মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
রাজধানীতে বেপরোয়া একটি পরিবহনের নাম লেগুনা যা সরকারি খাতায় ‘হিউম্যান হলার’ নামে পরিচিত। রাজধানীতে গণপরিবহনের ২৫১টি রুটের ১৫৯টিতেই লেগুনা চলছে। এসব লেগুনা ‘যেমন খুশি তেমন’ চলছে। ভাড়া থেকে শুরু করে স্ট্যান্ড নির্ধারণ সবকিছুই লেগুনা মালিকেরা নিজেদের ইচ্ছেমতো করেন। তাছাড়া অধিকাংশ ক্ষেত্রেই লেগুনা চালাচ্ছে অপ্রাপ্তবয়স্ক ১০-১৪ বছরের কিশোরেরা।
যাদের এখন স্কুলে যাওয়ার কথা অথচ তাদেরকে দিয়ে কিছু মালিকরা ব্যবসায়ী লেগুনার স্টিয়ারিং হাতে তুলে দিচ্ছেন। তারা এই ছোট শিশুদেরকে দিয়ে কম টাকা লেগুনা পরিবহনটি চালিয়ে নিতে পারছেন। ফলে তাদের ব্যবসা ভালোই হচ্ছে। লেগুনা চালিয়ে উপার্জনের টাকা দিয়ে অধিকাংশ কিশোররা মাদক ও নেশায় আসক্ত হয়ে পরছে। এদের মধ্যে শিক্ষার ছোঁয়া না থাকায় রাস্তা-ঘাটে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্রীরা ইভটিজিং এর শিকার হয়। এসব অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোরেরা ওস্তাদের কাছ থেকে শিখে কোন প্রকার লাইন্সেস ছাড়াই বসছে চালকের আসনে। অদক্ষ হাতে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোর কারণে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাচ্ছেন অসংখ্য মানুষ। তারা এতটাই বেপরোয়াভাবে লেগুনা চালায় একজন অসুস্থ ব্যক্তি বা স্কুল শিশুরা যাতায়াত করার সুযোগ রাখে না। লেগুনার স্টিয়ারিং ধরার প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে নেই শিশু হেল্পাররাও। সব জেনেও বাধ্য হয়েই লেগুনায় উঠছেন সাধারণ যাত্রীরা।
লেগুনার লাইসেন্স ও ফিটনেস ঠিক রেখে এবং প্রাপ্তবয়স্ক ও দক্ষ চালক দিয়ে চালানোর অনুরোধ জানিয়ে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি। আর শৃঙ্খলা ফেরাতে উদ্যোগ নিতে ব্যার্থ হলে সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।
রাসেল হোসাইন
শিক্ষার্থী, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
রোববার, ১৩ নভেম্বর ২০২২
রাজধানীতে বেপরোয়া একটি পরিবহনের নাম লেগুনা যা সরকারি খাতায় ‘হিউম্যান হলার’ নামে পরিচিত। রাজধানীতে গণপরিবহনের ২৫১টি রুটের ১৫৯টিতেই লেগুনা চলছে। এসব লেগুনা ‘যেমন খুশি তেমন’ চলছে। ভাড়া থেকে শুরু করে স্ট্যান্ড নির্ধারণ সবকিছুই লেগুনা মালিকেরা নিজেদের ইচ্ছেমতো করেন। তাছাড়া অধিকাংশ ক্ষেত্রেই লেগুনা চালাচ্ছে অপ্রাপ্তবয়স্ক ১০-১৪ বছরের কিশোরেরা।
যাদের এখন স্কুলে যাওয়ার কথা অথচ তাদেরকে দিয়ে কিছু মালিকরা ব্যবসায়ী লেগুনার স্টিয়ারিং হাতে তুলে দিচ্ছেন। তারা এই ছোট শিশুদেরকে দিয়ে কম টাকা লেগুনা পরিবহনটি চালিয়ে নিতে পারছেন। ফলে তাদের ব্যবসা ভালোই হচ্ছে। লেগুনা চালিয়ে উপার্জনের টাকা দিয়ে অধিকাংশ কিশোররা মাদক ও নেশায় আসক্ত হয়ে পরছে। এদের মধ্যে শিক্ষার ছোঁয়া না থাকায় রাস্তা-ঘাটে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্রীরা ইভটিজিং এর শিকার হয়। এসব অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোরেরা ওস্তাদের কাছ থেকে শিখে কোন প্রকার লাইন্সেস ছাড়াই বসছে চালকের আসনে। অদক্ষ হাতে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোর কারণে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাচ্ছেন অসংখ্য মানুষ। তারা এতটাই বেপরোয়াভাবে লেগুনা চালায় একজন অসুস্থ ব্যক্তি বা স্কুল শিশুরা যাতায়াত করার সুযোগ রাখে না। লেগুনার স্টিয়ারিং ধরার প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে নেই শিশু হেল্পাররাও। সব জেনেও বাধ্য হয়েই লেগুনায় উঠছেন সাধারণ যাত্রীরা।
লেগুনার লাইসেন্স ও ফিটনেস ঠিক রেখে এবং প্রাপ্তবয়স্ক ও দক্ষ চালক দিয়ে চালানোর অনুরোধ জানিয়ে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি। আর শৃঙ্খলা ফেরাতে উদ্যোগ নিতে ব্যার্থ হলে সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।
রাসেল হোসাইন
শিক্ষার্থী, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়