মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
একজনের জমি অন্যের নামে রেকর্ড করে দেয়ায় আদালতে রেকর্ড সংশোধনের মামলা করার পর যদি রায়ের মধ্যে ভূমি ও জরিপ অধিদপ্তরকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিতো তাহলে ভূমি জরিপ অধিদপ্তর ভুলেও ভুল রেকর্ড করতো না।
ব্যক্তির সম্পত্তি সরকারের নামে ভূল করে হোক বা খাজনা বকেয়া হোক বা অন্য কোনভাবে উঠে গেলো, সেই সম্পত্তি ব্যক্তি ফিরে পাওয়ার জন্য কেনো আদালতে আসতে হবে? আদালতে আসলো রায় নিয়ে গেলো তারপর ও কেনো নামজারি করতে এতো গড়িমসি? রাষ্ট্র কি এসব সহজে সমাধান করতে পারে না? চাইলেই পারে শুধু সদিচ্ছার অভাব।
মামলা জটের কারণে জনগণ, সরকার, রাষ্ট্র নজিরবিহীন ক্ষতির শিকার হচ্ছে। লাভবান হচ্ছে দুর্নীতিবাজ সরকারি কর্মচারী সমাজের উচ্ছিষ্ট ভূমিদস্যু, মাদক ব্যবসায়ী, চোরাকারবারি, কালোবাজারি, মুনাফাখোর, মস্তান, কালো টাকার মালিক তথা অপরাধীর দুর্গ বলে পরিচিত রাজনৈতিক পরিচয়ে মুখোশধারী দুর্বৃত্তায়ন চক্র। এ চক্রের ভয়াল থাবা শুধু ভূমিতে সীমাবদ্ধ নয়। শিক্ষা, চিকিৎসাসেবা, নিত্যপণ্য, মাদক ব্যবসা, সর্বোপরি দেশ-জাতি রাজনীতি সর্বক্ষেত্রে এরা জোরালো প্রভাব বিস্তার করে আছে।
বিষয়টি জাতীয় স্বার্থে উচ্চ আদালতে রিট মামলা করে আদালতের নির্দেশনা নিয়ে উপরে উল্লিখিত প্রতিরোধ বিষয়ে সরকার সমাধানের উদ্যোগ নিলে লাখ লাখ মামলার নিষ্পতি দ্রুততম সময় করা সম্ভব হবে। এতে বিশাল পরিমাণ ভূমি সমস্যার সমাধান হয়ে সরকারের মোটা অংকের রাজস্ব আদায়ের ব্যবস্থা হবে। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ও মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে দৃশ্যমান অবদান রাখবে- এটি বাস্তবায়ন করলে।
আব্বাস উদ্দিন আহমদ
ধোপাদিঘীর দক্ষিণপাড়
সিলেট
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
বুধবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২
একজনের জমি অন্যের নামে রেকর্ড করে দেয়ায় আদালতে রেকর্ড সংশোধনের মামলা করার পর যদি রায়ের মধ্যে ভূমি ও জরিপ অধিদপ্তরকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিতো তাহলে ভূমি জরিপ অধিদপ্তর ভুলেও ভুল রেকর্ড করতো না।
ব্যক্তির সম্পত্তি সরকারের নামে ভূল করে হোক বা খাজনা বকেয়া হোক বা অন্য কোনভাবে উঠে গেলো, সেই সম্পত্তি ব্যক্তি ফিরে পাওয়ার জন্য কেনো আদালতে আসতে হবে? আদালতে আসলো রায় নিয়ে গেলো তারপর ও কেনো নামজারি করতে এতো গড়িমসি? রাষ্ট্র কি এসব সহজে সমাধান করতে পারে না? চাইলেই পারে শুধু সদিচ্ছার অভাব।
মামলা জটের কারণে জনগণ, সরকার, রাষ্ট্র নজিরবিহীন ক্ষতির শিকার হচ্ছে। লাভবান হচ্ছে দুর্নীতিবাজ সরকারি কর্মচারী সমাজের উচ্ছিষ্ট ভূমিদস্যু, মাদক ব্যবসায়ী, চোরাকারবারি, কালোবাজারি, মুনাফাখোর, মস্তান, কালো টাকার মালিক তথা অপরাধীর দুর্গ বলে পরিচিত রাজনৈতিক পরিচয়ে মুখোশধারী দুর্বৃত্তায়ন চক্র। এ চক্রের ভয়াল থাবা শুধু ভূমিতে সীমাবদ্ধ নয়। শিক্ষা, চিকিৎসাসেবা, নিত্যপণ্য, মাদক ব্যবসা, সর্বোপরি দেশ-জাতি রাজনীতি সর্বক্ষেত্রে এরা জোরালো প্রভাব বিস্তার করে আছে।
বিষয়টি জাতীয় স্বার্থে উচ্চ আদালতে রিট মামলা করে আদালতের নির্দেশনা নিয়ে উপরে উল্লিখিত প্রতিরোধ বিষয়ে সরকার সমাধানের উদ্যোগ নিলে লাখ লাখ মামলার নিষ্পতি দ্রুততম সময় করা সম্ভব হবে। এতে বিশাল পরিমাণ ভূমি সমস্যার সমাধান হয়ে সরকারের মোটা অংকের রাজস্ব আদায়ের ব্যবস্থা হবে। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ও মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে দৃশ্যমান অবদান রাখবে- এটি বাস্তবায়ন করলে।
আব্বাস উদ্দিন আহমদ
ধোপাদিঘীর দক্ষিণপাড়
সিলেট