেট্রোরেল চলুক

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ করতে হবে

চিঠি : ঢাবি’র কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার আধুনিকায়ন করা হোক

চিঠি : নিত্যপণ্যের দাম

tab

চিঠিপত্র

চিঠি : অব্যবস্থাপনার যাঁতাকল

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

রোববার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২

আমরা একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছি অর্ধশত বছরেরও অধিক সময়, যেখান থেকে মধ্যরাতে দুর্ঘটনার কারণে শিক্ষকের রক্তাক্ত লাশ বেরোয় সড়কের অব্যবস্থাপনার কারণে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আফতাব হোসেন স্যারের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। ৩ সেপ্টেম্বর রাত বারোটায় ঘটে যাওয়া এই দুর্ঘটনার প্রতিটি শিক্ষার্থীর মনে দাগ কেটেছে, শুধু তা-ই নয়, আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এলাকাবাসীও।

একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় হাজারখানেক শিক্ষক, দশ হাজারের অধিক শিক্ষার্থী কীভাবে যুগের পর যুগ একইভাবে অত্যাচারিত হয়ে আসছে! আর কতো প্রাণ যাবে! আর কত-শত শিক্ষক এভাবে নিজের তাজা রক্ত জোবরার এক নং গেইটে বিসর্জন দেবে? আজ এই ঘটনায় বিশ্বের কাছে লজ্জিত হলো চট্টগ্রাম, লজ্জিত হলো বাংলাদেশ। মার্মান্তিক এই ঘটনার কথা চিরজীবন মনে রাখবে সবাই। তাই অনতিবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নং গেটে স্পিডব্রেকার এবং পর্যাপ্ত গতি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা বাড়ানোর জোর দাবি জানাচ্ছি।

তা ছাড়া প্রতিনিয়ত অভ্যন্তরে সিএনজি, রিকশার অতিরিক্ত ভাড়ার বিরুদ্ধে কথা বলতে গিয়ে বহুবার নির্যাতন ও লাঞ্ছনার হয়েছে শিক্ষার্থীরা। যেখানে বুদ্ধির মুক্ত চিন্তা, নিজ স্বাধীনতায় ছাত্রছাত্রীরা মেধাকে বিকশিত করার প্রয়াস পাবে, সেখানে মার খেতে হচ্ছে। শহর থেকে যাতায়াতের বাহন শাটল ট্রেনের পাখা এবং লাইট অচল। প্রচন্ড গরমে এক মাসের মধ্যে বহু শিক্ষার্থী হিটস্ট্রোক করেছে। তাছাড়া, হলের খাবারের নিম্নমানের কারণে শত শত শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে প্রতিনিয়ত মেডিকেলে ভর্তি হচ্ছে। তাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে অনুরোধ অনতিবিলম্বে এসব অব্যবস্থাপনা দূর করে শান্তি ফিরিয়ে আনা হোক ‘প্রাচ্যের আমাজন’ খ্যাত আমাদের প্রাণের ক্যাম্পাস চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে।

জোয়াইরিয়া বিনতে আজিজ

back to top