মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
সংবাদপত্র, বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার বদৌলতে প্রায় প্রতিদিনই যৌন সহিংসতার খবর চোখে পড়ে। সব বয়সের নারী, এমনকি শিশুরাও এর শিকার হচ্ছে। বাদ যাচ্ছে না প্রতিবন্ধী শিশুরাও। যতগুলো যৌন সহিংসতার খবর আমাদের কাছে পৌঁছায়, আদতে সহিংসতার ঘটনা ঘটে তার চেয়েও কয়েকগুণ বেশি। জানা যায়, বিশ্বে ৩৫ শতাংশ নারীই জীবনের কোন না কোন সময় যৌন হয়রানির শিকার হন। আইনের দ্বারস্থ হন ৪০ শতাংশের কম নারী। আর বিচার পান ১০ শতাংশ ভুক্তভোগী।
কোন ব্যক্তিকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে যৌন আচরণ বাস্তবায়নের জন্য শারীরিক, মানসিক, নৈতিক শক্তির অপব্যবহারের মাধ্যমে আগ্রাসনের সঙ্গে নিজেকে প্রকাশ করাই হলো যৌন সহিংসতা। সহজ কথায়, যৌন সহিংসতা হলো সহিংসতা বা জবরদস্তির মাধ্যমে যেকোন যৌন কাজ বা যৌনতা অর্জনের চেষ্টা। যৌন সহিংসতা বিভিন্ন উপায়ে প্রকাশিত হয়। ধর্ষণ, জোর করে পতিতাবৃত্তি, অপহরণ, যৌন হয়রানি, পর্নগ্রাফি ইত্যাদি।
যৌন সহিংসতার সবচেয়ে সাধারণ ঘটনা শিশু ও মহিলাদের ওপর যৌন হয়রানি এবং ধর্ষণের মাধ্যমে প্রয়োগ করা হয়। যাকে যৌন সহিংসতার সবচেয়ে বেশি পরিচিত রূপ বলা যায়। যৌন অপরাধী সব সময় একজন অপরিচিত হবে, তা কিন্তু নয়। জানা যায়, দেশে সংঘটিত শিশুদের যৌন সহিংসতার ঘটনার ৯৫.৮ শতাংশই ঘটেছে নিজ বাড়িতে। এ ধরনের অপরাধ বেশি ঘটে ভুক্তভোগীর টিউটর, স্কুল শিক্ষক, ধর্ম শিক্ষক, নিকটআত্মীয়, এমনকি চিকিৎসকদের দ্বারা। ‘বাংলাদেশ শিশুর প্রতি সহিংসতা পরিস্থিতি’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানা যায়, শতকরা ৯৫.৩ জন শিশু বিভিন্ন সময় যৌন সহিংসতার শিকার হয়। যার মধ্যে শতকরা ৯৬.২ জন মেয়ে শিশু এবং ৯৪.৫ জন ছেলে শিশু।
এই ভয়াবহ সমস্যা থেকে মুক্তির পথ খোঁজার সময় এখনই। প্রত্যেকটি শিশুকে নৈতিক শিক্ষা, নিজ দেশের সংস্কৃতি অনুসরণ করানো উচিত। বহির্বিশ্বের সংস্কৃতিকে নিজের সংস্কৃতির সঙ্গে না গুলিয়ে ফেলার প্রতিও সবার সজাগ হতে হবে। প্রতিটি বাবা-মা কে সঠিক প্যারেন্টিং সম্পর্কে জানতে হবে। সন্তানদের সঙ্গে সহনশীল ও বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাব গড়ে তুলতে হবে। শিশুদের খারাপ স্পর্শ ও ভালো স্পর্শ সম্পর্কে জানাতে হবে। ছেলে-মেয়েদের জন্য স্কুলকেন্দ্রীক সচেতনতামূলক কর্মসূচি গ্রহণ জরুরি- যেখানে নৈতিক শিক্ষা, ধর্মীয় শিক্ষা, পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার শিক্ষা থাকবে।
নাসিরা নিশাত
শিক্ষার্থী -আনন্দমোহন কলেজ, ময়মনসিংহ
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
শুক্রবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২২
সংবাদপত্র, বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার বদৌলতে প্রায় প্রতিদিনই যৌন সহিংসতার খবর চোখে পড়ে। সব বয়সের নারী, এমনকি শিশুরাও এর শিকার হচ্ছে। বাদ যাচ্ছে না প্রতিবন্ধী শিশুরাও। যতগুলো যৌন সহিংসতার খবর আমাদের কাছে পৌঁছায়, আদতে সহিংসতার ঘটনা ঘটে তার চেয়েও কয়েকগুণ বেশি। জানা যায়, বিশ্বে ৩৫ শতাংশ নারীই জীবনের কোন না কোন সময় যৌন হয়রানির শিকার হন। আইনের দ্বারস্থ হন ৪০ শতাংশের কম নারী। আর বিচার পান ১০ শতাংশ ভুক্তভোগী।
কোন ব্যক্তিকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে যৌন আচরণ বাস্তবায়নের জন্য শারীরিক, মানসিক, নৈতিক শক্তির অপব্যবহারের মাধ্যমে আগ্রাসনের সঙ্গে নিজেকে প্রকাশ করাই হলো যৌন সহিংসতা। সহজ কথায়, যৌন সহিংসতা হলো সহিংসতা বা জবরদস্তির মাধ্যমে যেকোন যৌন কাজ বা যৌনতা অর্জনের চেষ্টা। যৌন সহিংসতা বিভিন্ন উপায়ে প্রকাশিত হয়। ধর্ষণ, জোর করে পতিতাবৃত্তি, অপহরণ, যৌন হয়রানি, পর্নগ্রাফি ইত্যাদি।
যৌন সহিংসতার সবচেয়ে সাধারণ ঘটনা শিশু ও মহিলাদের ওপর যৌন হয়রানি এবং ধর্ষণের মাধ্যমে প্রয়োগ করা হয়। যাকে যৌন সহিংসতার সবচেয়ে বেশি পরিচিত রূপ বলা যায়। যৌন অপরাধী সব সময় একজন অপরিচিত হবে, তা কিন্তু নয়। জানা যায়, দেশে সংঘটিত শিশুদের যৌন সহিংসতার ঘটনার ৯৫.৮ শতাংশই ঘটেছে নিজ বাড়িতে। এ ধরনের অপরাধ বেশি ঘটে ভুক্তভোগীর টিউটর, স্কুল শিক্ষক, ধর্ম শিক্ষক, নিকটআত্মীয়, এমনকি চিকিৎসকদের দ্বারা। ‘বাংলাদেশ শিশুর প্রতি সহিংসতা পরিস্থিতি’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানা যায়, শতকরা ৯৫.৩ জন শিশু বিভিন্ন সময় যৌন সহিংসতার শিকার হয়। যার মধ্যে শতকরা ৯৬.২ জন মেয়ে শিশু এবং ৯৪.৫ জন ছেলে শিশু।
এই ভয়াবহ সমস্যা থেকে মুক্তির পথ খোঁজার সময় এখনই। প্রত্যেকটি শিশুকে নৈতিক শিক্ষা, নিজ দেশের সংস্কৃতি অনুসরণ করানো উচিত। বহির্বিশ্বের সংস্কৃতিকে নিজের সংস্কৃতির সঙ্গে না গুলিয়ে ফেলার প্রতিও সবার সজাগ হতে হবে। প্রতিটি বাবা-মা কে সঠিক প্যারেন্টিং সম্পর্কে জানতে হবে। সন্তানদের সঙ্গে সহনশীল ও বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাব গড়ে তুলতে হবে। শিশুদের খারাপ স্পর্শ ও ভালো স্পর্শ সম্পর্কে জানাতে হবে। ছেলে-মেয়েদের জন্য স্কুলকেন্দ্রীক সচেতনতামূলক কর্মসূচি গ্রহণ জরুরি- যেখানে নৈতিক শিক্ষা, ধর্মীয় শিক্ষা, পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার শিক্ষা থাকবে।
নাসিরা নিশাত
শিক্ষার্থী -আনন্দমোহন কলেজ, ময়মনসিংহ