alt

চিঠিপত্র

চিঠি : অপ্রাপ্তবয়স্কদের হাতে লেগুনার স্টিয়ারিং

: রোববার, ১৩ নভেম্বর ২০২২

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

রাজধানীতে বেপরোয়া একটি পরিবহনের নাম লেগুনা যা সরকারি খাতায় ‘হিউম্যান হলার’ নামে পরিচিত। রাজধানীতে গণপরিবহনের ২৫১টি রুটের ১৫৯টিতেই লেগুনা চলছে। এসব লেগুনা ‘যেমন খুশি তেমন’ চলছে। ভাড়া থেকে শুরু করে স্ট্যান্ড নির্ধারণ সবকিছুই লেগুনা মালিকেরা নিজেদের ইচ্ছেমতো করেন। তাছাড়া অধিকাংশ ক্ষেত্রেই লেগুনা চালাচ্ছে অপ্রাপ্তবয়স্ক ১০-১৪ বছরের কিশোরেরা।

যাদের এখন স্কুলে যাওয়ার কথা অথচ তাদেরকে দিয়ে কিছু মালিকরা ব্যবসায়ী লেগুনার স্টিয়ারিং হাতে তুলে দিচ্ছেন। তারা এই ছোট শিশুদেরকে দিয়ে কম টাকা লেগুনা পরিবহনটি চালিয়ে নিতে পারছেন। ফলে তাদের ব্যবসা ভালোই হচ্ছে। লেগুনা চালিয়ে উপার্জনের টাকা দিয়ে অধিকাংশ কিশোররা মাদক ও নেশায় আসক্ত হয়ে পরছে। এদের মধ্যে শিক্ষার ছোঁয়া না থাকায় রাস্তা-ঘাটে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্রীরা ইভটিজিং এর শিকার হয়। এসব অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোরেরা ওস্তাদের কাছ থেকে শিখে কোন প্রকার লাইন্সেস ছাড়াই বসছে চালকের আসনে। অদক্ষ হাতে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোর কারণে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাচ্ছেন অসংখ্য মানুষ। তারা এতটাই বেপরোয়াভাবে লেগুনা চালায় একজন অসুস্থ ব্যক্তি বা স্কুল শিশুরা যাতায়াত করার সুযোগ রাখে না। লেগুনার স্টিয়ারিং ধরার প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে নেই শিশু হেল্পাররাও। সব জেনেও বাধ্য হয়েই লেগুনায় উঠছেন সাধারণ যাত্রীরা।

লেগুনার লাইসেন্স ও ফিটনেস ঠিক রেখে এবং প্রাপ্তবয়স্ক ও দক্ষ চালক দিয়ে চালানোর অনুরোধ জানিয়ে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি। আর শৃঙ্খলা ফেরাতে উদ্যোগ নিতে ব্যার্থ হলে সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।

রাসেল হোসাইন

শিক্ষার্থী, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়

ছবি

বেকারত্ব নিরসনে কুটির শিল্পের ভূমিকা

দুর্যোগ পূর্ববর্তী প্রস্তুতি

ছবি

সোনালি পাটের প্রয়োজনীয়তা

কালীকচ্ছের ধর্মতীর্থ বধ্যভূমিতে স্মৃতিসৌধ নির্মাণের দাবি

চিঠি : হলে খাবারের মান উন্নত করুন

চিঠি : স্বাস্থ্য শিক্ষা বিষয়ে ডিপ্লোমাধারীদের বৈষম্য দূর করুন

চিঠি : শিক্ষার মান উন্নয়ন চাই

চিঠি : সড়ক আইন বাস্তবায়ন করুন

চিঠি : রাস্তায় বাইক সন্ত্রাস

চিঠি : কঠিন হয়ে পড়ছে ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা

চিঠি : ডিসেম্বরের স্মৃতি

চিঠি : টেকসই ও সাশ্রয়ী ক্লিন এনার্জি

চিঠি : নকল গুড় জব্দ হোক

চিঠি : সড়কে বাড়ছে লেন ঝরছে প্রাণ

চিঠি : ঢাকাবাসীর কাছে মেট্রোরেল আশীর্বাদ

চিঠি : কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন জরুরি

চিঠি : পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস চাই

চিঠি : তারুণ্যের শক্তি কাজে লাগান

চিঠি : এইডস থেকে বাঁচতে সচেতন হোন

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ হোক

চিঠি : হাসুন, সুস্থ থাকুন

চিঠি : হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি বন্ধ হোক

চিঠি : রাজনীতিতে তরুণ সমাজের অংশগ্রহণ

চিঠি : মাদককে ‘না’ বলুন

চিঠি : পুনরুন্নয়ন প্রকল্প : পাল্টে যাবে পুরান ঢাকা

চিঠি : শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ান

চিঠি : চন্দ্রগঞ্জে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন চাই

চিঠি : বাড়ছে বাল্যবিয়ে

চিঠি : টিকটকের অপব্যবহার রোধ করতে হবে

চিঠি : আত্মবিশ্বাস ও আস্থা

চিঠি : শিক্ষকরা কি প্রকৃত মর্যাদা পাচ্ছে

চিঠি : শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সম্প্রীতি চাই

চিঠি : সকালে ও বিকেলে মেট্রোরেল চলুক

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ করতে হবে

চিঠি : ঢাবি’র কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার আধুনিকায়ন করা হোক

চিঠি : নিত্যপণ্যের দাম

tab

চিঠিপত্র

চিঠি : অপ্রাপ্তবয়স্কদের হাতে লেগুনার স্টিয়ারিং

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

রোববার, ১৩ নভেম্বর ২০২২

রাজধানীতে বেপরোয়া একটি পরিবহনের নাম লেগুনা যা সরকারি খাতায় ‘হিউম্যান হলার’ নামে পরিচিত। রাজধানীতে গণপরিবহনের ২৫১টি রুটের ১৫৯টিতেই লেগুনা চলছে। এসব লেগুনা ‘যেমন খুশি তেমন’ চলছে। ভাড়া থেকে শুরু করে স্ট্যান্ড নির্ধারণ সবকিছুই লেগুনা মালিকেরা নিজেদের ইচ্ছেমতো করেন। তাছাড়া অধিকাংশ ক্ষেত্রেই লেগুনা চালাচ্ছে অপ্রাপ্তবয়স্ক ১০-১৪ বছরের কিশোরেরা।

যাদের এখন স্কুলে যাওয়ার কথা অথচ তাদেরকে দিয়ে কিছু মালিকরা ব্যবসায়ী লেগুনার স্টিয়ারিং হাতে তুলে দিচ্ছেন। তারা এই ছোট শিশুদেরকে দিয়ে কম টাকা লেগুনা পরিবহনটি চালিয়ে নিতে পারছেন। ফলে তাদের ব্যবসা ভালোই হচ্ছে। লেগুনা চালিয়ে উপার্জনের টাকা দিয়ে অধিকাংশ কিশোররা মাদক ও নেশায় আসক্ত হয়ে পরছে। এদের মধ্যে শিক্ষার ছোঁয়া না থাকায় রাস্তা-ঘাটে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্রীরা ইভটিজিং এর শিকার হয়। এসব অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোরেরা ওস্তাদের কাছ থেকে শিখে কোন প্রকার লাইন্সেস ছাড়াই বসছে চালকের আসনে। অদক্ষ হাতে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোর কারণে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাচ্ছেন অসংখ্য মানুষ। তারা এতটাই বেপরোয়াভাবে লেগুনা চালায় একজন অসুস্থ ব্যক্তি বা স্কুল শিশুরা যাতায়াত করার সুযোগ রাখে না। লেগুনার স্টিয়ারিং ধরার প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে নেই শিশু হেল্পাররাও। সব জেনেও বাধ্য হয়েই লেগুনায় উঠছেন সাধারণ যাত্রীরা।

লেগুনার লাইসেন্স ও ফিটনেস ঠিক রেখে এবং প্রাপ্তবয়স্ক ও দক্ষ চালক দিয়ে চালানোর অনুরোধ জানিয়ে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি। আর শৃঙ্খলা ফেরাতে উদ্যোগ নিতে ব্যার্থ হলে সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।

রাসেল হোসাইন

শিক্ষার্থী, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়

back to top