alt

চিঠিপত্র

চিঠি : নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন প্রয়োজন

: শুক্রবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২২

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

সংবাদপত্র, বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার বদৌলতে প্রায় প্রতিদিনই যৌন সহিংসতার খবর চোখে পড়ে। সব বয়সের নারী, এমনকি শিশুরাও এর শিকার হচ্ছে। বাদ যাচ্ছে না প্রতিবন্ধী শিশুরাও। যতগুলো যৌন সহিংসতার খবর আমাদের কাছে পৌঁছায়, আদতে সহিংসতার ঘটনা ঘটে তার চেয়েও কয়েকগুণ বেশি। জানা যায়, বিশ্বে ৩৫ শতাংশ নারীই জীবনের কোন না কোন সময় যৌন হয়রানির শিকার হন। আইনের দ্বারস্থ হন ৪০ শতাংশের কম নারী। আর বিচার পান ১০ শতাংশ ভুক্তভোগী।

কোন ব্যক্তিকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে যৌন আচরণ বাস্তবায়নের জন্য শারীরিক, মানসিক, নৈতিক শক্তির অপব্যবহারের মাধ্যমে আগ্রাসনের সঙ্গে নিজেকে প্রকাশ করাই হলো যৌন সহিংসতা। সহজ কথায়, যৌন সহিংসতা হলো সহিংসতা বা জবরদস্তির মাধ্যমে যেকোন যৌন কাজ বা যৌনতা অর্জনের চেষ্টা। যৌন সহিংসতা বিভিন্ন উপায়ে প্রকাশিত হয়। ধর্ষণ, জোর করে পতিতাবৃত্তি, অপহরণ, যৌন হয়রানি, পর্নগ্রাফি ইত্যাদি।

যৌন সহিংসতার সবচেয়ে সাধারণ ঘটনা শিশু ও মহিলাদের ওপর যৌন হয়রানি এবং ধর্ষণের মাধ্যমে প্রয়োগ করা হয়। যাকে যৌন সহিংসতার সবচেয়ে বেশি পরিচিত রূপ বলা যায়। যৌন অপরাধী সব সময় একজন অপরিচিত হবে, তা কিন্তু নয়। জানা যায়, দেশে সংঘটিত শিশুদের যৌন সহিংসতার ঘটনার ৯৫.৮ শতাংশই ঘটেছে নিজ বাড়িতে। এ ধরনের অপরাধ বেশি ঘটে ভুক্তভোগীর টিউটর, স্কুল শিক্ষক, ধর্ম শিক্ষক, নিকটআত্মীয়, এমনকি চিকিৎসকদের দ্বারা। ‘বাংলাদেশ শিশুর প্রতি সহিংসতা পরিস্থিতি’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানা যায়, শতকরা ৯৫.৩ জন শিশু বিভিন্ন সময় যৌন সহিংসতার শিকার হয়। যার মধ্যে শতকরা ৯৬.২ জন মেয়ে শিশু এবং ৯৪.৫ জন ছেলে শিশু।

এই ভয়াবহ সমস্যা থেকে মুক্তির পথ খোঁজার সময় এখনই। প্রত্যেকটি শিশুকে নৈতিক শিক্ষা, নিজ দেশের সংস্কৃতি অনুসরণ করানো উচিত। বহির্বিশ্বের সংস্কৃতিকে নিজের সংস্কৃতির সঙ্গে না গুলিয়ে ফেলার প্রতিও সবার সজাগ হতে হবে। প্রতিটি বাবা-মা কে সঠিক প্যারেন্টিং সম্পর্কে জানতে হবে। সন্তানদের সঙ্গে সহনশীল ও বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাব গড়ে তুলতে হবে। শিশুদের খারাপ স্পর্শ ও ভালো স্পর্শ সম্পর্কে জানাতে হবে। ছেলে-মেয়েদের জন্য স্কুলকেন্দ্রীক সচেতনতামূলক কর্মসূচি গ্রহণ জরুরি- যেখানে নৈতিক শিক্ষা, ধর্মীয় শিক্ষা, পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার শিক্ষা থাকবে।

নাসিরা নিশাত

শিক্ষার্থী -আনন্দমোহন কলেজ, ময়মনসিংহ

ছবি

বেকারত্ব নিরসনে কুটির শিল্পের ভূমিকা

দুর্যোগ পূর্ববর্তী প্রস্তুতি

ছবি

সোনালি পাটের প্রয়োজনীয়তা

কালীকচ্ছের ধর্মতীর্থ বধ্যভূমিতে স্মৃতিসৌধ নির্মাণের দাবি

চিঠি : হলে খাবারের মান উন্নত করুন

চিঠি : স্বাস্থ্য শিক্ষা বিষয়ে ডিপ্লোমাধারীদের বৈষম্য দূর করুন

চিঠি : শিক্ষার মান উন্নয়ন চাই

চিঠি : সড়ক আইন বাস্তবায়ন করুন

চিঠি : রাস্তায় বাইক সন্ত্রাস

চিঠি : কঠিন হয়ে পড়ছে ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা

চিঠি : ডিসেম্বরের স্মৃতি

চিঠি : টেকসই ও সাশ্রয়ী ক্লিন এনার্জি

চিঠি : নকল গুড় জব্দ হোক

চিঠি : সড়কে বাড়ছে লেন ঝরছে প্রাণ

চিঠি : ঢাকাবাসীর কাছে মেট্রোরেল আশীর্বাদ

চিঠি : কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন জরুরি

চিঠি : পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস চাই

চিঠি : তারুণ্যের শক্তি কাজে লাগান

চিঠি : এইডস থেকে বাঁচতে সচেতন হোন

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ হোক

চিঠি : হাসুন, সুস্থ থাকুন

চিঠি : হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি বন্ধ হোক

চিঠি : রাজনীতিতে তরুণ সমাজের অংশগ্রহণ

চিঠি : মাদককে ‘না’ বলুন

চিঠি : পুনরুন্নয়ন প্রকল্প : পাল্টে যাবে পুরান ঢাকা

চিঠি : শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ান

চিঠি : চন্দ্রগঞ্জে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন চাই

চিঠি : বাড়ছে বাল্যবিয়ে

চিঠি : টিকটকের অপব্যবহার রোধ করতে হবে

চিঠি : আত্মবিশ্বাস ও আস্থা

চিঠি : শিক্ষকরা কি প্রকৃত মর্যাদা পাচ্ছে

চিঠি : শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সম্প্রীতি চাই

চিঠি : সকালে ও বিকেলে মেট্রোরেল চলুক

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ করতে হবে

চিঠি : ঢাবি’র কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার আধুনিকায়ন করা হোক

চিঠি : নিত্যপণ্যের দাম

tab

চিঠিপত্র

চিঠি : নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন প্রয়োজন

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

শুক্রবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২২

সংবাদপত্র, বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার বদৌলতে প্রায় প্রতিদিনই যৌন সহিংসতার খবর চোখে পড়ে। সব বয়সের নারী, এমনকি শিশুরাও এর শিকার হচ্ছে। বাদ যাচ্ছে না প্রতিবন্ধী শিশুরাও। যতগুলো যৌন সহিংসতার খবর আমাদের কাছে পৌঁছায়, আদতে সহিংসতার ঘটনা ঘটে তার চেয়েও কয়েকগুণ বেশি। জানা যায়, বিশ্বে ৩৫ শতাংশ নারীই জীবনের কোন না কোন সময় যৌন হয়রানির শিকার হন। আইনের দ্বারস্থ হন ৪০ শতাংশের কম নারী। আর বিচার পান ১০ শতাংশ ভুক্তভোগী।

কোন ব্যক্তিকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে যৌন আচরণ বাস্তবায়নের জন্য শারীরিক, মানসিক, নৈতিক শক্তির অপব্যবহারের মাধ্যমে আগ্রাসনের সঙ্গে নিজেকে প্রকাশ করাই হলো যৌন সহিংসতা। সহজ কথায়, যৌন সহিংসতা হলো সহিংসতা বা জবরদস্তির মাধ্যমে যেকোন যৌন কাজ বা যৌনতা অর্জনের চেষ্টা। যৌন সহিংসতা বিভিন্ন উপায়ে প্রকাশিত হয়। ধর্ষণ, জোর করে পতিতাবৃত্তি, অপহরণ, যৌন হয়রানি, পর্নগ্রাফি ইত্যাদি।

যৌন সহিংসতার সবচেয়ে সাধারণ ঘটনা শিশু ও মহিলাদের ওপর যৌন হয়রানি এবং ধর্ষণের মাধ্যমে প্রয়োগ করা হয়। যাকে যৌন সহিংসতার সবচেয়ে বেশি পরিচিত রূপ বলা যায়। যৌন অপরাধী সব সময় একজন অপরিচিত হবে, তা কিন্তু নয়। জানা যায়, দেশে সংঘটিত শিশুদের যৌন সহিংসতার ঘটনার ৯৫.৮ শতাংশই ঘটেছে নিজ বাড়িতে। এ ধরনের অপরাধ বেশি ঘটে ভুক্তভোগীর টিউটর, স্কুল শিক্ষক, ধর্ম শিক্ষক, নিকটআত্মীয়, এমনকি চিকিৎসকদের দ্বারা। ‘বাংলাদেশ শিশুর প্রতি সহিংসতা পরিস্থিতি’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানা যায়, শতকরা ৯৫.৩ জন শিশু বিভিন্ন সময় যৌন সহিংসতার শিকার হয়। যার মধ্যে শতকরা ৯৬.২ জন মেয়ে শিশু এবং ৯৪.৫ জন ছেলে শিশু।

এই ভয়াবহ সমস্যা থেকে মুক্তির পথ খোঁজার সময় এখনই। প্রত্যেকটি শিশুকে নৈতিক শিক্ষা, নিজ দেশের সংস্কৃতি অনুসরণ করানো উচিত। বহির্বিশ্বের সংস্কৃতিকে নিজের সংস্কৃতির সঙ্গে না গুলিয়ে ফেলার প্রতিও সবার সজাগ হতে হবে। প্রতিটি বাবা-মা কে সঠিক প্যারেন্টিং সম্পর্কে জানতে হবে। সন্তানদের সঙ্গে সহনশীল ও বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাব গড়ে তুলতে হবে। শিশুদের খারাপ স্পর্শ ও ভালো স্পর্শ সম্পর্কে জানাতে হবে। ছেলে-মেয়েদের জন্য স্কুলকেন্দ্রীক সচেতনতামূলক কর্মসূচি গ্রহণ জরুরি- যেখানে নৈতিক শিক্ষা, ধর্মীয় শিক্ষা, পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার শিক্ষা থাকবে।

নাসিরা নিশাত

শিক্ষার্থী -আনন্দমোহন কলেজ, ময়মনসিংহ

back to top